আত্ম দহন
সারমিন জাহান মিতু
২৩-৯-২০২২
ইদানীং আর কবিতা লেখা হয় না অরুন্ধতী – জীবন যেন কেমন বদলে গেছে,
নিজের চেহারাটাও বিদঘুটে আকৃতির মনে হয় – শ্যাওলা ধরা পরিত্যক্ত পুকুরের মতো -যে জলে আর স্নান করা সাজে না।
একটা সময় ছিলো যখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লাল ফুলের সঙ্গে বাতাসের কথা হতো – পাখিদের মিষ্টি কলতানে প্রভাত ফিরে পেতো প্রাণ,
তখন শব্দ তরঙ্গ এসে ফিসফিস করে বলতো- ঘুমন্ত আমার মনের কানে কত কথা – আমি লিখতাম সহস্র বছরের না বলা কথা।
এখন বাস্তবতার কষাঘাতে ঝিমিয়ে পরেছে মনের অনুভূতি গুলো – কংক্রিটের শহর জুড়ে এখন একাকিত্বের মিছিলে আমি বড়ো একা,
জানি একদিন ভ্রাম্যমাণ জীবনের পরিসমাপ্তিতে খুঁজবে না কেউ – আমি বলে একজন ছিলাম।
হয়তো এমনই কথা ছিলো – কথা থাকে অদৃশ্য লিশালিপিতে কেউ কারো নয় আপন,
তবুও জীবন স্বপ্ন দেখে – বুনোহাঁসের মতো পাড়ি দেয় জীবনের অথৈ সাগর।
দক্ষিণা হাওয়ায় উড়ে চলা টুকরো টুকরো স্বপ্ন – জোড়াতালি দিয়ে বেঁচে থাকার নাম যেন জীবন,
অচল গদ্যের মতো বইয়ের ফ্রেমে আটকে পরে – তৃষ্ণায় ধুঁকছি অনন্তকাল – স্বজনের মুখোশে কেউ নেই – বিস্মৃতির কাঁটা বনে আমার আত্মচিৎকার।
জীবন এখন বাঁচতে চাওয়া শ্লোগানে মুমূর্ষু – কবিতা এখন বুকের ভেতরে আত্ম দহন,
ওকে আর কাগজে – কলমে জীবন দিতে অক্ষমতার কাছে পরাজিত আহত সৈনিক আমি।