” আদি বৃক্ষের শিড়দাঁড়া ”
– আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন
যখন ঝড় বয়ে যাচ্ছে বৃক্ষের শরীরে আঘাত হেনে
তখন দূরে আতঙ্কিত ভেড়ার চোখে আশ্রয়ের খোঁজ।
যে বৃক্ষের তলে বৃষ্টির জলে নিরপাদ, সেই আক্রান্ত
ভেড়াটি তখনও দেখছিল আদি বৃক্ষ ও ঝড়ের তাণ্ডব।
রাখাল ছুটে গিয়ে আচমকা ঠাঁই নিলো গর্তের ভাঁজে
সেখানেও ঝড় ও বৃষ্টির সমান দাপট, তবুও তো আশ্রয়।
বিচ্ছিন্ন ডালপালা বিক্ষিপ্ত ভাবে উড়ছে, ছুটছে সমস্ত
দূর থেকে কৃষক তার মাতলা হারিয়ে গামছা বেঁধেছে।
কাক ও কোকিল বুঝলো- ডালের ভাঁজে তারও নীড় শেষ
এ বৃক্ষের মৃত্যুর তাণ্ডবে তার শিশুর লাশটাও আজ উড়বে।
বৃক্ষের তখন ত্যাগের পর্ব, ডাল পালা, পাতা, লড়ছে তবুও
বিকট চিৎকারে মেঘের বিদ্রুপ সয়ে লড়ছে আদিম আদি বৃক্ষ।
ঝড় এক সময় নিজেও নিঃস্ব হলো, শক্তি হারালো, থামলো
কাক,কোকিল, কৃষক এবং ভেড়াটাও তখন ইতিহাস দেখছে।
একটি বৃক্ষ সব হারিয়েও শিড়দাঁড়া খাড়া করে এখনও দাঁড়িয়ে।