Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

ভালবাসি

বাশার সুলতান

ভালবাসা !
সে তো এক হৃদয়ের-
তের নদীর জল !
যার একফোঁটা জল পড়েই,
হয়ে যায় নদীর জল-
মোহনার কান্না ।
আমরা ভালবাসা খুঁজি-
আসল ভালবাসার;
শেষ হলো প্রতীক্ষার প্রহর।
অনন্ত অসীম তের নদীর মিলন
সাত সমুদ্র সম;
ভালবাসা চোখে থাকা জল,
অন্তরশিলার হৃদয়ের কান্না।
আমি বলি তা’নয় ?
ভালবাসা আরো ভালবাসি।

——————————————–

শিরোনাম – সম্বল
কলমে- অরবিন্দ মাজী
১১/০১/২০২৩

ওদের নেই লেপ কম্বল
ওরা গরীব বলে,
ওদের নেই জুতো চপ্পল
মুক্ত পায়েই চলে।

ওরা জঙ্গল মহলে করে
করে চলেছে বাস,
সামান্য একটু জমিতেই
করে কলাই চাষ।

ওরা শীতের দিনে ভীষণ
কষ্টের মধ্যে থাকে।
লেপ কম্বল নেই বলেই
শুধু ঈশ্বরকে ডাকে।

এই ভীষণ শীতের দিনে
নেই লেপ কম্বল,
ওরা আগুন জ্বেলে নেয়
ওটা ওদের সম্বল।

——————————————–
পৃথিবী বদলে গেছে ।

শিবলী নোমান ।
১০ . ০১ . ২৩ .
সবকিছুই আর আগের মতো নেই, —–
এই যেমন তুমি কতবার বারবার ভুল করে করে
ঝরে যাওয়া পাপড়ির মতো অনর্গল উল্টোপাল্টা বকবক করে মিথ্যে কসম কাটতে,__ তুমি ভাবতে কোথাও ভুল হয়েছে ;একধরনের অপরাধ বোধ শুধুই তোমাকে গ্রাস করতো,—-কিন্তু কী যে মজা লুটতাম তোমার ঐ রকম অবস্থায়।
তুমি আগের মতো নেই, বদলে গেছো। তমনটি আর আগের মতো কসম খাও না। কোমল কন্ঠ এখন
বেশ দৃঢ়। যেখানে প্রায়ই দেখা হতো, কথা হতো সেই
চারাগাছটি আর আগের মতো চারাগাছ নেই বদলে গেছে, ফলদায়ী বৃক্ষের মতো প্রতি বছর ফুলে ফলে
বসন্তের ছড়াছড়ি বুঝায়। যে বাছুরটি কখনো তার মা’কে রেখে দিকবিদিকশুন্য দৌড়াদৌড়ি করতো সেই বাছুর এখন দুধেল গাভী। ঘরদোর তৈজসপত্র চিরচেনা পথ – ঘাট, ফসলের মাঠ সে সবই আছে কিন্তু আগের মতো নেই। বাইরে থেকে বদলে গেছে।
যেমন খোলস পালটানো সাপটি বাইরে থেকে বদলে গেছে, চকচক করছে, কিন্তু ভিতরে সেই ছোবল, সেই ফণা, স্বভাব তেমনি রয়ে গেছে ।
চির পুরানো সূর্যটা প্রতি প্রাতে দ্বারে নিত্যনতুন হয়ে আসে। যতই বদলাও তোমার মনের ইচ্ছাটি এখনো শিশুর মতোই রয়ে গেছে।

——————————————–
শিরোনাম:- শীতের দিনে
কলমে:- রঞ্জন ঘোষ
তারিখ:-১১/০১/২৩

শীতটা একটু বেশিই পড়েছে দেখি আজকে
তাইতো লুকিয়ে রেখেছি বিছানায় নিজেকে,
বিছানা ছাড়তে মনটা কিছুতেই তাই চায় না,
শুয়ে থাকতে তাইতো এমন করে শুধু বায়না।

প্রয়োজনের তাগিদে তবুও আমায় উঠে পড়তে হয়
চোখের সামনে সর্বদা থাকে আমার যে কাজের ভয়,
অতি কষ্টে বাধ্য হয়ে অবশেষে বিছানার মায়া ছাড়ি,
মনে মনে আমি করি গো সদাই কাজের সঙ্গে আড়ি।

ঘড়ির দিকে যখন আমার চোখ পড়ে যায় দেখি
মনে ভাবি বোধ বুদ্ধি আমার লোপ পেয়ে গলো নাকি?
ঘড়ির কাঁটা কি জানি কখন ন’টার ঘরে পৌঁছে গেছে,
দ্রুততার সাথে প্রস্তুত হই অফিসে দেরি না হয় পাছে।

তাড়াতাড়ি করে অফিস যেতে কার লাগে বলো ভালো
চোখ বুঝতেই সকাল হয়ে যায় চোখে পড়ে ভোরের আলো,
রাতটা মে এখন ভীষণ ছোটো তাড়াতাড়ি যায় সে চলে,
সময়টা হায় দ্রুত চলে যায় কোন কিছুই যায় না বলে।

হাঁ করে আমি অপেক্ষা করি শুধু ছুটির দিনের জন্য,
অনেকটা সময় বিছানায় শুয়ে নিজেকে করবো ধন্য।
সারা সপ্তাহের দোকান বাজার করার থাকে অনেক বাকি,
হাজার চেষ্টাতেও এই মহান কাজে করতে পারিনা ফাঁকি।

——————————————-

আজি নব ফাগুনে
মৃত্যুঞ্জয় দাশ শেখর

আজি এই নব ফাগুনে
ফুটেছে ফুল শাখায় শাখায়,
জমেছে প্রেম মধুর আলাপনে
শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়া বটের ছায়ায়।

ফাগুনের দখিণা মাতাল হাওয়া –
এসে এলোমেলো করে প্রাণসখীর চুল,
এই তো সখীর প্রাণের চাওয়া
খোঁপাই পেল শোভা গাঁদা ফুল।

প্রেমের হাওয়া লাগছে প্রাণে
বিরহ বিচ্ছেদ যাক নিরুদ্দেশ,
বাসন্তী রঙা শাড়ি ধরেছে মনে
প্রাণ সখীরে লাগে বেশ।

সখী তোমাতে থাকবো মজে
ভিড়াবো না তরী কোনো ঘাটে,
স্বর্গ দেখি শুধুই তোমার মাঝে
দুজনার অনন্ত প্রেম যাক রটে।

বলে কোকিল গানে গানে
খোলে দাও দখিণা বাতায়ন,
স্বর্গীয় হাওয়া জুড়াও প্রাণে
তোমার জন্য সব আয়োজন।

——————————————–
কবিতা – অবক্ষয় রোধে জাগরণের ডাক ।
রাজিন শাহ্

অমার্জিত অশিষ্টতা বর্বরতার কারণে মানবতা যেখানে ক্ষয়িত
সে সকল মনুষ্যত্বের মনুষ্যজাতির ঊর্ধ্বস্থে স্রষ্টা অতিশয় ক্রোধিত,
ন্যায়পরায়ণতা, ধার্মিকতা, দিনকে দিন ক্রমশ অবক্ষয়ে বর্ধিত
গুণ্ডামি, ভণ্ডামি, গোঁড়ামির বায় নুয়ে যাচ্ছে সত্য, পাপিষ্ঠ সমাদৃত,
নিপীড়ন, উৎপীড়নের হেতু, হ্রাস মানব চিত্তের সুশীলতার আভা
সভ্যতায় উপচে পড়া অশিষ্টতার আবরণ সত্য দহে প্রসূত হবে সভ্যপ্রভা,
ক্ষয়িষ্ণু শৃঙ্খলা, বিস্তৃত বিশৃঙ্খলা! গড়িছে মানুষ হরষে হারাম সিঁড়ি!
আর্থিক দম্ভ, অঢেল বৈভব হেতু, প্রারম্ভ নীতিহীনতার বিস্তীর্ণ গিরি,
চারিদিক ঘিরেছে বিষ-মিশ্রিত ধোঁয়া
অধিকন্ত মানুষের চিত্ত ভরা মলিনতার কূয়া,
মানুষের সভ্যতা, বিবেক, নীতিজ্ঞানে বেধেছে স্বার্থের বাসা
মানুষের পিঠে কৃপাণ ছুড়ে, মিটাচ্ছে তৃষিত মনের পিয়াসা,
সমাজে বিচরণ অবর ধূর্তের, মিথ্যা লয়ে করিছে নৃত্য
জাতি নষ্টের বিষাক্ত কীট তারা, অমানুষ গোষ্ঠীর ভৃত্য,
সমাজেতে প্রবর্তিত স্তাবকতার হাতছানি
তোষে তোষে হারামখোর ভুলিছে ন্যায়ের বাণী,
নরত্ব স্থলচাপা দিয়ে ওরা করিছে লালিত পাশবিকতার ধর্ম
মানুষ তারা নিতান্তই নয়, নৃশংসতায় যুক্ত যাদের কর্ম,
প্রীতি নেই বিন্দু তুল্য! ঈর্ষার মনোবৃত্তি নর চিত্তে সিন্ধু সমতুল্য!
সিংহদ্বার দখলে অযোগ্য, বর্বর! সৎ লোকের ললাটে নেই সমাদর মূল্য,
এই যদি সম্প্রতি সমাজের সভ্য জাতির বিকৃত চিত্র
আর কতো? বলো আর কতো? লিখবো আমি ভারাক্রান্ত চিত্তে কুৎসিত মনুষত্ব আর নষ্ট ভ্রষ্ট মানুষের কাব্য !?
অঁজিষ্ণু সত্য, অগ্নি সত্য, চিরন্তন সত্য সত্যে হয় দাহিত অসত্য
মিথ্যার যতো সব ঝঞ্ঝাট চূর্ণ বিচূর্ণ করে প্রস্ফুটিত হবেই মহাসত্য।

তারিখঃ ১০/০১/২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

Powered by themekiller.com