Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

শিরোনাম-এমন স্পর্ধা কি আমার আছে।
কলমে-বিজন রায়।
তাং-০৩/১২/২০২২.
———————————

তোমাকে ভুলে যাবো —
এমন স্পর্ধা কি আমার আছে!
আমার এই দুচোখ তোমায় আর খুঁজবেনা
এমন ও দিন যদি আসে
যেন হই আমি দৃষ্টিহীন তার আগে।
পড়ন্ত বিকালে সন্ধ্যার ঠিক একটু আগে
অস্তমিত সূর্য্যের মৃদু আলোর আভায়
ছন্দ যে খুঁজব-
এমন সাহস ও কি আমার আছে।

পাছে তুমি ভুল বোঝ শুধু এই ভয়ে
আড়ালে থাকি,কিন্তু,বিশ্বাস কর
শরতের কাশবন যবে ভরে ফুলে-ফুলে
একাকী তার পাশে বসে-
একটি কবিতা লিখব এমন অমিত শক্তি
ও কি আমার আছে।
রাত্রির প্রগাঢ় আধাঁরে নিস্তব্ধ হলে জনপদ
নক্ষত্র পানে চেয়ে যে রব
এমন সাধ্য ও কি আমার আছে।
তুমি থাক আমার হৃদয়ে-
শিরা উপশিরায়,মিশে গেছ রক্তে,
তোমাকে ভুলে যাবো —
এমন স্পর্ধা কি আমার আছে!
——————————————–
মূষিকের আর্তনাদ
✍️ অভিজিৎ কর্মকার
তারিখ: ৩/১২/২০২২
————
হিসাবের খাতা গুলো ধুলোমাখা
ঘুটঘুটে অন্ধকারে এককোণে রাখা।
সেই কোণেই দেওয়ালে ছোপ
একটু একটু করে নিয়ত ফুলছে,
মাকড়শার জাল উপরে একান্তে দুলছে।
ভিতরে দুরাত্মার আনাগোনা
পাশে ছিদ্র রয়েছে বিনিদ্র অশালীন
বাহিরে নির্বিকার অচেতন অর্বাচীন।
হেমন্ত শীত বসন্তের চালিকারা ধ্যানমগ্ন
গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষা , বর্ষা পেরিয়ে শরতে
রোদ-বৃষ্টি ভিড় করেছে স্বপ্নের ইমারতে।
মাস্তুলের আলকাতরা গলছে অবিরত
সুসজ্জিত অর্ধ নিমজ্জিত ডিঙি
জালে ছটফট প্যাঁকাল মাগুর সিঙি ।

কুচিকুচি পাতার মাঝে হটাৎ দাঁতে পাথর
অতন্দ্র প্রহরী শুনেছে মূষিকের আর্তনাদ
মূষিকের সামনে যেনো গভীর খাদ।
কি আছে খাতায় ?
কি ছিলো ছিন্ন পাতায় ?
হয়তো সে পাতা লাগাতো জোড়া
হয়তো সে খাতা ছিলো ছন্দে ভরা !
অক্ষর গুলো গেলো ধেরে মূষিকের পেটে
নীরব কফিনে মোড়া শহরের পরাজয়!
——————————————–
ভালোবাসার ধর্ম নেই
সানোয়ার হোসেন

যেদিন তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম!
সেদিন কোনো জাতপাত ছিলো না।
যেদিন তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম!
সেদিনও কোনো জাতপাত ছিলো না।
ছিলো না সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভাবনা।
সেদিন তুমি হিন্দু ছিলে না, ছিলে না মুসলিম।
ছিলে একজন মানুষ, হৃদয়বান মানুষ!
তোমার হৃদয় ছিল খুব কমল শিশুর মতো!
আর তোমার হাসি ছিল শিশিরে ভেজা
উচ্ছাসিত উদ্ভাসিত জলের মতো স্বচ্ছ,
জলের কি জাতপাত থাকে?
উপরের আকাশের কি জাতপাত আছে?
যে মাটিতে গড়া মানুষ, সে মাটির?
জানি নেই।।

তবে মানুষে মানুষে কেনো এতো জাতপাত?
কেনো এতো বিভাজন?
বয়ে যাক! মানুষ আরো বয়ে যাক জাতির দ্বন্দ্ব।
আরো চৌরা করে গড়ে তুলুক সাম্প্রদায়িকের দেওয়াল।
তাতে আমার কিছুই আসে যায় না।
কারণ, সকল সাম্প্রদায়িক চেতনা পেড়িয়ে এসে
আমি তোমাকে ভালোবেসেছি।
এবং সারাটা জীবন বেসে যাবো।
আমার ভালোবাসার কোনো ধর্ম নেই।।
শুধু ভালোবাসাটাই ভালোবাসার ধর্ম।
——————————————–
কবিতার নাম-বাঙালির ভূখণ্ড ভুবন
কবি-রঞ্জন রায়
রচনার তারিখ-১৬/০৫/২০২১,রবিবার,শ্রীপুর
_________________________
বারবার বজ্রপাতের মতো
নেমে আসে সাম্প্রদায়িকতার সংঘাত
বাঙালির বাঙ্ময়জীবনে।
সাতচল্লিশের দেশভাগ
সাম্প্রদায়িকতার সমৃদ্ধ সংলাপ।
সর্বজন পরিচিত সম্ভ্রান্ত নেতারা
সেদিন হয়েছে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক।
দ্বিজাতিতত্ত্বের দ্বান্দ্বিকতায়
আবহমান কালের বাঙালিজাতি
বিভক্ত হয়েছে হিন্দু আর মুসলমানে।
হাজার বছরের নিপীড়িত বাঙালি
বর্ণবাদী ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধাচারে
দলে দলে মুসলমান হয়েছিল একদিন।
তাঁরাই আবার বেনিয়ার চক্রান্তে
নতুন করে শিকার হলো ব্রাহ্মণ্যবাদের,
দেশভাগ হলো
জাতিভেদের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে।

প্রত্যক্ষ করলো বাঙালি
রক্তেরঞ্জিত নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা,
খুলনা কলকাতার কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গন।
কুরুপাণ্ডবের ভ্রাতৃত্বের ভয়ঙ্কর লড়াই,
একদিকে বন্দে মাতরম ধ্বনি,
অন্যদিকে আল্লাহ হু আকবর।
একদিকে মীরজাফর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,
অন্যদিকে উমিচাঁদ জওহরলাল নেহেরু।
দুর্যোধনের পক্ষ নিয়ে বসে আছে
অহিংসার মন্ত্রধারী,দৃষ্টিহীন ধৃতরাষ্ট্র
মহাত্মা গান্ধী,মনুবাদের অগ্রনায়ক।
সুদর্শন চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অবতীর্ণ
ভারতের নতুন ভাইচরয় মাউন্টব্যাটেন।
চোখবুজে বিভক্তির বিশ্বকর্মা য়ার্টক্লিপ
আঁকলেন উদ্ভ্রান্তের মতো
ভারতের মৃতকল্প মানচিত্র।
ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গায় নিভে গেলো
লক্ষ লক্ষ মানুষের নিষ্পাপ প্রাণ,
শরণার্থী জনতার সুতীব্র হাহাকারে
ভরে গেলো ভারতের আকাশ বাতাস।
হতে পারতো স্বাধীনতা সংগ্রাম
মেঘনাদ রাবণির মহাকাব্যগাঁথা,
হয়নি তা,
হয়ে গেলো শয়তান শকুনির নীলনকশাজাত
বিভক্ত জন্মভূমির করুণ ক্রন্দন।
হতে পারতো স্বাধীনতা মুক্তিসনদ
মেহনতি মানুষের কাছে,
হতে পারতো স্বাধীনতা অসাম্প্রদায়িক,
হতে পারতো স্বাধীনতা দুখি জনতার
অর্থনীতির টেঁকসই ভিত।
হতে পারতো স্বাধীনতা হিন্দু মুসলমানের
ঐক্যবদ্ধ সমর্থনে,
সিপাহি বিদ্রোহের মতো।
হতে পারতো শ্রমিকের ধর্মঘট,
অসহযোগ আন্দোলনের সবুজ ফসল,
আজাদহিন্দ ফৌজের আমরণ হুঙ্কার,
অখণ্ড ভারতের অসীম আকাশ।
হতে পারতো আন্দোলন রাশিয়ার মতো,
ভেসে যেতে পারতো চীনের বিপ্লবী প্লাবনে
ভারতের সাম্প্রদায়িক অশণিসংকেত।
ভ্রান্তনীতিতে তাই ভ্রাতৃরক্তে ভেসে যায়
গঙ্গাযমুনাসরস্বতী ত্রিবেণীসঙ্গম।
মাতঙ্গিনী হাজরা,ময়না কুমারী,
অরবিন্দ ঘোষ,মাওলানা আজাদ,
শরিয়তুল্লাহ,তিতুমীর,বিপিনচন্দ্র পাল,
লালা লাজপত রায়,ভগৎ সিং,
বালগঙ্গাধর তিলক,কাজী নজরুল ইসলাম,
স্বামী বিবেকানন্দ,তাতিয়া টোপি,
নানা সাহেব,ফকির মজনু শাহ,দয়ানন্দ সরস্বতী,
গোপালকৃষ্ণ গোখলে,মঙ্গল পাণ্ডে,
লক্ষ্মী বাই,অরুণা আসফ আলি,
টিপু সুলতান,দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস,
ক্ষুদিরাম বসু,প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার,
মাস্টারদা সূর্য সেন,সুভাষ চন্দ্র বসু,
বিনয়,বাদল,দিনেশ,আশফাকুল্লা খান,
রামপ্রসাদ বিসমিল,আবুল কালাম আজাদ,
মাওলানা ভাসানী,কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
গুরুচাঁদ ঠাকুর প্রমুখ আরো অনেক স্বাধীনতাসংগ্রামী
হতে পারতো আমাদের স্বপ্ননায়ক।
হয়েছে যা মনুবাদী জাত্যাভিমান,
গণতন্ত্রের নষ্ট দানব,
তাতারের তীক্ষ্ণ তরবারি,
সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের গোড়া পত্তন।
অশান্ত পাঞ্জাব কেঁদে ওঠে,
কাশ্মীরে শোনা যায় হাহাকার ধ্বনি,
পাকিস্তানে সিন্ধুনদের জলে
বিন্দু বিন্দু রক্তের ঢেউ,
বাংলাদেশে কেঁদে ওঠে
ত্রিশলক্ষ শহিদের মা,
আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে
উলঙ্গ জননীর অভ্রভেদী চিৎকার,
ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গার ইতিকথা যেন।
আর কত দেখবো বলো
বাঙালির বীর্যহীন বিচলিতমুখ!
কেউ কাঁদি বাংলাদেশে,
কেউ কাঁদি পশ্চিম বাংলায়,
কেউ কাঁদি সাধের পাকিস্তানে,
দণ্ডকারণ্যে কেউ ক্রন্দনরত,
মরিচঝাঁপিতে কেউ মরণের পারে।
আসামের অন্ধকারে আলো খুঁজে খুঁজে
জীবনের আলো গেছে নিভে,
ত্রিপুরার মানচিত্রে খুঁজে ফিরি বাঙালির ত্রিপুরারি ত্রিশূলধারক।
সমগ্র ভারতজুড়ে বাঙালির অংশুমালী
অস্তমিত যেন,
তাঁরা আজ উৎপীড়িত উদ্বাস্তুর দল।
জানিনা কতদিন পরে আবার আসবে ফিরে পলাশীর আম্রকানন,
এবার আমরা হবো অভিমন্যু অরিন্দম,
অয়োময় অরাতিসূদন,
জিতে নেবো পুনরায় বাঙালির ভূখণ্ড ভুবন।
——————————————–
তারিখ ঃ -–03/12/2022 ইং ।

– শরীফ নবাব হোসেন ।

ঃ অপরূপ পারিজাতে বাংলা মা ঃ ! !

শিশির ভেজা
মাটির গন্ধে
হেমন্তে গাঁয়ে
সোনালী ধানে ।।

শীতের পিঠা
খেজুর রসে
আনন্দে খাব
মেলায় বসে ।


অগ্রহায়ণের ঝরা কুয়াশা
শুভ্র শৈলের ধুয়াশা
ঝর্ণার ছল ছল ধারা
সে নয়নাভিরাম নজর কাড়া ! !

এ বাংলা মাতা
লাবণ্যে গাঁথা
ভুবনে সেরা
অনিন্দ্যে ঘেরা ! !

শরীফ নবাব হোসেন ।
——————————————–
গরমিলে ভরা
আফ্রূজা খাতুন
3/12/22

চাই আরো চাই-মরিচিকা সবই
বৃথাই সময় ক্ষয়,
যতো তুমি বেঁধে যাও নিজের মতো
সবি শুধু অপচয়।

দিন শেষে পড়ে থাকে সবকিছু
বেহিসেবি আমার আমার,
নিজেকে হয়নি পাওয়া নিজের করে
তরী এসে ভিড়েছে সময় নামার।
——————————————–

Powered by themekiller.com