Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতা — মুখোশে মৃত্যুর মুখ
শ্যামল ব্যানার্জী
২৮/১১/২০২২

যতই চেষ্টা করোনা কেন
মুখ আমার ঢাকা আছে,
জমাট ধুসরতায়,,
মুখ নয়, মুখোশ পাবে শুধু,
আস্তিনের নীল সাপ অম্ল ঢেকুর তোলে।

আতঙ্কের অনিশ্চিত অদৃষ্ট কে আমি
তুড়ি মেরে ওড়াতে চেয়েছি যদিও,
পারিনি, কালো পিপড়ের সাড়ি,
মৃত্যুর মক্ষিরানী দাঁড়িয়েছিলো তখন
মাথার কাছে।
কি করে বলি, ওটা নাজমা ছিলো,
আমার মৃত্যু ঘটে গেলে, বলেছিলো,
প্রতিশোধের শপথ ভেঙে দেবে।

আমায় চিনতে চেওনা আজ
পারবে না,
মুখোশে মৃত্যুর মুখ রেখে গেছে
নাজমা কখন
সে কথা আমি জানিনা নিজেও,
ভুলে গেছি সব সন্ধ্যার নির্জন উপাসনা ।

তারপর সেই থেকে হাঁটছি শুধু
পথ থেকে পথে
দেবত্বের অভিলাষে।
কত পথ প্রান্তর, নগর পেরিয়ে অবশেষে
যেখানে এলাম,
দেখলাম, সেখানেও, পথের শেষে নাজমা দাঁড়িয়ে
বিজ্ঞাপনের হাসি নিয়ে,
বলছে, দেবত্ব তোমার নয়।

ঠিক তখনই বুকের ভেতর কি যেন নড়াচড়া করে, বাঁ দিক থেকে উঠে যায় হেলেদুলে,
বুঝতে পারি, সেই বিষাক্ত সাপটার নড়াচড়া,
খেলছে এখন এদিক ওদিক,
আমি নিজেই নিজের হাত বাড়াই,
ছোবল খাই, বিষে নিল হই,
শান্ত করার বৃথা চেষ্টা।

আসলে, নাজমাই সাপ হয়,
নাজমাই ঝাঁপি হয়, বন্দী হয়, বুকের ভেতর।
যতই চেষ্টা করোনা কেন,
মুখ আমার ঢাকা আছে নিরন্ন উপবাসে,
অনুভূতিহীন, নীতিবিবর্জিত
মুখ নয়, মুখোশ পাবে শুধু।
দিন কাটে যেন
প্রাণহীন নির্ঝরের জলছবি
আমরা কোথায় আছি জানিনা তা
পৃথিবী ক্রমশ ছোটো হয়ে গেছে
গোষ্ঠীর মতো বিভক্ত অঞ্চলে
সারা ইউরোপ থেকে পুরো এশিয়ায়।
শান্তিহীন দুশ্চিন্তার নগরিতে
আমি থাকি, তুমিও থাকো
তবু, মনে হয়, পরিচয়হীন এক পরিচয় নিয়ে বেঁচে আছি।
এ এক অরন্য রাজ, মৃত্যুর প্রহেলিকা
যেন ছেয়ে আছে দিগন্ত জুড়ে
কোথায় প্রেমের কথা,
কোথায় বা স্বান্তনার অনুভূতি,
এখন শুধুই একলা চলা।
তুমি ওপারের আমি এপারের
মাঝখানে লক্ষ্মণ রেখা,
জানি কেউ ভালো নেই
যদি কাল কথা হয়,
বলে যাবো অনেক না বলা অসমাপ্ত বলা।
নাজমা তুমি জীবনের ওপারেই থাকো।

—————————————–_–

আবাল প্রেম
আজিজুল হক, ২৮|১১|২২
সোনারোদে ভেসে গেছে আবাল প্রেম কৈশোর।
পদ্মার জলে স্মৃতির পাতা ভাটিতে ডুবছে
পাললিক তলে!
বুকের উঠানে কঠিন শিলা স্তুপ গড়েছে
আকাশ ছোঁয়া পর্বত।
বিষাদ ভরাক্রান্ত হৃদয় -মেঘ গুমরে ঢাকছে
নীল আকাশ!
আশাহত স্বপ্নেরা, স্বচ্ছ বরফ তলে ছটফট
হিমাঙ্কে ঘুমায়!
তুমি অন্ততঃ পৃথিবীর পথে, জীবন রথে
একান্ত সাহচর্য স্মরণের আস্তরণে ঢেকে
দিয়ো আজন্ম নিষ্ঠায়। তবু –
আশাজাগে হারানো অতীত -বাকির খাতায় থাক।
এসো, ধরি জীবনের নতুন হাল-লোনাজলে
উড়াই ছেড়া পাল ধরণীর অতলতলে।

——————————————–
তারিখ ঃ – 28/11/2022 ইং ।
শরীফ নবাব হোসেন ।

উন্মাদনার বিশ্বকাপ ! !

গোল গোল – শোরগোল
বিশ্বকাপ – স্নায়ুচাপ
কে হারবে – কে জিতবে
পরের ম্যাচে – কে টিকবে
আলোচনার নেই শেষ
ভক্তরা আছে বেশ !

গোলের প্রতীক্ষায় ————
সমর্থকেরা রয়েছে ভাই
হয়েছে-হয়নি গোল ? ?
বেধে গেল হট্টগোল
যে মাত্র পেল – কাঙ্খিত গোল
আনন্দে আত্মহারায় মশগোল ।।

কোথায় ব্রাজিল , কোথায় আর্জেন্টিনা
আমাদের দেশে মস্ত উম্মাদনা
ভক্তবৃন্দের জার্সি গায়ে গায়ে
খেলোয়ারের বল পায়ে পায়ে
বল পায়ে দ্রুত এগিয়ে
সবাই গোলের স্বপ্ন নিয়ে ! !

গ্যালারি ভর্তি রং-বেরং ফেস্টুন পতাকা
করছে তারা গোলের অপেক্ষা
হয় যদি একটি গোল
উল্লাসে , নাচে-গানে ব্যাকুল
খেল গোল দল যার
হতাশা , দুঃখ-বেদনা অসীম তার ।।

গোলের মারপ্যাচে টিমের সবাই দিশেহারা
গোলের পিছু ছুটছে তারা
গোল টাই গোলক ধাঁ ধাঁ
পেরুতে হয় সুকঠিন বাধা
কারো আসে হিরন্ময় জয়
মাঠ ছাড়ে কেউ নিয়ে পরাজয় ।।

শরীফ নবাব হোসেন ।

————————————-_——
কবিতা-:শব
কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)
তারিখ-:২৮/১১/২০২২

রূপালী জ্যোৎস্নায় ভিজেছে আমার শরীর—
গগণতলে যেখানে রাতজাগা পাখিরদল বেঁধেছে সুখের নীড়—
সমুদ্রের অতলজলে মাছেরা করেছে জলকেলী—–
সেখানেই নীল-নীলিমায় আমার মৌন আকাঙ্খারা মিলেছে বেদনাশ্রু হয়ে,
নীল নির্জনে পৃথিবীর সকল রঙ মিলেমিশে হয়েছে একাকার।
পৃথিবীর বুকে বয়ে চলা নদীর জলের গাঢ় রঙ রূপ করেছে আমায় মত্ত,
গোধূলির অস্তরাগের লাল মেঘ—নক্ষত্রখোচিত আঁধার রাতে রূপালী চাঁদ যেনো মায়াবী রাজকন্যে।
পৃথিবীর এত রূপ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি আমি—-
আর ভাবি—শুধুই ভাবি—-এখানেই সপ্তরাঙা শেষখেয়ায় ভাসবে আমার অন্তিমলগ্নে স্বপ্নের ঘোরে গাঙুরের জলে ভেজা শবখানি—-

——————————————–

নীল কষ্ট দেখে এসো
অধ্যক্ষ ড.গোলসান অারা বেগম

যদি সময় পাও, যেও
ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে
লেকের উত্তর পাড়ে
দেখে এসো
শোক পাখি কাঁদে কেমন সুরে
কি ভাবে ধরফর করে।

সেই সিঁড়ি বেয়ে কি করে
রক্তের প্রবাহ গড়ায়
কত হাতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়
বুলেটের ক্ষত চিহ্ন কি ভাবে
ইতিহাসে শক্তি বাড়ায়।

মুক্তিকামী জনতা বঙ্গবন্ধুকে বলতো
স্বাধীনতার ঘোষণা দাও
উড়াও লাল সবুজের পতাকা
রক্ত দেবো জীবন দেবো
তবু স্বাধীনতা চাই,মুক্তির বিকল্প নাই।

সময় পেলে টুঙ্গিপাড়া যেও
দেখে এসো
বাংলার রুপালী চাঁদ,বঙ্গের বন্ধু
পিতার পাঁজরে কি করে
ঘুমায় নির্ভাবনায়
কপাল ছুঁয়ে দেখে এসো।

কারাগাড়,রাজপথ,এজলাশ পেরিয়ে
ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের বুক জুড়ে
বিপ্লবের পদচিহ্ন, জয় বাংলা হুংকার
লাল সবুজের পতাকা উড়ে।

যদি লাশের বহর দেখতে চাও
বনানী গোড়স্থানে যেও
বঙ্গমাতা বিছিয়ে অাঁচল
বুকে ভরে ক্লান্তি
কাঁদে অার ফেলে চোখের জল
ওখানে নীল কষ্ট দেখে এসো।

——————————————–
#মূল্যায়ন
✍️– স্নেহাশিস পালিত
২৮-১১-২০২২

সময়ের মূল্য তখনই বুঝি –
এক সেকেন্ডের জন্য ট্রেনটা হাতছাড়া হলে…
হা-হুতাশ করি অপেক্ষার দীর্ঘ সময় ভেবে!

অর্থের মূল্য? এক টাকার অভাবেও,
যখন কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নটাই থাকে অধরা…
বিক্ষুব্ধ মনের গভীরে হতাশার অব্যক্ত উচ্ছ্বাসে!

স্বপ্নের মূল্য তখনই বুঝি –
হতাশার টুকরো জোড়া লাগিয়ে চলি…
সব পেয়েছির মিথ্যে কল্পনায় ভোলাই নিজেকে!

অন্ধকারের মূল্য তখনই খুঁজি –
বিনিদ্র রাতের মায়বী আবেশ ব্যাঙ্গ করে …
ভোরের স্বপ্নিল সংলাপের নিঃশর্ত আয়োজনে!

সেখানেই যেন বন্ধুত্ব এসে হাজির হয়,
মুচকি হেসে দেয় মোক্ষম দু’-চারটে গালাগালি…
বলে – আমিতো আছি, ঐ হাতটা দে!

সহস্র ‘মূল্যের’ মূল্যায়নে ডুব দেই –
খুঁজে ফিরি আমার ‘আমির’ অস্তিত্বকে…
ফিরে দেখবার আকুতিতে, বেদনাহত কৌতুহলে!

স্থান — সিপাইবাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর/২৮-১১-২০২২
সংরক্ষিত@স্নেহাশিস পালিত

error: Content is protected !!

Powered by themekiller.com