. হাল ছেড়ো না বন্ধু
******////*******
সুমন পলাশ দে
*****////*****
বহমান কালস্রোতে লেখা প্রতিক্ষণ,
জীবনের ধারাপাতে অনেক বীক্ষণ।
হতে সুদূর অতীত ঘটিছে ঘটনা ,
শুনলে হবে ব্যথিত, নয় তা রটনা।
সদাই মানবতার রূপ নব নব,
কাল যত হবে পার আরো অভিনব।
রেনেসাঁ যুগের আগে মানুষের মন,
ভয়াবহ ছবি জাগে, ঘৃণ্য আক্রমণ!
পেশীর জোরে মানুষ চালাত জীবন,
শক্তি ছিল নয় হুঁশ, ছিল মনে বন!
ঢের ছিল আরো আগে নগ্ন সহিংসতা,
বীভৎস পশুত্ব জাগে — শূন্য মানবতা।
মানি বা না মানি আমি উন্নতি ক্রমশঃ,
মানবতা পাচ্ছে ভূমি —মনুষ্যত্ব-যশঃ !
গড়ফা, কলকাতা
০৯/০১/২০২২
——————————————–
#শিরোনাম-অসহনীয় ফিউচার
🎗️ #কলমে- ইউনুস ভূঁইয়া ✍️
#রচনাকাল ১০-০১-২০২৩ ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৃত্যুর নিকট আবেগের কোনো স্থান নেই?
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাক্য ভালোবাসার দাম নেই!
মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ভু-ব-ন জয়…
অথচ,জগতে ভালোবাসায় অসীম কল্যাণ;
তোমায় আমায় সে বেঁধে রাখে বিনিসুতোয়
আনন্দ বেদনায় ভরে উঠে মনের অলিন্দে!
যতটা ভালোবাসে সেটা চোখের জলে ভাসে
সেই ঘাতক নির্বিবাদে আসে চুপিসারে দেহ- মাড়িয়ে অসার-নিথর করে…রূহ নিয়ে যায়!
আমরা,আপনপর শুধু নিখুঁত হিসাব করি…
কে কতোটা করলো কমবেশি সেটাই তুল্য
বেঁচে থাকতে কেউ কাহারে ছাড় দেই না!?
মৃত্যুর আগে সম্মান বোধ নিছক ভুলে যায়
মৃত্যুর পর, মৃত ব্যক্তির প্রতি সদয় আচরণ!
এই ক্যামন রসিকতায় সভ্যতা গড়ে মানব❓
তার আর কতদিন হয়ত সেই কথা মন পড়ে
আবেগ মথিত সম্পর্কের অসহনীয় ফিউচার
ভালোবাসায় স্বকীয় বাস্তবতায় মূল্যমানে স্তুতি
আবার কোথাও মূল্যহীন বঞ্চনার প্রতীক রূপে
যদিও বিনামূল্যে প্রকৃতির উদার ভালোবাসা
সৃষ্টি জগতে অনেক ব্যপ্তির মধ্যে বেঁচে থাকা;
বিতৃষ্ণ মনে আরেকটু বেঁচে থাকাতেই স্বপ্নময়…
এই আস্বাদের- অবিরত অনিঃশেষ কল্পনায়?
গত্যান্তরহীন অজানা মূহুর্তে জীবনাবসান হয়
——————————————–
নজর রাখো//
প্র হ্লা দ
=================
আমার এক বন্ধু
আমায় একদিন বলেছিল
-নজর রাখো!
-কোথায় নজর রাখবো?
শহরের ঝাঁ চকচকে আবাসনে?
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নাকি রাজপথে?
-আমি কোথায় নজর রাখবো?
হাটে,বাজারে,স্কুলে, কলেজে
নাকি বাসে,ট্রামে,রেল গাড়ির কামরায়?
– আমি কোথায় নজর রাখবো?
কলে-কারখানায়,অফিসে-আদালতে
নাকি রেশনের লাইনে,হাসপাতালে?
-তুমি আমায় বলে দাও…
আমি কোথায় কোথায় নজর রাখবো?
সব জায়গায় নজর রাখতে রাখতে
আমি আজ নজর বিহীন
আমি আজ অন্ধ
আমি আজ অন্ধ মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র
আর তুমি আমার প্রধান অমাত্য সঞ্জয়,
তুমিই আমাকে সমর সংবাদ শোনাও
আমি এবার তাতেই অন্তর্দৃষ্টি নিবদ্ধ করি।
******
© প্রহ্লাদ মণ্ডল
——————————————–
♦সময়ের পালাবদল♦
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
***********************
সেই গণিকাকে অনেক দিন পর আজ আবার দেখলাম ;
অনেক বছর আগে রোজই তাকে একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতাম,
এ শহরের এক বিশেষ সড়কের পাশে, ল্যাম্পপোস্ট থেকে কিছুটা দূরে রাতের আলো আঁধারিতে।
তখন আমি সদ্য কৈশোর পেরোনো তরতাজা যুবক ;
তাকে দেখে কেমন যেন ঢিপঢিপ করে কাঁপতো আমার বুকের ভিতরটা,
কেমন যেন এক অচেনা এক শিহরণ খেলে যেতো রক্তে শিরায় মাঝে।
রোজ আসা যাওয়ার পথে অপলক তাকিয়ে থাকতাম তার দিকে গভীর কৌতূহল নিয়ে,
এভাবে অনেকবার অতিক্রম করেছি সেই চেনা পথ।
তারপর কেটে গেলো অনেক গুলো বছর।
আজ কয়েক বছর পর আবার দেখলাম তাকে।
সময়ের পালাবদলে আজ সে বিগত যৌবনা,
চেহারায় প্রৌঢ়ত্বের ছাপ স্পস্ট।
যেভাবে আমি নিজেও দাঁড়িয়েছি মধ্য বয়সের দ্বারপ্রান্তে।
আজও সে আগের মতোন সস্তা প্রসাধনী মেখেছে সারা মুখে, আগের মতোই স্থূলকায় তার শরীর,
গাঢ় লাল লিপস্টিকে জবজবে ঠোঁট, পরনে জমকাল পোশাক।
কিন্তু আজ দেখলাম অন্য আরেকটি সড়কে,
গভীর রাত তখন,
সে অপেক্ষা করছিল খদ্দেরের;
বোধহয় তেমন একটা বদলায়নি আমাদের দুজনের কারও পারিপার্শ্বিকতাই,
তবে দারুণ বিস্মিত হলাম যে,
আজ আর তাকে দেখে কিছুই অনুভূত হলো না,
নেহাতই আর দশজন সাধারণ পথচারীর মতো নির্বিকার পেরিয়ে এলাম অথচ কতো বছর পর দেখা!
লেখার ধরণঃ গদ্য কবিতা
লেখার তারিখঃ ০৯-০১-২০২৩
——————————————–
সংলাপ
শ্রী আশীষ মুখোপাধ্যায়
০৯-০১-২৩
আমি আগুন পাখি ধরতে পারি
কবিতা, তোমাকে ধরার জন্য ,
তোমার নেশায় উন্মাদ হতে পারি
বলে বলুক তা লোকে নগন্য।
সাগরের তলায় শঙ্খবুকে লুকাও
কোথায় থাকতে পারো তুমি ,
উত্তালের বুকে তোলপাড় তুলে
সেখানেও পৌঁছাবো ঠিক আমি।
মরীচিকার আঁচলে আবরণ নেবে ,
আলেয়ার কুহকগর্ভ খুঁড়ে!
মশাল আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
আনতে পারি তোমাকে ধরে!
মরুভূমির বুকে ঝর স্তরে ঢেকে
ফণা তুলে থাকো মরুসর্প ,
অশনি ফণায় বাঁধবো তোমাকে
এ আমার কবিতা প্রেমের দর্প।
হারমানা হার মেনে নিতেই পারি
তোমার চরণে হবো প্রণিতা,
জীবনের প্রথম প্রেম আমার তুমি
শেষ প্রান্তে একান্তসাথী কবিতা।
যেদিন আমি আর ধরবো না কলম
কাগজের বুকে বিরহ আসবে ,
সেদিনই জেনো ছিঁড়ে গেছে তার
তারা একবারে আকাশ থেকে খসবে।
বহু শোক দুঃখ দিয়েছ আমায়
ক্ষুধায় দিয়েছো শুকনো আলাপ ,
পিপাসাবুকে এঁকেছি আলপনা
সময়ের তালে আছে তোমারই সংলাপ।।
————————_——————-