শব্দনগর
ইব্রাহিম খলিল।
শব্দনগর গ্রুপের কথা
যায় না বলা অল্প করে,
চলো সবাই বলবো কথা-
মজায় মজায় গল্প করে।
যে যার মতো আঁকবো ছবি
মনের যতো কল্পনা,
ধরবো তুলে সত্যিটাকে
মিথ্যে কোন গল্প না।
শব্দনগর গ্রুপটা হলো
তোমার আমার সকলের,
সুস্থ ধারার লেখা দিয়ে
হোক প্রতিবাদ নকলের।
ভালো কাজে মেধা খাটাও
যখন লাগে যেইখানে
নিজের মেধায় যেটাই ধরে,
সেটাই ঢালো এইখানে।
মনটা খুলে লিখতে পারো
গল্প ছড়া কবিতা,
কিংবা তুমি যা যা পারো-
লিখে ফেলো সবই তা।
এখানটাতে প্রাণটা খুলে
বলতে পারো সব কিছু,
সাহস নিয়ে যাও এগিয়ে-
ফেলে রেখে ভয় পিছু।
গুলশান,ঢাকা
——————————————–
শিরোনাম: বুনোফুলের মেলায়
Kmn sujon
তারিখ: ১৮/০১/২০২৩
একটা কবিতা লেখার জন্য আমি ছুটে গিয়েছি পাড়াগায়,
শীতের গোলাপ, শিমুল ,পলাশ , রক্ত গাধা, নাম না জানা বুনো ফুলের মেলায় ।ওরা আমায় দেখে মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে বলে, আয় এদিকে ছুটে আয় ।
হাজার রঙের পসরা সাজিয়ে রয়েছি তোমার অপেক্ষায়।
দুহাত ভরে নাও গো তুলে
তোমার মন যত চায়।
বিমোহিত মন মহুয়ার গন্ধে মাতাল ভ্রমর নাচিয়া কয়,,, আসিয়াছি আমি নিংরাতে মধু,,,
পূর্ণ করিতে তোমায় ।
কুসুম বাগে ভরা কুয়াশায়।
তোমারি প্রেমে বদ্ধ পাগল উন্মাধ্য এই ছায়। বুনো ফুল
তোমাদেরই মহুয়ার গন্ধে মাতাল ভ্রমর আজ নাহি কুল দিশা পায়,,, ভ্রমর গুন গুন করে গায় গান চলে যেতে নাহি চায় মন।
আসিব ফিরে আগামী ঊষা আভায় ঝিরি হিমেল হাওয়া।
কবি অবাক হয়ে রয় কি বা আর লিখার আছে নতুন করে কবিতায়।।।
——————————————–
আমি
গোলাম মওলা শিকদার
তারিখ ঃ ২০/১/২০২৩।
আমি, আমি ডাকি লুকানো অদৃশ্য পাখি, বলে আছি আছি, কাছাকাছি আঁখি, চিনতে অসাধ্য আমি, সদাজাগ্রত আমি, বিশ্রামে যখন যাই স্রষ্টার নৈকট্য পাই। দেহ অসার ঘুমন্ত আমার ক্ষণিক মৃত্যু, আমি কিংবা আমার একমাত্র সম্পৃক্ত স্রষ্টার। আমি সক্রিয়া যখন দেহমন সক্রিয় তখন। যতই করো গবেষণা আমার দেখা মিলবে না, স্রষ্টা দিলে নির্দেশনা অসার ঘরে থাকবো না।
——————————————–
ভালোবাসা মরে গেলে
জিরাফের মতো গলা বাড়িয়ে
এলো সময়
ভীষণ অস্থিরতা নিয়ে
নিস্তরঙ্গ পায়,
চৈত্রের দাবদাহের মতো
চারিদিকে খাঁ খাঁ
মনের উঠোন জুড়ে
শোরগোল, প্রেমের বারান্দায়।
ভালোবাসা মরে গেলে
মরে যায় মন,
মরা মানুষ নিয়ে কী করবে তখন?
শিশিরের কান্নায় কেউ দেয় না কান
মাড়িয়ে যায় সবাই
সামন্য তাপে শুষ্ক হয়ে মেশে হাওয়ায়
কেউ তারে রাখে না খোঁজ
হয়তো, খোঁজ রাখার হয় না দরকার।
ভালোবাসা মরে গেলে
মানুষ মরে যায় আবার।
১৯/০১/২০২৩
——————————————–
শিরোনামঃ মানুষ স্রষ্টার প্রেমাফুল।
——-কলমেঃ জহুরুল পথিক।
তারিখ; ১৯/০১/২০২৩খ্রিস্টাব্দ
বেলা বয়ে গেলে পড়ে
নির্বাক হয়ে যাও তুমি
ভাগ্যে নেই বলে চলো
সান্তনার আবেশ মেখে গাঁয়ে।
স্বপ্ন দেখতে শেখোনি বলে
ভাগ্যের দ্বার খোলেনি সত্যি
সৎ কর্ম বিনে মানুষের দিল মরা
মানুষ বনে পড়ে ধরা মানুষ।
চিন্তামণি দেবতাত্মা জাগেনি জীবে
সে উদাস পুরে করে বাস,
হতাশার ঢলে নিম্নতায় টলে
মনুষ্যত্ব হারায় মানব মনে।
ঐশ্বরিক শক্তি বলে মানুষ
মানুসপটে চির জাগ্রত
স্রষ্টার প্রেমাফুল মানুষ।
ভাগ্য শুধু মানুষের আছে
বিবেক বলে মানুষ
দুষমুন থেকে বাঁচে।
——————————————-
বিষয় -কবিতা
শিরোনাম-বিলাপ
কলমে –আদিত্য কর্মকার
তারিখ -১৯.০১.২০২৩
ফুল বলে, সকাল সাঁঝে
ফুটি গাছের শাখে।
আমায় তুলে অঞ্জলী দাও
ঠাকুর ঘরের মা কে।
বৃন্ত থেকে ছিঁড় যখন
আমার দেহখানি।
যন্ত্রণাটা বুকে চেপে
নীরব হয়ে কাঁদি।
আমায় গেঁথে মালা করো
মঞ্চ সাজার লাগি।
আনন্দ সুখ সবই তোমার
আমি দুখের ভাগি।
তোমার দেহে সূঁচ ফোটালে
যেমন জ্বালা করে।
একই জ্বালায় জ্বলি আমি
মালা গাঁথার পরে।
আমার দেহ অঙ্গে নিয়ে
বিয়ের ক’নে সাজে।
সঙ্গে করে নেবে আমায়
যবে মরণযাত্রা হবে।
ঠাকুর ঘরে মানত করো
পূর্ণ কর মনের সাধ।
বোবা বলে নীরব থাকি
সেকি মোর অপরাধ?
আমার রক্ত সাদা বলে
দাগ কাটে না প্রাণে।
করো খেলা আমায় নিয়ে
নিজের প্রয়োজনে।
একদিন তো ঝরে যেতাম!
সকলের অন্তরালে।
ধন্য আমি, ঠাঁই পেয়েছি
মায়ের চরণতলে।