কলমেঃ মোহাম্মদ তানভীর হোসেন তানভী
শিরোনামঃ শূন্য অশ্রু
তারিখঃ২৩/১২/২০২২
এই কালো কুয়াশা রাতের আকাশে
দুর্দান্ত উন্মুক্ত তুমি,
এই হৃদয়ে রৌদ্র বসনি তুমি
এই কালো কুয়াশা রাতে।
দুচোখ খুলে তাকিয়ে থাকি আকাশে
তাই তো তোমারি কথা অনুভব করে,
এই শূন্য দুচোখে ঢেউ ভাসে।
এই আবেগপ্রবণে দুচোখে অশ্রু ঝড়ে
তাই তো তোমার চাওয়াতে আজোও দূরে,
এই কালো মেঘের কুয়াশা আড়ালে
তোমারে দেখিতে দেয় না।
তবু আমারই স্পন্দনে থাকিবে
তোমারি প্রতিকৃতি স্মৃতি।
——————————————-
ত্রিনায়ক কাহন
– শিহাব ইকবাল
তিন প্লেয়ারের নেই তুলনা,
কীর্তি তাঁদের বেশি –
মহান পেলে, ম্যারাডোনা
এবং লিও মেসি।
পেলের যুগে পেলের সমান
কেউ ছিলোনা খেলায়,
সর্বসেরার দিলেন প্রমাণ
বিশ্বকাপের মেলায়।
পেলের পরের যুগটা এলো
নতুন গল্প শোনার,
বিশ্বজয়ী গল্পগুলো
সবই ম্যারাডোনার।
এ দুই সেরার গ্রুপের ভেতর
আর ঢোকেনা কেহ,
প্রাচীর জুড়ে নিরেট পাথর,
অভেদ সেটার দেহ।
হঠাৎ কালের আবর্তনে
ভাঙলো প্রাচীরখানি,
মহান মেসির পদার্পণে
হাসলো নতুন বাণী।
একের পর এক রেকর্ড গড়ে
যুগজয়ী এক মেসি
বিশ্বজয়ের মুকুট পরে
হাসলো সেরার হাসি।
দুই বছরে তিন শিরোপা –
ইউরো, কোপা আর
বিশ্বকাপের বিশ্বকাঁপা
চ্যাম্পিয়নশিপ তার।
বিশ্বকাপের ম্যাচসেরাদের
সবকে পিছে ফেলে
মেসিই হলো ইতিহাসের
সবচে উঁচু ছেলে।
আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে
সবচে রেকর্ডধারী
মেসি ছাড়া গণনাতে
আর কে বলতে পারি?
বিশ্বকাপের সবস্তরে
গোল দিয়েছে কে সে?
মেসি নামটাই উচ্চস্বরে
বলবো আমি হেসে।
তিন নায়কের নেই তুলনা,
ঝলক তাঁদের বেশি –
দি গ্রেট পেলে, ম্যারাডোনা
এবং লিও মেসি।
——————————————–
আক্ষেপ
ওয়াহেদ সরকার
ধরে আসা কন্ঠে আক্ষেপ হামাগুড়ি দেয়
বিতৃষ্ণ অতৃপ্তি শোকের ছায়া ফেলে।
স্মৃতির আঙিনায় কৃত্রিম তুমি দাঁড়িয়ে
বাতাসে উড়ে খিলখিল হাসি,
ব্যাঙ্গ নামক শব্দটা গ্রন্থ সাজায়।
হাতেখড়ি চলে প্রাথমিকে
অক্ষর আকৃতির বাঁকানো চিহ্ন চিনি এতোক্ষণে।
গ্রাহ্যে নেবার পালা এসে সামনে দাঁড়ায়
পরাজিত আমি অপরাজিত সাজাই নিজ গুনে
ত্যাগের কোঠরে লুকিয়ে রাখি যাতনার মালা কন্ঠে ঝুলে।
তারিখ -২১/১২/২০২২খৃঃ।
——————————————–
প্রার্থনা
বিলকিছ ইসলাম বিলু
হে প্রভু! প্রেমের দহন
সিক্ত করো ভালোবাসায়,
এ হৃদয় পূর্ণ করো
অপার করুণায়।
বদ্ধ মনের অন্ধ আবেগ
দূর করো হে প্রভূ,
পূর্ণ্য জ্ঞানে ধন্য করো
তোমার অপার মহিমায়।
নিরাশার বলয়ে আশার
আলো ছড়ায়ে দাও হে প্রভূ,প্রানের অস্তিত্বে।
মনের গ্লানি দূর করো হে প্রভূ,তপ্ত মনের সুপ্ত আবেগ বিলিন কর।
——————————————–
কলমে-দেবজিৎ চ্যাটার্জী
শিরোনাম-চুক্তি
তারিখ-২২/১২/২২
যা
কিছু
চাহিদা
সে অঢেল
পূর্ণতার চাপে
সহযোগিতা চায়
একে অপরের স্বার্থে
বিভ্রান্তির সামিয়ানায়
পরাধীনতায় আকৃষ্ট
ধরে রাখে শর্ত অর্থে
পরিচয় ভুলিয়ে
ভবিষ্য গোড়তে
অন্ধকারেতে
চুক্তি বদ্ধে
প্রচেষ্টা
করে
সে।
——————————————–
কবিতা – বাংলার বাউল
স্বপন কুমার রুইদাস ২২/১২/২২
গ্রাম বাংলার বাউলেরা আজও বাংলার অতীত ঐতিহ্য বয়,
তাদের নাচে গানে বাদ্যে যেন বাংলার লাল মাটি কথা কয়।
বাউল গানের খাঁটি মাটির গন্ধে ভরে ওঠে প্রাণ মন,
বাউলেরা গূঢ় দেহতত্বের কথা বলে মানুষকে করতে সচেতন।
বাউলদের নেই স্থায়ী নিজস্ব ঘর গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরে ফিরে,
উদাত্ত কণ্ঠে গানের কলি দিয়ে নেয় সে সবাইকে আপন করে।
কারো থাকে কোমরে ডুগডুগি বাঁধা ডান হাতে একতারা,
পায়ে নূপুর বেঁধে নেচে গেয়ে ঘুরে ঘুরে গায় পাগল পারা।
গৈরিক পাগড়ী পোশাকে বাংলার লাল মাটি জেগে রয়,
ওরা লোকসঙ্গীতে গ্রাম বাংলার আজও সনাতন ধারা বয়।
——————————————–