Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

(লিখবো)
(সাইদুল ইসলাম)

লিখবো কি আমি বুঝতে পারছি না
কলমও যে আজ কিছু বলছে না,
ভাবনাগুলো আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
দূর থেকে কেউ যেন ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানাচ্ছে,
আজ কাল ভালোবাসা হলো স্বাগতম জানানো।
বেশিরভাগ যুবক-যুবতীর ইজ্জত-সম্ভ্রম হারানো,
ছেলেগুলোর সেজে হয়ে যাচ্ছে মেয়ে।
আর মেয়েগুলো সেজে হচ্ছে ছেলে,
অশ্লীল পোশাকে ঢেকে যাচ্ছে এই সমাজ।
হায় হায় একি দেখছি যুবক-যুবতীর সাজ,
ভালবাসার নাম দিয়ে বিলিয়ে দিচ্ছে সতীত্ব।
চোখে রঙ্গিন গ্লাস হয়তো তাই অন্ধ,
তবে শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহর কাছে।
মুষ্টিমেয় যুবক যুবতির কোরআন তেলাওয়াত করে,
মেধার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সেরা পুরস্কার এনে দিচ্ছে।
গর্ব হয় আমাদের তাদেরকে নিয়ে,
যারা আমরা মুসলিম অন্তত কোরান টা আমরা মানি।
মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সুন্নত গুলো মানি।
আমার লেখা নয় কোরআন হাদিস থেকে দামি,
আমি ত শুধু সাধারণ একজন মুসলিম আমি।
কি লিখবো আমি যদি কোরআন সুন্নাহ মানি,
তবে দো জাহানে হব আমরা কামিয়াবি।।

তাঃ-১৬-১২-২০২১

আলহামদুলিল্লাহ

——————————————–

কবিতা
9/10/2022

সমান্তরাল কাটাবো চুম্বনে

অসীম দাস

অসাবধানী বৃষ্টি হবি , প্রায় দুপুরের হিম ?
শুকনো রোদে রাতুল পথে প্রশান্ত রিমঝিম !

দৃশ্য- আয়ু হচ্ছে হলুদ , নতুন দৃশ্য দে
দায়িত্বহীন ঝরতে পারি ঝরার আনন্দে ।

সংসারী সুখ তেমন আছে যেমন জলাশয়
খোপের খোপে অন্তমিলে কোথায় সে বিস্ময় !

ব্যতিক্রমী সময়- শিশু অসংপৃক্ত মনে
রাখিস্ যদি , সমান্তরাল কাটাবো চুম্বনে ।

——————————————–

শিক্ষক নিয়ে বানিজ্য
*
মহিউদ্দিন সুমন
*

বিদ্যালয় সব পাকা করা
মাথার উপর ফ্যান,
সভাপতি ক্ষমতাসীন
না থাকুক তার জ্ঞান।

তার হুকুমে শিক্ষক নিয়োগ
যাকে খুশি নিবে,
যে জন বেশি টাকা দিবে
তাকেই চেয়ার দিবে।

ভবিষ্যতের তরুণরা সব
যাদের শিক্ষায় শিখবে,
ঘুষের টাকায় শিক্ষক আপনি
লেখাইলে কি লিখবে।

ঘুষ দিয়াতো চাকুরী নিছেন
এমনি চাকুরী হয় না,
ঘুষ দিতে সবাই রাজি
প্রতিবাদী হও না।

ঘুষের টাকা তুলতে মশাই
করছেন পাসের বানিজ্য,
এই শিক্ষকের শিক্ষায় জাতি
হারাবে সব মান ইজ্জত।

শিক্ষক নিয়ে বানিজ্যটা
বন্ধ হবে যেদিন,
সোনার ছেলে তৈরী হবে
দেখবে জাতি সেদিন।

——————————————–

কঙ্কাবতীর দুঃখ
মেশকাতুন নাহার
০৯/১০/২০২২

এক যে ছিল দস্যি সর্দার দেখতে ঠিকই মানব,
কিন্তু সে যে আঁধার রাজ্যের মহা একটা দানব,
কঙ্কাবতী কে আনে ধরে এমন বিকট মূর্তি,
অনুরাগের ছোঁয়া পেতে ঘটায় অদ্ভুত কীর্তি।

কঙ্কাবতী তোমায় আমি রাখবো রানি করে,
হীরা পান্নার মালা দিয়ে দেবো তোমায় ভরে।
রাজকুমারীকে নাকি সে করতো বহুত পেয়ার,
কারাগারে বন্দী করে চালায় ভীষণ প্রহার।

দৈত্য সম্রাট বুঝে না যে রাজকুমারীর মন,
নারকীয় তাণ্ডব লীলায় করতো আক্রমণ।
মিথ্যাচরণ আর লুকোচুরিতে করে নিত্য খেলা,
রাজকুমারীকে কয়েদ রেখে
বসায় জলসার মেলা।

সোনার পালঙ্কে ঘুম কি হয়! দৈত্য রাজের ভয়ে,
কত পালানোর উপায় খুঁজে চুপিচুপি সংশয়ে।
শক্তি দিয়ে কেনা যায় কী খাঁটি ভালোবাসা?
দোহাই লাগে দৈত্য সম্রাট করিস না আর তামাশা।

——————————————–

*। *বাঁশী*
অসীমা মুখার্জি
রি—-৮/১০/২২
বাঁশীটি তাঁর বাজে -বাজে অসীম লোকে,
লয় টি তার ছড়িয়ে পড়ে -বিপুল বিশ্বলোকে
ঘর ভুলানো -তালটি তাতে সাধা -!
মন বলে তুই -হোসনে উতল ওরে —
ওযে সর্বণেশে বাঁশী -বাজে আপন বোলে
ঘর ভুলানো সুরে -বাঁশী সাধা ।
যেথায় যাও -সুরটি রয় সাথে ,
লাগায় নেশা -হৃদয় সিন্ধু কুলে ।
বাঁশীর সুরে রত হলে সর্বণেশে নেশায় ,
সকাল সন্ধা ভুলায় না নান খেলায় ।
অনন্ত কাল একই বাঁশী ওলা ,
সুরটি তাঁর একই সুরে বাঁধা ।
আমিই সব আমাতে সব আছে –
এমন বলে দর্প করা তোমায় শুধু সাজে,
তুমিই হলে চরম বাঁশীওলা -!
সুরের ছলে -ভুলিয়ে রাখো , দিবা-রাত্রির খেলা।
তুমি আমার পরম প্রিয় চরম বাঁশীওলা ,
তোমায় খুঁজে কাটানু মোর-সকাল সন্ধ্যা বেলা ।।

6/10/২২ জীবন দেবতার খোঁজে।10/10/2২

——————————————–

তবুও তো ধরা দেবে
✍️ অভিজিৎ কর্মকার
~~~~~~~~~~
প্রশান্ত মহাসাগরের সীমাহীন বুকের অতল তলে পড়ন্ত দুপুরের চাহনি যখন হাঁচড়াতে হাঁচড়াতে অলীক নীড়ের সন্ধান পায়, তখনি ডানা ঝাপটে উঠা কাক-পক্ষীর ঘুম ভাঙ্গার আওয়াজ শুনা যায় । এক ঝাপটায় ফুৎ করে উড়ে যায় অর্ধ-ঘুমন্ত স্বপ্নগুলো। যতোই হউক সেতো অলীক। তাতে কী! তবুও তারা ঘরে ফেরে দিনের শেষে। জমা থাকে ঘরের আনাচে কানাচে অদৃশ্য অবচেতন অসংলগ্ন দৃশ্যপটে। কখনও বিংশ শতাব্দীর পুরনো চেনা ল্যাম্প হয়ে টিম টিম করে জ্বলতে থাকে এক কোনায়। কখনও আকাশের শীতল বুকে ঝলসানো এক টুকরা রুটি হয়ে ঝুলতে থাকে বুভুক্ষু শিশুসুলভ নির্জীব জিভের উপর। কী বা আছে তার বলার! আঠা খুজেঁ পায়নি বলে , কেও হয়তো আলপিন দিয়ে শূন্যবক্ষ ভেদ করে আটকে রেখেছে নিষ্ঠুর নীল চাঁদোয়ায় l অলীক স্বপ্নদের বেচেঁ থাকা সেই দিন পর্যন্ত, যতদিন না একটা ছোট্ট ধাক্কা এপার থেকে ঠেলে পাঠাবে ওপারের নিঃসীম অনন্ত মহাশক্তির মহ়াশান্তির ধূধূ শূন্যতার বিজয় রথে। হয়তো সে স্বপ্নের ফেলে যাওয়া আলোছায়াগুলো বহন করবে সাদা কাপড়ের পুঁটুলি । জীবন্ত সাদা রং গুলো সাজিয়ে রাখবে কিছু অবান্তর নির্মম চলার পথ। আর এই বিশাল আকাশের নীচে অনন্ত ছুটে চলা কস্তুরী মৃগরা হবে সাক্ষী। সাক্ষীরা নাহয় দু পা এগিয়ে হোচট খেয়ে ধরা দেবে পাহাড়ের পদতলে কোনো ছোট্ট সোনালী বা সবুজের ক্ষেতে বা কোনো বটবৃক্ষের ছায়ায় । তবুও তো ধরা দেবে।

Powered by themekiller.com