Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

অসহায়
মৃত্যুঞ্জয় দাশ শেখর

অপলক দৃষ্টিতে আছে চেয়ে
দুইজোড়া অসহায় পাখির ছানা,
কবে আসবে খাবার লয়ে মা বাবা
নেই তাদের কারো সঠিক জানা।

খিদার জ্বালায় করে আত্ম চিৎকার
রোদে পুড়ে ভিজে বৃষ্টির জলে,
পেটের খিদা আর তো মানে না
কখন দেবে খাবার মুখে তুলে।

বাচ্চাদের খাবার সন্ধান করতে গিয়ে
পড়ছে পাখি দুটি শিখারির কবলে,
বিনাদোষে শিকারি পাখি দুটি মারে
শাস্তি নেই শিকারির বুক ফুলিয়ে চলে।

——————————————
ফুল ও কাঁটা….
হাসনা বানু
৯/ ৮/ ২০২২ ।

ফুল বলে,
রূপে আমি অনন্য
কাঁটা তুমি নও

কাঁটা বলে,
আমি আছি বলেই না
তুমি গরবিনী হও

ফুল বলে,
আমার সৌন্দর্যে সবাই
হয় অঢেল মুগ্ধ
তোমার দেখলে হয় ক্ষুব্ধ

কাঁটা বলে,
আমি আছি তোমার রক্ষায়
কিট পতঙ্গ ঝর ঝাঁপটায়
আগলে রেখেছি তোমায়

ফুল বলে,
হেসে হেসে , কাঁটা ?
আমি হই বড়ই আদরিনী
তুমি শুধুই যাতনাময়ী

কাঁটা বলে,
তোমাকে পেতে হলে
আমাকে ডিঙ্গিয়েই
তবে যেতে হয়

ফুল বলে আমি তুমি দুজনে
বন্ধুর মত মিলেমিশে থাকি
কাঁটা বলে তাই তো একে অপর
কে বিনা আঘাতেই
মোরা খুব ভালোবাসি…….!!

——————————————–

পবিত্র মকর সংক্রান্তির পূণ্য লগ্নে 🙏🙏

ব্যক্তি জীবন
কলমে- বিমল পাত্র

কথা বলবি মনের মতো সবার মনটা বুঝে
হারিয়ে যাবি এমন ভাবে সবাই যেনো খুঁজে
চলবি পথে নিজের মতো থাকতে পারে ভয়’রে
ভয়কে দূরে সরিয়ে ফেলে আনতে হবে জয়’রে।

মরার আগে মরতে নেই’রে এটাই আসল কথা
হাজার মৃত্যু আসতে পারে হানতে বুকে ব্যাথা
মারিস না’রে কাউকে আবার থাকবি বলে সুখে
পরের মৃত্যু চাইলে পরে আসবে আঘাত বুকে।

সবাই আবার মানুষ নয়’রে ভবের খেলা ঘরে
মানুষ রূপে অন্য কিছু বেড়ায় কেবল চরে
দেখে বুঝে চলতে হয়’রে তা’নাহলে শেষে
নিজের ভুলে তলিয়ে যাবি কুলের কাছে এসে।

পরের ভাবনা ভাবতে হলে নিজেরটা ভাব আগে
তবেই জানিস ফুটবে কুসুম সবার হৃদয় বাগে
তুই’যে নিজে দায়ী সবার সকল কাজের লাগি
এই দুনিয়ার ভালো মন্দে তুই’যে কেবল ভাগী।

ব্যক্তি জীবন স্বচ্ছ হলেই সুগম হবে চলা
ব্যক্তি জীবন ম্লেচ্ছ হলে পাবি কাঁচা কলা।।

রচনাকাল-
১৪ই জানুয়ারী ২০২৩
আম্বাত্তুর চেন্নাই।

——————————————-

দৈনিক সাহিত্য অনুশীলন

শিরোণামঃঃপ্রতিবাদী
কলমেঃঃসুব্রত সেন
তাং১৫/০১/২০২৩

হে শিক্ষালয়
তোমার শিক্ষালয়ের শিক্ষায় এতো ভেজাল কেন!
কোন মাতৃজঠরের রক্ত স্রোতে এতো কালিমালিপ্ত
কোন আলোয় আলোকিত সকাল ৷
বিবেক কাঁদে না রাতে ,সত্যের পথ অন্ধকারে ৷
প্রতিবাদ করতে চেয়ে প্রতিবাদী হতে পারিনা
মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে..৷
শত শত মানুষের কান্নার হাহাকার বুকে
পথ চেয়ে বিচারকের দরবারে..
কোন সত্যটা আসলে জেনে একফোটা জল তৃষ্ণা মেটাবে ৷
হে শিক্ষাদায়িনী জন্মদাত্রি
তোমার রক্তে এতো কালিমালিপ্ত কেন ?
এ কোন সন্তানের জন্মদিলে
যারা ধর্ষিত মায়ের উলঙ্গ শরীর নিয়ে
মিথ্যের ভাস্কর্যের রূপ তুলে আস্ফালন করে ৷
ধৃতরাষ্টের মতো চুপ করে থাকি ,প্রতিবাদ করতে চেয়েও প্রতিবাদী হতে পারিনা এখনও ৷

——————————————–
#কবিতাঃ নিয়তির খেলা
#লেখকঃ মোঃ মাসুম শাহ
তাঃ১৫.০১.২০২৩

আমার গল্পের নায়িকা হয়ে
সবসময় তুমি থাকবে।
থাকবে গল্পের মাঝে
নিয়তির ব্যর্থ প্রেমিকা হয়ে
জনম জনম ধরে।
একদিন হঠাৎ
হাড়িয়ে যাবে গল্পের মাঝে
খুঁজে দেখবে না কেউ,
পাবো না খুঁজে আমি।
তাই তো তোমায় হৃদয়ের মাঝে
প্রতিটি সময় স্মরণ করি আমি।
তোমায় ভুলে থাকবে না কো
আমার এই অজানা মন।

——————————————–

শিরোনাম —দূষণ
কলমে—অভিজিৎ দাস
তারিখ—১৫.০১.২৩

আকাশে বইছে দূষিত বাতাস,মানুষ নিতে পারে না বিশুদ্ধ শ্বাস,
যথেচ্ছ বৃক্ষ ছেদন করে বায়ু দূষিত হলেও
মানুষ বৃক্ষ কেটে ভোগবিলাসের জন্য গড়ছে আবাস ৷
যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে করছে সবাই পরিবেশ দূষণ,
সরকার বারংবার নিষেধ করলেও শোনেনা কেউ বারণ৷
বাহিরটাকে দৃঢ়তার সহিত দেখে দেয় না নিজের ঘরের রূপ,
অথচ নিজেদের ঘরকে অনুক্ষণ পরিচ্ছন্ন রেখে জ্বালায় সুগন্ধি ধুপ ৷
প্লাসটিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার নিষেধ করা সত্বেও কেউ মাল বহনে ব্যাগ আনে না হাতে বয়ে,
ব্যাগ হাতে আনলে ভাবে গেল তার সম্মানহানি হয়ে৷
আবর্জনায় পড়ে থাকা নোংরা প্লাসটিক গালিয়ে ভিন্ন রঙের দ্রব্য তৈরী হচ্ছে কারখানায়,
কারখানায় দ্রব্য তৈরী হতে নির্গত বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে পড়ছে গঙ্গায় ৷
ঐ বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত দূষিত নদীর জল মাছের রোগের কারণ,
আর ঐ মাছ খেয়ে মানুষ ডেকে আনছে নিজের মরণ৷
ঘরে বাহিরে হস্ পিটালে ভুগছে কত হার্টের রুগী,
পথে,অনুষ্ঠানে মাত্রাতিরিক্ত শব্দে বক্স বাজিয়ে ও শব্দ বাজি ফাটিয়ে শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণ করে আনন্দ করাই হার্টের রুগীর মরণের ভাগী ৷
উন্নতশীল বিজ্ঞানের যুগে মোবাইলের জন্য কত টাওয়ার রয়েছে দাঁড়িয়ে,
এই টাওয়ারের জন্য বায়ু দূষণ হয়ে অনেক ফল ও প্রজাতির পক্ষী আজ প্রায় গেছে হারিয়ে ৷
নিজ দেশের রক্ষার্থে বিজ্ঞান তৈরী করেছে ভিন্ন ক্ষেপনাস্ত্র বাণ,
এই ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী সঠিক হয়েছে কিনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে বায়ু দূষণ ৷
যথেচ্ছ বৃক্ষ ছেদনে বায়ু দূষণ হয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির তাপমাত্রা বেড়ে,
ফলে মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রায় বরফ গলে যাওয়ায় এই পৃথিবী একসময় যাবে ভেসে সমুদ্রের জলের তোড়ে ৷

Powered by themekiller.com