Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতা — বিবেক হারা
কলমে — শহিদুল ইসলাম আখন
তারিখ -১৩/০১/২৩
*******************************
বিবেক যখন ধুলায় লুটায়
মনে লোভের বাস,
মানুষ তখন হয় অমানুষ
করে পরের সর্বনাশ।

মিষ্টি মিষ্টি কথা মুখে
অন্তরে তার বিষ,
পরের ধন করতে হরণ
হাত করে নিশপিশ।

পরের দুঃখে পায় সে মজা
পাষাণ যে তার প্রাণ,
দয়া মায়া অন্তরে তার
পায়না কোনো স্থান।

প্রতিবেশীর উন্নতিতে
হিংসা যে তার মনে,
কেমনে তার করবে ক্ষতি
ভাবনা সর্বক্ষণে ।

বিবেক হারা এমন মানুষ
চায়না কারো ভালো,
মানুষ বলা যায়না এদের
যাদের মনে কালো।
(13-01-23) যমুনা -১ভাটা

——————————————–
কবিতা: আসক্তি মানে ভালোবাসা। কলমে: এ কে রিজওয়ান। তারিখ: 13/01/2023 ইং।

পৃথিবীটা আসক্তিতে ভরা, সবাই প্রেমের আসক্ত। সেই ছোট থেকেই দেখছি প্রেম ভালবাসার আসক্তি। আসক্তির জন্যই খোদা পৃথিবীতে পাঠাইছে আমাদের কে। দেখা যায়, নারী-পুরুষ প্রেমের আসক্তি, প্রকৃতির ভালবাসা, খোদার ভালবাসা ইত্যাদি। আসক্তি বলতে প্রেম ভালবাসা ও মনোযোগ হওয়া ইত্যাদি বোঝায়। আর আসক্ত বলতে প্রেমিক বোঝায়। সেই বোঝা বয়স থেকে দেখছি, মানুষ প্রেমে আসক্তি। খোদা ও আসক্তিতে রয়েছেন, খোদা আসক্ত সত্যের, আর খোদা চায় মানুষ যেন ইসলামের পথে চলে। নারী-পুরুষের প্রেমের আইনো খোদাই তৈরি করেছে। খোদা সত্যের আইন তৈরি করছে। আমরা আসক্ত হই শুধু প্রেম ভালবাসা, বিশ্ব প্রেম ভালবাসার জন্যই টিকে আছে। আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি, এটাতেও আমরা আসক্ত। তবে আইসিটিতে বেশি আসক্ত হওয়া যাবেনা কারণ বেশি আসক্তি হলে দেহের কিছু হলেও ক্ষতি হবে। শুধু ডিজিটাল নিয়ম না সাধারণ নিয়মো মানতে হবে, মনে রাখবেন বড় জ্ঞান সাধারণ জ্ঞান। আমরা দেখেছি অথবা জেনেছি, আগের কালের মানুষ শক্তিশালিও বেশি দিন বেঁচে ছিল, এর কারণ তারা সাধারণ জ্ঞানে আসক্তি ছিল। [বিস্তারিত নিজের জ্ঞানে]।

——————————————–
২৫। টুকিটাকি কথা
লেখিকা নার্গিস আক্তার
যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে পিতা- মাতার সামর্থ্য থাকলে উনারা দিতে পারেন। যাদের সামর্থ্য নেই তারা দিবেন না। আসল কথা আমাদের দেশে পুরুষ অত্যাচারিত এবং নারী অত্যাচারিত সমাজ তবে নারীরা বেশি অত্যাচারিত কারণ যৌতুক। পিতা-মাতা মেয়ে শিক্ষিত করেন। তারপরও চাহিদা থাকে সুন্দরী মেয়ে, শিক্ষিত এবং বড়লোকের মেয়ে ইত্যাদি।এই সবগুলো চাহিদা পূরণ করা সবার পক্ষে সম্ভব কি? তাই যৌতুকের নির্যাতন থেকে নারীদের বাঁচাতে হলে একমাত্র মূল কারণ। আমরা পাঁচ বছরের মধ্যে কোন মেয়ে বিয়ে দিব না। যদি আমরা পিতা-মাতারা সতর্ক থাকি এবং সঙ্গে ছেলেমেয়েরা পিতা-মাতার সঙ্গে থাকে। তবে নারী নির্যাতন হতে আমাদের দেশে হাজার হাজার মহিলা বাঁচতে পারবেন। আমরা যদি সকলেই এই পন্থা অবলম্বন করি তবে নিশ্চয়ই যৌতুকের প্রথা এবং নির্যাতনের শিকার থেকে মুক্তি পাওয়া কিছুটা সম্ভব হবে। লেখিকার মতে মেয়েকে শিক্ষিত করা হোক কিন্তু যৌতুক দেওয়া হবে না। আমি সকলের কাছে প্রার্থনা করি আমরা পাঁচ বছরের মধ্যে কোন মেয়ে বিয়ে দিব না। পিতা ধনী বা গরীব যাই হোক না কেন? সীমার মধ্যে থাকা উচিত। আসল কথা হচ্ছে পৃথিবীতে বাস্তব, সত্য কথার কোন মূল্য নেই। যারা বড়লোক তাদের যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া সমস্যা নয়। এটাই তাদের জন্য সামাজিক সম্মান এবং অহংকার।কিন্তু আমরা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত যৌতুক আমাদের জন্য বিরাট হুমকির মুখোমুখি ।বড়লোকদের যৌতুক লেনদেন করা থেকেই গরিব মধ্যবিত্তদের উৎসাহ জাগে। আসলে আমরা মানবজাতি প্রচুর লোভী, স্বার্থপর এবং নিষ্ঠুর প্রকৃতির। এরা শুধু নিজেদের গণ্ডির মধ্যে থাকে অন্যের কথা চিন্তা ভাবনার অবকাশ নেই। তাই আমি বলবো মানুষ মানুষের দেখাদেখি শিখে থাকে।আর কালচার সমাজে তো থাকেই । এক কথায় কালচার এবং যৌতুক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই আমার মতে যৌতুক একটা সামাজিক অভিশাপ এবং যৌতুককে সামাজিক ব্যাধি ও বলা চলে। অন্যথায় বিবাহ উপলক্ষে যে যেটা পারে সেটা দেবেন অন্যের কাছে চেয়ে মেয়েকে এবং জামাইকে সাজিয়ে দেওয়া একদম সমীচীন নয় । ঘৃণিত এবং লজ্জাস্কর ব্যাপার । চিন্তাভাবনা আমাদের সকলের উপর।আল্লাহ হাফেজ

——————————————–
শিরোনাম: ১২ই জানুয়ারি
কলমে: শ্যামল কুমার মিশ্র
রচনাকাল:১২-১-২০২৩
১৩-১-২০২৩

১২ই জানুয়ারি এলে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে।
চোখের সামনে ভেসে ওঠে তেজস্বী এক যৌবন
তেজদীপ্ত চক্ষু দুটিতে কী গভীর প্রত্যয়!
আর সেই প্রত্যয়ে বলীয়ান হাজার হাজার যুবক
মুখে বিপ্লবের মন্ত্র
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এমনই এক যুবক
অঙ্কের মাস্টারমশাই সূর্য কুমার সেন।

তুমি ঘর ছেড়েছিলে ‘বহুজন হিতায় বহুজন সুখায় চ’
আর ঐ মাস্টারমশাই ও ঘর ছেড়েছিলেন
মানুষের মুক্তি, দেশের মুক্তির জন্য
নৃশংসভাবে ওরা ফাঁসি দিয়েছিল মাস্টারমশাইকে
ফাঁসির আগে দাঁত হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিল
নখগুলো টেনে উপড়ে নিয়েছিল
তবুও দেশের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল
তোমার জন্মদিনে তাই ব্যথায়ও বুকটা ভরে ওঠে।

ভারতাত্মার মুক্তির শিখা, তুমিই তো জ্বালিয়েছিলে স্বামীজি
ঐ দেখো মাস্টারদার অনুসারী হয়ে চলেছে প্রদ্যুৎ তারক হাসতে হাসতে ফাঁসিতে লুটিয়ে পড়ছে

তুমি কাঁদছ স্বামীজি!
মাস্টারদা প্রদ্যুৎ তারক সুভাষদের জন্য তোমার মন কেমন করে উঠছে…
তোমাকে ঘিরেই যে ওরা স্বপ্ন দেখেছিল
এক নতুন ভারতবর্ষ, জাতপাতহীন ভারতবর্ষের স্বপ্ন…

সব কোথায় হারিয়ে গেছে
ধর্মের নামে মারামারি
হিন্দু মুসলমানের সংঘাত
এ তোমার কাছে বড় যন্ত্রণার
তোমার সরফরাজরা আজও বড় অসহায়
ধর্ম হারিয়ে গেছে অযোধ্যার কানাগলিতে কিংবা আজমিরের রাস্তায়…

এ ধর্ম তোমার কাছে বড় অচেনা স্বামীজি,
দোহাই মহারাজ! আর একবার এসো
বেদান্তের তত্ত্বে মিলে যাক কুরআনের আয়াত
সলম ঝরে পড়ুক অযোধ্যা আর আজমিরের পথে পথে
তোমার স্বপ্ন মাঝে বেঁচে থাক মাস্টারদা সূর্য সেনেরা…

——————————————–
শিরোনাম# অচেনা সুর
কলমে# তৃপ্তি রায়চৌধুরী
১৩/০১/২০২৩
____ ____ ____ ____ ____

মনের মাঝে অণুক্ষণ
অচেনা কোন সুর
নিত্য সে যে আবেশ মাখা
বেদনা বিধুর।

তুষের আগুন ধিকিধিকি
রাগ, অনুরাগ পোড়ে
কুহেলিকার কায়া হয়ে
নিমেষে যায় সরে।

স্বপ্ন এসে ভাঙায় ঘুম
কোন সে অবেলায়
পিপাসিত হৃদয় জাগে
দূরের অচেনায়।

হার মানা হার হয়ে সে যে
হৃদয় ছুঁয়ে যায়
আপন ভেবে পরাই সে হার
আপনি আপনায়।

গৃহের কাজে সকাল, সাঁঝে
হিসেব মেলা ভার
রিনরিন বাজে মধুর সুরে
একটি শুধু তার।

এত প্রেম বলো, কোথা পাই নাথ
এই শুধু জিজ্ঞেস
মরিচীকা হোক, তবু যেন প্রেম
না হয় নিঃশেষ।

——————————————–
শিরোনাম –খিদের জ্বালা
কলমে –ভারতী দত্ত
তারিখ –১৩/০১/২০২৩

খিদের জ্বালায় কবিতা আসেনা
কেমনে কবিতা লেখে;
আটার রুটির অভাব মেটেনা
রূপালী চাঁদকে দেখে।

মনের ভেতরে কবিতার ঝড়
পেটের ভেতর খালি,
শত শত তারা জ্বলজ্বল করে
দেখে মনে হয় বালি।

পেটটা ভরতে ভাত রুটি লাগে
কবিতা দেয় না ভাত,
খিদের জ্বালায় আসেনা ঘুম
জেগে কেটে যায় রাত।

সমাজের বুকে বাঁচার জন্য
অন্ন বস্ত্র লাগে,
তাদের কষ্ট ভুলাবার কথা
কজনের মনে জাগে?

নয়নের আলো হয়ে আসে কালো
মনেতে আসে না ছন্দ,
পেট ভরা হলে সব লাগে ভালো
মিটে যায় সব দ্বন্দ্ব।

Powered by themekiller.com