Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

শিরোনাম-স্নেহধন্যা রূপকথা কলমে-অন্নপূর্ণা দাস। রচনাকাল-১৫-০৯-২০২২ তারিখ-২৪-০৯-২০২২ রূপকথা ভাবে কিভাবে তাকে কথা বলবে, কারণ সে তো তার পুরো কথা শোনেই না, তারমধ্যে কথা না শুনে উপদেশ বানী, এই ভাবত ভাবতে তার মাথায় এলো, হোয়াটসঅ্যাপ লিখে কথাগুলো বলি… যেমন ভাবা তেমন কাজ, লেখা শুরু হল তারপর পোস্ট করলো, কিছুক্ষণ পরেই একটি ম্যাসেজ ঢুকলো, ছুটে গিয়ে মোবাইল খুললো… তারপর দেখে স্নেহধন্যা রূপকথা…. এই ‘স্নেহধন্যা’ কথাটি দেখে রূপকথার মাথা রাগে গরম হয়ে গেল, স্ত্রীকে বলে স্নেহধন্য, আচ্ছা মানছি তোমার আমার বয়সের অনেক ডিফেন্স আছে, তা বলে স্নেহধন্যা! হিন্দু বিবাহতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়সের ডিফান্সে বিয়ে হয়, কারো ক্ষেত্রে কম আবার কারো ক্ষেত্রে বেশি, তাবলে ‘স্নেহধন্যা’…. তুমি তো দেখতে সুন্দর ,কলেজ জীবনে কত মেয়ের প্রেমের প্রস্তাবও পেয়েছিলে, সেখানে কি বলেছিলে স্নেহধন্যা প্রেমিকা, তাহলে…. এখন কেন?

——————————————–
আমার পুজো
চিরঞ্জীব হালদার

দুগ্গা দেবী দেখতে হেবি কপালে তার টিপ্
গোঁফওয়ালা অসুর দেখে বুক করে ঢিপ্ ঢিপ্

ঢাক বাজছে শরৎ এলে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে
ইঁদুর মহিষ ময়ূর দেখবি আমার সাথে গেলে

সকল পড়া বন্ধ এখন বন্ধ হোম ওয়ার্ক
এসব দেখতে মায়ের সাথে আছেন দেবী বাগ

গ্রামের থেকে আসবে দিদি মামাতো পিসতুতো
অস্ফুট সব মন্ত্র পড়বে তোতলা বামুন ভুতো

ষষ্ঠী রাতে শারদ ভোরে স্বপ্ন দিলেন দেবী
আমি তোদের দাদা পূজায় তোরা সবাই বেবী

টুঁ শব্দটি যদি করিস কামড়ে দেবে হাঁস
পূজোর শেষে আমায় তোরা না যেন চমকাস।

——————————————–

শিরোনাম–স্বপ্নময় শরৎ
কলমে– শ্রী নেপাল বিশ্বাস
দিনাঙ্ক–২৫/০৯/২০২২

নীল বারিরাশি-পূর্ণ গগন গঙ্গায় ,
জ্যোৎস্না-রূপ তরী বেয়ে কে এলে ধরায় ?
মনে হচ্ছে তারাগুলি তোমার খোঁপায় ,
হীরক-নিন্দিত রশ্মি সদা শোভা তায় ।

উমার আগমন বার্তা কাশ বনে আসে ,
সরসীতে পদ্মরাগ দেখি এই মাসে ,
বন্য পুষ্পের ঝিলিক সড়কের পাশে ,
অপরূপ তব রূপ ধরণীর বাসে ।

চাঁদ হাসে মিটিমিটি আকাশের মাঝে ,
দেবকন্যা আলপনা দেয় সেথা সাঁঝে ,
সন্ধ্যাবেলা উলু ধ্বনি শঙ্খ ঘন্টা বাজে ,
অপরূপ রূপে আজ ধরা যেন সাজে ।

মেঘে রামধনু আঁকে প্রায়ই বিকালে ,
রক্ত রাগে লাল সূর্য ওঠে রোজ সকালে ,
পুজোর গন্ধ ধেয়ে আসে সমীরণ বহিলে ,
কবি-মন লীন হয় আকাশের নীলে ।

নমস্কার

——————————————–

দয়াময় প্রভু
সালাহ্ উদ্দিন মিঠু
২৫-০৯-২০২২খ্রিঃ
(স্বরবৃত্ত ত্রিপদী পয়ার)

স্রষ্টা তুমি সৃষ্টি মাঝে
স্মরি তোমায় সকল কাজে
তুমি মহান দাতা,
তোমার দয়া সকল সময়
থাকলে মনে নাই কোন ভয়
নোয়াই সদায় মাথা।

আকাশ বাতাস চন্দ্র তারা
সৃষ্টি দেখে আত্মহারা
সবুজ শ্যামল ধরা,
ডানে বামে যাহা আছে
সুস্বাদু ফল গাছে গাছে
অঢেল পৃথ্বী ভরা।

মৃত্তিকাতে ফসল ফলে
খেয়ে মোদের জীবন চলে
নেয়ামতে পূর্ণ,
এতকিছু পেয়ে যারা
লোভে পড়ে আত্মহারা
দর্প হবে চূর্ণ।

দয়ার দানে ধ্যানে মনে
জপি যে নাম প্রতিক্ষণে
রব হও তুমি কাণ্ডার,
কবর হাশর শেষের দিনে
গোলাম তব নিও চিনে
তুমি দয়ার ভাণ্ডার ।

দয়াল নবীর উসিলাতে
উম্মত হয়ে তাহার সাথে
মুক্তি যেন মেলে,
সেই আশাতে দিবসযামী
আছি ওগো অন্তর্যামী
শান্তি দিদার পেলে।

——————————————–

“কষ্টের অনলে আবৃত সুখ চাঁদোয়া”
মোঃবখতিয়ার হোসেন মন্ডল।
২৫/০৯/২০২২ ইং।

একটা সময় ছিলো,যে সময়টাতে খুব কাঁদতাম
সামান্য ব্যথাতেও, কান্নার শব্দেরও ছিলো বেশ জোর,
মন থেকে চাওয়া কোন জিনিস না পেলে জোর
করতাম খুব , রাগ করতাম,অভিমান করতাম।

এখন বয়সের সাথে তাল মিলিয়ে কান্নার শব্দ টাও
দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে, এখন আর মন চাইলে কাঁদি
না যখন তখন, শুধু নিরবে নিবৃতে অশ্রু ঝরে শব্দবিহীন
নিজের ভিতরে ভিতরে ভাঙ্গতে থাকি রোজ রোজ।

দীর্ঘনিঃশ্বাসে গুমরে গুমরে মন কাঁদে অভিমানগুলো পড়েছে কোন এক দিকহারানো ফাঁদে,
নচাহিদা আর ভালো থাকার মাপকাঠির সাথে পাল্লা
আজ আমি অনেকটাই বদলে গেছি।

তবু্ও না পাওয়ার বেদনা গুলো আমায় এখনো কাঁদায়
সেই কান্নায় শুধু অশ্রু আসে শব্দ থাকে না,
পুরো পৃথিবী যখন নিস্তব্ধ ঘুমে বিভোর ঠিক তখনি
না পাওয়ার যন্ত্রনা আর হাহাকার বুকে নিয়ে মনের দুঃখ
লাঘব করার প্রয়াসে অশ্রুসিক্ত নয়নে অঝরে বৃষ্টি ঝরাই।

রাতের নিঃসঙ্গতা আমার চারপাশে জুড়ে বসে
ঠিক তখনি আত্মনাদে বুকে শূন্যতা চেপে আসে,
বেলা শেষে বালিশে মুখ গুজে প্রতিশ্রুতি গুলো শব্দ খুঁজে
ভুলে থাকার চেষ্টা বৃথায় করি,অযথাই করি উড়াউড়ি।

নির্ঘুম,অন্ধকার রাত বুকফাটা কান্না কিছু স্মৃতি
রাখলাম জমা ঐ আকাশের বুকে
নিথর দেহ নিষ্প্রাণ মন
তবুও থাক মেকি হাসি মুখে ।

——————————————–

শুনলাম বইটা ছাপা হয় নি
আরাফাত ইসলাম সয়ন
তারিখঃ২৪.০৯.২০২২ইং

শুনলাম বইটা ছাপা হয় নি।
হৃদয়ের আগুনে দগ্ধ হয়ে আছে পাণ্ডুলিপির পাতা গুলো।
তারা বেশ অযোগ্য, এখনো তাদের বয়স হয় নি,
তাই এখন কিছু দগ্ধ পাতার ন্যায় তাদের বাস।
এখনো দুটো ছাপা অক্ষরে নিজেকে দেখার খুব ইচ্ছে,
তবে আজ অক্ষর গুলো ধিক্কার জানায়।

শুনলাম বইটা ছাপা হয় নি,
তরুণ লেখক,মোচ গজায় নি,শরীরটা এখনো নরম,
রক্ত গুলো টগবগ,বেঁফাস কথা বলতে ওস্তাদ,
তার তো বয়স হয় নি,কি বা লেখে কি বা পড়ে
কে বা জানে মনের স্রোতে নিভৃতে,
সেথায় কোন নিয়ম নেই।
আছে একটা কলম আর কিছু পাতা,
তার তো বয়স হয় নি,
তার লেখা কে বা পড়বে,হউক না বড় একটু দামাল,
চিনুক মানুষ রাস্তার অলিতে গলিতে,
তারপর না হয়, লিখবে কিছু,
তবে একটা প্রশ্ন জমে থাকলো, সে জনপ্রিয় না সে লেখক?

শুনলাম বইটা ছাপা হয় নি,
টাকা কড়ির বড্ড অভাব,নুন আনতে পান্তা ফুরোয়,
চারপাশে জমানো অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী
শুধু জানায়, “লেখালেখি কি মানুষ করে।তা দিয়ে কি পেট চলে?”
এদিকে পরিবারের টানাপোড়েন বাবার স্বল্প আয়,
মায়ের রোজ রাতের এক মুঠো আবেগ ভাষ্য,
“পড় বাবা,অনেক পড়, বড় হয়ে চাকরি জুটাতে হবে না।”
মা কি জানে ছেলের মনে কি শখ জমে,
মনের আধার চায় কি কভু পড়তে কিছু,
চায় তাকে উল্টে পাল্টে পড়ুক সকলে,তা আর হলো কই,
এই দীনতায় কি আর বই হয়,
তরুণদের নাকি কেউ চেনে না,
প্রকাশকের কপাল পুরার শখ নেই।

শুনলাম বইটা ছাপা হয় নি,
তার বই কেউ পড়বে না,বেকার কেন তবে নষ্ট হবে হাজার টাকা,
থাক ছাপতে হবে না,
তবে এখনো একটা প্রশ্ন জমে,
লেখা কি বয়স গুনে, না শব্দ বুনে।

রচনাকালঃ২৪.০৯.২০২২ইং

Powered by themekiller.com