যদি কেউ বলতো কেমন আছো
সারমিন জাহান মিতু
০৩-১১-২০২২
তেমন করে এখন আর ভালোবাসি বলা হয়না আমাদের – আঙুল স্পর্শ করে হাঁটাও হয়না বহুদিন,
অপ্রয়োজনীয় কথা গুলো কোন হাওয়ায় উড়ে গেছে ধুপ কাঠির ধোঁয়ায়।
স্বপ্ন রাঙা চোখ এখন আর আচ্ছন্ন হয়ে কলমিলতায় ফুল ফুটতে দেখে – অধীর আকাঙ্খার অভিব্যক্তিটা ফিরে পায় না,
টানাপোড়েন নিয়মবদ্ধ জীবন জুড়ে অশান্ত ঢেউ গুনতে গুনতে অস্হির হয়ে ওঠে মন।
বাবুইপাখির ছোট্ট নীড় থেকে উঁকি দেয়া পাখির ছানাটি আর টানেনা কিশোর উল্লাসে,
মানুষ গুলো কেমন বোবা পাথর বুকে কৃত্রিম হাসিটুকুও ভুলে গেছে – অসাড় পৃথিবী এখন ভালোবাসা বিহীন শ্মশান।
ভিড় ঠেলে কি’বা নির্জন দুপুরে জানতে চায় না কেউ কেমন আছি,
এই তো সেদিনের কথা – আমাদের ফেলে আসা দিন গুলো – উঠোন জুড়ে হৈ-হুল্লোড়ের বৈকালি মেলা – এখন খিল আটকানো মধ্য প্রহর।
এভাবে কি মানুষ বেঁচে থাকা বলে – বাঁচতে হলে অকৃত্রিম হাসি ভরা একটা অবয়ব তো চাই,
কিন্তু কে- কার খোঁজ রাখে বলো – দিন দিন দূরত্বটা নিয়ে ব্যস্ততার হাপিত্যেশ।
পিছনের স্মৃতি গুলো এখন বিলুপ্ত শতাব্দীর মোমির পুতুল-প্রাণ সে তো বাতাসের গতিতে ছুটছে পাওয়া – না পাওয়ার ক্লান্তি ভরা জীবনে,
যদিও আমি ব্যতিক্রম নই- তবুও মন পোড়ে- পরম মমতার হাত বুলিয়ে কেউ যদি বলতো কেমন আছো – আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে পৃথিবীকে জানাতাম – ভালো আছি বেঁচে থাকার আনন্দে।।