Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

পথের হাট
হাজি মোঃ মাহবুবুল আলম কিরন মৃধা
১৮ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি. বুধবার।

আমাদের এ পৃথিবী পথের এ হাটে বিভিন্ন বিচিত্র রাঙিয়ে এক অপূর্ব সুন্দরে সৌন্দর্য সম্ভারে
এক ধরনের সুখ,
অফুরান সুর বাজে পরম আনন্দ উৎসবে।
চিরন্তন চির শোভা বিচিত্র আলোয়ে,
এই অক্ষয় উৎসাহে, গৌরবে,
এক অনাবিল সুখে পরিপূর্ণ হয়ে চারদিকে মধুময়ে
কতো সুন্দর সৃষ্টিতে হৃদয় নিবিড় আয়োজনে।
তাকিয়ে দেখি বিশাল এ-ই পৃথিবীর রাঙিয়ে রঙে,
বাহারি আলোয়ে রূপে – শোভামানে।
দিবসে মনঃ হরষে পুলকে সতত সবখানে
কতো শোভামানে পূর্ণ সুশোভিত সৌন্দর্য অক্ষয়ে।
চারদিকে মধুময়ে অপূর্ব সুন্দরে ভরে রয়েছে,
কতো অজানা অসংখ্য কতো অনুরাগে সৃষ্টিতে।
অবাক বিস্ময়ে দেখি বারেবারে খুঁজে সবকিছু,
প্রকৃতির শোভাময়ে অমর অক্ষয় সম্ভারে আলোকে।
দিবসে মনঃ আনন্দে বিমোহিত করে
বিশাল এই নিবিড় শোভা আয়োজনে ভরে যায় মন।

প্রভাতের সৌন্দর্যের আধার মুগ্ধতা ছড়িয়ে,
দিবস যায় সবচে আনন্দ উৎসবে।
আসে মনোহরণে কী মধুময়ে হৃদি কমলে সাজিয়ে,
ধূসর গোধূলি বেলা।
বেলা অবসানে দূরে পৃথিবীর বুকে নামে রাঙিয়ে,
স্বপ্নের ভিতর দিয়ে কল্পনার রাত্তি।
হৃদয় ভরে আলোকে অফুরান সুরে বিচিত্রময়ী শোভে,
মনের গহীনে ডুবে রাতে শোভামানে।
হৃদয়ে জমানো সুখ আনন্দ প্রশান্তি,
আঁধার রজনী ভরে সুনীল অম্বরে অগুণতি তারাদলে।
রাত্তির সৌন্দর্য পুরে মিটমিট করে জ্বলে তারাগুলো,
অমর চির অক্ষয়ে অপরূপ শোভে সুমধুর দৃশ্য ভরে।
পূণিমা শশাঙ্ক হাসে নিরবধি সুখে,
নদীতে আসে জোয়ার টইটম্বুর সে জলে।
জলের ভাটায় চলে যায় জল,
চরা বালিগুলো করে ঝিকমিক শোভে অপূর্ব আলোয়ে।

কখনো কখনো বৃষ্টি,
কখনো কখনো শীত –
ঋতুর বিচিত্র রূপ লাবণ্য মধুপ মধুর মলয়ে,
ঋতু আসে ঋতু যায় পৃথিবীর বুকে।
কখনো কোকিল ডাকে মনঃ হরষণে,
কখনো কাক ডাকছে বিহগ বিহগী মধুর বরণে।
পিকগুলো ডাকে সাড়া জাগিয়ে হরষে,
অবিশ্রাম সুর ভরে মধু কোলাহলে অতিশয় রঙে।
সুখে সুগভীর ডাক অপরূপ রূপে,
অফুরন্ত সুর বাজে পিকগুলো ডাকে।

এ-ই সুন্দর পৃথিবী নিবিড় ঘনিষ্ঠ আয়োজন,
একদিন মৃত্যু এসে দাঁড়াবে দুয়ারে পথের হাটে।
আঁধার ঘনিয়ে আসে জীবনের শেষ বিকেলে,
পথের হাটে নিবিড় অন্ধকারে ডাক আসবে দূর থেকে।

——————–_———————–
প্রাণ ঘড়ি
_____মোঃ বাবুল 🌻

দিন শেষে
রাত ঘেঁষে
কত মালা টোটে’রে
কার আশে
প্রাণ শ্বাসে
মধু ফুল ফোটে’রে!!

প্রেম তরী
প্রাণ ঘড়ি
সুর লয়ে বাজে’রে-
মন ক্ষয়ে
সুখ লয়ে
কার প্রেমে সাজে’রে!!

হীম জলে
কার ছলে
মন হলো খাঁটি’রে-
দেহ আজ
পুড়ে লাজ
কেনো হলো মাটি’রে!!

যায় দিন
বাজে বীণ
নতুনের খবর’রে-
শেষে স্মৃতি
হবে—ইতি
সাধনের কবরে!!

——————————————–

চলার পথে
সুবীর দত্ত

যতটা পথ এ পর্যন্ত পেরিয়ে এলাম,,
সবটা ছিল না সরল……
কিছু পথ অনেক দুর্গম; নানা বাঁক ঝড় ঝঞ্ঝা
পথ হারিয়ে ফেলা, আবার চলা পথে;
স্রোতের সাথে কিম্বা স্রোতের বিপরীতে।

তারপরও থেকে যায় অজানা আশঙ্কা পথে….

কখনও হিমাঙ্কের নিচে তাপ; সফেদ শরীর
হিমায়িত পথে লুকিয়ে তুষার ফাটল গভীর।
চারিধার কুয়াশার পর্দা মোড়া পথের পাথরে
অব‍জ্ঞার ক্লেদ জমে জমে শ‍্যাওলা আছে ধরে।
উদার আকাশ হোতে কখন যে বজ্র ধেয়ে আসে
রেখে যায় শঙ্কা; সেই শেল যদি বুকে ফাঁসে।

এ পর্যন্ত এটুকু পথ পেরিয়েছি কোন ক্রমে…..
নির্দ্দিষ্ট পথ বরাদ্দ দূরত্ব সময় বাঁধা আমার জন‍্যে।

উৎসাহ থাক বা না থাক
বরাদ্দ পথ প্রান্তে আমাকে যেতেই হবে।
হয়তো আমি বা তুমি বুঝতেই পারব না;
কখন পথ চলা শেষ হয়ে যাবে!

অভিমন‍্যু প্রাণ নিয়ে ফিরে আসার পথ পায়নি!
শুধু ছায়া শেষ প্রান্তে আমার সাথী হবে জানি।।

——————————————–
কবিতা
. শিরোনাম =তোর অন্তরে
.কলমে= চন্দনা কুন্ডু
তারিখ= 17.1.23

তোকে ওই নীল আকাশে মেঘ ভাবতে মন চাইছে
যার মধ্যে,এক লাফে উড়তে পারব যখন খুশি !
আমার ইচ্ছে মতন ঝাঁপ দেব তোর বুক চাতাল,
ভরিয়ে দেব তোকে আমি ইচ্ছানদীর ঢেউয়ের খেলায়
এক নিমেষে উথাল পাতাল করে দেব ভেতরটা।
বুঝিয়ে দিতে চাই আমার মনের সব উতালাটা,
কিন্তু পরক্ষণেই তো শান্ত হয়ে যাব তোর উষ্ণতায় ।

তার থেকে তুই বরং আমার মেঘ হয়ে ভেসে বেড়া
আমি তোর নীল সাদা ধূসর মেঘ গাঁয়ে মেখে নেব
মুঠো মুঠো প্রেম ঠেলে উড়ে বেড়াবো তোর সাথে
ইচ্ছা হলে এঁকে দেব তোর ঠোঁটে রঙিন চুম্বন
তখন জ‍্যেৎস্নাও দেখে মুখ লুকোবে লজ্জায়
আর সাক্ষী থাকবে সব রাতজাগা তারারা।

না রে ,তুই তোর ইচ্ছা মত মাটির মাঝে থাক
আর আমি নদী হয়ে বয়ে যাব তোর শিরায় শিরায়,
আমার ইচ্ছা খুঁসি ঝর্ণা হয়ে আছড়ে পোরব তোর বুকে।
তখন ক্ষতবিক্ষত কোরবো তোর ভিতরটাকে,
তোর নীল শরীরের এঁকে দেব রামধণুর সাতটা রঙ।
তার চেয়ে তুই বরং আমার গভীরে ঠুকে থাক,
আমি তোকে সারাক্ষণ আমার অন্তরে রেখে দেব তোর অন্তরে।।

—————–_————————–
চশমা ১৭/০১/২৩
সৌমেন

মাথাটা সামনে ঝোঁকাতেই
নাক থেকে টুপ করে খসে পড়ে চশমা।
ডান হাতে খপ করে ধরে ফেলি।
যাক বাবা বাঁচল অনেক টাকা!
আমার জন্য আমিই গর্বিত হই।
চশমা ছাড়া এখন সব ঝাপসা দেখি।
চোখে যেন শীত ভোরের কুয়াশা সব সময়।
মনের মাঝে গ্ৰীষ্ম রাতের-
দুরন্ত ঝড়ে বটবৃক্ষের মাথা ঝাঁকানি-
না- না আর মাথা ঝোঁকানো নযতো।

——————————————–
ইঙ্গিত
———- দিলরুবা হক শিল্পী
১৭\১\২৩\
রাতের পূর্ণতা যায়নি তো হারিয়ে
দিনের আলোর আড়ালে ।
নিজেকে সফল ভাববো তখনি ,
ধৈর্য টা না হারালে ।

একটু একটু করে যাবো এগিয়ে ,
সময়ের স্রোতে ভেসে ।
হয়তো আমিও চেনে নেবো তোমায়,
আমার অনুকুল পরিবেশে ।

লড়াকু জীবনের একটাই চাওয়া,
শেষ অবধি করে যাবো লড়াই ।
তৃপ্তির হাসি হেসে ক্ষানিক পাশে এসে,
শুনিয়ে যাবো আমার কর্মের বড়াই ।

আমার সাথে আছে দৃঢ় মনোবল
যা হবে অদম্য ইচ্ছায় ।
আরো আছে আমার লাঞ্ছনার উপহার,
যা মেনে নিয়েছি স্বেচ্ছায় ।

দুঃখ করি না ঐ সব পিছু টানে ,
যা হয়েছে অতীত ।
আমার ভাবনা মঙ্গল কামনা,
রেখে যাবো তাঁর ইঙ্গিত ।

Powered by themekiller.com