Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর কচুয়ায় সমাজসেবা অফিসে তথ্য চেয়ে লিখিত আবেদন করেও মেলেনি কোনো তথ্যের কপি

চাঁদপুর কচুয়ায় সমাজসেবা অফিসে তথ্য চেয়ে লিখিত আবেদন করেও মেলেনি কোনো তথ্যের কপি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বরাবরে সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম বাবুল পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম কর্মসূচীর বিভিন্ন তথ্যাদি চেয়ে লিখিত আবদেন করেও মেলেনি কোন তথ্যের কপি। কর্মকর্তা গত ২৯/১১/২০২২ইং তারিখে তাকে অফিসে ডেকে নিয়ে কোন তথ্যের কপি না দিয়ে ধরিয়ে দেন একটি অপ্রত্যাশিত চিঠি। এ চিঠির প্রতি উত্তরে বাবুল লিখিত জবাব গত ০৪/১২/২০২২ইং তারিখে সরাসরি অফিসে দাখিল করতে গেলে, কর্মকর্তা তা মোবাইলে ছবি ধারন করে নিয়ে চিঠি রিসিভ করেননি। পরবর্তী ০৫/১২/২০২২ইং তারিখে রহিমানগর ডাক বিভাগ থেকে এ কর্মকর্তার বরাবরে পুনরায় রেজিষ্ট্রিযোগে চিঠি প্রেরন করা হয়। যার নং-৩৮০, তাং-০৫/১২/২০২২ইং। তিনি রাষ্ট্রীয় ডাক বিভাগের এ চিঠিটিও গ্রহন না করলে, রবিবার (১১ ডিসেম্বর) একই ডাকযোগে বাবুলের নিকট ফেরত আসে। এতে সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম বাবুল বেশ হয়রানির শিকার হয়ে আসছে বলে জানান তিনি । কর্মকর্তা ২৯/১১/২০২২ইং তারিখের নিজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে যে বিষয় গুলো অবতারনা করেছেন তার প্রেক্ষিতে বাবুলের জবাব হুবাহু তুলে ধরা হলো-
আপনি যখন লিখিতভাবে আমাকে পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমের কর্মসূচীর চাহিত তথ্যের জন্য মুঠোফোনে আবেদন করতে বলেছিলেন তখন স্টিয়ারিং কমিটির অনুমতি প্রয়োজন হবে এ বিষয়ে না বলে বলেছেন জেলা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে তথ্য প্রদান করবেন। আপনি মুঠোফোনে আরও বলেছেন যে, এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অফিসের ইন্টারন্যাল বিষয় (গোপনীয় বিষয়) এবং বলেছেন যে, কোন অভিযোগ থাকলে আপনি সংবাদ করুন। সে প্রেক্ষিতে জনগনের দায়বদ্ধতা থেকে আমি অনলাইন পোর্টাল ও আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি হতে তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করি। এ সংবাদে আপনার কিংবা আপনার কার্যালয়ের সম্মানহানি হয় এমন কোন উদ্দেশ্য বিদ্যমান নেই। শুধুমাত্র তাৎক্ষনিক দায়িত্বের দায়বদ্ধতার লক্ষ্যে জনগোষ্ঠির দ্বার প্রান্তে সংবাদ পৌছানোর জন্য আমার নিকট যে টুকুর তথ্য প্রমানাদি ছিল, সে টুকুই প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনি বলেছেন ইতোপূর্বে আপনার কার্যালয়ে এসে আমি কয়েকবার হট্টগল বাধিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি কি ধরনের বিশৃঙ্খলা বা হট্টগল করেছি তা আপনি চিঠিতে উল্লেখ করেননি। একজন সাংবাদিক হিসেবে তথ্য আইনের অধীনে আপনার কার্যালয়ে গিয়ে তথ্য চাওয়ার অধিকার রাখি।
পত্রে আপনি আমার উপর সংক্ষুদ্ধ হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের মনোভাব পোষন করেন। আমাকে স্বাধীন ভাবে তথ্য প্রকাশ এবং আমার কন্ঠরোধ করতে আপনার এ কথা হুমকি স্বরূপ নয় কি? নাকি আপনি আইনের কথা বলে আপনার নিজের কোন অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে চান।
আমার আবেদনে আমি পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদিকাদের সম্মানি প্রদান বরাদ্দের কপি, মাষ্টার রোল ও চেক স্বাক্ষরের নোট এর কপি চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর হতে ২০২১-২০২২ পর্যন্ত ৩ বছরের সম্পাদিকাদের সম্মানির বরাদ্দ আসছে। এর মধ্যে আপনি আপনার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সম্পাদিকাদের সম্মানি উত্তোলন পূর্বক কয়েক ধাপে প্রদান করেছেন এবং ২০২১-২০২২ অর্থ-বছরের সম্পাদিকাদের সম্মানি ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে যা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। আপনার চিঠিতে বরাদ্দের কপি সংযুক্ত লেখা থাকলেও পত্রের সাথে কোন বরাদ্দ কপি বা আমার চাহিত কোন তথ্যের কপি দেননি।
সম্পাদিকাদের সম্মানির টাকা ধাপে ধাপে প্রদান এবং তাদের খেলাপী ঋনের সাথে সমন্বয় করে সম্মানি প্রদান করেছেন বলে যেটা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সে বিষয়ে উপজেলার স্টিয়ারিং কমিটির রেজুলেশনে এজেন্ডাভিত্তিক কোন আলোচনা এবং অনুমোদন ছিল কিনা তা আপনি আপনার চিঠিতে উল্লেখ করেননি। কিংবা রেজুলেশনের কোন কপি সংযুক্ত করা বা আমাকে দেননি।
আপনি আপনার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, আমার কর্মকান্ডে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে নিয়ে কাজ করতে আপনার মনোবল ব্যাহত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বলতে চাই সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির যাতে সঠিক সেবা নিশ্চিত হয় এবং তাদের অধিকার যেন ক্ষুন্ন না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে সঠিক তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করাই আমার মূল উদ্দেশ্য।
এদিকে আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমার বরাবর আপনার স্বাক্ষরিত যে চিঠি দিয়েছেন উক্ত চিঠিতে অফিসিয়াল কোন স্মারক উল্লেখ করেননি। অফিসিয়াল তথ্য সম্বলিত কোন চিঠি অফিসিয়াল স্মারক বিহীন প্রেরনের কোন বিধান আছে কিনা, তা আমার কাছে প্রশ্নাতীত। আশাকরি আমার চাহিত তথ্যের সাথে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিবেন।
সাংবাদিকরা জনগনের বন্ধু এবং জনগনের পাশে থেকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে জনকল্যানার্থে থাকতে চায়। সেক্ষেত্রে আপনার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
চিঠিতে আপনি সর্বশেষ কথায় আমাকে প্রকৃত সত্যের আলোকে পুন:সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ করেছেন। এ প্রেক্ষিতে আমি পূর্বের আবেদনে এবং আপনার চিঠির আলোকে নিম্মোক্ত তথ্যাদির কপি প্রেরন করিলে প্রকৃত সত্যের আলোকে সংবাদ পুন:প্রকাশের জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সহযোগিতা থাকবে।

চাহিত তথ্যাদি:১, পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদিকাদের সম্মানির ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থ-বছরের বরাদ্দ কপি ২, সম্মানি বিতরনের মাষ্টার রোল ৩, চেক স্বাক্ষরের নোট ৪, সম্পাদিকাদের ধাপে ধাপে সম্মানি প্রদান সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের স্টিয়ারিং কমিটির রেজুলেশন কপি
৫, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাংকে সংরক্ষিত সম্মানি টাকার ব্যাংক স্টেটম্যান্ট।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮/১১/২০২২ইং তারিখে অনলাইন পোর্টাল ও বাবুলের নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছি তা হুবাহু তুলে ধরা হলো:

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো: নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদিকাদের ভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বস্তসূত্র জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৫ জন পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদিকাদের ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্রতিজনের সম্মানি ভাতা মাসে ১ হাজার টাকা করে ২ বছরে ২৪ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি কাউকে ১২ হাজার ও ৫ হাজার টাকা করে দেয়। সম্পাদিকাদেরকে বরাদ্দকৃত টাকার পরিমানও জানানো হয়নি। এমনি তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিনিধি গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) ছুটে যান একাধিক পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদিকাদের কাছে। তারা জানান, গত ১০/১২ দিন পূর্বে আমাদেরকে ১২ হাজার টাকা করে দিয়েছে। আবার কাউকে ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে। তারা আরও জানান, আমরা প্রায় ১৪/১৫ বছর কোন ভাতা পায়নি। শুনেছি আমাদের জন্য প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে ৪ বছরের ভাতা আসছে। কিন্তু আমাদেরকে ওই টাকা দেয়ার সময় আর কিছুই বলেনি। প্রতিনিধির এ তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত থাকা অবস্থায় রবিবার (২৭ নভেম্বর) তাদের ডেকে নিয়ে পুনরায় প্রতিজনকে ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাহিদ ইসলামের নিকট ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের পল্লী মাতৃকেন্দ্রের বরাদ্দের কপি, সম্পাদিকাদের সম্মানী প্রদানের চেক স্বাক্ষরের নোট ও ভাতা প্রদানের মাষ্টার রোলের কপি চাওয়া হলে তিনি বলেন- এটি আমাদের ইন্টারনাল বিষয়। আপনার এসব তথ্যের কপি প্রয়োজন হলে আমার বরাবর লিখিত আবেদন করুন, আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠাবো। এ প্রতিনিধি এসব তথ্যের জন্য সোমবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন দাখিল করে।
বিষয়টি পল্লী মাতৃকেন্দ্রের সম্পাদিকারা তাদের জন্য কত মাসের বা কত টাকা বরাদ্দ আসছে তা জানতে চায়।

Powered by themekiller.com