অনুগল্প
——
মেয়ে হল ডাক্তার
-রাণু সরকার-
ভূমিষ্ঠ হবার পর তার মা মারা যায় চিকিৎসার অভাবে। গরিবের আবার চিকিৎসা আছে নাকি।
তাই মেয়েটির বাবা ভীষণ কষ্ট পেয়ে মনে মনে ঠিক করলো মেয়েকে তার ডাক্তার বানাবে, আর যেন বিনা চিকিৎসায় তার মায়ের মতো কোন মা প্রাণ না হারায় এবং কোন মেয়ে যেন অকালে মাতৃহারা না হয়।
বাবা ভীষণ কষ্ট করে মেয়েকে বড় করছে আর ভাবছে- মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করতে হবে।
রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া, মানুষের বাড়ির টয়লেট পরিষ্কার করা, আরো নানা কাজও করত সে দিনভর। সবই ঠিকে মজুরির কাজ।
মেয়েটি গর্বিত তার বাবার কাজ নিয়ে, কত মানুষ কতরকম ভাবে অপমান করে, কিন্তু মেয়েটি ও তার বাবা কারুর কথা গায়ে মাখেনা।
তারা থাকতো এক বস্তিতে রেললাইনের ধারে, খুবই খারাপ অবস্থা থাকার জায়গার।
এখানে থেকেই একদিন মেয়েটি গায়নকোলজিষ্ট ডাক্তার হলো। তার বাবা কিন্তু তার কাজকে ছেড়ে গেলো না, সে বলল- যতদিন আমার শরীরের ক্ষমতা থাকবে ততদিন কাজ করে যাবো আজ এই কাজ করেই তো মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করছি। এই কাজকে ছেড়ে দিলে ঈশ্বরকে অপমান করা হবে।
মেয়ে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাট কিনলো বাপ বেটির সুন্দর এখন সুখের সংসার।কোন কাজকে ঘৃণার চোখে দেখতে নেই আর চেষ্টা থাকলে কি না হয়।