Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

প্রতিদিনের কবিতা
বিষয়— উন্মুক্ত
শিরোনাম— অমরলোকের বাণী
সৃজনে — নবগোপাল চৌধুরী
তারিখ— 13/12/2022

কবিতা—–” অমরলোকের বাণী ”

নিরবধিকাল বিপুলা এ পৃথ্বীতে
নিশীথ রাত্রি তিমির অন্ধকারে
গগনের পানে আত্মমগন পবনের সঙ্গীতে
বিস্ময় নিয়ে নয়ন হয়েছে তন্ময় বারেবারে ।

প্রকৃতির বুকে বহু রহস্য রেখে গেছে মহাকাল
বুভুক্ষু প্রাণী হোক যত জ্ঞানী, ঢেকে গেছে জঞ্জাল !
দিগন্তে গিয়ে দৃষ্টি যে থেমে যায় ;
কালের ওপারে দৃষ্টি কী যেতে পারে ?
শুধু অনুভব— ডিঙে যায় বাস্তব
পড়ে মায়াময় টানে,
ভাষা খুঁজে ফেরে প্রকৃতির দ্বারে ধ্বনির অলঙ্কারে
বহু কথা আছে নীরবতা নিয়ে তার বুকে জমা হয়ে

নিরবধিকাল বিপুলা পৃথ্বী থাকে রহস্যময়
ডাকে বার বার ধ্যানসমাহিত সুউচ্চ হিমালয় !
ডাকে বার বার সুনীল সাগর, তা’র নীলাম্বুরাশি
তালগাছ সম উত্তাল ঢেউ চরণে লুটায় আসি !
মানুষ কি বোঝে তার ইঙ্গিত
কন্ঠে যে ধরে মহাসঙ্গীত সুরের মূর্ছনায় ?

ধ্যান নিমীলিত গৌরী শৃঙ্গে ঐ যে তুষার বৃষ্টি
নিশীথ রাতের নীলতারা করে মহামানবের সৃষ্টি,
কালো মেঘ গুলো সাদা ঝরণায়
মোছাবে ধরার গ্লানি ,
এই মরলোকে সবুজ শোনাবে
অমরলোকের বাণী ।
——————————————–
সে আমার
টি এইচ বকুল

ও চোখের নির্মল চাহনি,যেন হাজার বছরের বেঁচে থাকার মন্ত্র বলে যায়।
ওষ্ঠ যুগল কোণে,এক চিলতে আলোর আভায় ভরে দেয় মন।

তার এক আকাশ মনের অনুরাগ,
আমার ক্যানভাসে রংধনু আঁকে।
কখনো মেঘের অলিন্দে,পূর্ণিমা শশধর হয়ে
পথ হাঁটে আমার সাথে অনেকটা সময়।

তার উন্মীলিত পুষ্পের সুবাসে সুবাসিত আমিও। তার আঁচলের ছাপা ফুল গুলোও গন্ধ ছড়ায়, একান্ত ভালোবেসে, তাকে।

হ্যাঁ, সে দৃষ্টির অন্তর্গত আজন্ম আমার।
ওখানেই নিহিত থাক আমার সঞ্চিত ভালোবাসা। নিরাপদ বোধ সে আমার হাজারও বিপর্যয়ও।

তার সুশ্রী মৌনতা,অনাকাঙিক্ষত কাছে ডাকে। চেয়ে দেখি সেই সৌন্দর্যতা নিগূঢ় অবিনিবেশে। কখনো মৌনতার বিচ্যুতি হলে,
অগোচরে পালিয়ে যায় আমার দৃষ্টি।

তবে, সে আমার মরমি একজন, আমার জীবন্ত উপন্যাসের সেরা পাঠিকা।আমাকে উপলব্ধি করে সে সূক্ষ্ম ভাবে খুব কাজ থেকে, একদম নিবিড় ভালোবেসে।

তাই, আমার তাকে বলা,কিংবা শেষ মিনতিও বলা যায়।
তোমার ঐ ঘনকালো কবরীতে,ছোট্ট একটা বাবুই পাখির বাসা বানিয়ে দিও,
সেখানে ক’টা বকুল রেখ খুব যতন করে।
হয়তো আমি,পরজনমের পরে বাবুই হবো!
আর তোমার কাছে আসবো ফিরে বারংবার ভালোবাসার চির কাঙাল হয়ে।

রচনাকালঃ ১৯-০৮-২০২২ ইং
স্থানঃ ২১শে ষ্টুডিও
——————————————–

বিষয়-কবিতা, শিরোনাম-ভোদার বি(ই)য়ে,
কলমে✍️রতন পাল,
তারিখ-১৩/১২/২০২২

বেঁটে মোটা হোৎকা গোছের গোরা রঙের গায়,
ভোদা বলে পাড়ায় চেনে কলোনির সব ছায়।
সেই ভোদাটাই পড়ল প্রেমে,নাগের বাড়ির মেয়ের,
সন্ধ্যা তারায় জ্বলছে তাদের সকাল ‌বিকেল ই’য়ের।

সারা পাড়ায় ধুন্ধুমারে জানল সকল লোক,
দেখলে ভোদায় মারে উঁকি, টানবে কে তায় রোখ।
দুইটি বাড়ি কাছে থাকায় ধরেছে রঙ প্রেমে,
বুঝলো সবে বাড়ির ছাদের ভূমিকা আছে গেমে।

ভোঁদার মুখে সকল সময় মিষ্টি একটা হাসি,
যবে থেকে প্রেমে পড়া,কভু হয় নি বাসি।
ভোঁদার বাড়ির সামনে যে ওই বিরাট কদম গাছ,
বলছে নাকি ওখান থেকেই ছড়ায় পলকে আঁচ।

চোখের খেলা শুরু ওখানে ফুলের গন্ধ নিয়ে,
দুইটি মনের নৃত্যগীতেই ফোঁটায় প্রেমের ইয়ে।
যখন তখন হাত পা ছোঁড়া ও ফ্লাইং কিস ভোদার,
সন্ধ্যা তারা ফোঁটেও তখন বিষফোঁড়া এক গোদার।

নাগের বাড়ির আসলে চাপ ফাঁসলো ভোদা পাগলা,
সারা মহল্লা সাক্ষী রইলে থাকলো না নির্জলা।
কোন প্রকারে ওং নময়ে সারলো বিয়ে পুরুত,
বিয়ের পর ই হানিমুনে বাংলাদেশে ফুরুৎ।

এমন বিয়ে দেখছে কী কেউ, ভোদার যা সব হলো,
বলতে পারো গোয়াল-বাঁধা,পড়লো দুকান মলো।
ভ্যাগাবন্ড এক পাক্কা বেকার,ক অক্ষর গোমাংস,
কিন্তু ধর্ম কর্ম গুণে হবে না সে নির্বংশ।
——————————————–

চলিতেছে সার্কাস
সালামুজ্জামান
১৩/১২/২০২২

জীবনে বারবার
হেরে যাচ্ছি জীবনের কাছে!
চেনা পথ অচেনা হয়!
পরিচিত মানুষ অপরিচিত লাগে!
বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়!
কঠিন বাস্তবতার নিদারুণ কষাঘাতে
সুন্দর পৃথিবী অসুন্দর মনে হয়!

নীতিহীন নেতার চমকপ্রদ নীতিবাক্যে
বিশ্বাস ধরে রাখা মুশকিল!

আপন ঘরে সন্তর্পণে বিষধর সাপ ফনা
তুলে ফসফস করে!

সুদ ঘুষ দুর্নীতিবাজ আর মাদক
কারবারীরা ধর্মের ঢাকঢোল পেটাচ্ছেন
সত্যকে সমাহিত করে মিথ্যের মিনার
উঠিয়ে!

যারা পরম ভক্তি শ্রদ্ধায় চরম কষ্টে
জীবন জীবীকা অতিবাহিত করছে
সত্যান্বেষণে,
তারা আজ দিকবিদিকশুন্য দিশেহারা
ভ্রান্ত পথের পথিক!

এসবের জন্যে কি শুধু আমি-তুমি’ই দায়ী?

আর পরম প্রেমময় দয়াল মহান দরদী
দাতা নির্বাক-নিরুত্তোর!
মনে হয় যেন গভীর মনোযোগে মাসুম
বাচ্চার মতো সার্কাস দেখছেন…!!

দুপুর ২টা ২৬মিনিট ঢাকা,বাংলাদেশ।
—–__————————————-

তুমি আশাবাদী হয়তো?
জসিম উদ্দিন “অচিনপুর ”
১২/১২/২০২২!
স্বচ্ছতার অভ্যন্তরে দৃষ্টি শক্তি যাচ্ছে
হারিয়ে, শূন্যতার চাবিকাঠি হাতে নিয়ে
অদৃশ্য মায়া জালে বন্দি !
অত্যন্ত যুক্তিবাদী ছিলে,

পরিশেষে নিতান্তই সত্য শত্রুদের
আক্রমণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে
আজও তুমি আছো বেঁচে কোনো
একটা রাজ্যের সভ্যতার সমাজে,

যেখানে তোমার উৎপন্ন হয়েছিল,
সেখানে দাফন সম্পন্ন নাও হতে পারে,
তাই নিয়ে এতটা বিচলিত হবার কোন অংশেই কিছুই নেই, কারণ যে বিধাতা
পাঠিয়েছে তোমায় সেই ভালো জানে
কোথায় তোমার শেষ সমাধি হয়ে যাবে?

শরীরে রক্তমাখা জামা কাপড় গুলো আজও হয়তো তুমি নাকের সামনে নিয়ে সুখে যাচ্ছ! হয়তো বা ভালোবাসা লুকিয়ে আছে?কঠিন তীব্রতার মাঝেও এখনো
তুমি আশাবাদী হয়তো তোমায়….

ভালবাসবে? আসলে ব্যাপারটা অনেকটা
হাস্যকর,কারণ কি জানো? তুমি দিতে
এসেছো, নিতে নয়?…কিন্তু…?
——————————————–

শিরোনাম:- জীবন
কলমে:- রঞ্জন ঘোষ
তারিখ:- ১৪/১২/২২

জীবন সবসময় যায় না কারো এক রকম
সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনের থাকে ভয়,
এটাই বোধহয় মানুষের জীবনে চরম সত্য,
সময়ের সাথে তাই তাল মিলিয়ে চলতে হয়।

জীবন কখন কাকে কোন পরিস্থিতিতে এনে দাঁড় করায়
কেউ ভাবতে পারেনা আগে থেকে কখন কি হয় ঝামেলা,
সবাই কে তাই অপেক্ষা করতে হয় সেই সময়ের জন্য,
যাতে সাহসের সাথে পরিস্থিতির করতে পারে মোকাবিলা।

জীবনে আছে উত্থান পত্তন যার থেকে নেই কারো মুক্তি
তাই সব সময় থাকতে হবে তাকে প্রস্তুত পেতে পরিত্রাণ,
তা না হলে জীবনে দেখা দেবে হাজার রকমের বিড়াম্বনা,
যে পারে এই পরিস্থিতিকে সামলাতে সেই হয় লাভবান।

জীবন অতিবাহিত হয় নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে
বুদ্ধি আর বিবেক দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে,
অযথা কোনোভাবেই ভয়ে ভীত হলে চলবে না কখনো,
সাহসের সাথে সংগ্রাম করে পৃথিবীতে থাকতে হবে টিঁকে।

সবকিছু ভগবানের নামে ছেড়ে দিলে কখনো চলবে না
চলবেনা বৃথা নিজের কপালকে দোষী সাব্যস্ত করে,
তোমার কাজের উপর যেন নির্ভর করবে তোমার ভাগ্য,
বুঝেশুনে বিবেচনা করে সবকিছুই রাখতে হবে ধরে।
——————————————-

Powered by themekiller.com