বিশেষ প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. ইব্রাহিম মিয়া (দুরন্ত) একটি ভুয়া বায়না পত্র সৃজন করে বাসাবাড়িয়ার উত্তম সরকারের সাড়ে ৮ শতক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে। উত্তম সরকার এই বায়না পত্র ভুয়া বানোয়াট বলে দাবী করে গত ১১ জানুয়ারী কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উত্তম সরকারের অভিযোগের বিষয়ে দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ চাঁদপুরের বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর শনিবার (১৪ জানুয়ারী) চাঁদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. আবুল কালাম চৌধুরী, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহীম খলিল ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সওদাগর, কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ফনী ভুষন মজুমদার তাপু, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রাণধন দেব, সাধারন সম্পাদক প্রিয়তোষ পোদ্দার ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তদন্তকালে উত্তম সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থাপন করেন যে, সম্প্রতি কচুয়া বাজারে গেলে ইব্রাহিম গং ফিল্ম স্টাইলে উঠিয়ে নিয়ে বাজারে অবস্থিত রূপসী হোটেলে একটি কেবিনে নিয়ে যায়। সেখানে ৩টি খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর নেয়। এই স্বাক্ষর নেওয়া অলিখিত স্ট্যাম্প কচুয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লিখক জহিরুল ইসলামের দ্বারা ভুয়া বায়না পত্র দলিল সৃষ্টি করে। জিজ্ঞাসাবাদে দলিল লেখক জহিরুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে জানান, পূর্বে স্বাক্ষর করা ষ্টাম্পে বায়নাপত্র লেখা হয়। এসময় ইব্রাহিম গং ব্যতিত অপর কেউ উপস্থিত ছিলো না।
বায়না পত্রের গ্রহীতা ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিমের মা ফাতেমা বেগমের কাছে বায়না দলিলের অর্থ জোগান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
বায়না দলিলের প্রথম সাক্ষী ইব্রাহিম নিজে, দ্বিতীয় সাক্ষী তার ভাগিনা হাসানাত ও তৃতীয় সাক্ষী তার ভাতিজা রবিউল। তারা উভয় নাবালক।
ইব্রাহিমের বায়নাপত্র ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাগন উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সওদাগরকে ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করা সম্পত্তি মুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।