Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

সমুদ্রের কান্না
শফিউল আলম
কক্সবাজার, ২৬ আগষ্ট -২০২২ খ্রিঃ।

ভেবেছিলাম শুধু মানুষই কাঁদে,
কেননা, তার অনুভূতি আছে;
বেদনা অনুভবের মন আছে;
দুঃখ প্রকাশের ইন্দ্রিয় আছে।
কিন্তু না, আমি যে..
সমুদ্রকেও কাঁদতে দেখেছি!
তার করুণ আর্তনাদ শুনেছি;
তার মাঝে অস্থিরতা দেখেছি;
রাগে ক্ষোভে ফুঁসতে দেখেছি।
তবে সমুদ্র, সেও কি…
মানুষের মত সংবেদনশীল!
তারও কি অনুভূতি আছে!!
যদি নাই বা থাকল, তাহলে-
কেন তার আর্তনাদ অহর্নিশ?
সমুদ্র, সে তো উপমা;
বিশালতায় অনুপমা।
তার মাঝেই বা কেন এতো শুন্যতা!
গগণ বিদীর্ণ করা অট্টকান্না!!
তবে, সমুদ্র কি জানিয়ে যাচ্ছে..
তার প্রাচুর্যতা নিছক অর্থহীন?
যদি তাই হয়, মানুষ! মানুুষ কেন
ক্ষণলব্ধ প্রতিপত্তির প্রভাব ও
ঔদ্ধত্যে-অহমিকায় গা ভাসায়?
কোথায় সমুদ্র আর কোথায় মানুষ!
দুটো সত্বায় যে আসমুদ্র ব্যবধান;
তবুও সমুদ্র সে, কাদঁছেই নিরবধি।

সফিউল আলম

——————————————-
২৬শে আগষ্ট, ২০২২ইং
একটি অরাজনৈতিক ইতিকথা।
কাজী রাশেদের কবিতা।।

আজকাল পোস্ট অফিসের ডাকবাক্সের মতোন
বড়ো বেশী অপ্রয়োজনীয় হয়ে পরছে মানুষ,
সবকিছুর দাম বাড়ে, মুল্য বাড়ে বাজারে,
অথচ সৃষ্টির কথিত সেরা জীব মানুষের
দাম কমে যায় প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন,
তবু পরে থাকে চেনা পরিচিত এই সংসারে,
এই সমাজে, প্রিয় কোন ত্রাতার অপেক্ষায়।
প্রিয় কোন পরিবর্তনের আশায়।।

রাজনীতিতে নেই রাজনীতিক নেতা,
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের চক্ষু লজ্জা
উঠে গেছে অথবা ভুলে গেছে সেই কবে,
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ঋণ আর
লাখো মা বোনের আত্মত্যাগে পাওয়া
স্বাধীনতা, আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।
এখন শুধুই তোষামোদ আর তেলবাজী,
আমলা, মুৎসুদ্দি, লুঠেরা ধনিক,
স্বৈরশাসকদের মতো ক্ষমতার লোভ,
রাজাকার তোষণ আর পুনর্বাসন।

সাফারি কোট আর রঙিন চশমার আড়াল
দিয়ে স্বৈরশাসকের মতো দেশ,
রাজনীতি, ভন্ডামি, আর মিথ্যের বেশাতি
শিখে নেয় আজন্ম রাজনীতিতে বেড়ে উঠা
নেতা, উপনেতা আর পাতিনেতার দল।

ধর্ম নিরপেক্ষতা এখন শুধুই মঞ্চ
আর বোকার বাক্সে সাজানো নাটক,
গনতন্ত্র মানে নিজেদের নিরঙ্কুষ জয়,
কালো টাকা আর ধর্মের দোহাই।

মুক্তিযোদ্ধা সেজে মুক্তিযোদ্ধা হত্যার
নায়কের মতো সংখ্যা লঘুদের উপর,
এখনো সুযোগ পেলেই হামলে পরা,
এখনো সুযোগ পেলেই লুন্ঠন আর
দলকানা উচ্ছেদের মহা উৎসব।

——————————————–
মায়ের জন্য
জাহীদ হোসেন
(তারিখঃ ২৬/০৮/২০২২)

মায়ের জন্য এই পৃথিবী ছাড়তে পারি
সমুদ্রের ঐ নোনা জলে ডুবতে পারি,
খসে যাওয়া তাঁরার পিছু ছুটতে পারি
চরকা বুড়ীর সুতাগুলো আনতে পারি।

মায়ের জন্যই অস্ত্র হাতে নিতে পারি
টুকরো করে শত্রুদের, হাসতে পারি,
রক্ত দিয়ে দেশের ছবি আঁকতে পারি
ঝিনুক থেকে মুক্তামনি আনতে পারি।

মায়ের জন্য আমি আজও লিখতে বসি
দেশমাতাকে প্রাণের চেয়ে ভালোবাসি,
যতই লিখি কম পড়ে যায় সকল ভাষা
মা, মাটি আর আমার প্রিয় মাতৃভাষা।

মায়ের জন্য আমার দেখা বিশ্বটাকে
আমার সকল গল্প শুধু মাকে নিয়ে,
‘মা’ হারিয়ে আমি ভীষণ দীনহীন
এক জীবনে হয়না শোধ মায়ের ঋণ।

মায়ের জন্য সম্মুখপানে ছুটে চলা
কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানির গল্প বলা,
দূর আকাশে তারা হয়ে আছো তুমি
কবিতার ঐ ছন্দে খুঁজি মায়ের ছবি।

——————————————–

কবিতাঃ ওগো বিশ্বজননী
কলমেঃ সঞ্জয় বৈরাগ্য
২৬-০৮-২০২২
🙏 বিশ্বমাতা মাদার টেরেসা-র ১১২ তম জন্মদিনে, আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য—

সুদূর আলবেনিয়া থেকে এলে তুমি ভারতে
আজীবন উৎসর্গ করলে নিজেকে, মানুষের সেবাতে।
করুণাময়ীরূপে ছিলে তুমি করুণার আশ্রয়
দয়ার প্রতিমূর্তিরূপে হলে আর্তের বরাভয়।
দীনজনে দেখালে তুমি, আলোর ঠিকানা
ঐশ্বরিক রূপে মাতা, তুমি ক্ষমার সূচনা।
ওগো বিশ্বজননী তুমি শান্তির সোপান
‘সদা সেবার পথে চলো’ তোমার আহ্বান।
তোমার ব্যাপ্তি ছিল সর্বদা আর্ত-পীড়িতের অন্তঃপুরে
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিমারূপে তুমি সবার অন্তরে।
দুঃখীজনে দিলে ঠাঁই, তোমার করুণার আশ্রয়ে
আজও তুমি বিরাজিতা ‘নির্মল হৃদয়ে’।

——————————————–

শিরোনাম – দাম্পত্য প্রেম কলমে- অন্নপূর্ণা দাস। তারিখ-২৬-০৮-২০২২ রূপকথা রান্না ঘরের জানালা দিয়ে দেখে ,কাকু, কাকীমা কি সুন্দর ছাদ বাগানে বসে গল্প করছে , হঠাৎ মোবাইল বেজে ওঠে,দেখে কাকীমা ফোন করেছে, একটু ভয় পেয়ে বলে ,হ্যালো , কাকীমা; কাকীমা বলে,কি দেখছি এতো আমাদের মানে, আসলে আমি চা করছি আর সত্যি বলতে তোমাদের,কেনো! কি সুন্দর তোমাদের দাম্পত্য প্রেম সত্যই শিক্ষনীয়, কাকীমা বলে ও, তাই কেন তোদের টাও তো শিক্ষনীয়, মানে! কাল তোরা বারেন্দায় শুকিয়ে যাওয়া মরা ফুলগাছের কাছে বসে চা খাচ্চিলিস, তা দেখার মতো, তুমি না, কেন? আরে, এই বয়সে কোথায় চারিদিকে প্রাণ ছড়িয়ে বেড়াবি, তা না শুকিয়ে যাওয়া গাছ, সুন্দর গাছ লাগিয়ে তাতে দুজনে মিলে পরিচর্যা কর, দেখবি গাছে সুন্দর ফুল ফুটবে, ঘরে প্রাণের খেলায় নতুন মধুর জীবন হবে। সব কথা কি বলা যায়, কিছু বুঝে নিতে হয়, একটুখানি পরিশ্রম তো করতেই হবে….. একটু ভাব, শিব সতীর দেহ নিয়ে তান্ডব, রামচন্দ্র সীতা উদ্ধার আবার এ যুগে তাজমহল এ সবই দাম্পত্য প্রেমেরই নিদর্শন। একটি মেয়ে ও একটি ছেলে অজানা একজনের কাছে ভরসা করে জীবনের গাঁটছোড়া বেঁধেছে আর তার দায়িত্ব পালন করছে ,তা কি কম…. আমি অপেক্ষা করি, কখন তুমি আসবে বাজারের ব্যাগ হাতে, কখনো আমি মশলা হাতে দরজা খুলি আবার কখনো আমার হাতে সন্ধ্যা প্রদীপ তোমার হাতে কাজের ব্যাগ অফিস ফেরা….. আচেনা শব্দ কখন যেন চেনা হয় নিজেও জানেনা সে, সবই এই বন্ধন যা অসাধ্যকে সাধ্য করে, তাই তো গল্প হলেও সত্যি বেহুলার… এ শুধুই তুমি আর আমি একসাথে পথ চলি সুখে, দুঃখের সাথী হয়ে সারাজীবন ….

——————————————–
আমার সমাধি পরে
এইচ এম মামুন

যদি ভূল করে কভু মনে পরে,
গোপনে লুকিয়ে ওগো আর কেঁদনা,
ওহে প্রেমে বেঁধনা,
আমার সমাধি পরে- মালা রেখোনা।

যদি হঠাৎই পুজোর মালা, বাড়ায়-
চোখের জ্বালা, বুক চিরে ওঠে ওগো-
শত বেদনা,তবু
আমার সমাধি পরে-মালা রেখোনা।

যদি নিদ ভাঙে মাঝরাতে, মৃত্যু –
স্বপন দেখে, ব্যাকুল পরানে দুটি-
হাত খুঁজো না,ওগো-
আমার সমাধি পরে -মালা রেখোনা।

যদি কভু চেনা সুর, হয়ে যায়-
ভাংচুর,ওগো বাঁধনে গানের কলি,
না ফোঁটে না,তবু
আমার সমাধি পরে -মালা রেখোনা।

যদি প্রিয় মুখগুলো,খুঁজে আনে-
দুঃখগুলো, দুরের তারাটি পেতে-
আঁখি মেলো না,ওগো-
আমার সমাধি পরে -মালা রেখোনা।

যদি পুরনো সকল স্মৃতি, লুকোনো-
মায়া প্রীতি,ভুলিতে না পার, ওগো-
সেই যাতনা,তবু
আমার সমাধি পরে-মালা রেখোনা।

Powered by themekiller.com