আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে, পাঁচজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিন জনকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাঙ্গাচোরা সড়কে ইজিবাইক উল্টে এ ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীবাহি ইজিবাইকটি গৃদকালিন্দিয়ার দিক থেকে ফরিদগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে, বাঁশতলা নামক এলাকায় ইজিবাইক উল্টে যায়। এতে, চালক মো. ইউছুফ (৪৫), যাত্রী দ্বিন ইসলাম (৪৫) ও রাশিদা বেগম (৩৫) ইজিবাইকের নীচে চাপা পড়েন। এতে, তিনজন গুরুতর আহত হন। দ্বিন ইসলাম ও রাশিদা বেগমের বাম পায়ের হাড় কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। চালকের দু’পা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, আহতদের ক্ষত স্থান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আহত অপর দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আঞ্চলিক মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই বছর যাবত বিভিন্ন স্থানে টিউমারের মতো উঁচু-নীচু হয়ে আছে। এছাড়াও, বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ভাঙ্গা সড়ক ও টিউমারের কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, শনিবারের দুর্ঘটনাটি তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। মহাসড়কের ওই বেহালদশা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। প্রত্যক্ষদর্শী শাহাদাৎ হোসেন (২৫) গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এ সড়কে কতো মানুষের মৃত্যু হলে ওই মরণফাঁদ বন্ধ হবে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মান্নান বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।