Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

৩০.০৯.২২.
সিনিয়র সিটিজেন
এম.আর.মনজু

সিনিয়র সিটিজেন আমরা-
গায়ে নেই মাংস আছে চামড়া,
কাজ নেই কাম নেই করি বকবক
ঔষধ খেয়ে লাগে তিতে আর টক।

স্বজনেরা বিরক্ত কথায় ও কাজে
কাউকে বলিনা ওতো মরে যাই লাজে,
ভালো কারো লাগে না আমাদের দেখে
মনের যতো কথা সব লিখে যাই রেখে।

কারো কিছু করার নেই বুড়োদের জন্য
সরকার এগিয়ে এলে হতাম আজ ধন্য,
লোক দেখানো সহানুভূতি আমরা চাই না
ভালো কাজে নেতাদের কাউকে পাই না।

মনে রেখো একদিন তুমি বুড়ো হবে
বুড়োদের দুঃখ কি বুঝবেই তবে।

——————————————–

কোথায় রয়েছো

ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী

মনের আঁখিতে তোমাকে দেখি,
হৃদয় ভাষাতে কবিতা লিখি।
অনেক রকম কথাটা বলি,
কুলের কলঙ্ক দু’পায়ে দলি।
তেমার প্রেমের সুপথে হাঁটি,
হোকনা আমার সকল মাটি।
তোমার আমার প্রেমের পাখি,
পরেছে মধুর কোমল রাখি।
ব্যসাৎ করিছে সঠিক খাটি,
আমার বাসনা করোনা মাটি।
তোমাকে খুঁজেছি অনেক বাড়ি,
পেয়েছি ভীষণ দুখের হাঁড়ি।
কোথায় রয়েছো অতনুধারি,
আঁখির আলোতে দাড়াও বেদনাহারি।

——————————————–

নবীণা কে বলছি ~~~~~~
~~~~ কামরুল ইসলাম

নবীণা
কখনো কি নিজেকে খুঁজেছো
সদ্য ফোটা গোলাপে
অগনিত মৌপোকার গুঞ্জণে
সুবাসিত সংলাপে ।

নবীণা
কখনো কি দেখেছো ভেবে
দুর থেকে ভেসে আসা ঢেউ, সাগর তীরে
বারে বারে দিয়ে যায় চুমি
হারায় অতল গভীরে ।

নবীণা
কখনো কি শিউলী কুড়িয়েছো
দেখেছো কি তার বুকের ক্ষত
ভোর হতে না হতেই তার স্বপ্নরা
ঝরে পড়ে অবিরত ।

নবীণা
কখনো কি রাতের আকাশ দেখেছো
তার বুকে জ্বলে লক্ষ তারা
তবুও বেদনার নীল রঙে তার সাজ
দিগন্ত হারা ।

নবীণা
কখনো কি আমায় দেখেছো
উত্তাল ঝরে নিশ্চুপ প্রকৃতি
প্রতিকুল জোয়ারে ভেসে ভেসে
বুক ভরা অনুকুল আরতি ।

——————————————–

চক্ষুদান
কবি-সূত্রদীপ
তারিখ-১২ই আশ্বিন/১৪২৯
****************************
বোস বাবুদের আটচালাতে
পড়তে ঢাকে কাঠি,
প্রণাম ঠুকে নুরু পটুয়া
লিপলো ব্যানায় মাটি।
বাজনা শুনে দৌড়ে এসে
ন্যাংটো দুটি ছেলে, বললো নুরুর সহায় হবে
ঠাকুর গড়ার ছলে।
গড়ন তাদের নয় সাবালক
বুদ্ধিও নয় পাকা,
অবয়ব জুড়ে শাশ্বত জ্ঞানে
শারদ চিত্র আঁকা।
নুরু শুধু দেখে কুটু,বিটুর
পরনে বসন নাই,
আঁচল পাটে শরম ঢাকা
বেঢক ফাদরফাই।
নুরু শুধায়,ওরে ছেলেরা
তোরা-রে থাকিস কোথা?
কুটু বলে,খুড়ো জীবন পুরের-
নদী চড়ে ওই হোথা।
বিটু নেচে কয় শারদ সুবাসে
মোদেরও মন আটখানা,
উদরে লবনাম্বু ধারা,তবু-
মন আনন্দঘন কারখানা।
মোদের ক্লান্ত চোখে বরফ জমা
বুকের বেনু লাল হাপর,
উষ্ণ স্রোতে ভিতর পোড়ে-
আট কুঠুরী নীল কাপড়।
মোদের নয়-দরজার আলোকবর্ষে
নভ পরিবার মৃত,
মোরা যে শুন্যের আবাসিক প্রাণ
বিচিত্র মার্গে জীবিত।
মোরা জীবন দিয়েই জীবন দেখি
অপেক্ষার বীজ মন্ত্রে,
মোদের ক্ষুধাচক্র বিনিদ্র জাগে
নীরব অধর যন্ত্রে।
কুটু বলে,জানো খুড়োজান
মোদের অশ্বিনী দ্বারে,
কারা যেন রোজ গুমর ঠাটে
জন্ম কথা নাড়ে।
যখন শিউলী ঝরা শব্দ হৃদে
শারদানন্দের গান বাজায়,
তখন,রজত শুভ্র শিশির কণা চোখের তারায় আলপনা দেয়।
চক্রবালে শাশ্বতকাল মোরা
সব উৎসবেরই সাক্ষী,
সর্ব ধর্মের ক্রিয়া কর্মের,মোরা-
শান্তি রক্ষী শেনাক্ষী।
বিশপ রঙিন গর্ভগৃহ কুণ্ডে
মোদের আহুতি আগ্রাসী,
মোদের,হৃদপদ্মের টলমলে জল
রবির আলোতেই হয় বাসি।
উৎসব মোদের চিন্তে পারেনা
কারণ,মোরা যে মুখোশ হীন,
মুখোশির মুখোশ মুখোশে আপস
মোরাই বাজাই মোদের বীন।
শরৎ যতই মেলুক কুন্তল
শিশির ভেজা বন পথে,
মোদের অনুপ হৃদয় খ্যামটা নাচে
মেঘলা চোখের নহ-ন্যতে।
মোদের চোখে হারিয়ে গেছে
সকাল বিকাল রাত,
হারিয়ে গেছে খাদ্য সাথী
অন্নদাতার হাত।
কঙ্কালসারে ভ্রুকুটি দেয়
ভাঙাচোরা সীত মন,
মোদের নাইকো সজন বা পরিজন
ব্রাত্য প্রগতি বন্ধুজন।
হরেক মজার বাজনা বিদিক
ঘন্টা কাঁসর ঢাক,
আবাহনের তিন সমাজে মোরা
মৌ-বিহীন এক চাক।
মোদের চোখে শিউলি বেরং
শরৎ ফিকে কাশ বনে,
ব্রাত্য সুখের মলিন মুখে
তবুও শারদ বিজন মনে।
মোদের হৃদয় ছেঁড়া অমলানন্দ
বায়না ধরে শুন্যেতে,
ওজর ধুয়ায় স্মরণ করায়
বহু শতাব্দীর ভ্রূণেতে?
তাইতো মায়ের কেশরী চোখে
আর্জি জানাই চিংপিচিলি,
নাই জুটুক মা-উদর বরাত
ভূমারে করো নিরিবিলি।
উৎসব গুলি স্বচ্ছ থাকুক
ভুখার মিনতি রেখো,
হিংস্র দাঁড়ির মুক্ত কৃপাণে
সুধা চন্দন মেখো।
হিংস্ররা শুধু ভাঙতেই জানে
শৈশবে পায় শিক্ষা,
কেউ তো ওদের শ্রবণ কোটরে
দেয়নি শান্তি দীক্ষা।
ওরা আত্ম মোক্তবে সমাজ গড়ে
সমন্বয় জ্ঞান ঢেকে,
ওরা ধর্ম গ্রন্থে শ্রদ্ধা দেখায়
মনের ময়লা মেখে।
আজও মোরা মেঘে ঢাকা তারা
আলো বিহীন এক প্রাণ,
মোদের ক্ষুধার তরী ডুবুক,তবু-
হওক কলুষতার অবসান।
চাইনা দেখতে রজত গগনে
মুখোশ উৎসব খয়রাতি,
ঊষার গিণীতে চাইনা দেখতে
নৈশ কুটুম নখরাতি।
যতই মোদের চোখের শিউলি
শারদ সুখে পড়ুক ঝ’রে,
রেশম কীটের অন্ধ বিবেকে
রইনি সুপ্ত বেজার ঘরে।
মোরা তেলমাখা তুলো জ্বললে তবুও
বলবেই ওরা জ্বলছে দীপ,
যারা ক্ষুধার ইজেলে দাক্ষিণ্য আঁকে
দুই পায়ে চলা সরীসৃপ।
আঘাতে আঘাতে বুকের চিহ্নরা
ভ্রুকুটি জমায় জমকালো,
তবুও মাতৃপক্ষে প্রণমি তোমায়
চাইনা গো মা মুখোশি আলো।
সূত্রদীপের কোষের কুশিতে
সর্ব উৎসব হওক তরল মজ্জা,
কুটু বিটুর আলী আয়েশা স্টিভেনে
দানার রেপারে পাতুক সজ্জা।
সব কথা শুনে নুরু পটুয়ার-
নবরসে ভেজে আপ্তমান,
বিভল হাসির অধরা বিন্দুতে
নীরব ব্যাথা হলো ম্লান।
শুধু,ঘৃণার ঝুলিতে লুকিয়ে রেখে
মহাপ্রগতির মহাজ্ঞান,
কুটু বিটুর সজল আঁখিতে
নুরু করে,মায়ের চক্ষুদান।

——————————————-
কল্পশিশুর অল্প ভাবনা
– শিহাব ইকবাল

পারতাম হতে যদি
ভালোবাসার নদী,
বিশ্বজুড়ে
প্রাণের সুরে
বইতাম নিরবধি।

থাকতো যদি নসিব
আলাদীনের প্রদীপ,
দত্যিবলে
বিশ্বকোলে
থাকতোনা কেউ গরিব।

হতেম যদি হীরে,
লক্ষ লোকের ভিড়ে
আঙ্গুল বুঝে
নিতাম খুঁজে
হীরার মানুুষটিরে।

——————————————–

শব্দ নগর
শিরোনাম : শরতের আগমনে
কলমে : মায়া রানী মজুমদার
তারিখ : 30/09/2022

খুশীর জোয়ার শরতে, দূর্গা মায়ের শুভ আগমনে,
আলতো আমেজ দোলা দেয় সবার মনে।
দেবী দুর্গতনাশিনী মায়ের স্নেহ মমতায়,
শুভ্র কাশ বনের, কাশ ফুলের শুভ্রতায়।
শরতের শিশির ভেজা শিউলী ফুলের উজ্জ্বলতা,
চতুর্দিকে শরতের এক নির্মল সুন্দর স্নিগ্ধতা।
পূজার আনন্দেই মন করে শুধু আনচান,
বাঙ্গালী সবার মনেই, ডেকেছে খুশীর বান।
শরতের ভোরের শিশিরের গায়ে শিউলীগন্ধ,
কাশের বনের দোলা, দেখতে লাগে না মন্দ।
মাতৃ আগমনীর সুরে বাজে নানা ছন্দ,
শিশিরের জলবিন্দু গায়ে শিউলীর সুগন্ধ।
শরতের মুক্ত হাওয়ায় ফুটন্ত শিউলী ফুল,
মুক্ত আঙ্গিনায় ঝড়ে পড়তে করে না ভুল।
শিউলির সুবাসের সুগন্ধ চৌদিকে ছড়ায়,
মাতৃ আগমনী সুর যে মোদের মন ভরায়।
ঢাকীর ঢাকের শব্দ মোদের মন করে উতলা,
শিউলি ফুলেই সন্তুষ্ট পার্বতী ও ভোলা।
পূর্ব দিগন্তে আকাশের গায়ে উদীয়মান সূর্য,
দেবী মায়ের দর্শনণার্থে হয়ে গেছি মোরা অধৈর্য্য।

Powered by themekiller.com