Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে হান্নানের বাড়িতে লাঞ্ছিত হয়েছেন যুবদল নেতা মতিন

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে হান্নানের বাড়িতে লাঞ্ছিত হয়েছেন যুবদল নেতা মতিন

আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে বিএনপির সমন্বয়ক এমএ হান্নানের বাড়িতে দলীয় নেতৃবৃন্দের হাতে প্রহৃত হয়েছেন যুবদল উপজেলা সদস্য সচিব আবদুল মতিন। আহত অবস্থায় তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। মারধরের ঘটনার সাথে জড়িত যুবদল পৌর কমিটির আহবায়ক ইমাম হোসন ও তার ভাই সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন। মতিনকে মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৬ই অক্টোবর) বিকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে ৫ই অক্টোবর বুধবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায়। এতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, উপজেলার অদূরে শোল্লা গ্রামের নিজ বাড়িতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ডেকে নেন এমএ হান্নান। সেখানে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা চলছিল। আহত আবদুল মতিন বলেন, নেতৃবৃন্দের আলোচনার এক পর্যায়ে সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মঞ্জিল হোসেন বলেন, আমরা না থাকলে ফরিদগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচী পালন হবে না। তার ওই কথায় বাধা দিয়ে আমি বলি গত প্রায় ১৪ বছর আপনারা দলের কোন কর্মসূচী পালন করেন নাই তখন বিএনপির কর্মসূচী পালন করেছে কে। এ কথার পর অতর্কিতভাবে যুবদল পৌর কমিটির আহবায়ক ইমাম হোসেন আমাকে পিছন থেকে ঘুষি দেন। একই সময়ে ইমামের সহোদর মঞ্জিল হোসেন আমার নাকে ঘুষি দেন। তার সহযোগী আমজাদ হোসেন শিপন চেয়ার দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। ওই সময়ে আমার নাকে আঘাত লেগে রক্ত বের হয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের থামান। এরপর আমি রাত ১০ ঘটিকা নাগাদ ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই।

এ ব্যপারে ইমাম হোসেন বলেছেন, আমি তাকে একটি ধাক্কা দিয়েছি। মিছা কথা কইতে পারমু না, পরে শুনছি তার নাক ফাটছে। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কিভাবে নাক ফাটছে আমি জানি না। তিনি বলেন, আর কেউ তাকে মারে নাই। এ ব্যপারে জানার জন্য, মঞ্জিল হোসেনকে একাধীকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিএনপি ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলাল বলেন, আবদুল মতিনকে সকলের সামনেই মারধর করা হয়েছে। বিএনপির উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও যুবদল উপজেলা কমিটির আহবায়ক মহসিন মোল্লাসহ বিভিন্ন্ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মতিনকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।

মতিনকে মারধরের ঘটনা স্বীকার করে বিএনপি উপজেলা কমিটির সভাপতি শরিফ মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, গত ১৪ বছর মঞ্জিল হোসেন ও তার ভাইয়েরা আওয়ামী লীগের দালালি করেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচী সফল করতে ভূমিকা রেখেছে। দলটা একটা ইন্ডাস্ট্রির মতো হয়েছে। একেক সময় একেকজন নেতা হয়ে আসে, আর আমরা কর্মচারীর মতো খাটি।

দলের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ওইদিন রাতে আলোচনাকালে এমএ হান্নান বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আমার ছবি দিয়ে উপজেলার সর্বত্র ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটাতে হবে। দলীয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত বরেছেন।

এদিকে, এ বিষয়ে জানার জন্য এমএ হান্নানকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে, তিনি দুপুরে আবদুল মতিনের সঙ্গে দেখা করতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছেন মর্মে আবদুল মতিনের কাছ থেকে জানা গেছে।

Powered by themekiller.com