Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

*দহন*
অসীমা মুখার্জি
তাং—১৪/১০/২২
আধা সন্ধ্যা গায়ে মেখে-উড়ে যায় বক
যেথায় বিশাল বৃক্ষে নিভৃত আশ্রয় !
ওই খানে সুখ-সমৃদ্ধি আলাপ বিলাপ,
শিশুদের মুখে-তুলেদেয় ছোট ছোট মাছ !
গলায় সঞ্চিত আছে-মাছের ভাণ্ডার ,
ধার্মিক বক-বোয়ে আনে-অধর্মের রেশ !
ক্ষুধার্ত শাবকের কাতর দহন-ক্লান্ত করে,
আহা-বাছাদের’পেটে বুঝি জ্বলন্ত দহন ।
বেছে বেছে ধরে মাছ-কাঁটা যেন না ফোঁট –
বাছাদের কচি কন্ঠে ।
সোহাগের অসীম পসরা দুরু দুরু বুক,
দুশ্চিন্তা ও আবেগে আকুল -কি জানি কি হয়।

——————————————–
পারলে বিষ হয়ে দেখো
মনোজ কুমার রথ (শ্রীমান অকুলীন)
(২৮ কার্তিক,১৪২৯; 15-11-2020)
———————————————————————-

রোজ একটা নয়,
অনেকগুলো কবিতার সৃষ্টি হয় তোমায় নিয়ে…
অজস্র কথা ঝেঁপে নামে বৃষ্টির মতো!
জ্বরে কেঁপে কেঁপে প্রেমকথা লিখে চলি
এমনই করেই আরও যেন অযুত বছর;
রত্না ধানের মতো প্রেম মজুত আছে পুরো এক গোলা,
কেড়ে নিও ইচ্ছেমতন;
শুধুু শেষদিন পর্যন্ত পেড়ে রেখো সযতন পাত,
যেমন রেখেছো সে-ই সে’দিনের থেকে এই তো আজও।

ঘোলাটে চোখে সমাজ!
একদিকে ভোরের নমাজ
আর অন্যদিকে সূর্যের প্রণামমন্ত্র…
মধ্যিখানে বসে প্রেমের মন্ত্র জপ করছি
এই জাত প্রেমিক!!

একটা সকাল পেয়েছি ওই ফুলটির মতো,
একটা বিকেল চাই প্রশান্ত পুকুরের মতো,
একটা গোধূলি সুদূর পাড়াগাঁয়ের নববধূটির মতো,
একটা সন্ধ্যে নামুক
মুচকি হেসে চোখের ভাষাতেই অনেক কথা বলে দেওয়া
সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পা দেওয়া ওই মেয়েটির মতো,
একটা রাত্রি
প্রস্তর যুগের অরণ্যের গোপনগুহার অভ্যন্তরের মতো…

পদ্মের পাপড়ির মতো চোখ,
প্রতিমার আদলে গড়া মুখ,
অর্জুনের গান্ডীবের মতো দুই ভ্রুয়ের মধ্যিখানে
প্রজ্জ্বলিত কুমকুমের টিপ…
অজন্তার গুহাচিত্রের মতো অঙ্গসৌষ্ঠব!
প্রতি ভাঁজে উপভাঁজে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে
সুন্দরবনের মধুর মতো শুদ্ধ মিষ্টি যৌবন!!

পুরো মৌ-বন যেন!
পারলে বিষ হয়ে দেখো…
এই বিষ আঙুলে তখনও সোহাগ ভরে ছুঁয়ে দেবো
সেই বিষাক্ত ঠোঁট।

*** *** ম.কু.র.

——————————————–
কবিতাঃ- ভালোবাসি
কলমেঃ- তপন কুমার রায়
তারিখঃ- ১৫ /১১/২২

আজকাল যখনই দেখি,
তোমাকে এত বিষন্ন দেখায় কেন?
কেমন যেন উদাস চোখে তাকিয়ে থাকো শুধু,
দেখো না কিছুই।
এত মালিন্য ছেয়ে থাকে তোমার মুখে,
মনে হয়, যেন খুব দুঃখে আছো।
সত্যিই কি তুমি দূঃখে আছো?
কোনো কষ্ট আছে তোমার?
ভাবলে ই কেমন-
ক্ষণিক মোচড় দেয় বুকটা।
না, চোখে জল আসে নি কোনদিন।
অথচ,তুমিই একদিন
চৌকাঠ পার করে দিয়ে বলেছিলে–
“আর এসো না কোনদিন,
আমি অন্যজনকে বিয়ে করছি”।
অভিমান হয়েছিল একটু,
তবে আর যাইনি কোনদিন।
অথচ, হৃদয়ের যে মোড়ে
দাঁড় করিয়ে দিয়ে গিয়েছিলে তুমি,
আজও আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে।

বিয়ে করেছি, আজ ভরা ঘর সংসার,
সুখী দাম্পত্য জীবন,সব আছে আমার ।
তবু কোন অবসরে,আজও মনে হয়
আমি সেই মোড়ে ই দাঁড়িয়ে আজীবন,
একটাই বিশ্বাস নিয়ে,আমার ভালোবাসা-
আমার কাছে অন্তত মিথ্যে নয়।

তুমি কেন সুখী হতে পারলে না সিত দা?
তুমি তো ভালবেসেই বিয়ে করেছিলে,
আমাকে সরিয়ে, তাকেই দিয়েছিলে অধিকার।
তবে কেন?
কেন তুমি সর্বদা ম্লান মুখ?
কেন উদাসী চোখে ঘুরে বেড়াও আজ?

মনে পড়ে–
কত হাসতে তুমি, প্রাণখোলা,
আমিও হাসতাম সমান তালে, প্রানখুলে ,
হাসতে হাসতে থামতে পারতাম না, দুজনেই।
মনে আছে সিত দা, —
কত গল্প করতাম আমরা,
সেই ছোট্ট জানলাটায় বসে–
গল্প থামতোই না, ঘন্টার পর ঘন্টা।
বাড়ী ফেরার তাড়ায় বলতাম-” কটা বাজে?”
তুমি বলতে ” একশোটা”
ছাড়তেই চাইতে না।

আজ যখন রাস্তাঘাটে দেখি–
আমাকে দেখেই মুখ নামিয়ে নাও তুমি।
কেন? কেন মুখ নামিয়ে নাও তুমি?
তুমি কি নিজেকে হেরে যাওয়া লোক ভাবো?
কোন কি আত্মগ্লানি ?
ভাবো কি, বিশ্বাসঘাতকতা করেছো?
ভেবো না কখনোও।
আমি তো বলিইনি কোনদিন —
“আমি তোমাকে ভালবাসি”

——————————————–
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

জল্পনা কল্পনা তোমায় নিয়ে
মোঃ আসাদুজ্জামান বিশ্বাস আবির
তাং- ১৬/১১/২০২৩

যত জল্পনা কল্পনা শুধু তোমায় নিয়ে
বারবার অচেতনে যা-ও তুমি মনে দোলা দিয়ে,
কখন জানি মস্তিষ্ক যাবে উল্টো দিকে গড়িয়ে
নিথর দেহ থাকবে বিছানা কে জড়িয়ে।

আজ না হয় দু’কলম লিখতে পারি
সবকিছুর অবদান মেধাশক্তি তারি,
একে নিয়ে করো না কাড়াকাড়ি
নয়তো তোমাদের ছেড়ে কখন দেবে পাড়ি।

তৈরি ও প্রস্তুত আছে চার কাঁধের গাড়ি
তখন তো বিলম্ব করবে না করবে তাড়াতাড়ি,
জগৎ সংসার কে জানাবে আঁড়ি
তখন তো আট দেবে না দোলা অন্যত্র দেবে পাড়ি।

পৃথিবীর পরে তোমাকে নিয়ে যত গন্ডগোল
কেউ বলে আসতে কেউ পেটাই ঢোল,
লজ্জায় করো বন্ধ হয়ে যায় মুখের বোল
যেমন ভাত খাওয়া যায় না তরকারি তে না থাকে ঝোল।

কবিতা তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয়জন
উপলব্ধির জ্ঞান হয়েছে যখন
সেদিন থেকেই করেছি আপন
সাহিত্যের মাঝে প্রবেশ না করলেই থাকতে পারি না এখন।

কবিতা তুমি এখন জীবনের একটি অংশ
ক্রমে ক্রমেই বৃদ্ধি করছো হৃদয়ে বংশ,
যারা না-কি লেখালেখি করে তার হয়ে যায় ধ্বংস
আমি কিন্তু হতে চাই না মামা কংসো।

তোমাকেই ভালোবেসে যাবো লিখে যতদিন আছি
এ-ই পৃথিবীতে কাগজ কলমের কাছাকাছি,
অযথা বিরক্ত করে মস্তিষ্ক কে করো না হরন
বিনয়ের স্বরে তোমাকে করি বারণ।

——————————————–
ছোঁয়ার আশা
সানোয়ার হোসেন

ভালোবাসতে এতো কৃপণতা কেন?
কেনো সঙ্কটের পিড়নে পড়ছে ভালোবাসা?
তাহলে কি ভালোবাসা ছলনাময়ী?
তাই যদি হবে….
তবে কেনো এতো অনুভূতি, এতো আক্ষেপ, এত রাগ অভিমান, এতো হাসি কান্না?
কেনো এতো মোহ, এতো মায়া, এতো সুখ, এতো যন্ত্রনা?
সাদা মেঘের মতো উড়ে বেড়ায় আমার প্রশ্ন গুলো।

পাহাড় বিস্তৃত হয় সমুদ্র’কে ছোঁয়ার আশায়।
সমুদ্র বিস্তৃত হয় পাহাড়কে ছোঁয়ার আশায়।
আর মানুষ বেড়ে ওঠে, ভালোবাসা’কে ছোঁয়ার আশায়।
আমি বেড়ে উঠছি তোমাকে ছোঁয়ার আশায়।

——————————————-

কবিতা – বেদনা
লেখক – নাইস হোসেন
তারিখ – ১৫.১১.২০২২.

মহাসাগরে বেদনা ভাসিয়ে দিলাম
উরন্ত পাখির ডানায় দুঃখ যত
ঝিনুকের মাঝে সুখটা হয়েছে বন্দী
বৃষ্টির ফোটায় নিরাশাই সে তো।

কখনো সবুজ ধানের কচি শিষের মতো
কখনো চেয়েছি সরষের হলুদ ফুল
বৃষ্টি টায় বুঝি না চাওয়ার মাঝে অতিরিক্ত
বুঝিয়ে দিলো মস্ত এক ভুল।

গোধূলির রঙ যেন হয়েছে সাদাকালো
চাঁদের আলো পড়েনা সাগরে
কাঁটাগুলো শুধু জমেছে মোহনায়
খুঁজে ফেরি যানজটের নগরে।

কাঁচা পাকা আজ রাস্তা গুলো ভীষণ
তীব্র উত্তাপ স্পর্শ করে পায়ের তলে
ঝলসিয়ে যায় সেই নরম চামড়া জোড়া
পৌঁছানোর আগে শীতল জলে।

এই বেদনা নিরাময়ে সেরে যাবে ঠিকই
যে বেদনা ভাসিয়েছি সাগর পাড়ে
কাঁটাগুলো আঘাত হানে বারেবার
সাগরের ছুটে আসা ঢেউয়ের তোড়ে।

Powered by themekiller.com