কিছুটা থাকুক অনুভবে
কলমে – সুপ্রভাত ঘোষ
খাঁড়ুরাধানগর, হাউর, পূর্ব মেদিনীপুর
=================
শব্দেরা সব নাইবা” কথা ” হলো ,
দুঠোঁট না হয় না-ফাঁক রয়ে গেলো ;
শব্দ কিছু ভাসুক চোখের তারায়
জমে থাকা ভাব জমে জমে কাল
“বাকি কথা” খুঁজুক উজাড় হৃদয় !
একদিন সব ” কথা ” হবে
যা আছে বন্দী রাগে আর অনুরাগে ,
তুমিও বলবে সেদিন –
কিছু কিছু কথা থাকুকনা অনুভবে !!
——————————————–
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমার।
কবিতা ঃ- বাংলা আমার অহংকার /
৷৷৷ কলমেঃ- উওম কুমার মুক্ত /
ভয় নেই, ভয় নেই
ওগো বাংলার কর্ণধার
উঠবে বিজয়ের কালজয়ী সাহিত্যে
থাকবে তোমাদের মনের মন্দিরের লিপিবদ্ধ কথা।
ফিরে এসো বাংলার বাউল দর্শনের মধ্যে
হয়তো কোনো বহু রুপি মানুষের ছদ্ম নিয়ে
ইতিহাসের অন্ততপক্ষে বীর পুত্রগণ হিসেবে আত্নীয়
জাতি স্বরূপ অন্বেষণে অভিভাবক রুপোলী চাঁদ হয়ে।
বীভৎস রুপে বাংলার মাটিতে
চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন যারা
নীরবে অশ্রু ঝরছিল মানুষের অন্তরে
বীরত্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতির স্রোতে পাল তোলা।
ঝিনাইদহ সদর।
গান্না বাজার, ১৬-১২-০২
——————————————–
কবিতা : মা
শক্তির উত্থান,
শক্তি র পতন,
সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করি
কেমন করে?
সস্পর্কের নিবীড়
গাঢ়ত্ব
তোমার কর্তিত্ব আমি
রগে রগে উপলব্দি করি।
তোমার বিচার তোমার শাসন
অনুভবে
মা
সুদৃঢ় এই সেতু
উত্তরের কর্কটক্রান্তি থেকে
দক্ষিণের মকরক্রান্তি
যে প্রান্তেই ছুটি তোমার নাভির মোচর
টেনে আনে
মধ্যাকর্ষণের টানে
তুমি মা
তোমার আশিস
সূর্যের আলোর মত
আলোকিত।
তুমি দিন, তুমি রাএি,
প্রকৃতির, ভারসাম্যের মত, জীবনের ভারসাম্য।
ঋতুবৈচিএের মত জীবন বৈচিত্র্য নির্ভরতা।
উপেক্ষা করার কারও
সাধ্য নেই
আমাদের মা।
নদীয়া কৃষ্ণনগর
পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
জান্নাতুল ফিরদৌস
17/12/2022
7:58
——————————————–
দুর্বিনীত ছবি /কাশীনাথ মণ্ডল ১৭/১২/২০২২(কবিতা)
প্রিজন ভ্যানের সঙ্গে কারা যাচ্ছে
গামবুটের সঙ্গে কারা যাচ্ছে
অপ্সরার সঙ্গে কারা যাচ্ছে
এসব অংক এবং গোলকের ত্রিভুজ বর্ণনা
একটি আত্মা এবং রুবির সঙ্গে কারা যাচ্ছে
আত্মা এবং ব্যাগপাইপারের সঙ্গে কারা যাচ্ছে
দূরবীনের সঙ্গে কারা যাচ্ছে
টেলিস্কোপের সঙ্গে কারা যাচ্ছে
শূন্যের সঙ্গে কারা যাচ্ছে
এসব ভুমার বুদবুদ ও দুর্বিনীত ছবি
এখন একটি শুকরের স্বপ্ন এবং উন্মাদের নোটবুক মিলে যাচ্ছে
এখন একটি ফিল্টারের সঙ্গে স্পেসমেকার মিলে যাচ্ছে
ওই একটি ওপেনহার্টের সঙ্গে এন্টেনা বায়ুদের মত
এসব বোহেমিয়ান লটবহর এবং অদৃশ্যের শব
কয়েকজন গোলাপি কার্ডিগানের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছে
কয়েকজন বিতভেনের সঙ্গে
এখন মৃত মানুষের সঙ্গে গোলাপ এবং রডেডেন্ড্রন হেঁটে যাচ্ছে
——————————————-
স্বাধীনতার ৫১ বছরে
তালাশ খান
স্বাধীনতার ৫১ বছরে বিজয়ের তপ্ত শিখা
পড়ছে মনে বারে বার অসহায় মানবতার আর্তনাদ।
সাত সাগর তেরো রক্তের নদী তারই মাঝে
এলো বিজয়ের ধ্বনি।
স্বাধীনতার ৫১ বছরে বীর বাঙালি পায় নি
রাষ্ট্র আর রাজনীতির মূল নীতি।
উদোর ঘাড়ে বুধোর পিন্ডি যুগ যুগ ধরে
রাবনেরা করে স্বার্থসিদ্ধি।
স্বাধীনতার ৫১ বছরে সাম্য, ন্যায়ের ভাষা
হারিয়ে ফেলছে মুক্তিকামী জনতা
অসহায় মানবতার পক্ষে বুলিদান,
রাষ্ট্র কি দেবে না তার সমাধান?
স্বাধীনতার ৫১ বছরে দারিদ্র্যতার বেড়াজাল
ছিন্ন করিয়া গাইতে পারি নি সাম্য সুখের বান
অসহায় মানবতার পক্ষে জয়গান
রক্ত দিয়ে এনেছি স্বাধীনতার সম্মান।
স্বাধীনতার ৫১ বছরে বিভেদ ভুলে
গাইনি মোরা ঐক্যের জয়গান
অসহায় মানবতার করুন আর্তনাদ
বিভেদ ভুলে গড়ো স্বর্গ সুখের আবাসন।
রচনাসময়কাল :১৬.১২.২০২২.
রাত:১০.৩০ মিনিট।
# স্বাধীনতার পর থেকে যারাই শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন সবাই দায়ী।নিদিষ্ট কাউকে দায়ী করে লেখা হয় নি।
——————————————-
(ছোটগল্প)”বই পোকা”
_______কলমে- মিশু মজুমদার
পাশের সিটে বসা মেয়েটি আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে, যদিও সেটা না-দেখার মত। আমি আমার মত করে সিটটিকে এডজাস্ট করে নিয়েছি। নন এসি গাড়ি, গরমও পড়ছে বেশ।উপরে ফ্যান ঝুলে আছে কিন্তু ঘুরছেনা। আমার দৃষ্টি শুধু এই ফ্যানের উপরেই পড়ে আছে, কখন একটু ঘুরবে। পেছনের যাত্রীরা রীতিমতো চেচামেচি শুরু করে দিয়েছে। অবশেষে ডাইভার সাহেব ফ্যানের সুইচ অন করে দিলেন। শরীর ভীষণ ক্লান্ত থাকায় ঘুম দারুণ ভাবে চেপে ধরেছে আমায়। যখন ঘুম ভাঙে গাড়ি তখন ফেরীঘাটে এসে পৌঁছালো কেবল। আমি গাড়ি থেকে নেমে হালকা খাবার খেয়ে নিয়েছি। গাড়িতে উঠে দেখি মেয়েটা ওখানেই বসে আছে। আমি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলাম –
-আপনি নামলেন না..?
-না..
-এখনো তো অনেক পথ বাকি, কিছু খেয়ে নিতেন।
-সমস্যা নেই..
-আচ্ছা আপনি নামবেন কোথায়?
-খুলনা, সোনাডাঙ্গা স্টেশনে,, আপনি?
-জ্বি.. আমিও সোনাডাঙ্গা স্টেশনে নামবো।
-আপনি কি ডিফেন্সে চাকুরী করেন ?
-হ্যাঁ.. কি করে বুঝলেন!
-হেয়ারস্টাইল দেখে।
আমরা তখন ফেরী পার হয়ে এই পাড়ে উঠেছি। চেকার ম্যান টিকেট চেক করতে আসলেন। আমি আমার টিকেট কোথায় রেখেছি মোটেও মনে পড়েছে না। পকেট, মানিব্যাগ, কাঁধব্যাগ কিছু আর বাকি রাখিনি। আমি চেকার ম্যানকে আন্তরিক ভাবে বলি-
-ভাইয়া..আমি আমার টিকেট’টা কোথায়’যে রাখলাম,খুঁজে পাচ্ছিনা!
-আরে কি বলেন আপনি,আপনার টিকেট তো আমার কাছে, আপনাকে নিতে বলেছি আপনিতো নিলেন না।
-বলেন কি!
-হ্যাঁ.. আপনি বসেন।
এতটা মনভোলা হওয়া মোটেও উচিৎ নই। কিন্তু আমার কিছুই মনে পড়েছে না। আমি অনেকটা আপসেট!
-হ্যালো..কোন সমস্যা?
-না…
-আপনার নামটা অনেক সুন্দর!
-আপনি আমার নাম জানলেন কি করে! সত্যি করে বলেন তো কে আপনি,,?
-মানে,,,”!
-আপনি আমাকে চিনেন!
-আরে না,আপনাকে চিনবো কি করে আমি!
-তাহলে নাম জানলেন কি করে?
-আরে, আপনার ট্রলিব্যাগে আপনার ঠিকানা লিখা রয়েছে। ব্যাগটাতো বক্সে রাখতে পারতেন।
দেখো অবস্থা, আমি ভেবেছি মেয়েটা বোধহয় আমাকে চিনে। কিন্তু আমি যে আমার পরিচয় সাইনবোর্ডে লিখে রেখেছি তার খবর নেই!
ফোনটা ওপেন করতেই রিক্তিকা মজুমদারের একটা লেখা স্ক্যানে আসলো, আমি মনোযোগ সহকারে লেখাটি পড়ছিলাম। আমার পাশে বসা মেয়েটি জিজ্ঞেস করলেন-
-রিক্তিকা মজুমদারের লেখা কেমন?
-অসাধারণ, আপনি যদি একবার পড়তে বসেন, শেষ না-হওয়া পযন্ত উঠতে চাইবেন না।
-না,অতটা ভালো নই,যতটা আপনি বলছেন!
-আপনি ঊনার লেখা পড়েছেন কখনো?
-পড়েছি বৈকি…!
রিক্তিকা কুয়েটের ছাত্রী আমার থেকেও দুই বছরের বড়। তাকে যতটুকু চিনেছি এই ফেসবুক থেকেই চিনেছি। তার লেখা ভীষণ পছন্দের আমার। মাঝে মধ্যে মেসেঞ্জারে টুকটাক আলাপ হলেও সামনাসামনি কখনোই দেখা হয়নি আমাদের। কথা বলতে বলতে কখন যে খুলনা চলে এলাম টেরই পেলাম না। আমরা গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম,আমার পাশে বসা মেয়েটি ব্যাগ থেকে একটা বই বাহির করে আমার হাতে দিয়ে বল্লেন-
-এটা আমার লেখা বই, বইটি এখনো প্রকাশিত হয়নি। লেখক কপি থেকে আপনাকে একটা দিলাম। পড়ে অবশ্যই জানাবেন।
-জানাবো…কিন্তু কি করে!
-যদি আবার কোথাও দেখা হয় আমাদের।
আমি রুমে এসে বইটি খুলতেই দেখি বড় করে লেখা “বই পোকা” রিক্তিকা মজুমদারের নতুন বই। তার মানে আমার পাশে বসা মেয়েটি রিক্তিকাই ছিলো!
কমলনগর-লক্ষীপুর(বাংলাদেশ)