Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

সবার উপরে মানুষ সত্য

– শেখ মহিউদ্দিন রাকীব

জাত বেজাত করে কেনো
বিভেদ রাখিস মনে?
গায়ের ভিতর শোণিত কণা
ভিন্ন জনে জনে?

সব শোণিতের বর্ণ একই
বিভেদ কেনো লোকে?
ধরণ কি কভু ভিন্ন হয়
মানুষ মরার শোকে?

জন্ম হতে ভিন্ন ধরণ
দেখেছিস কি কভু?
মরণও যে সবার তরে
এক রেখেছেন প্রভু।

দুঃখ ব্যথা সুখের কথা
সকলেই এক ভাষার,
সব হতাশার বর্ণই এক,
তেমনি সকল আশার।

দেহ হতে আত্মা উড়ে
গেলে পরকালে
সেখানে কি বিভেদ ঘোরে
জাত-বেজাতের চালে?

আল্লাহ্‌, ঈশ্বর আর ভগবান
নামেই শুধু ভিন্ন
সৃষ্টিকর্তা সবারই এক
একত্ব যার চিহ্ন।

ধর্ম-বর্ণ-জাত-কূল, বলিস
সব যুগের সৃষ্টি, ভাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য
তার উপরে নাই।

——————————————–

কবিতা – নীল নির্জনে
স্বপন কুমার দাস ৫/১১/২২

অপরূপা সুন্দরী প্রকৃতির মাঝে নিঃশঙ্ক নীল নির্জনে
প্রেমকাব্য সৃষ্টিতে আছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সুখ ,
এখানে রচিলে ভরা যৌবনের প্রথম ভাস্কর্য দুজনে
প্রথম মিলনের স্মৃতি গড়ে ভবিষ্যতের অমলিন মুখ।
প্রকৃতির অপরূপ ফুলশয্যায় কোন না মেনে সংস্কার
এসো দুজনে চোখে চোখ মনে মন হৃদয়ে হৃদয় রাখি,
নিই শপথ চিরকাল সুখে দুখে একসাথে থাকার
নতুন যুগে নতুন সংস্করণে নতুন করে জীবনের ছবি আঁকি ।

——————————————–

রোদ্দুরে মাখা কুয়াশা
হাজি মোঃ মাহবুবুল আলম কিরন মৃধা
৬ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. রোববার।

রোদ্দুরে মাখা কুয়াশা এক সৌন্দর্যের আধার ফুটে আছে দূরে দিগন্তের শেষে সোনালি আলোয়ে,

কেমনে আলো রাঙিয়ে মধুময় শোভে হৃদয়ে –
দেখি চিত্রময়ী রূপে অন্তর ভরেছে চির অক্ষয়ে।
কাছে এসে দেখি দূরে মালতি নিকুঞ্জ বনে,
অক্ষয় আনন্দ ভরে বহুদূরে গিয়ে –

বিচিত্র আলোয়ে রূপে সাজিয়ে কুয়াশা হৃদ-গহনে
অন্তরে মিশিয়ে মুগ্ধ অনুরাগে দেখি – ওগো প্রিয়ে।
কতো রূপে পরিমলে শোভিত সাজিয়ে গৌরবে,
হৃদয় গহনে স্বপ্ন আঁকি একা-একা সৌরভে।
এমনি সৌন্দর্য দেখে প্রভাতের দূর অবনিতলে,
চৌদিকে উথলে ভাসে কুয়াশা শিশির জলে।

চোখ ভরে দেখি সদা রূপে বারেবারে,
অক্ষয় উৎসাহ লয়ে প্রকৃতির চোখে রঙিন ভরে কারে –
রূপ রসে পরিপূর্ণ এ-ই চারধারে
মনের সংগীত সুরে সোনালি আলোয়ে।
কী মধুময় অপূর্ব এ মনোহরণ,

চিকচিক রোদ্দুরের মধ্যে অফুরান সুখ বরণ।

সোনালি রোদ নিবিড় আনন্দ উৎসবে মুখরিত গানে
মাখে আলোয়ে আলোকে পুলকিত প্রাণে,
এক নব আয়োজনে,
হৃদয় নিবিড়ে জাগে মুগ্ধ অনুরাগে সিক্ত শতদলে
এক নব জাগরণে।
কী আশিস করিলা সুখের লহরি ধেয়ে এলে বলে,
আশার প্রদীপ জ্বলে ভোরের কুয়াশা মেখে সোনালি আলোয়ে ভরে গিয়েছে চৌদিকে হৃদয়ে সুখ জ্বালি।

সেই অনন্ত কালের চির চিরন্তন নিয়মে ভরে,
আশার আলো জ্বালিয়ে হৃদয় গহীনে ধরে।
এখনো তোমার রূপ ধরেছি হৃদয়ে,
এক অফুরান পথ হাঁটতে হাঁটতে উৎসাহে অক্ষয়ে।
সেই অনন্ত সৌন্দর্য চিরসত্য পথ ধরে,
হৃদয় গিয়েছে ভরে।

রোদ্দুরে কুয়াশা মাখা ভোরের সৌন্দর্য দেখে নয়নে,
এক অজানিত সুখ মাতাল হাওয়া লাগে মনে

আলো ঝলমলে রোদে ভরে,
এমন মুগ্ধতা আজ উথলে রইলো সকলের করে।

——————————————–
তারিখ ঃ – 05/11/2022 ইং ।

আপন গন্তব্য ! !

যেখানে থাকি
যেখানে চলি
ভ্রমনে যায়
চাকরি করি
করি ব্যবসা-বাণিজ্য ,
মনটা আকুল থাকে
ব্যাকুল হয়ে উঠে
কখন আপন ঠিকানা
নিজ বাস গৃহে
বসত বাড়িতে ফিরে আসব ?
ফিরে আসতে পারলে
বড়ই প্রশান্তি
না আসা পর্যন্ত
মনে থাকে অশান্তি ।

এভাবে চলতে থাকে
আপন নিবাসের প্রতি
চিরন্তন মায়াময়
অন্তরের অনির্বাণ টান ! !

কিন্তু জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত
এখানে বেশী দিন
যায় না থাকা
চলে যেতেই হবে ।।
আবার , একবার নিলে বিদায়
ফিরেও আসা যাবে না আর !

পর পাড়ের জীবনটাই
আসল দীর্ঘস্থায়ী জীবন ।
ইহজীবনে নিজ বাসস্থানে
বসাবাসের জন্য
কিছু পাথেয়
প্রয়োজন আছে বৈকি ?
সেরূপ অনন্ত কালের
জীবনের জন্যও
প্রভুর নির্দেশিত
সত্য-সরল পথে
ক্ষণস্থায়ী জীবনের তটে
কিছু পুণ্য পাথেয়
পূত-নির্মল কর্ম
নিয়ে তো যেতেই হবে ।।

শরীফ নবাব হোসেন ।

——————————————-

জল পিয়ানো /কাশীনাথ মণ্ডল ০৫/১১/২০২২(কবিতা)

চার্পাশে স্নোবল এবং যুদ্ধের মিথ
ফুটনোটে ভাঙা বিউগল এবং মধ্যরাতে কফির টেবিল
কোথাও শিলিন্ধ্র শয়ন
কোথাও মারিচ ও বিবিধ রতন
কোথাও মৃতের খাটে জুড়ে আছে অজস্র সনেট
দৃশ্যটি লেটারবক্স বা টুনটুনির বাসা নড়ে ধীর
ওখানে ট্রামগাড়ি এবং স্বপ্নের পোট্রেট সহ বায়ুদের গ্ৰুপ ছবি হেঁটে যাচ্ছে
যেমন একটি ফায়ারিং স্কোয়াড এবং ভেড়াদের নির্বিকার কবিতাগুচ্ছ
এবং কয়েকটি বালিস্তুপের ঘুম
ওখানে চন্দ্রের জল একঘটি
ওখানে চন্দ্রের রুটি আঠারো
এবং পারফিউম বধ অন্ধকারে
যদিও ফটোজিনিক মেয়েদের ঢেউ
এবং ক্রুশ বহনের দুর্ভিক্ষ বহনের নভশ্চর আঁকা
কারো কারো স্যাডো ছবির পাশে একটি গাইনোর বাদামি ফুল
একটি ভিস্তির অলক্ষ্য স্নান
একটি শাপগ্রস্তের দেহজ উৎসব
একটি সুইমিংপুলে দলিত কন্যার আইভরি খেলা এবং জল পিয়ানোর শব্দ উল্লেখ আছে

——————————————–

উঠে দাঁড়া মা
নির্মল দাশ ঝুঁটন
তারিখ — ৬/০১১/২০২২ইং

আর কতো দুঃখ লালন করলে মাতৃত্বের ভূমিকায় তুই শ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হবে,
মা? এই সভ্যতায়!
মা গো, এই উদরভাঙা মমতার ঢেউ আর কতো রপ্ত করলে তোর সন্তান জ্ঞাত হবে, বৈষম্যের শিকল ভেঙে!

কতো আঁচল ভেজালে নয়নের জল শেষ হবে! কবে হবে এই প্রতিক্ষার অবসান!
একবার ইতি দে মা, নিজেকে আর কতো পুড়ালে তুই
খাঁটি সোনা হবে! এই রক্তক্ষয়ী রণাঙ্গনে।
এই সংসার অসার, জানেনা মা, চিনেনা হীরাপান্না। এখানে দুধের মূল্য অর্থহীন।

মা গো আর কতো ছাইচাপা দিয়ে নিজেকে মমতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখবে,বল’না মা!
তবে, তবে চেয়ে দ্যাখ মা, তাকিয়ে দ্যাখ চারপাশে ঘনঘোর অন্ধকার,রাক্ষসের ঘনঘটা বেশ,ওরা ভয়ংকর, দস্যু ওরা নিপীড়ন গণহত্যার শীর্ষ জুলুমবাদ, কে চিনবে মা তোকে! মৃত্যুর মিছিলে?
আর কতো,কতোবার আঁচল পেতে ডাকবি, মমতার হাত দিয়ে বুকে টানবি, ওরা যে তোর বুকটাই খন্ড করছে,খন্ড করছে তোর স্নেহ মায়া মমতা, স্বার্থের মিছিলে ওরা জালিম, ওরা অসুর, বিশ্বাসঘাতক।

আর কতো মলিনতার ছাপ অস্পষ্ট রাখবে,কতো ম্রীয়মান হবে, কতো আড়ালে থেকে কষ্টকে পুষবে!
কেউ তোকে বুঝবে না মা, তিলেতিলে তোর বুক কুরে কুরে নিঃশেষ করে অন্তিম সুধা টুকু লুটে নেবে মা।

উঠে দাঁড়া, রুখে দাঁড়া ভূখণ্ডের মমতাময়ী শ্রেষ্ঠ বঙ্গ জননী, মাতৃভূমি মমতাময়ী মা জননী, লাল সেলাম তোর সমীপে চরণ চুমি।।

দ্রষ্টব্যে– বানান ভুল হলে সংশোধন করার আন্তরিকতা কামনা করছি

error: Content is protected !!

Powered by themekiller.com