Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতা
শিরোনাম ঃ কে জানে
কলমেঃ জেবুন নাহার
তারিখঃ ২১/০১/ ২৩

প্রতি দিন কত নক্ষত্র খসে পড়ে
কে রাখে হিসেব তার?
যে যায় তাকে আর কে মনে রাখে?
বঁচে থাকা মানুষ গুলো বেমালুম ভুলে যায়।

কত নতুন ফুল গাছে গাছে
নতুন উন্মাদনায় ওঠে ফুটে
ফুলের হাসি দেখে গেয়ে ওঠে পাখি
কি নির্ভেজাল সুষমায়।

কত পথিক চলতে চলতে পথ ভোলে,
কত নদী গতি হারায়,
কত ক্ষতবিক্ষত হৃদয় মরে মরে বাঁচে,
রাতজাগা পাখির সাথে গুমরে কাঁদে,
কে জানে সে খবর?

রচনাকালঃ ১৯/০১/২৩

——————————————–
“সেই রিসোর্টের নীল বারান্দায়”

_____@বিজয় ম্রো
২০-০১-২০২৩ ইং

ওহে পর্যটক, ভিনদেশী ভ্রমন পিপাসু
শুনশান হিমেল হাওয়ায় দাঁড়িয়ে_
তোরা শুনিস্ বিনোদনের গান,
আমি শুনি ঝর্ণার অমীমাংসিত সুর,
আদিম পাথুরে গায়ে ঘেঁষে খুঁজে পাই এক পশলা গায়ের কাঁটা!
বনো আহারের সন্ধানে একদিন হয়তোবা এখানে!
এখনও পরে আছে ক্ষুধার্ত বুড়ো খুকুর পায়ের ছাপ,
গাছে গাছে, পুরনো বৃক্ষের মগডালে,
এখনও জ্যোতিষ কাঠবিড়ালিটি খুঁজে বেড়ায় _
কোথায় যেন ব্যাথা আছে!।

বাঁশের সাঁকো বেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ টং ঘরটা_
একদিন ভারী হাঁটুর পায়ে রূপোর ঝংকার বেজে উঠত!
ওটা পরিশ্রান্ত রমনীর অপ্রকাশিত ব্যথার ঝংকার,
এখানে গুপ্ত হয়েছিল কত কত স্মৃতি!
মলিন মেঘের অভিমানেরা এখনও খুঁজে বেড়ায়_
কোথায় যেন ব্যাথা আছে।

নীলগিরি নীলাচল আর নীলাম্বরী
লাল-নীল রঙের ঐ রিসোর্টের আঙিনা,
ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে ঐ দূর পাহাড়ের নান্দনিকতা।
কফির পেয়ালায় চুমুক এঁকে তোদের সুপ্ত চেতনা ভরে উঠে প্রেমানন্দ বেদনায়।
আমি আহত হই!
আমি যতোবার পাহাড়ে তাকাই, ততবারই আহত হই!
এই পাহাড়ের গায়ে এখনও রৌদ্র পুক্ত ঘামের গন্ধ ভাসে,
নীল কাদা মাখা মোটা পিঠে এখনও চাঁদের কিরণ করে চকচক,
এখনও বনের রাক্ষসী ধনেশ পাখী আর বাঘের হাউমাউ হুংকার শুনি,
রাতের আঁধারে বাড়ির ফেরার জঙলা পথে_
এখনও দলবেধা বাঁশের মশাল জ্বলে।
হঠাৎ এক মধ্যরাতে গোলাবারুদের ধোঁয়ায় _
এখনও পোড়া ধানের গন্ধ শুনতে পাই,
ঘুমান্ত শিশুকে পিঠে ঝুলিয়ে ঘরছাড়া মায়ের কান্না শুনতে পাই।

সেই রিসোর্টের নীল বারান্দায় আমি নীল ব্যথায় আহত হই,
দূর থেকে ছুটে আসা কিছু বাতাসের মিহি পরশে খুঁজে বেড়াই,
কোথায় যেন ব্যথা আছে।

কলমেঃ বিজয় ম্রো____

——————————————–
কবিতা-ইতিহাস খুঁজি স্বপ্নের ঘোরে
কলমে-এইচ এম উজ্জ্বল
তারিখ-২০/০১/২০২৩
হিম কুয়াশায় মন সীমানায় আবারো জেগেছে
উষ্ণ ভালোবাসা।
মৌমাছির মৌ মৌ গন্ধে উষ্ণতার চাহিদা বেড়েছে;
সেই যে দিয়েছিলে আচল উড়ানো সুগন্ধি মিষ্টি প্রেম,
লাল শাড়ির লাজুক চাহনির নয়নকাড়া ঘোমটা,
আবেগগুলো এখনো কঠিন স্বরে শাসন করছে মনের কোণে বারবার।
এখনো ছোটখাটো পাগলামি করি বটে;
কখনো উদাসী বাউল সাজি
বৈরাগী স্বভাবটা এখনো আমার
প্রাপ্তির ইতিহাস খুঁজি স্বপ্নের ঘোরে
তবু-
ভালোবাসার সারগামে এখনো শিল্পের কারুকাজে কেবলি তোমার ছবিই আঁকি।

——————————————–
সে আমার প্রথম প্রেম
দোলা ভট্টাচার্য্য
20.1.23

আজ কতদিন পর আবার
কলেজের গেটের সামনে এসে দাঁড়ালাম।
গেটটা স্পর্শ করতেই, মনে পড়ে গেল কত কথা।
স্মৃতিদের ভিড় ঠেলে প্রবেশ করলাম ভেতরে।
চোখে পড়ল একটা অচেনা মুখ,
মাঠ পেরিয়ে ক্যান্টিনের দিকে চলে গেল সে। অফিসের দিকে পা বাড়ালাম।
ক্লাসরুমগুলোর সামনে দিয়ে যাবার সময়,
কানে ভেসে এল মৃদু গুঞ্জরণ ।
আবার স্মৃতির ধুলোয় আবিল হল মন।
গতবছর এই জায়গাটায় আমি ছিলাম,
ছিলাম আমরা সবাই ।
আজ সে জায়গার দখল নিয়েছে নতুনের দল।

কি করে ভুলি বিগত চারটে বছর কে!
কি করে ভুলব আমার বুকের ভেতর,
প্রথম প্রেমের কোরকটা ফুটে উঠেছিল
ওই ক্লাসরুমেই!
মনে পড়ছে বিতান কে।
মনে পড়ে যাচ্ছে,
আমাকে করা ওর প্রথম সম্ভাষণ —
“হাই কৃশাঙ্গি!”
“না। কৃশাঙ্গি নই। আমি বনলতা।”
হেসে উঠেছিল সবাই। কি লজ্জা!
ছেলেটা আমায় অমন নামে ডাকল কেন?
পরে বুঝেছিলাম, আমি যে খুব রোগা।
তাই কৃশাঙ্গি। প্রথম দর্শনেই এই কৃশাঙ্গির
প্রেমে পড়েছিল বিতান।
আর আমি! প্রথম প্রেম যে আবেগে মরে,
সে আবেগ কে প্রশ্রয় দিইনি তখন ।
ভেবেছিলাম, ও তো ধনী পরিবারের ছেলে,
প্রেম কে ওরা পয়সা দিয়ে কেনে।
বুঝতেই পারিনি,
সে প্রেমের কুসুম কখন আমার বুকের গহীনে,
দল মেলে হয়েছে বিকশিত।
আজ এই ফাঁকা করিডোরে দাঁড়িয়ে
সেই বিতানকেই খুঁজছি, “বিতান! কোথায় তুই!
আমিও যে ভালোবাসি তোকে,
বলা তো হল না সে কথা।”!
আর কি সময় পাবো কোনোদিন!
আর কি দেখা হবে আমাদের কখনো!
বিতান এখন চাকরি সূত্রে ভারতের বাইরে।
কবে ফিরবে কোনো ঠিক নেই।
আর, এক সপ্তাহের মধ্যে
আমিও ছেড়ে যাচ্ছি এই রাজ্য।
ক্যাম্পাসেই চাকরি পেয়েছি আমরা।
আর আমাদের প্রেম!
প্রথম প্রেমের আবেগ যে অত সহজে মরে না।
বিতান, আমি ঠিক পাবো তোকে।
পেতেই হবে।
তুই শুধু একটু অপেক্ষা করিস,
আমার জন্য।
পারবি না!

——————————————–
শিরোনাম-‐””প্রেমের অভিসারে””
কলমে—জয়া গোস্বামী
২০-০১–২০২৩

আমার ভালোবাসার নীড় ভেঙেছে প্রলয় ঝড়ে,
প্রাণের মানুষ গিয়েছে চলে আছি শুধু একা ঘরে।

তবু আজও অপেক্ষায় আছি মনের অজান্তে,
দুখের স্বপ্নগুলো আজ আছে আমার একান্তে।

আসবে তুমি কবে ঘরের দ্বারে জানি মনের ভুলে,
প্রেমের অভিসারে হয়ত সেদিন আসবে সব ফেলে।

দিবানিশি স্বপ্ন সাজাই আমি মনের ক্যানভাসে,
প্রথম দেখার দিনটা ছিলো মনে প্রেমের সুবাসে।

স্মৃতিচারণ করি রাতে মনে পড়ে সব আছে স্মৃতির পাতাতে,
প্রতীক্ষার প্রহর কাটে আমার অনিদ্রার সাথে।

আজও মনের ভেতর শুনি তোমারই পদধ্বনি,
হাহাকার ঘিরে ধরে মনের ভেতর বড্ড তখন একাকিনী।

কি ভীষণ নিঃস্ব করে দিলে তুমি যে ছেড়ে চলে গিয়ে,
অপেক্ষার যন্ত্রণা কেমন অনুভব করেছো নিজেকে দিয়ে?

ক্ষণে ক্ষণে নিজেকে হারাই কেন রাতের অগোচরে,
আজও স্বপ্ন সাজাই শুধুই তোমার ভালোবাসার ভোরে।

ইচ্ছা করে ভাসিয়েছি পাল -বিহীন নৌকা উজান স্রোতে,
তোমাকে সঙ্গে করে ভালোবাসায় যদি আনে
আমার আঙিনাতে।

থাকবে তুমি চির স্মরণীয় হয়ে আমার হৃদয়ের গোপনে,,
শুধুই মিথ্যা স্বপ্ন সাজালাম তোমার জন্য নিজের সঙ্গোপনে।

——————————————–
“” যতই চাওনা কেনো”” ২০/০১/২০২৩
–স্বপন_সরকার–

যতই চাওনা কেনো হৃদয়ের পৃথিবী থেকে
বিলাবে নিজের দু’টি হাত,
যদি না-ই থাকে ভালোবাসার প্রিয় প্রাণ
তবে শূন্যই রবে তোমার পূর্ণ হাত।

বিনিদ্র রজনী কাটাবে বলে আসবে ফিরে
মনের স্তব্ধতা সারাক্ষণ,
আঁখিভেজা অশ্রুজল বয়ে দিয়ে কেড়ে নিবে
ইচ্ছা শক্তির সকল আয়োজন।

অমাবস্যার গাঢ় অন্ধকারে জ্বলবেনা বাতি
নিভেও যাবে মনের দীপ,
হৃদয়ের রক্তক্ষরণে হবেনা আর বিপ্লব
হবেনা ইচ্ছা জ্বালাতে সন্ধ্যা প্রদীপ।

স্রোতধারা হয়ে যাবেনা বয়ে মনের নদী
চাওয়া পাওয়া থাকবে অপূর্ণ,
আদ্র রজনী শেষে দিনের প্রারম্ভে এসে দেখবে
বৃষ্টিভেজা চোখই হয়েছে জলে পূর্ণ।

Powered by themekiller.com