Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

শিরোনাম _মনের মেঘের বৃষ্টি
পবন কুমার সাহা
২৩/৯/২০২২

কি দিলি তুই আমায় হেমন্তের হিমেলে গোধূলি লগ্নে উষ্ণতার পরশে বেঁধে ,
তোকে ছোঁয়ার অন্তহীন নিরলস প্রচেষ্টা হৃদয়ের তীব্র আকুলতার ইতি টেনে !!
ভালোবাসার অনন্ত চাওয়া মনের আবেগে উৎকণ্ঠা জড়ানো ব্যাকুলতা ,
তোর একটা ছোট্টো ইশারার টানে মনের সকল ইচ্ছের দরজা দিলি খুলে !!

কত ধূসর মরুপ্রান্তর নদী খাল বিল সাগরের জল ডিঙ্গিয়ে পারি দিয়েছি
তোর মন আঙিনার সন্ধানে অন্তহীন ভালোবাসার নেশায় ঐ পথ চলাচল !!
সহস্র নির্ঘুম রজনী ঢলেছে তোর কথা ভেবে ভেবেই নিশি রাত্রির কোলে ,
আবার তৃষ্ণার্ত মনের রোদেলা বেলা যায় চলে বুকফাঁটা হাহাকারে !!

অবশেষে হয়তো তার হয় দেখা উজ্জ্বল মনের অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা খাজানা ,
যার সন্ধানে হারিয়েছে জীবনের কত দুঃখ যন্ত্রণার সেই বেলা !!
অনর্গল চেষ্টা মনের স্বপ্নিল আকাঙ্খা ভালোবাসা পাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ,
অবশেষে আজ ধরা দিলে হৃদয়ে উরন্ত মেঘের একপশলা ভালোবাসার বৃষ্টি !!

আমার প্রতিদিনের প্রেম আবেগে ভেসে থাকা মুক্তোর দানার মতো উজ্জ্বল অনুভূতিতে ,
আমি গেঁথেছি মালা ভালোবাসার সকল পরশের ছোঁয়া তোকে দেব বলে !!
আজ নিজের হাতে দেবো গলে আমার সকল ভালোবাসার সুনামির ঢেউ ধরে,
সোনা ঝরা হাসি আর মায়াবী চোখে তুমি নিলে আমাকে নীরবে কাছে টেনে !!

বিস্মিত চোখে আপ্লুত মনে শব্দ হারালো আমার গলার স্বর ,
ভালোলাগার বন্যায় ভাসালো আমার হৃদয়ের অন্তরের সর্বকূল ছাপিয়ে শরীর মন ভিজিয়ে !!
স্বপ্ন ছোঁয়ার খুশী মন বাতাসে উষ্ণতা এনে দু’চোখের কোণে দিল অশ্রু ঢেলে ,
মনের গ্রহীনে মৃদু ভূমিকম্পে নাড়িয়ে দিল অঙ্গ প্রত্যঙ্গে মিষ্টি শিহরণ তুলে !!

দীর্ঘ উপবাসী মন স্বীকৃতি পেল তোর ভালোবাসার মাধূরীর স্পর্শে ,
ভাঙ্গলাম তোর মনের কঠিন ইচ্ছের বাঁধ আমার প্রেমের উত্তাল প্লাবনে !!
শরীর থেকে মনটা ছেড়ে গেলো ও থাকবো তোমার ভালোবাসায় সন্ধ্যিক্ষনে
স্বপ্নিল তৃপ্তির অপূর্ব সুখ পেলাম দু’হাতের ছোঁয়ায় স্বস্তির বন্ধনে !!

——————————————–

সমস্ত কিছু ছেড়ে
______________
রা জ রু ল ই স লা ম
২৩/৯/২২

সমস্ত কিছু ছেড়ে
একদিন মানুষ তার মানসী কে ছেড়ে
একদিন এই পৃথিবীকে ছেড়ে
নীলকন্ঠ পাখি হয়ে পাড়ি দেয়
ভৈরবীর বেশে অজানা এক নিভৃতলোকে ।
সমস্ত
ঋনের জ্বালা শেষ হয়ে যায়।
সমস্ত দীনের দেনা শেষ করে।
পরম মুহূর্তের এক বিকেল।
পাড়ি দেওয়া হয়।

সবুজ ধান করুন সুর খোঁজে নেয়
বৃষ্টির জলধারায়।
তারি মাঝে জাগে ওঠে মৃত প্রেমিকার আত্মাভিমান।
জেগে থাক পেঁচার নিঃসৃত চোখের জলে
ভিজে থাকে জোছনা।
সব ছেড়ে বুড়ো শতাব্দীর কোন এক
শতকে আবার শতকোটি মানুষের ভিড়
দু একটা চেনা মুখ খুঁজে।
নবজাতকের মুখে ।
শিশুর মুখ।
মানসীর মুখ।
দেখে দেখা হবে না আর।
সমস্ত চলে যায়।
একদিন সমস্ত কিছু ছেড়ে।

আমৃত্যু জীবনে সুদূর ডাকে
একদিন
হারিয়ে যায় সব উপহাসের দোলাচল ।
ক্ষয়িত জীবন কে পারে ধরে রাখতে।
তবুও
ভালোবেসে ডাকি তাকে।

______________
@ রাজরুল ইসলাম।

——————————————–

ডিকেকটিভ

✍️ জুবায়ের হাসান

ডিকেকটিভ ডিকেকটিভ
আমাদের ডিকেকটিভ
গলি, মাঠে, অফিসে, বুনো ঝোপে

প্রিয় ডিকেকটিভ
বলতে পারো –
কেন আমার কবিতারা মৃত্যুবরণ করে ?

প্রিয় ডিকেকটিভ
বলতে পারো –
ভাদ্রের আগমনে কেন থরথর করে কেঁপে ওঠে বাঘ?

প্রিয় ডিকেকটিভ
বলতে পারো –
তেরো বছরের নাবালিকা কেন হাসতে হাসতে বেশ্যা হয় ?

প্রিয় ডিকেকটিভ
বলতে পারো –
মানুষ আর কুকুর কিভাবে বন্ধু হয় ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট একসাথে খাওয়ার জন্য ?

তোমার হাতের নিশ্চুপ ওয়াকিটকি উত্তর চাচ্ছে;
প্রিয় ডিকেকটিভ — তুমি উত্তর দাও।
তোমার হাতের প্রফেশনাল পিস্তল বুলেট ছাড়তে চায়;
তুমি বুলেট ছাড়ো — প্রিয় ডিকেকটিভ।
গুলি করো ডিকেকটিভ
গুলি করো,

‘হেমন্তের সবুজ পাতায় না হলে রাঘব বোয়ালের বুকে ‘

তোমার কলম প্রতিবেদন লিখতে চায়?
লেখো ডিকেকটিভ প্রিয় ডিকেকটিভ তুমি লেখো ;
প্রয়োজনে আমরা সাগরের জল করে দেবো কালি।

( তবুও, সবুজ পাতায় রক্তে আর কখনো লিখো না প্রতিবেদন )

ক্ষুধার জ্বালায় আজ মারা গেল আমার এক্যুরিয়ামের প্রিয় গোল্ডফিশ টাও।

ও ছিল আমার বেস্টফ্রেন্ড।।

২৩/৯/২০২২
চুয়াডাঙ্গা , খুলনা , বাংলাদেশ ।

——————————————–

আমার আছে —
—রেশমা বেগম
২৩.৯.২০২২ইং

আমার আছে ভালোবাসার নীল সাগর
নেবে কী সাগরের চুনি-পান্নার ঢেউ —
রেখেছি গোপনে আরো কত কী!
তোমার তরে হাজার বছর ধরে সুগন্ধি প্রেম-বায়ু।
নক্ষত্রের মেলায় মেতেছি অনন্ত সময়ে
তোমার হাত ধরে স্বপ্নলোকের পরমায়ুতে,,
তারার খিলখিল হাসাহাসিতে নির্ঘুম রাতে
দর্পণে চেহারাখানি দেখি অতি সন্তর্পণে।
এই আমি,কোথায় আমি—কার আমি?
বর্ণাঢ্য সুরে মিলবে কী তোমার আমার
বিরহী নিস্তব্ধ আত্মার গীতিমালা!
সোনার তরী অপেক্ষমান পাল উড়াবে বলে।
নেবে কী সঞ্চিত,রক্ষিত ভালোবাসার মোহর-মুদ্রা
পথ চেয়ে আছি বসে দক্ষিণা দুয়ারে —
পদধ্বনি আওয়াজ তোলবে কী মনো-কিরণে
প্রত্যুষের মেঘমালা হয়ে ভাসবে কী গগনে?
আমার আছে নীল নয়োনা হরিণ শাবক
খেলার বাগিচায় তোমার ময়ূরী নৃত্যরত,
পাবো কী আমি চৈত্রের পোড়া তামাটে
খর ভালবাসার শান্ত চোখের পলক??

ঢাকা, বাংলাদেশ।

——————————————–
নির্দয় নিয়তি
শ্যামল চন্দ্র ভাওয়াল
(তা-২৩/০৯/২২)

কেউ ভাসে কেউ ডুবে
তরী টলমল,
কেউ আবার স্বপ্ন দেখে
চোখে ঝলমল।

নিয়তির নিয়ম নীতি
বুঝা বড় দায়,
কে-যে কখন বিদায় হবে
বুঝা নাহি যায়।

ছেলে বেলা ছিল ভালো
কেউ ভাবে যৌবনে,
যাওয়া কালে কেঁদে বেড়ায়
কতো ভুল তারুণ্যে।

কোন আশা হইলো না পূর্ণ
সময় কালে হায়,
কে-যে কখন বিদায় হবে
বুঝা নাহি যায়।

(কুমিল্লা
বদরপুর
বিকাল ৩টা।)

——————————————–
Monera Mashid
23.9.2022
কবিতা–
শিরোনাম– ভালোবাসা_একটা_শব্দ

দীর্ঘ এক যুগ পরে এসে-
তুমি আমাকে মুক্ত হতে বললে।
আমি তো বেশ ছিলাম তোমার দেওয়া-
ছোটো বড় দুঃক্ষ, অপমান আর-
তোমাকে না পাওয়ার একরাশ বিষন্নতা-
আর এক হৃদয় শূন্যতাকে –
হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে কবর দিয়ে।

কিন্তু তবুও তুমি আমাকে মুক্ত হতে বললে …ঢ্য
যখন মুক্ত ছিলাম তখন ছেড়ে চলে গেলে।
হটাৎ এক যুগ পরে এসে তুমি বললে মুক্ত হও।

তখন মনে হয়েছিল কি কি থেকে —
মুক্ত হবো আমি ???এবং মুক্ত হতে পারি ???
সমাজ ? সংসার ? স্বামী ? সন্তান ????
এক যুগ ধরে আমার উপর যে বিশ্বাস,
নির্ভরতা ,ভালোবাসা —
এসব থেকে মুক্ত হওয়া কি এতোই সহজ ???
আর কেনই বা মুক্ত হতে যাবো ???

তোমাকে বিশ্বাস করে ????
যে ভালবাসা ,আর আরো ভালো কেরিয়ার,
বিদেশি অফারের মধ্যে ভালোবাসাকেই ভালোবাসার মানুষটিকে ই না বলে
চোরের মতো যে পালিয়ে যায় তাকে বিশ্বাস করে ???

তোমার আতে ঘা পড়তেই তুমি বললে আচ্ছা
ঠিক আছে ঠিক আছে, তুমি মাথায় করে রাখো
তোমার সংসার, তোমার স্বামী, তোমার সন্তানকে।
আমি শুধু চাই তোমাকে মাঝে মাঝে একটু
একটু একান্তে ।
আমি বললাম তুমি কি আমায় লিপ্ত হতে বলছো
পরকিয়ায় ??
তুমি বললে আমি কি তোমার পর ?
আমি এখনো ভালবাসি তোমায়।
আমি বললাম ভালোবাসার কোনো এখনো —
তখনো হয় না।
তোমার মতো সুবিধাবাদীরাই নিজেদের সুবিধা-
অনুযায়ী ভালোবাসো, না না ভুল হলো —
“ভালোবাসা ” শব্দটা ব্যাবহার করো !!!!

( মনিরা মাসিদ)

Powered by themekiller.com