Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা ছয় সাহিত্য

প্রতীক্ষিত প্রহর
রূপালী রায়
১২/১১/২২

সকাল গেল,দুপুর গড়িয়ে,বসেছি
একাকী নিরালায়,
ক্লান্ত দুপুর পেরিয়ে এলাম
আলো আঁধারীর বিষণ্ণ ছায়।
মন খারাপের কষ্টরা বিকেলে
হামাগুড়ি দেয় এসে,
উকি দিয়ে যায় শত যন্ত্রণা,যেন
প্রতিশোধ নেয় হেসে।
গোধূলী আকাশ ধূসর হলো
পাখিরা ফিরে যায় কুলায়,
যে যেখানে থাকে,সকলেই ফেরে
নিজ নিজ ঠিকানায়।
গোধূলী আমায় ডাকে ইশারায়
বলে,এসো বিরহীনি,
ধূসর আকাশে একফালি চাঁদ
উঠবে দেখো এক্ষুণি।
ধূসর গোধূলী ম্লান হলো,বললো,
নাও তুমি রাতের ভার,
গোধূলীও গেল,এলো দেখি রাত
একাকী, নিঃসঙ্গতার।
রাত্রি বড়ই কঠিন লগণ,সামলানো
তাকে সহজ নয়,
কখনও হাসে কখনওবা নীরব,তার
নিস্তব্ধতায় লাগে ভয়।
রাত্রিও একা,আমিও একা
বসে আছি নীরবে দুজনই,
ভাবনা দুজনের এক হয়ে মেশে
কখন হবে ভোর,ফুরাবে রজনী!?
অবশেষে এলো সে সময়,
ভোরের আকাশে ডেকে ওঠে পাখি,
পূর্ব গগনে ঊষা হেসে কয়
এসে গেছি আমি,মেলো আঁখি।

——————————————-

“প্রিয়তম আমার ”
রুমী মজুমদার
১২/১১/২২

হেঁটে চলেছি অজানা পথ,
দীর্ঘ সময়ের অনুরননে
যেতে হবে আমায়।
নাম না জানা কোনো অথৈ সমুদ্র পাড়ে
যেখানে সমুদ্র ছোঁয়া শূন্যতা ,
মেঘেদের ছায়া খেলে বালুকা বেলায়
সমুদ্র পাড়ে রুপালি ঝিনুক খেলা করে সূর্যের চিকচিক করা বালুকার নিমগ্নতায়!!

সেখানে অপেক্ষারত,
আমার জন্য কেউ , অপেক্ষায় আছে,
বহু যুগের অসীম অনন্তের ঠিকানায়….
প্রচন্ড কঠিন বাস্তবতায়
একাকি নির্জনে !
সৌম্য, শান্ত স্থির সেই নির্বাক স্বপ্নের যেন
কোনো প্রিয়তম….
যেতে হবে তার কাছে আমায়,
কঠিন বাস্তব অতিক্রম করে
আজো হয়তো সে আছে অপেক্ষায় আমার।
জীবনের নিঃসীমে
অপেক্ষার অন্ত নেই ,
অনন্তকাল ধরে
স্বপ্নের “প্রিয় আমার।”

অপেক্ষারত , সেই “প্রিয়তম আমার,”
স্বপ্নে যাকে প্রত্যহ দেখি,

আবেশ করা চাহনিতে মুগ্ধ নয়নে
চেয়েছিল আমার দিকে,
কি ছিল সেই পরিচ্ছন্ন চোখের দৃষ্টিতে ?

আজীবন ভুলতে পারিনি তাকে
নিঃশেষিত জীবনের ,
তপ্ত মরুর বুকে জেগে উঠে ছিলো উৎফুল্ল এক নিবিড়তা….
ভুলতে কখনো আমি পারিনি তাকে
যে ছিল আমার স্বপ্নলোকে!!

তাই আজ চলেছি খুঁজে তাকে
জীবনের বাস্তবতার নিরিখে
বাকিটা সময়
খুজে পাই যদি
আমার স্বপ্নের অদেখা “প্রিয়তম তোমাকে ।”
বহু পথ দূরে
খুঁজে ফিরি তারে,
যে আছে আমার মনের নিভৃতে

সুদূরের প্রিয়তম আমার,”
দেখি নি তোমাকে কখনো
তবু মনে হয় তুমি সামনে আমার দাঁড়িয়ে
অব্যক্ত কঠিন ব্যথা নিয়ে !!!
তাই অজস্র পথ পার হয়ে ,
আমি হেঁটে চলেছি
বহুদিন ধরে।
জনসমাগম ছেড়ে, আকুল চিত্তে
তাকে খুঁজে চলেছি
অনন্তকাল অসীমের নিঃসীমে……।

——————————————–
আমি এমন-ই_____
কলমে— জুলেখা চৌধুরী
তারিখ— ১২/১১/২২

আমি এমন-ই,তাই বন্দী পাখি,
ছেড়ে দিতে পছন্দ করি।
উড়িয়ে দিতে চাই আকাশে,
তাদের স্বাধীন করতে চাই,
চাই শৃংখলের বেড়ি ভাঙতে।
আমি এমন-ই, তাই চাই ধর্ষকদের
বুক গুলিতে ঝাঁঝরা করে
বলতে,তোরা মানুষ না,তোদের
দেখে বন্য পশুও লজ্জা পায়।

আমি এমনি-ই,তাই চাই গর্ভে ধারণ,
না করা সন্তানদেরও মা হতে ।
চাই আমার হৃদয়ের উছলে পড়া
ভালোবাসা তাদের দিতে।
আমি এমন-ই, তাই চাই অসহায় নারীর
চোখের জল মুছতে ।
আমি এমনই, তাই চাই পথহারা শিশুদের
পথের দিশা দিতে।

আমি এমন-ই, তাই চাই নির্দোষ,
মানুষের পাশে দাঁড়াতে,
চাই সত্যতা প্রমাণ করতে,
চাই ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করতে।
আমি এমন-ই, তাই চাই অবহেলিত বৃদ্ধ
বৃদ্ধার পাশে দাঁড়াতে।

আমি এমন-ই, তাই চাই সিংহের মুখ
থেকে,শিকার করা নিরীহ পশু
কেড়ে আনতে।
আমি এমন-ই, তাই চাই শীত বস্ত্রহীন
অসহায়ের শীত নিবারণ করতে।

আমি এমন-ই
তাই আমার দৃঢ় প্রত্যয়,যতক্ষণ
এ দেহে থাকবে প্রাণ, ন্যায়ের পথ
থেকে সড়ে দাঁড়াবো না এতটুকু,
আর গাইবো মানবতা, সভ্যতা আর
বিবেকের জয়গান——।।

——————————————–

“ওরা জাগলেই জাগবে পৃথিবী”
-চিশতী রাজু আহমেদ ।
তারিখঃ ১২/১১/২০২২ খ্রিঃ ।

একরাশ অনুযোগ স্ত্রীর সুললিত কণ্ঠে!
তোমার কথায় বাচ্চারা সারারাত জেগে থাকবে!
ওদের ভয় পালাবে মহাশূন্যে,ভূতের সাথে ধরবে পাছাড়!
নিজে না ঘুমাবে,না ঘুম পাড়াবে বাচ্চাদের!

না না ঘুমাবো না। বাবার সাথে গল্প করবো।
বাবা বলেছে -কল্পনার স্পাইডারম্যান নয়,
মুক্তিযোদ্ধাদের মতো সত্যিকারের বীর হবো বড় হয়ে।
সবগুলো ভূত মেরে ফেলবো ‘,ঢুসুম-ঢুসুম করে ….
আলোকযানে চড়ে চষে বেড়াবো মহাবিশ্বটা।
রোজ-রোজ শুধু ভূতের ভয়! মামাবাড়ি যাওয়ার মিথ্যে আশা!

দেখছো! তোমার লাই পেয়েই বাচ্চারা আজ তর্ক করে মুখে মুখে!
তোমার যা খুশি তাই করো,
আমি তোমাদের মতো রাত জাগা পাখি না!

আমি ওদের চোখে শ্রেষ্ঠ-আদর্শ মানুষ।
অধিকিন্ত আমি কবি!জাতির বিবেক-
আমার সত্তায় এ পরিচয় খুব গৌরবের ।
আমি সুন্দরের পুজারি,সত্যদ্রষ্টা, আলোর ফেরিওয়ালা ।
মিথ্যের চর্চা নেই আমার কল্যাণকামী চেতনায় ।
সমস্ত কুসংস্কার-অন্ধ বিশ্বাসের বন্ধ ঘরের অন্ধকারে জ্বালিয়ে দেই মহা সত্যের আলোকবর্তিকা ।

ওরা শুধু আমার সন্তান-ই না।
ওরা আগামী……
ওরা জাতির তারুণ্য শক্তি।
তাই ভূত-পেতের বানোয়াট গল্প শুনিয়ে ওদের ঘুম পাড়াতে পারি না।
কিংবা মিথ্যে স্বপ্ন চোখে নির্জীব দেহে ঘুমিয়ে পড়ুক ওরা,
এ নয় আমার অন্তর-অভিলাষ।

ওরা স্বপ্ন দেখুক জাগ্রত চোখে
এসো ওদের জাগরণের গল্প শোনাই,
জেগে উঠুক ওরা,সত্যের আলোয় জেগে উঠুক আগামী,
ওরা জাগলেই জাগবে পৃথিবী।

——————————————–

তোমায় নিয়ে
মৈত্রেয়ী
১২.১১.২২

আধখোলা দরজা দিয়ে ঢুকে পড়েছে দুঃসংবাদ!
এমন ঘূর্ণিতে চারিদিক নি:শ্বাস আটকে ।
ঠিক তখনই তুমি,
তুমি নি:শব্দে এগিয়ে গেলে অবসরের অপশনে।

হারমোনিয়ামেরর সব কটি রিড নাম এন্ট্রি করেছে অবাধ্য রেজিষ্টারে ।
কেটে গেছে সুর – লয় -তাল।
পালক খসে পড়ার মতো স্মৃতি গুলো ঝরে পড়ে।
দীর্ঘশ্বাসগুলো যেনো বিকার গ্রস্ত।
বেজন্মা মুথোঘাসের মতো গজিয়ে উঠছি আনাচে কানাচে আজকাল।
ইচ্ছেগুলো খান খান।
অভিভাবকহীন সমাজ ধুঁকছে কঠিন যাঁতাকলে।
নেই অফুরান হাসি ,
চৌরাস্তার মোড়ে এখন আর আসর বসে না।
মুহূর্ত রা চুপচাপ।
একটা গুমোট আবহাওয়া বিষাক্ত করছে দিকবিদিক।
সত্যিকারের বিভেদ তৈরি হচ্ছে নিত্য নৈমিত্তিক রুটিনে?
তাই সবার ঘরে ফেরার তাড়া।
আলগা বাঁধনে হাসফাঁস।
ভরসা, বিশ্বাস মুখ ঢেকেছে গৌণতায়।
বাস্তুহারাদের মত ক্লান্তির কফিনে মুখ থুবড়ে।
এমন ই নির্বাক ভাষাহীন আকাশ চাদর বিছিয়ে রেখেছে মাথার উপর।
অনাহুত আলো দিচ্ছে যেনো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ।

তোমায় নিয়ে ভাবনা গুলো ধুলোর মত ছুটছে
বলতে গিয়ে কাপা ঠোঁটে জড়িয়ে যাচ্ছে কথা।
মনের ক্যানভাসে তুমি থেকো হয়ে অবিনশ্বর।
সৃষ্টির যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে
কবর খুড়ছি সেই কবে থেকে….

——————————————–
শিরোনাম- উপকথায়
কলমে – প্রাণেশ রঞ্জন গোস্বামী
তারিখ – ১১/১১ /২০২২

তারিখ সে সব উপকথায় দাদু ঠাম্মার মনের কথায়
সাজানো কৌশল কখন যে চিটকে বেড়িয়ে যায়।
যুক্তি ভিত্তিক শিক্ষনীয় বিষয় সব জেনে নেওয়া যায়।
ছোট্ট দের মন মাতানো মনের ঘরের উপমা সেসব উপকথায়।
মুখে মুখে কিছু প্রচলিত ছিল জানা অজানার গল্প গুলো।
আজও মনের কোণে স্মরণে দাগ কেটে যায় ঐ গুলো
রহস্য ময়ী কিছু কথা রাজা রাণীর মনের আলোচনা।
শব্দের মায়া জালে কাল্পনিক রচনাবলী হতো যে বর্ণনা।
মুখে মুখে প্রচারে ঘরে ঘরে দাদু ঠাম্মার কাছে ছিল অবিরত।
হারিয়ে যাচ্ছে সেসব বিরল উপকথা আধুনিকের পরশ লেগেছে যত।
ভালোবাসার আলগোছা দাগ আজও লেগে আছে উপকথায় তত
শিশু মনের অভিষ্ট পুরণ দাদু ঠাম্মার আলোর কিরণ
মনের পালনায় উকি দেয় গল্প শুনব নিত্য নতুন মনের মতন।
উপকথার উপহার সমাজ গঠনের মনিহার করো যতন
উপকথায় মনোনিবেশ করো আগের মতন
দেখবে আচার ব্যবহারে ধীরে ধীরে আসবে কিছু পরিবর্তন
জাগবে দুনিয়া জাগবে সাথী উপকথার এইতো উপার্জন

Powered by themekiller.com