Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের ছয় সাহিত্য

শিরোনামঃ-সীতাকুন্ডে মহিষ
কলমেঃ-অর্পনা চৌধুরী
তাং৩১৷১০৷২০২২
সিত্রাং সাইক্লোনে ভাসলো বহু ঘর বাড়ি,
সাইক্লোন সেন্টারে উঠলো গিয়ে তাড়াতাড়ি।
প্রাণের মায়ায় ঘর বাড়ি ছেড়ে গেল,
গৃহপালিত অবুঝরা সব রয়ে গেল।
পশু পাখি ভেসে গেল বাঁচলেও নিজেরা,
সবকিছু হারিয়ে স্বপ্ন হলো যে অধরা।
অনেক কষ্টের ধন যাহা ছিল ঘরে,
চক্ষের পলকে সব নিল ভাসিয়ে জোয়রে।
গরু মহিষের ছিল অনেক খামার,
কিছুই ছিল না ভেঙ্গে করলো যে চুরমার।
সীতাকুন্ডে গিয়ে উঠলো অনেক মহিষ,
কোথায় গেল মালিক পেল না হদিস।
এভাবে হারিয়ে ফেলে অসহায় জন,
বহু কষ্টে রোজগারের কত শত ধন।
ভাটি অঞ্চলে ওরা যে করে বসবাস,
ঝড় তুফান হলো যে বড়সড় ত্রাস।
প্রায় বছরেই ভেসে যায় ঘর বাড়ি,
বিধাতার আছে যেন খুব একটা আড়ি।

——————————————–

কোন অভিযোগ নেই।
-‐—–‐——————————
পদ্মার সামনে শুরু,পদ্মার পিছনে শেষ।
মাঝ খানের কয়টা দিন কাটছিলোই তো বেশ।

এখন টেলিফোন টা আর বাজছে না, কেন বাজে না?
কি জাং ধরেছে!না মরিচা পড়েছে?না তার কেটে দিয়েছে?
আচ্ছা বলতো?? কি হলো এই এমন করে কেউ শক্ত চকে
হৃদয়ের ব্ল্যাকবোর্ডে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে লেখে!
একটু আলতো করে বুকের ওম ঢেলে ঠোঁটের
স্পর্শে ঘন নিঃশ্বাসে বলতে পারতে ভালবাসি।
বেঁচে থাকার অবাধ্য প্রায়শ্চিত্তের দীর্ঘ পথটা বেড়ে যেতো। বেঁচে থাকতাম আরো কয়েকটা দিন।

বেড়ে যেতো ক্যানসার হৃদয়ে স্বপ্নের কামনা বাসনা।
হ্যালো শুনছো ??
নাকি মোবাইল টা রেখে ঐ শিশির ঘন পথটা খুঁজছো??

খুব কাছে তুমি আমার,একদম পদ্মার পাড়ে অথচ হৃদয়ের পথে হেঁটেছি কতটা দিন একটু দেখবো বলে।তার পরেও তুমি নেই!
সব ছিলো ধোয়াসা ভোরের ক্ষণিক শিশির মাত্র।এই
সোন না তুমি ভালো আছো????জানি ভালো আছো।
সুখ এখন তোমার জীবন চূড়ায় গাঁথা।
তুমি কি কখনো স্বপ্ন ভাঙা মন দেখেছো??
তুমি কি কখনো স্বজন হারা কান্নার জল দেখেছো,
কতোটা বেহুঁশ হয় সেই জল !
হৃদয় পোড়া পঁচা গন্ধ কখনো পেয়েছো কখনো??
পেতে চাও বলো পেতে চাও কিনা??

তাহলে আমার উঠানে এসো।দেখ সব কটা

কাঁটায় বুনে ঝুলিয়ে রেখেছি, তোমাকে নিয়ে আমার দীর্ঘ
নিঃশ্বাসের উপন্যাস রাখার লাইব্রেরিতে।আসবে তো ?
আজও সেই ঝুলিয়ে রাখা স্বপ্ন ভাঙা মন,
স্বজন হারা কান্না, হৃদয় পোড়া পঁচা গন্ধ আমাকে
অসহ্য দুর্গন্ধে জলে আধ ডোবা পাথরে পরিণত করে।
আচ্ছা, তুমি কখনো আমাকে প্রশ্ন করো না আমি কে ?
ইচ্ছে করে না জানতে!
হা হা
আমি তো তোমার প্রেম ছিলাম। তুমি না জানলেও আমি তো জানি , তোমার কাছে কোনোদিন আমার প্রেম স্বাধীনতা পায়নি। এক সময় প্রেমের চারিদিকে ঘেরাও করলা রাজা কারের মত হত্যা করলা আমার প্রেমকে।
আর আমি আধা মরা তোমার কাছে।তার পরেও পাশে চলে এসো এ বুকের ভিতর ডুকরে কেঁদে বলো আমি তোমাকে ভালবাসি ……………..ভালবাসি
কি আসবে না ?

নষ্ট টেলিফোনের রিসিভার কানে ধরে আছো কেনো ? ভালো মোবাইল টা রিসিভ করো । অনন্ত শুনতে পাব।

——————————————–

কবিতা: বাবু,বাড়িতে আছেন?
কলমে: তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য।
তারিখ: 31/10/2022

বাবু,বাড়িতে আছেন?
অনেক ডাকাডাকির পর যদিও বাবু বেরিয়ে এলেন,
তবুও হাজার মিনতি করার পরেও লোকটা ভিক্ষা পেল না!
দাবি ছিল সামান্যই।
মাত্র এক মুঠো চাল! মুষ্ঠিভিক্ষা!
উত্তর এসেছিলো,
“লজ্জা লাগে না তোর!খেটে খেতে পারিস না!”
সে বলেছিল,
” না বাবু, গরীবের আবার লজ্জা কিসের?
বয়স হয়েছে,তাই আর খাটতে পারি না!
ছেলেরাও আর দেখে না।খাটতে পারি না বলে ওরাও তাড়িয়ে দিয়েছে বাবু!
অগত্যা ভিক্ষা মেগেই খাই!”
“জানিস, ভিক্ষা চাওয়া আইনত অপরাধ।”
“কোন আইন বাবু?
-দেশের?
-না বিবেকের?
ভিক্ষা মাগা যদি অপরাধ হয় তাহলে ভিক্ষা না দেওয়া বুঝি দেশাত্মবোধ?
-না বিবেকবোধ বাবু?
-আর ভিক্ষা চাইতে বাধ্য করানো বুঝি দেশপ্রেম?”
“তুই আমার সঙ্গে তর্ক করছিস?
এই মুহূর্তে আমার সামনে থেকে দূর হয়ে যা!
যত্তোসব ভিখিরির বাচ্চা!”
“গালি দিচ্ছেন বাবু?
দিন! দিন!
এটাই না হয় ভিক্ষা দিন!
গালি ভিক্ষা দেওয়া নিশ্চয়ই অপরাধ নয় বাবু?
আমি আপনাকে অপরাধী করতে পারবো না বাবু,
ভিক্ষা দিতে হবে না,
আইন মেনেই গালি ভিক্ষা দিন!”
একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে লোকটা এগিয়ে চললো সোজা রাস্তায়।
ফিরে যাওয়ার সময় লুকিয়ে মুছে নিলো চোখের জল!
প্রচণ্ড দুঃখ আর অপমান সত্ত্বেও লোকটা বাবুটিকে করে দিয়ে গেল ক্ষমা,
ধৈর্য না হারিয়ে বিশ্বাস রাখলো আবারও,
মানবতা হয়তো কোথাও এখনও বেঁচে আছে!
এগিয়ে চললো আবার কড়া নাড়তে,
অন্য কোন এক অপরিচিত দরজায়!
হয়তো আরও একটুখানি জোর গলায় এবার বলতে হবে,
“বাবু, বাড়িতে আছেন?”

——————————————–
জন জীবন
টি এইচ বকুল

ঊর্ধ্ব মুখী বাজার এখন
নিম্ন মুখী জীবন,
পায়ের তলার সরছে মাটি
আঁধার লাগে ভুবন।

একমুঠো চাল হিরের মত
সলতে পুড়ে ছাই,
স্বল্প আয়ের মানুষ গুলো
অনাহারে তাই।

থলের হাতল ফাঁসির মত
নিতে লাগে ভয়,
ক’দিন ধরে উপোস উনুন
পিত্ত থলির ক্ষয়।

নিত্য দিনের একি চিত্র
বুকে হাহাকার,
নতুন আলোর সূর্য সোনার
খুলবে কে যে দ্বার?

মিথ্যে বুলি অহরহ
যে যার মত বলছে,
আমলা আর নেতানেত্রী
নিজের মত চলছে।

ভাবেনা কেউ আমজনতা
বাঁচবে কেমন করে?
পুঁজিবাদী আজকে যারা
তারা’তো রঙ্গিন ঘোরে।

আখের গোছাও ইচ্ছে মত
যারা চালাও দেশ,
হয়তো তোমার এটাই হবে
দেশ চালানোই শেষ।

ঘি ঢেলেছো অগ্নি মুখে
এমনিই পুড়ে বুক,
তুমি কি আর বুঝবে বল
আমজতার দুখ।

কেমন করে আয়ের চাকা
দৌড়ে মরে রোজ,
ব্যয়ের চাকায় স্বপ্ন পিষাই
কেউ রাখে না খোঁজ।

আমজনতা আমরা বুঝি
জন্মেই হতভাগা,
নাম দিয়েছে মিছেই শুধু
আমরা নাকি বাঘা।

সকল প্রকার শক্তি নাকি
আমজনতায় ন্যস্ত,
আসলে ভাই আমজনতা
পান্তা জোটায় ব্যস্ত।

রচনাকালঃ ১৩-০৮-২০২২ ইং
স্থানঃ ২১শে ষ্টুডিও

——————————————–

বিভাগ –কবিতা
শিরোনাম –হেমন্তের সাথে
কলমে –প্রতিমা চ্যাটার্জী
তারিখ –31.10.2022

হেমন্তের সাথে-‘–

হেমন্তের নরম নরম রোদের তাপে,
মুখের উজ্জ্বলতা প্রখর হয়ে ওঠে…
মনে হয় শঙ্খচিলের সাথে চলে যাই,
ঐ দূরের আকাশ পথে —
অন্য কোন দেশের মানচিত্রে !!
অথবা ঐ দূরের কোন মাঠের সামিয়ানায়….
শ্যামল বরণী ধরণীর মাঝে…
প্রজাপতির খেলার খুনসুটি তে….
কতো সবুজের মাঝে…প্রাণের পরশ পেতে ,
চলো চলে যাই ঐ নদীর কলতানের,
মুখরিত ঝর্নার অবগাহনের মাঝে,
নিজেকে নতুন করে চিনে নিতে—
জীবন তো থেমে থাকে না,
এগিয়ে চলে অস্তরাগের আলোকমালায়….
চলার নামই তো জীবন
থমকে দাঁড়িয়ে পড়লে চলবে না
বোতলবন্দী ভালোবাসা তো মুক্তির আনন্দে
মুখরিত হয়ে যায়
এক সুমধুর কাব্যকথার সৃষ্টি করে

প্রতিমা চ্যাটার্জি,

——————————————–
আশ্চর্য ভালোবাসা_
#___ডিএস মজুমদার
পোস্টঃ ০১/১১/২০২২
___///

ভালোবাসা যখন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জেগে ওঠে
তখন তা ভালোবাসা নয় মোহ বলা হয়
আর তখন তুমি অপরের দগ্ দগে ঘা দেখতে পাওনা।

যখন তোমার ইগো প্রাধান্য পায়
ভালোবাসা তখন নিমজ্জিত হয় তলানিতে, বিশ্বাস হারিয়ে যায় নিমেষেই!
তখন, তোমায় ছোঁয়ার দুঃসাধ্য কার!

অপরের ব্যর্থতা গুলি যখন ভিড় করে
তখন অনায়াসে তাকে অবহেলা করা যায়।
রোদ বারান্দায় ব্যস্ত সময় কাটানোর সময়
তাকে প্রবেশাধীকার হতে বঞ্চিত করা যায়!
কেননা তখন তাকে প্রয়োজন হয় না তোমার।

তাইতো নির্দিষ্ট সময়ের ভালোবাসা
নিয়ম মেনেই শেষ হয় আর
দগ্ দগে্ ঘা গুলি ব্যস্ত হয়ে যায়
যন্ত্রণাকাতর নীল কষ্টে।

তাইতো অপরের প্রতিবন্ধকতায়
তোমার প্রতিশোধের খেলারা
মেতে উঠে ভালোবাসার মানুষটার উপর,
তখন ভীষণ, প্রচন্ড আর এত্তো ভালবাসারা
জলবিম্ব হতে থাকে অবিরত।

কি আশ্চর্য ভালোবাসা
দগ্ দগে্ ঘা-এর অবিরত যন্ত্রণায়
এক পর্যায়ে হাস্যকর হয়ে যায়!!!

___///
বাংলাদেশ_

Powered by themekiller.com