Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতা ঃ যথার্থ প্রেম হয়নি।
কলমে ঃদিলরুবা।
তাং ঃ১০-১২-২২

কথা রাখেনি তরুলতাও
চলে গেছে বহুদূরে,
প্রেম প্রিয়াসীর মনে মাঝে
ঘুন ধরেছে তারে ।

প্রেম খেলেছে মনের ফাঁদে
ভয় ঢুকেছে অন্তরে,
প্রেম যমুনার বিষাদ চরে
ঢেউ খেলেছে তীরে।

ইচ্ছে ছিলো ঘুরবো দু’জন
তরু লতার মন্দিরে,
সুবাস মেখে গন্ধ নিবো
হাঁটবো স্বজন বন্দরে।

তবুতো কেউ রাখেনি কথা
জীবনের সন্ধানে,
ইচ্ছে ছিলো মনের মাঝে
বাঁধবো প্রেমের বন্ধনে।
——————————————–

শিরোনামঃ হলুদ ফুলে ফুলে
কলমেঃ রুমি খাতুন কল্যাণী
তাং-১০/১২/২০২২
——————————
হলুদ ফুলে ফুলে মুখরিত চারিদিকে
কি অপরুপ এক পরিবেশ,

ফুলে ফুলে ভ্রমর উড়ে মধু আহোরণের নেশায়
এ যেন এক গভীর সন্নিবেশ।

ফুলের সাথে ভ্রমরের কি সুন্দরতম মুহুর্ত
সরিষার ফুল যেন দিয়েছে আলাদা এক গুরুত্ব।

ওহে ফুল তুমি অপরুপ তুমি কোমল,তুমি নিশ্পাপ।

সবাই তোমায় ভালোবাসে,কেউ করে না অবহেলা,
তুমিই ভালো লাগা,তুমিই ভালোবাসার এক উপমা।

কি সুন্দর তম সৃষ্টি, দেখিতে দেখিতে আঁখি মোর জুরে যায়,
এই তো আমার সোনার দেশ,এমন শান্তি পাবো আর কোথায়।
——————————————–

তবে কি তুমি প্রেম ছিলে
————————————
✍️নির
————

তাকে ভালোবাসতাম আমি
এখনও ভালোবাসি কিনা জানিনা!
সকালের অবসরে ভাববো ভেবেছিলাম
কিন্তু সে সকাল কোথায়?
বসন্ত এলে রঙিন সকাল পাবো
সুরেলা কোকিলের ডাক শোনার অবকাশ পাবো
নীল আকাশ পাবো,
ওরা হয়তো জানে আমি তাকে এখনো ভালোবাসি কি না।

পুরোনো ডাকবাক্সটা এখনো ঝুলছে সদর দরজায়
জমে আছে তার শেষের চিঠিগুলো
পড়ার অবকাশ হয়নি এতদিন
সে যদি মৃগতৃষ্ণতার মতো
অবগুণ্ঠনে প্রেম লুকায়
তবে আমার নিরবতা ভেঙ্গে
হৃদয়ে বৈতাল মরুভূমি
চোখের কোণে লুকানো দুফোঁটা জল
হৃদয়ে আজও সযত্নে শুধু তুমি।

সে কি আজও আমায় ভালোবাসে
নাকি আজ সবই অতীত
ভালোবাসা স্মৃতি – দগ্ধ হৃদয় – অঙ্গার
বসন্তে ফুল ফোটে
নীল আকাশে সূর্যছটায় ভোর হয়
অবসরে আমি ভাবি তার কথা
চারিদিকে ধুসর বালির নিরবতা ধূ ধূ
তবে কি সে প্রেম ছিলো
নাকি প্রেমের মতন শুধু।।

রচনাকাল।
১০/১২/২০২২
——————————————–
আমাকে ভালোবেসে
———- মিতু

কতটা বিষন্নতায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে
একাকী রাত্রিযাপন করে চাঁদ।

তবুও নির্মল আলোর পথটা দেখায়।

বিশাল শূন্যতায় একা আমিও,

দাঁড়িয়ে আছি অতন্দ্র প্রহরী।

ভালোবাসি যদি রাগ-অনুরাগে ছন্দহীন জীবনে,

ভালোবেসে লোভ হয় যদি
প্রজাপতির রঙে রঙ্গিন হবার ।

সাদা কাশ ফুলে সাজ পরিবর্তন হতে নেই যে,

বোঝ যখন —তখন কেন অসত্য ভালোবাসার দাবি তোমার।

আমাকেই কেন বারবার পোড়ানোর ইচ্ছে হয়।

দগ্ধতার দাহে কতোখানি ঝলসে ওঠে,

ঘুমিয়ে রাখা অন্দর দেখতে পা-ও কি।

জানি দেখার দৃষ্টি আকর্ষণ করে না,

শুধু সূচনার অধ্যায়ে আলোচিত একটি কথা
বোধ সত্তার খোলসে আটকে রেখেছ
আমাকেই ভালোবাসাতে হবে বলে।

কিন্তু আমি তো মেহেদী পাতার মতো
ভিতরটায় রক্তাক্ত লাল পাথুরে নদী।

বহমান জল হতে পারিনা।

আমাকে ভালোবেসে রক্তের শিরা-উপশিরায় ছিদ্র করোনা তুমি।
——————————————–

কর্ণের মা কুন্তী
নিবন্ধন

সুখরঞ্জন ঘোষ
কাঁটাটোলী নেতাজিনগর রাঁচি-1
1,12,2022

প্রায় পাঁচ হাজার বছর পার করে
আজও মানুষের মনে রয়ে গেছে
সংশয়, কুন্তী দেবীর চরিত্র নিয়ে ।
বিশেষ করে কর্ণের জন্ম নিয়ে ।

খুব সম্ভব দুর্বাসা ঋষির দেওয়া বরকে
অবিশ্বাস করার ফল ভোগ করতে হয়েছে
তাকে ।

একবার দুর্বাসা ঋষি গিয়েছিলেন রাজা
শুরসেনের বাড়ি ।
সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে অতিথিকে থাকা
খাওয়ার করেন সুব্যবস্থা । এবং তাঁর নিজের
কুমারী মেয়ে কুন্তীকে নিয়োগ করেন তাঁর
সেবা যত্ন করার জন্য ।

কুন্তীর একনিষ্ঠ সেবা যত্ন পেয়ে খুব খুশি
হয়েছিলেন তিনি ।
যোগবলে জানতে পারেন তিনি ,কুন্তীর বিয়ে
হবে হস্তিনাপুরের প্রতাপশালী রাজা পাণ্ডুর
সাথে ।
যোগবলে আরো জেনেছেন তিনি, কুন্তীর
স্বামী সন্তান উৎপন্ন করতে থাকবেন
অক্ষম ।
প্রধান কারণ ,ঋষি কিংদম এর দেয়া
অভিশাপ ।

শিকার করতে গিয়ে রাজা পাণ্ডু শব্দভেদী
বান মেরে করেছিলেন হত্যা, ঋষি কিংদমকে ।
রতি ক্রিয়ার মুহূর্তে ।
মৃত্যুকালে দিয়েছিলেন তিনি অভিশাপ রাজা পাণ্ডুকে । তোমার ও মৃত্যু হবে এমনি মুহূর্তে ।
হয়েছিল তাই । দ্বিতীয় স্ত্রী মাদ্রীর সাথে — ,
ঘটে তাঁর প্রাণ হানি ।

দুর্বাসা মুনি যোগবলে কুন্তীর ভবিষ্যতের
কথা জানতে পেরে তাকে বর দান করেন ।
এবং সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন,
তোমরা জীবনে এরকম পরিস্থিতি আসতে পারে ,তখন দরকার মনে করলে এই মন্ত্র
পড়ে যে দেবতাকে আমন্ত্রণ করবে সে
এসে করবেন তোমার মনকামনা পূরণ ।

সংশয় দেখা দেয় কুন্তীর মনে ।
যুগ যুগ ধরে সাধনা করে পায়না মানুষ
যাদের দর্শন , মাত্র এই দুটো মন্ত্র পড়ে
তাদেরকে আমন্ত্রণ জানালে এসে
করবেন তার অভিপ্রায় পূরণ !
এ কিভাবে সম্ভব ! যেন বিশ্বাস করতে
পারছিলেন না কুন্তী ।
বাচ্চা মানুষর মন কৌতূহলী হওয়া
স্বাভাবিক ।

যমুনার জলে স্নান করে উঠে সূর্যদেবকে
প্রনাম করার সময় মনে পড়ে যায় সেই
ঋষির দেওয়া মন্ত্রের কথা ।
হয়তো মনে মনে জপে ছিলেন সেই
মন্ত্র ।সাথে সাথে এসে প্রকট হন সূর্যদেব
তার সামনে । এবং স্মরণ করিয়ে দেয়
ঋষির দেওয়া বরদানের কথা ।

ভয় পেয়ে যায় কুন্তী । সে যে এখনো
কুমারী মেয়ে ।
ঋষির দেওয়া বচন করা যাবে না উল্লঙ্ঘন ।

বিধির বিধান না যায় খন্ডন ।
পরিণতি যা হবার হয়ে গেছে ।

বিয়ের পর বংশ রক্ষার কোন উপায় খুঁজে
বের করতে না পেরে দুর্বাসা ঋষির দেওয়া
বরদানের কথা বললেন স্বামীকে। এবং তার
সম্মতি নিয়ে নিজে তিন বার আর সতিন
মাদ্রীর জন্য দুই বার ,এক একজন দেবতাকে
আমন্ত্রণ জানিয়ে করেছিলেন সন্তান ।
সেজন্য কেউ তাঁকে কুলটা অথবা পতিতা
নারী বলে অপমানিত করেনি ।

আজও মানুষের বিশ্বাস । পঞ্চ সতী নারী —
অহল্যা, দ্রৌপদী , কুন্তী , তারা , মন্দোদরীর
নাম জপ করে , করেন মহা পাপ নাশ ।
——————————————–

তখনই যে কেউ আসে
✍️ অভিজিৎ কর্মকার
তারিখ: ১০/১২/২০২২
————
যখন কিছু কথা লুকায় উদাস গানে ,
ফুরায় যখন দৃষ্টিরেখা অসীম দিগন্ত পানে ,
তখনই যে কেউ আসে ।
ডাক দিয়ে যায় আমার বাড়ির পাশে ।।

যখন কিছু কথা বিকাল এনে দেয়,
সেই বিকালে রঙিন পাতা দৃষ্টি ছুঁয়ে যায় ,
শালিক চড়ুই গল্প করে মনের বারান্দায়,
তখনই যে কেউ আসে ।
আমার বাড়ির পাশে ।।

যখন কিছু কথা কুসুম হয়ে ফোটে,
নদীর যতো ঢেউ গুলো সব আমার ঘাটে ওঠে,
ডাকপাখিরা ডানায় করে ভর ,
খুঁজছে নিজের ঘড়,
তখনই যে কেউ আসে ।
আমার বাড়ির পাশে ।।

যখন কিছু কথা আর কতো যে ব্যথা,
ঘুমিয়ে থাকে পথে ধূসর ঘূর্ণি স্রোতে ,
দুচোখ খোলা মালগাড়িটা দেখতে না যে পায় ,
দরজা গুলো বন্ধ রেখে অসীম বেগে ধায় ।
তখনই যে কেউ আসে
আমার বাড়ির পাশে ।।
——————————————–

Powered by themekiller.com