মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার দক্ষিন আশ্রাফপুর গ্রামে পূর্বশক্রুতার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর অনুমান আড়াইটার দিকে দক্ষিন আশ্রাফপুর গ্রামের মৃত কালু মিয়ার পুত্র মো: জহিরুল ইসলাম (৪৩) ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম কে একই গ্রামের পাশাপাাশি নোয়া বাড়ীর মো: শাহজাহান (৪৮) গং পূর্বশক্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশে হামলা চালায়। হামলায় জহিরুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের ডান কানে রক্তাক্তসহ শরীলের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম এবং তার বস্ত্র টানা হেছড়ায় শীলতাহানি করে। এছাড়াও অভিযুক্ত শাহজাহান জহিরুল ইসলামের সাথে থাকা ব্যবসার মোট অংকের নগদ অর্থ এবং তার স্ত্রীর স্বর্নঅংলকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ডাকচিৎকারে ঘটনাস্থানে এসে পড়লে শাহজাহান গং স্থান ত্যাগ করে এবং তাদের স্বামী-স্ত্রী কে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।
জহিরুল ইসলাম জানান,এ ঘটনায় আমি শাহজাহান কে প্রধান বিবাদী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি । কিন্তু ৪ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযোগটি রেকর্ড ভুক্ত হয়নি। এতে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে এই বলে হুমকি দেয় যে, তাদের নিজেদের ও স্বাক্ষীদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে।
অভিযুক্ত শাহজাহান জানান, বাড়ির মহিলা-মহিলাদের সাথে ঝগড়া বাধেঁ, আমি পরে আসছি, আমার মেয়েও মারধরের শিকার হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসার জন্য শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া জানান, জহির ও তার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনাটি জানি এবং এ নিয়ে এলাকায় মীমাংশার চেষ্টা চলছে। জহির ও তার স্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ন্যায় বিচারের দাবী করেছে স্থানীয়রা ।
কচুয়া থানার এসআই আলাল অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-ঘটনাটি আমি সরজমিন তদন্ত করেছি এবং অভিযোগটি রেকর্ডভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।