মোহাম্মদ সিন্টুঃ
টেকসই উন্নয়নে-নবায়নযোগ্য জ্বালানী এই প্রতিপাদ্যে গনপ্রকৌশল দিবস ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ আইডিইবি’র ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ষোলঘরে আইডিইবি জেলা কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডঃ প্রকৌশলী মোঃ সাকাওয়াৎ আলী।
তিনি বলেন, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের যদি দাঁত না থাকে তাহলে সে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দিয়ে কাজ কি? যার কারণে আমাদেরও যদি স্কিল বা দক্ষতা না থাকে তাহলে কোন লাভ নাই। আইডিবি যে কোন একটি বিষয় কিন্তু আগেই তুলে ধরতে পারে। যেটা আইভি পারেনা। ইনস্টিটিউশন অব দি বাংলাদেশ তারাও কিন্তু এ ব্যপারে লেক বি হাইন্ড। এ জন্যেই আমাদের কথায় নয় কাজে প্রমাণ করতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর দাবী আজ, কম কথা বেশি কাজ। আসলেই চিরন্তন সত্যি কথা হলো বৃক্ষের পরিচয় ফলে। আমাদের মেধা দিয়ে টিকতে হবে। আইডিবি তার দক্ষতা দিয়ে অনেক ভালো আছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভালো মানুষ হবো, আমি যখন ক্লাস নেই তখন আমি এইরকম অনেক কথা শিখাই। আমি অর্ধেক বলি আর স্টুডেন্টরা বাকি অর্ধেক বলে। যেমন আমি শ্লোগানে বলি নিজে ভালো, তখন ওরা বলে জগৎ ভালো। আমরা জ্ঞানে দক্ষতায় সবদিক দিয়ে ভালো মানুষ হবো। মনে রাখবেন আমরা যদি ভালো হতে চাই সবচেয়ে ভালো মানুষ হবো।
আইডিইবি জেলা কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী নুর।
প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর ধারণামূলক বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা ও এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর টেকনোলজি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোয়াজ্জেম মাওলানা মোঃ হাফেজ মোস্তফা। ও গীতা থেকে পাঠ করেন শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুভ চন্দ্র দাস।
এছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে অনুষ্ঠান স্থল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে র্যালীটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আইডিয়া এবং বিষয়টি সরকারের নিকট প্রথম তুলে ধরেছে আমাদের সংগঠন। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা দেশব্যাপী অনুষ্ঠান করেছি। সরকারের যেসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে, এতে প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। বাস্তবায়নকৃত উন্নয়ন কাজের ৮৫ভাগই করেছে প্রকৌশলীরা। কোন কাজের প্রাথমিক ধারণা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা দিয়ে থাকেন।