Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতাও সংবাদ
______________// সজীম শাইন,

মহাকালের নিরিখে আমি এক টগবগে যুবক
চর্যাপদ থেকে এসেছি কবিতার টানে।

কোথায় নিরাপদ আবাস, অন্নবস্ত্রের সংস্থান ?
সবই ছিলো অনিশ্চিত, বুকে জ্বলন্ত আগুন
মনে ছিল আশা, যদি পাই কাব্যলক্ষ্মীর দেখা।

কোন সাহসে এই নগরে পা রাখি আমি
ভাবলে বিস্ময় জাগে মনে,
বেকারত্ব গোছাতে দুজন হয়েছি একই নদীর ঢেউ
পোশাকে-চেহারায় কবি,হাতে একটা ডায়েরি
মানবিক কবিতায় ভরে উঠেছে ডায়েরির পাতা।

থর থর কণ্ঠে পাঠ করি শুধু গণমানুষের কথা
নির্ভীক পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি সাংবাদিকতা।
৩০/১২/২২
সভাপতিঃ দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতি।

——————————————–
বিভাগঃ কবিতা
শিরোনামঃ নিঠুর তিলোত্তমা
কলমেঃ মো.ফজলুল হক খান কামাল
৩০.১২.২০২২

যদি তুমি ছায়াপথে হারিয়ে যাও
তবে আমি নাম ধরে ডাকবো,
শব্দের গতিতে তো নয়ই, আলোর গতিও
হার মানবে আমার ছোড়া বাক্যবাণে!
একটা নীল ভ্রমরা পিছু পিছু হাঁটে
কিন্তু কথা বলে না অজানা আতঙ্কে –
এমন কোন দূর্গ দেখি না ত্রিভুবনে
যেথায় তোমাকে রাখবে ওরা আটকিয়ে,
সতত বিরাজমান তুমি ছোট্ট পিঞ্জরে।
তোমাতে পুড়তে লাগে না মন্দ
হারাতে কী যে আনন্দ!
জ্বালাতন সে-ই বেশি করে
বুকেতে যে আজীবন বসত করে।
উঁচুতে উড়তে সেই পারে
পিছনে ফেলে আসা ভালবাসা
আঁকড়ে ধরে যারে-
প্রতিটা নিশি, প্রতিটা দিবস
কখনও কি ভুলেছে তোমারে?
এমনি করে ধরাধামে একাগ্র চিত্তে
কেউ কি খুঁজেছে নিঠুর তিলোত্তমাকে?

——————————————–

পথিক পরান পথ চলে—-
সত্যব্রত মন্ডল

যা কিছু দেখে নয়ন ভরে
যা কিছু পায় নয়ন জুড়ায় ।

চলিতে পথে পথে—
পথভোলা পরান পায়
আপনারে করিয়া দান
যা কিছু হেরে প্রকৃতির অঙ্গনে
ত্যাগিয়া পরান বিলায়ে পরান
চিত্ত হলো হারা কোন হিয়ায়
হয়ে আত্মহারা , হয় উদাসী ।

কি হলো আপনভোলার
কঠিন রুক্ষ পথের পরে
ছোট্ট একটি ফুল ফুটেছে
লতা রমণীর কোলে ।
ও কুসুমের রূপ হেরি
মনে পড়ে পরান সাথীর ।

কোন নন্দন বনের
অভিমানীর পরান চাহে —
নয়নে নয়ন দিয়ে , ও নয়ানে
কোন পথভোলা পথিক পরান !
পড়াবে তারে যতন সোহাগে
বেনিবন্ধন কুন্তলে ।

অভিমানের নীর পিয়াসে
করি ক্রন্দন অশ্রুজল ঝরে
আপনারই শিকড় প্রাণে ।
হৃদয় অন্তঃপুরে প্রেমে অপ্রেম
সৌরভ মধু ভরি
উপহারে করিতে দান
প্রেমিক পথভোলা পথিক পরানের
মধুপ ভ্রমর হৃদয়ে —-

——————————————–

সন্তান কি চায়?
কলমে- মন্ডল সৌরভ

বাবা মা চায় ছেলেমেয়েকে
করতে সবার সেরা
শৈশব দিয়ে বিসর্জন
কড়া শাসনে ঘেরা।

ক্লাসে প্রথম হতেই হবে
একটুও নেই ছাড়
চার-পাঁচটা টিউশনিতে
খেলার সময় পার।

ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার
আমলা সরকারি
কিছু একটা হতেই হবে
দেবে বিদেশ পাড়ি।

অভিভাবকদের এটাই দাবি
কম্পিটিশনের যুগ
তাল মিলিয়ে না চললে
পুড়বে তাদের মুখ।

একবারো তো কেউ ভাবেনা
সন্তান কি চায়
যুগের সাথে পা মেলাতে
প্রাণটি তাদেরি যায়।

——————————————–

বিষয় -কবিতা, শিরোনাম -সে প্রেম দাও,
কলমে✍️রতন পাল,
তারিখ-২৯/১২/২০২২

সে প্রেম দাও হৃদয় জুড়ে মনমীত করে রেখে,
সকল সময় বাজিয়ে বীণ চোখের তীরে এঁকে।
বাজবে ঝুমুর সারা দুপুর ছন্দ তালে মিলে,
ছন্দবীণায় সুর ঝরিয়ে ঢেউ উঠাবে দিলে।

দেখবো আকাশ নুতন করে খুশির স্বপ্নে ভরে,
মেঘ পলাশের ফাগুন হাওয়ায় তিতলির মতো করে।
ফাগের আগুন ঝরবে রঙে সমীরণের রণে,
বালুকা তট ভরবে ঢেউ-এ ঝিনুক খোঁজার সনে।

মন-বালিকার সেই রূপেতে হবে তুমি মোর সই,
চলন্তিকার মনোহরা রূপ রাখঢাক আর কই।
তুমিই প্লাবন তুমিই শ্রাবণ মেঘের ভেলায় চড়ে,
গলবে আঁখি কাজল কালোয় মনোবীণায় ভরে।

মিষ্টি হাসির বারোমাসি উন্মাদনায় মেতে,
মনের কোণের তিতিক্ষাতে বাড়িয়ে হাত পেতে।
দেখবো মনের মাঝ আকাশে উড়বো পাখি হয়ে,
অস্তরাগের রঙের মেলায় তোমায় নিয়ে বয়ে।

আশা হোক সেই পর্ণমোচির আহবানের সুরে,
জাগিয়ে মন আশার আলোয় ফাগুন খানিক দূরে।
ইচ্ছে যেমন রয় বুকেতে হাল ধরে যে হালে,
সুপ্ত রবে জাগবে আলোর সে ইশারার তালে।

সে প্রেম দাও ছিন্ন খুশির হৃদের অধিক দামের,
করম ভূমির নাম ভূমিকায় অধিক সে তা নামের।
মন গরিমায় শৌর্য বীর্যে শৌখিন সে তার ঢঙে,
পলক ফেলে মিলবে সেথায় ভাবের আবেগ সঙে।

———————————–_——–

#শিরোনাম_বৈপরীত্য_(২)
#কলমে_উজ্জ্বল_দত্ত_চৌধূরী

যে মানুষের মাটির ঘর,
বাঁশের দেওয়াল, কঞ্চি ছাওয়া ছাদ,
যে ঘরেতে সূর্য্য নেই, শুধুই অবসাদ,
যে মানুষের পেট চলেনা, রা কাড়ে না মুখে,
সকাল থেকে রাত কেটে যায় কড়া ঘামের সুখে,
সেই মানুষের নেইকো নাম আবাস যোজনায়,
দাউদাউ সে জ্বলছে শুধু মরচে ধরা গায়।

যে মানুষ সোনার থালায় পরমান্ন খায়,
চার চাকা তে যার পরিবার গড়িয়ে গড়িয়ে যায়,
যার পরিবার হাত পা ছড়ায় অট্টালিকা ‘পরে,
যার পরিবার হাসতে থাকে সোনালী রোদ্দুরে,
যে মানুষের রাত কেটে যায় রঙ্গিন রঙ্গিন মদে,
যে মানুষের পাত্র ভরা সোনার কোকোনদে,
নামটি তার মারছে উঁকি সরকারী যোজনায়!
এমন বাঁচা কে আর বলো বাঁচতে নাহি চায়?

উঠছে ফুঁসে লাল পলাশ ক্ষোভের তাড়নায়,
তবুও দেখো সরকার চুপ, নেই কোন তার দায়।

দুয়োরাণী তুমিও হবে সংগ্রাম বিরূপতায়।

Powered by themekiller.com