Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

যুগের হাওয়া
—————- তাহমিনা চৌধুরী

পান থেকে চুন খসলে
কতই দোষের পাহাড়,
সমুদ্র চুরি করে সাধু
হচ্ছে পগারপার।

বিনা দোষে শাস্তি ভোগে
থাকে চুপচাপ,
অপরাধীর চলনে বলনে
বেপরোয়া ভাব।

অল্প কথা কইলে ভাবে
এতো নয় গুনী,
যে জন বলে বেশি কথা
তবেই তিনি জ্ঞানী।

সাদা কালো নজরেতে
রঙের ফানুস উড়াই,
চিত্ত খানি ঘুনে ধরা
তারে আগে সারাই।

নারী পুরুষ সবাই সমান
শুধুই কথার জোশ,
পান থেকে খসলে চুন
কেবলই নারীর দোষ।

এ সবই আজ পুরনো প্যাচাল
নতুন যুগে আসি,
চিঠি পত্রের দিন শেষ
‘সেল’ তোরে কত্তো ভালবাসি।

চলাফেরা বলা কওয়া
ছিল কতই অভাব,
স্মার্ট ফোন হাতে এখন
বাড়ছে আমার ভাব।

দিনের শেষে দু’চারটা
সেলফি না তুলি,
ফেবুতে পোস্ট না করি
মোরে যাবি ভুলি।

বাবাকে ডাকি পপস
আর মা”কে বলি মম,
পিৎজা, বার্গার বেজায় খাই
চা’য়ে চিনি কম।

এই সবেতে দিচ্ছি এখন
হরহামেশাই দম,
মানুষ বাড়ছে দিনেদিনে
মনুষ্যত্ব কম।

যুগের হাওয়া লেগেছে গায়ে
তাইতো উড়ে চলি,
আছি এখনো আদিম যুগে
কানে কানে বলি।

——————————————–

কবিতা – পেশি শক্তির ক্ষয়,
কলমে – শরীফ খান,
তারিখ -২৪.১০.২২ ইং,

যোগ্যতার পরিচয়ে অস্তিত্ব সন্ধানে
মেধা আর গুণাবলীতে দুর্বল হৃদপিণ্ডে,
ধিকৃত অতৃপ্ত জনতার রোষানলে পড়ে,
বিকল্প পথে তৃপ্ত ভালোবাসা খুঁজতে,
অযোগ্যদের যোগ্যতাই একমাত্র,
হিংস্র প্রাণীর মতো পেশি শক্তির ব্যবহার।

ফাঁকা মুস্তিষ্কে হাক ডাক পিটে,
লম্বা কথার ফুলছড়ি ছড়িয়ে,
হিংসায় জর্জরিত হয়ে যোগ্যদের অযোগ্য বলে,
জনতার জটিল সমীকরণে বেশুমার হয়ে,
উচ্চতর আসনেও পেশি শক্তি দিয়ে,
নিজের মুর্খতা রাখতে চায় লুকিয়ে ।

কুলোশিত বদমেজাজী নোংরা খেলা ছেড়ে,
অন্তর আত্মার দিয়ে প্রকৃত প্রেমিক হয়ে,
জনতার হৃদয়ে ভালোবাসার বীজ বুনে,
সংগ্রামের পথে পরগাছার পেশি শক্তি রেখে,
সুস্থ দেহের সুস্থির বুদ্ধি আর ভালোবাসার মাঠে,
প্রেমিকের দৃষ্টি আকর্ষণে বাহারি আয়োজনে,
খুঁজে নিবে প্রেমিকা তার সত্যিকারের প্রেমিককে।

ইতিহাস স্বাক্ষী রয় বাহুবলের হবেই ক্ষয়,
নীতি ভ্রষ্ট আর চরিত্রহীনাদের হয়না জয়,
মিথ্যুক প্রতারকরা, মিথ্যাচারের চমকপ্রদ
সব কাহিনি সাজিয়ে যেতে চায় বহুদূরে,
কিন্তু? ভাড়ায় চালিত ক্ষনস্থায়ী শক্তি দিয়ে,
বাধাহীন টেকসই হয়না বেড়িবাঁধ,
তাইতো আজ অজানা আতংকে বেহুশ হয়ে,
ঘুমের ঘোরে উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে
উলুঙ্গো দেহে চলে যায় সীমানা ছেড়ে।

——————————————–
কলমে নবীন
/
”পেটের দায়ে মার ও লুণ্ঠনে সম্মান”
/
হাতেনাতে ধরতে পারলে বেদম প্রহার।
পরে জানা যায় বেচারা দিনমজুর,
কাজ না পেয়ে
পেটের দায়ে চুরি করেছে।
/
যিনি জাতীয় সম্পদ লুন্ঠন করেন,
তাঁকে চোর বলে সাহস কার !
কিঞ্চিৎ অর্থ মসজিদ মাদ্রাসায় দিয়ে ,
তিনি দাতা হাতেমতাই !
/
আপছোচ ! আজ পর্যন্ত শিক্ষিত চোরের
বিচারের দাবীতে কোন মিছিল ,
ব্যানার, ফেস্টন ও প্লেকার্ড ছাপিয়ে
রাস্তায় দু‘কদম হাটা হলো না।
তবে কি! ন্যায়ের পক্ষে শিক্ষিতরা নেই ?
/
মুনাফাখোরের সিন্ডিকেট ক’দিন পর পর,
বিভিন্ন সামগ্রী স্টক করে
কৃত্তিম সংকট তৈরী করে।
রাতারাতি কোটি কোটি টাকা অর্জন করে,
তবে তার বিরুদ্ধে মুখে মুখে
আলাপচারিতা চলে ।
সঙ্গবদ্ধভাবে কেউ রাস্তায় বের হয় না।
/
পৌনে দুইশত বছর গোলামী করে
ভিতরের আমিটা ভীতু হয়ে গেছে ?
৩০ লক্ষ প্রাণ দেওয়ার পরও
শোসনের বিরুদ্ধে সঙ্গবদ্ধ হওয়ার
হীম্মত তৈরী হলো না।
আপছোচ আমরা,
স্বাধীন দেশে গোলামী করছি।

——————————————–

বিহার ভাবনা
পার্থ সারথি দাস
(সন্ধ্যা -১০ টা
তা–২৪/১০/২২)
কোন বেলায় আসবে তুই ?
– সময় কাটে বিহনে,
কোন খেয়ালে আছো ভুলে
বুঝিনা তোর আচরণে।

জোয়ার-ভাটা নদীর খেলা
মনেও তেমন চলে,
তু-ই আমার মনের মানুষ
মন আমার বলে।

দিবা-নিশি তোর ভাবনায়
মজে থাকি গোপনে,
মনের ভাবনায় চোখে ভাসো
ভাব বিনময় মননে।

উতাল-পাতাল মনের ভিতর
কেমন থাকো নির্জনে?
তোর ভাবনায় ডুবে থাকি
ভেবে দেখো আচরণে।

(বদরপুর
কুমিল্লা)

——————————————–

কলমে-পূর্বাশা রায়
বিষয়-কবিতা
শিরোনাম-কেউ তো খোঁজ রাখো নি–
24/10/22

আন্দাজ করে বলে দিতে পারি আমি নিশ্চিত…..
অনেক যুদ্ধের পর এবার সামলে উঠেছি আমিই!
যখন নমনীয় ধমনী দুমরে মুছরে গেছে ভেতরে থেকে আমার!
তখন হাজারো আর্ত চিৎকার নিরবে নিঙরে লুকিয়ে হেসেছি আমিই!
লক্ষ‍্য তারার ভিরে খসে পরা একটি তারার মতো ছাই হয়ে
গেছে স্বপ্ন যখন ;
তখন আঘাতের পর চুপ হয়ে গেছিআমিই!
কতোটা রাত বিনিদ্র কেটেছে আর রঙহীন চোখের জলে চুইয়ে পরেছে অজানা তথ‍্যে রেখেছি গোপন:
কতো টা বসন্ত কেটেছে আপেক্ষ আর আপোশ করে…..
হ‍্যা আজ আমি ই একা নির্বাশনে জানি,
না মৃত‍্যুর কাছে তবু ও জীবনের থেকে বহুদুর…
শ্বাস চলছে ঠিক কিন্ত জীবন্ত লাশের মতো!
হুমম জানতে চাও শরীর ছুঁয়েছে কিনা আমায় মৃত হিম শীতলতা!
দেখো যাও কেমন কাপোড় জড়ানো শরীরে মামী আমি!
এ তো প্রচন্ড প্রখর খড়তা রুক্ষ উদাস ধূসর উষর,
নুরী কিংবা পাথরের মতো মনের উঠোনে এক মর্মস্পর্শি
সব কথার ভিড়…..
এক ধাপ দু ধাপ এগিয়ে দেখেছি এখানে সবাই পাথর মানুষ!
সব কেমন ব‍্যর্থতা -….
আকঁড়ে আছে শাখা প্রশাখার শেখড়!
যত বার আমিই ……………..
কেউ তো খোঁজ রাখোনি

——————————————–
সিত্রাং সমুদ্রে \_নুর এমডি চৌধুরী
সোমবার ২৪ অক্টো ২২ রাত ১১ টা
কুমিল্লা থেকে লিখছি

ঝড় বাতাসে স্বপ্ন ক্ষহে শো শো বাতায়ণ;
আকাশ গর্জে সাগর গর্জে গর্জিছে পবন!
বাবুই পাখি প্রবল ঝড়ে ছেড়ে দিল নীড়;
পৃথিবীটা ভয়াল রুপে আনিল তিমির!

জেলেরা জাল ফেলেই যেন মরন জলে ভাসে;
জানেনা কেহ কখন যে যায় জীবন জলোচ্ছ্বাসে!
সাগর পাড়ের মানুষগুলোর জীবন মরন খেলা.
প্রবল ঝড়ে ভাংছে বাড়ি মৃত্যুর যেন মেলা!

বন্দরে ভিড়া জাহাজ গুলো উত্তাল ঢেউয়ে দুলে;
আঁচড়িয়ে ভাংগে জাহাজের পাল সহস্র সাগর কুলে!
তিমির রজনী মরন ছোবলে ছিটে পড়ে শত লাশ;
কোটি কোটি প্রাণ ঝড় বাতাসে মৃত্যুর হাহুতাশ!

Powered by themekiller.com