Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

কবিতা: আগাছা!
কলমে: তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য।
তারিখ: 16/11/2022

বেশরম জঞ্জাল
অনাদরে চিরকাল
অবহেলিত ও যে অবাঞ্ছিত!

যেমন জমির ঘাস
স্বভূমে পরের বাস
উৎখাত আতঙ্কে থাকে অবিরত!

আসে ভেসে চলে যায়
স্রোতের পানেতে ধায়
শ্যাওলার কিবা পরিচয়?

পথহীন পথে পথে
থাকে যারা ফুটপাতে
মাটি জানে তার পরিচয়!

মাটিই মায়ের নাম
কে দিল বেজন্মা নাম
ওয়ারিশ আছে জেনো তার!

মাটির বুকেতে যারা
সহোদর ভাই তারা
পরিচয় মা’তে সবাকার!!

——————————————–

#গল্প
#শিরোনাম: তোমার স্পর্শে।
#বুননে: ডি এম কামরুজ্জামান স্বাধীন।
_________________________________
“এই শুনছো? কাজ রেখে পাশে এসে একটু বসো।‌” কর্ম ব্যস্ত স্বামীর এমন রোমান্টিক আবদারে তৃষা অবাক বনে যায়। “কি হলো? এসো, ঘাড়ে মাথা রাখো, আমি তোমার মাথায় বিলি কেটে দেই। দাঁড়াও তার আগে দুই মগ ধোঁয়া উঠা কফি নিয়ে আসি।” কাজ পাগলা স্বামীর এমন আচরণে তৃষা নির্বাক, কিংকর্তব্যবিমূঢ়!

স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে তৃষা আর অবজ্ঞা করতে পারে না। শাড়ির আঁচলে হাত মুছে, চূলা বন্ধ করে পাশে এসে বসে, চোখে মুখে রাজ্যের হাসির ঝিলিক যেন বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো ঠিকরে বেরোচ্ছে।

“হাসছো? ভাবছো রোমান্টিক হলাম কবে? আরে প্রাণের শখা, সারাদিন কাজ আর কাজ করতে করতে কখন যে মেশিন হয়ে গেছি বুঝতে পারিনি। আজ কাজের থেকে নিজেকে আলাদা করে বুঝলাম উপভোগ করার মতো হাজার কোটি মুহুর্ত আমি নষ্ট করেছি।” স্বামী তিমিরের মুখে এমন আফসোস এর বাণী শোনে তৃষা বিগলিত হয়ে উঠে।

“চাকরি আছে না গেছে?” তৃষা একটু টিপ্পনী কেটে ধাক্কা দেয়।

“আজ হাতে কাজ কম, তোমার সান্নিধ্য পেতে খুব ইচ্ছে হলো। মনে হলো সেই প্রথম সাক্ষাতের মতো এক মগ কফিতে দুজনেই ঠোঁট লাগিয়ে মাথায় মাথায় ধাক্কা খাই। নির্বাক চোখে তোমার অবাক চোখের দিকে শুধুই তাকিয়ে থাকি, ঠোঁটকে বিশ্রামে পাঠিয়ে আমরা আলিঙ্গনের শিহরণে মনের গুঞ্জনে অনুভবে ভাবের আদান-প্রদান করি।” তিমির কথা শেষ করে তৃষার চুলে নাক গুঁজে দিয়ে হারিয়ে যেতে যায়।‌

“এই বুড়ো বয়সে হয়েছে কি, ছেলে মেয়ে এসে দেখলে ভাববে কী?!” তৃষা কথায় বাঁধা দিতে চাইলেও নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে না, ইচ্ছে করে শরীরটাকে আরো হেলিয়ে দেয়।‌

“আজ তুমি অসার হয়ে পরে থাকবে আমার শরীরে, আমার বুকের পাঁজরে। দুজনের আবেগী হৃদয় ছুঁয়ে যাবে ক্ষণে ক্ষণে, অনিন্দ্য আনন্দে শুষ্ক অধর ছুঁয়ে যাবে কারুকার্যে সাজানো অধর।” তিমিরের আজ প্রেমের রোগে পেয়েছে, মোবাইল, আইপ্যাড, ল্যাপটপ সব যেন তাঁকে উঠিয়ে রেখে প্রেমের বিশ্বকাপ খেলার আয়োজনে মেতেছে। সে যেন আজ বিশ্ব প্রেমের আয়োজক।

“রসিক পুরুষ এরপর কী হবে?” তৃষা প্রথম প্রথম অস্বস্তি বোধ করলেও এখন বেশ এনজয় করছে, নিজেকে অবাধ্য কিশোরী ভাবছে, বর্ষার জলে মধ্য পুকুরে শাপলা ফুলের মতো মেলে ধরেছে।

“এই যে তুমি জড়িয়ে ধরে উষ্ণতা নেবার আহ্লাদে নীরব হয়ে আছো, বাহু বন্ধনের অমৃত সুখের সাগরে নীরব অবগাহনে মেতেছো, আর কিছু কি লাগে? তিমির প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে থেমে যায়।

ছোট্ট এই ব্যালকনিটা যেন এখন মহাবিশ্ব! রাস্তার স্ট্রিট ল্যাম্পের আলো আধারী যেন পূর্ণিমার বাঁধ ভাঙ্গা জোছনা! তৃষার নীরবতা যেন তিমিরকে উস্কে দিচ্ছে, মনের অনন্তে মত কথার ছন্দ ছিল, সব যেন‌ঝর্ণার মতো ছলছলিয়ে কলকলিয়ে বের হয়ে আসছে।

তৃষা আশ্চর্য হয়ে তাকায়, ধোঁয়া উঠা কাপের চেয়েও বেশি উষ্ণ ঠোঁট আলতো ভাবে তিতিরের গালে ছোঁয়ায়।

কিছুটা অবাক বিস্ময়ে তিমির বলে, “এটাই তো ছিল স্বপ্ন, আজ বুঝি পূর্ণতা পেল। এমন হাজারটা দিন কর্মহীন থাক। চুলার আগুনে উত্তাপ নিবে যাক, হৃদয়ের উত্তাপে পোড়ে যাক অবসাদ, ক্ষুধার রাজ্যে লাগুক দুর্ভিক্ষ। মন রাজ্যে ভরে থাক টিউলিপ ফুলের মিষ্টি সুবাস।”

তৃষার চুল গুলো বাতাসে কপোলে এসে খুনসুটি করছে, তিমির হাত দিয়ে সরাতে গিয়ে গালে স্পর্শ করে! দুজনের হৃদয়ে বিদ্যুৎ গতিতে স্পন্দন জাগে, ইচ্ছের নদীতে সিত্রা়ং আঘাত করে। তবুও নীরব আসার পাতার মত, একজন আরেকজনের সাথে আবদ্ধ।

তিমির দুহাতে জড়িয়ে বুকের আরোও কাছে টেনে বলে, “আজ শুধুই গল্পের দিন, আজ শুধুই ছুঁয়ে যাবার পুলকে উচ্ছ্বিত হবার দিন। তোমার সাথে মিশে থাকার দিন, নিঃশ্বাস ছুঁয়ে আশ্বাস খোঁজার দিন।”

তৃষা আবেগে কিশোরীর মতো বিড়বিড় করে বলে,”চিরদিন এমনি করে ক্ষণিক সময় হলেও ধরা দিও, আমি হাজার বছর বেঁচে থাকার আর্জিতে বিধাতার কাছে প্রার্থণা করবো দিনে পাঁচ বার, অন্তরে অবিরত।”

তিমির চিবুকে ঠোঁটের স্পর্শ এঁকে বলে, “তোমার স্পর্শে মেতে থাক আমার শরীরের রক্ত সঞ্চালন।”

#সমাপ্ত
১৬.১১.২০২২

——————————————–

দূরত্ব

সোমনাথ পাত্র

চৌরাস্তা ক্রস করে ন্যাশনাল হাইওয়ে
যতদূর গেছে আমাদের মধ্যেকার দূরত্ব
কি ততটাই ?
নাকি সমুদ্র ও আকাশের মধ্যে তফাৎ যতটা
তোমার আর আমার মধ্যে দূরত্ব ঠিক ততটাই !
ঠিক বুঝতে পারিনা।
আমাদের পাশাপাশি গ্রাম
আমাদের বাসস্ট্যান্ড কমন
আমাদের রেল স্টেশন কমন
এমনকি আমরা শপিং করি একই জায়গা থেকে, তুমিই বলেছিলে
প্রতি সপ্তায় না হোক, মাসে না হোক
বছরে এক দু’বার তো আমাদের দেখা হতেই পারে,
তাও হয়না।
আসলে তুমি আর দেখা দিতে চাওনা
দূরে থাকতেই ভালোবাসো,
হয়তো দূরে থাকাতেই তোমার আনন্দ, সুখ।
তুমি তো জানোনা –
তুমি যখন আমায় সময় দিতে
কথা বলতে
দু’দণ্ড বসতে আমার পাশে,
তখন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ ছিলাম আমি।

——————————————–
গল্প
অন্তরতম
কৌশিক ভট্টাচার্য্য
16.11.22
শুভ সন্ধ্যার সমুদ্রতীরে বসে আছি।জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি,সুষমা নামের সেই অনিন্দিতা যুবতী, বধুসাজে কোথায় চলেছে।মনটা চন্চল হল।কিশোরবেলায় ওর মিষ্টি নামটা ডাকতেই,সুষমা অসংকোচে আমার কাছে চলে আসত।সময়ের কোনো হিসেব ওর কাছে থাকত না।জীবনসমুদ্রের অসংখ্য ঢেউয়ের ধাক্কা খেতে খেতে,বহু পরিবর্তনের পটভূমি রচনা করে,আজ সে কোথায় চলেছে?হঠাৎ দরজায় কলিং বেল বাজল।দরজা খুলতেই,রঙ ও আলোর বৃষ্টি শুরু হল।যার কাজল কালো চোখে মেঘের ঘনঘটা ও বিদ্যুৎছটা একই সাথে দেখতাম,যার গায়ে ছিল কাঁঠালীচাপার গন্ধ,কাঁধের দু পাশ থেকে যার চুলের গোছা নামত,সেই রূপের প্রতিমা আজ আমার সামনে দাঁড়িয়ে? একি সত্যি না স্বপ্ন?
” একি,সুষমা,তুমি এত দিন পরে?” লজ্জায় রক্তিম মুখে ধূসর রঙ লাগল।
“হ্যাঁ,আমি।খুব অবাক লাগছে, না?”
“অবাক তো হবারই কথা।মাথায় সিঁদুর,বিয়ে করেছ নাকি?ছেলে মেয়ে কটা,কি করছে?”
“আমার দুই ছেলে।একজন আমেরিকায় ডাক্তারি পড়ছে,অন্য জন ম্যানেজমেন্ট পড়ছে বোম্বেতে।এবার তোমার খবর বলো। ”
“শোনো,আমি রেলকর্মী।বউ গৃহিনী,চাকরি বাকরি করে না।ছেলে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।”
“গিন্নি কেমন দেখতে? গায়ের রঙ চাপা না ফর্সা? তার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? আড়ি না ভাব?”
“শোনো,সুষমা ।গিন্নি ফর্সা,পরমাসুন্দরী। আর আমার সঙ্গে কোনো ঝগড়া নেই।তবে আকাশের চাঁদ আর মাটির চাঁদ তো এক নয়।স্বপ্ন যতই ফ্যাকাশে হোক,বাস্তবের চেয়ে তা অনেক দামি।কিগো,ভুল কিছু বললাম ?”
“ভীষণ ভালো লাগল।বাস্তব তো আমিও বুঝি।তবু তোমার কাছে এলাম একটু অন্য রকম কথা শুনতে।”
“ঠিক বলেছো।সংসার তো সবারই আছে।তবু তার মধ্যে একটু দখিন হাওয়ার ভীষণ দরকার। ”
দুজনের মনেই নতুন ভাবনার ছোঁয়া।ওর হাতে হাত রাখতেই আমার হাতটায় যেন শিহরণ লাগল।
-সুষমা,কি চাইছ তুমি? আমরা আবার সেই কলেজ জীবনে ফিরে যাই?
-এ কি বলছ? সময়ের নিদানই কি শেষ কথা? কল্পনার কি কোনো অবকাশ নেই?
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম,অন্ধকার নামছে।পৃথিবীর ওপর রাত্রির অবতরণ।
–আজ তোমায় নতুন করে ভালোবাসলাম। এই কথা বলে,সুষমার হাতে চুমু খেলাম।দেখলাম,সুষমাও আবেগে কাঁপছে।যেন ঘাসের ওপর শিশির ঝরেছে!
-অনীক,একটা আবদার করবো,রাখবে?
-একটা কেন,হাজারটা আবদার করো।যদি আমি স্বর্ণ ভান্ডারের অধিকারী হতাম,তার চাবিও তোমায় অনায়াসে সঁপে দিতে পারতাম।তোমাকে আমি সমস্ত পৃথিবী দিতে পারি।
– বেশি কিছু না।তুমি কি সুন্দর করে আমার চুল আঁচড়ে দিতে,একবার দেবে আজ?ওর কোমর ছাপানো ভ্রমরকৃষ্ণ কেশগুচ্ছ বাম হাতে নিয়ে,
ডান হাতে চিরুণী চালিয়ে ,প্রাণের সব যত্ন ঢেলে দিয়ে ,ওর চুল আঁচড়ে দিতে লাগলাম।চারপাশের হাওয়াতে যেন তার ছোঁয়া লাগল।আকাশে,বাতাসে,বাজতে লাগল প্রেমের গান।আমরা দুজন যেন কোথায় হারিয়ে গেলাম।

——————————————-

বৃত্তাবদ্ধ
—-

প্রতিরাতে ভুল করে বাড়ি ফিরি
ভুল দরজার কড়া নেড়ে ভুল মানুষটার কাছে দ্বিধাগ্রস্ত চোখ রেখে কতবার মাফ চেয়ে নিয়ে উল্টপথ ধরে হেটে গেছি আরেকটা ভুল ঠিকানায়

নোটপ্যাডে লিখে রাখা ভুল একেকটা অক্ষর অর্থহীন সব বাক্য হয়ে অসহায় চোখ রেখেছে আমার মুখের উপর
আমি ভুল শব্দ বাক্য ভেবে বারবার ফিরিয়ে নিয়েছি হাত ইতস্তত

ভুল জলের উপর যেমন দাগ কাটে মিথ্যে স্রোত, ভুল নৌকয় তেমনি ভুল করে পাড়ি দিয়েছি ভুল জলরেখা ধরে ভুল সব এপার আর ওপার

প্রতিরাতে ভুল সব ভুলের মাশুল ভেবে ডাকমাশুলে করে ভুল সব চিঠির প্রত্যুত্তর দিই ভুল করে,

ভুল সব রাতগুলো ভুল অন্ধকার নিয়ে ভুল করে ভুল দরজায় অবিরাম কড়া নেড়ে যায়,

ভুল সব মানুষগুলো ভুল করে বেভুলে দরজা খুলে দিলে এই ভুল আমিই আমার দ্বিধাগ্রস্ত ভুলের আঙ্গুলে রাখি চোখ,

আরোও একটা ভুল করে ভুল করে ফেলা ভুল মানুষ ভুল করে নির্বিকার হেটে ভুলে ফিরে যাচ্ছে না তো ভুল রাস্তায়!

——————————————–

গত ১৪ ই নভেম্বর
শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আমার নিবেদন

বিভাগ — পদ্য কবিতা
শিরোনাম — শিশুদের কথকতা
কলমে — অরুণাভ চক্রবর্তী
তারিখ– ১৬ .১১.২০২২.

শিশু হলো ফুলের মতো
নিস্পাপ ও অসহায়,
সকলের সাহায্যে শিশুরা
শৈশব কাটাতে চায়।

শিশু হলো কাদার তালের মতো
গড়তে হবে যত্ন করে সুশিক্ষা দিয়ে,
ওদের জরুরি চাহিদাগুলি সবটাই
মেটাতে হবে আমাদের দিয়ে হিয়ে।

শিশুকালে স্বাস্থ্য রক্ষায় দিতে
হবে সবরকম টীকা প্রতিষেধক,
শিশু স্বাস্থ্য রক্ষায় এটা শিশুর
জন্ম থেকে অবশ্যই বলি হক।

শিশুর চলন বলনের ওপর
নজর দিতে হবে বলি ভাই,
চোখে চোখে রাখা দরকার
নজরদারি পিতামাতার চাই।

পুষ্টিকর খাদ্য দিয়ে শিশুর
যত্ন আমরা করবো সবাই,
সুঅভ্যাস শিশুর গড়ে উঠুক
এটা আমরা সত্যি যে চাই।

স্নান করা দাঁত মাজা ও
খাবার আগে হাত ধোয়া,
শিশুর এই অভ্যাসগুলো
কখনো হয় না যেন খোয়া।

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বোধ
শিশুর মনে জাগাও সবে,
শিশুর সুস্থতা থাকবে সচল
প্রাণচঞ্চল রবে এই ভবে।

খেলবে পড়বে শিশুরা সবাই
পদে পদে বাধা দিও না ভাই,
ভালো মন্দ বোধ গড়তে দিও
শিশু বিনয়ী নম্র মিশুকে চাই।

শিশুর সঙ্গে গল্পে খেলায়
কাটিয়ে দেবে সময় করে,
পশুপাখি গাছ গাছালির
পরিচয় দেবে মনটি ভরে।

মনীষী মহাপুরুষের জীবনকথা
বলবে শিশুদের লাগবে ভালো,
সব শিশুদের কাছে পৌঁছে দিও
জ্ঞান বিজ্ঞানের নানান আলো।

শিশু সন্তানকে কখনো তৈরি
করো নাকো স্বার্থপর,
সবার হিতে লাগুকে কাজে
বিবেচনা নয় অন্যে পর।

বদ্ধ ঘরে আটকে রেখে
শিশু বিকাশে নয় বাধা,
মুক্তাঙ্গনে বেড়াক সবাই
ঘুচে যাবে যতো ধাঁধা।

শিশুশ্রমে যুক্ত যারা আজও
তাদের পারলে মুক্ত করো,
তাদের জন্য করো ত কিছু
স্বাভাবিক জীবনে ভরো।

আজও কতো শিশু ঘুমায়
ফুটপাতে রেল স্টেশনে,
শৈশবহারা শিশু ওরা সব
কাগজ কুড়ায় নিজ মনে।

অভুক্ত ওসব শিশুর মুখে
পারলে তুলে দেবে খাদ্য,
জানিনা কেন পারবো না
করতে দারিদ্র্যকে জব্দ।

শিশুনিগ্রহ শিশুপাচার বাল্যবিবাহ
শিশুশ্রম এসব করো চিরতরে বন্ধ,
আজো কেন আমরা বুঝেও বুঝি না
হয়ে থাকি এব্যাপারে একদম অন্ধ?

Powered by themekiller.com