Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

মুক্তি
মানসী রায় চন্দ
25:09:2022

প্রিয় বিহঙ্গ,যদি পারিস আমায় ক্ষমা করে দিস
মুক্ত আকাশে উড়বার আনন্দ থেকে তোকে বঞ্চিত করেছিলাম।
প্রচন্ড ভালোবাসার টানে,
সোনার শিকলে বন্দি না করলেও,বন্দি করেছিলাম সোনার খাঁচায়।
নিজের খুশি টাকে মূল্য দিতে গিয়ে,
ভুলেছিলাম,তোর স্বাধীনতা থেকে তোকে বঞ্চিত করছি।
তুই এই গন্ডিবদ্ধ ভালোবাসায় এক রত্তিও খুশি নস!
সেটা অনেক দেরিতে বুঝেছি।
অসিম আকাশের বুকে সীমাহীন চলার আনন্দে যে অভস্ত,
মুক্ত আকাশের ডাকে সাড়া দিতে যে পাখি ব‍্যাকুল সেকি আর খাঁচায় কভু বন্ধি হয়,
সামান‍্য দানা জলের লোভে!
তোকে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম রে!
তাই ছাড়তেও খুব কষ্ট হচ্ছে।কিন্তু তোর খুশীর কাছে আমার কষ্ট কিছুই না।
তোর সুখই আমার সবচেয়ে বড় সুখ।
তোর রয়েছে দীগন্ত জোড়া আকাশ,
অসীম শূন্যের হাতছানি,
মুক্ত আলো,
মুক্ত বাতাসে,
প্রাণ ভরে শ্বাস নিস।
ভুলে যাস এই ক্ষণিকের বন্ধী জীবনের পদাবলি।
ভুলে যাস ক্ষণিকের বেহাগী সুর!
খুঁজে নিস প্রিয় কোন এক সঙ্গী।আজ থেকে তুই মুক্ত!
থাকবেনা কোনো পিছুটান।
কোনো দিন আর খুঁজবোনা তোকে আমার স্বপ্নের নীড়ে।
জোর করে কাউকে যে বাঁধতে নেই।
ভালোবাসাহীন সম্পর্ক শুধুই দূরত্ব বাড়ায়।
কাছে টানতে পারেনা।
শুধু গুমরে মরে,
তৈরি করে পোড়া ক্ষতো।
দাশত্বের শৃঙ্খল শুধু আকাশ সম যন্ত্রণার জন্ম দেয়।
অস্তিত্বে শেকড় উপড়ে ফেলে।
প্রেমহীন ভালোবাসা শুধু ব‍্যথার সাগরে ডুবায়।
একতরফা ভালো বাসায় শুধু লোক দেখানো তাজমহলই গড়তে জানে।
যেখানে প্রাণ থাকে না।
তপ্ত মরুতে জল ঢেলে কি আর কাঁশফুলের হিল্লোল আসা করা যায়!
রাফলেশিয়ার গন্ধ নিতে আমি ভিনদেশি হতে পারবোনা।
তাই আমার উঠোন জুড়ে থাকনা চিরচেনা শৈশবের সেই বকুলের গন্ধ!
আজথেকে তুই মুক্ত।
চিরকালের মতো মুক্তি দিলাম তোকে।
খুঁজে নিস সুখের নতুন কোনো দেশ,
নতুন কোনো সাথী।

সেই তুমি
আরজুমা আক্তার

হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারি না
মন বাড়িয়ে অনুভবে পাই না
চোখাচোখি রয়েও দেখিতে পাই না
এ কেমন দূরত্ব ওগো প্রিয়তম তোমার!

স্পর্শ থেকে দূরে চোখের দৃষ্টির অগোচরে থেকেও
তুমি আছো থাকবে সব সময় আমার মনে,
আমার ভাবনাজুড়ে।
তুমি মিশে থাকো কবিতায় তুমি মিশে থাকো ভালোলাগায় ও ভালোবাসায় আলতো আবেশে!
আমার ঘুমের ঘোরে আমার জেঁগে থাকা দুপুরে
সবটা জুড়েই তুমি আছো।
বুকের ভিতর আকাশটায়ও তুমি আছো।
আমার সবটা জুঁড়েই তুমি আছো তুমিই থাকবে।

তোমার আমার এই না দেখা দিন,
আমায় শুধু মনে করিয়ে দেয়।
আমার কেবল স্পর্শেই তোমার অভাব।

প্রহসন……..
দালান জাহান

নীরবতাকে নিয়ে প্রশ্ন করো
যেখানে সাঁতার কাঁটি শেষ পর্যন্ত অন্ধকার।
সূর্যাস্ত নিয়ে প্রশ্ন করো
যার স্তনে গলতে গলতে মিশে যাই
তোমার পাগলা ঘ্রাণের সাথে।
ভগবানকে নিয়ে প্রশ্ন করো
যিনি রঙ সৃষ্টি করেন এবং কান্নায় ডুবিয়ে দেন
সরলতা ভর্তি মদের জাহাজ।
কিন্তু কখনও দুঃখ নিয়ে প্রশ্ন করো না
কেমন আছি জানতে চেয়ো না
প্রহসন! প্রহসন! আন্তর্জাতিক সীমালঙ্ঘন!
এর চেয়ে নির্মম কোন প্রশ্ন হয় না।

দালান জাহান
০৬.০৮.২২

শিরোনামঃ- গল্প লিখবো বলেই
কলমেঃ- বরুণ কুমার দে
তাংঃ- ২৫/০৮/২০২২

গল্প লিখবো বলেই
রাত্রি জেগে থাকা।
গল্পের শেষ পাতায়
দুঃখের ছবি আঁকা।।

গল্প লেখা বাকি
রাত্রি আছে থেমে।
গল্পের শেষ পাতায়
আলো এসে নামে।।

হঠাৎ হারিয়ে গেলো
রোদ্দুর বুকে নিয়ে।
গল্পের শেষ পাতায়
কলম থামলো গিয়ে।।

রৌদ্র জড়িয়ে ছিলো
আবির রাঙা মুখে।
গল্পের শেষ পাতায়
শব্দ লুকায় বুকে।।

হঠাৎ করেই আকাশে
কালবৈশাখী এলো।
গল্পের শেষ পাতায়
মন হারিয়ে গেলো।।

আর হলো না লেখা
রইলো ফাঁকা খাতা।
দুঃখ নিমজ্জিত
গল্পের শেষ পাতা।।

১০৪.
মৃত্যু এমন শীতল পরশ
আমিনা ত্বহা

কোথায় যেনো হারিয়ে যাবো…
এ পৃথিবীর রঙিন পাঠশালা সাঙ্গ হবে
কী নিয়ে যাবো পৃথিবীর ওপারে,
কিন্তু আমাকে তো যেতেই হবে।
এখানে আর কতকাল!
নিয়ে যাবার পালকি দুয়ারে এসে দাঁড়াবে
ডুকরিয়ে কেঁদে বলবো হায় জীবন !
এমন সুন্দর মধুময় এ ধরার বুকখানি।
সবই কায়া মিছে মায়া
এই যে মেঘ গলে তুমুল বৃষ্টির ছন্দ
সময় গলে গলে মৃত্যু অতিথির মতো উপস্থিতি,
একটি লাল সূর্যোদয় নতুন করে পেলাম
যেনো আরো একটি দিন।

অন্তিম যাত্রা কোথায় কীভাবে হবে জানা নাই
আয়ুসকাল কতদিন তাও অজানা
হায় ! মৃত্যু এমন শীতল পরশ
করে দেবে অনড় অবশ
কত প্রিয়জন স্বজন ছাড়ি
একা দেবো কবর জীবন পাড়ি।
সঙ্গের সারথি হবে কয়েক টুকরো কাপড়
আর নিজ ভালো মন্দের টিকেট খানি
সেই আন্ধার ঘরে কে হবে সাথী ওরে
কুরআন যদি পড়ে থাকো আলো
আসবে মালিকের পক্ষ হতে
হে খালিকুর রহমান এমন মরণ
দিও যেনো তুমি থাকো সন্তুষ জনক।

25.08.2022

এতো পরিবর্তন!
কল্পনা দাস
তারিখঃ ২৫/৮/২০২২খ্রি.

হঠাৎ করে তোর এতো পরিবর্তন!
কিছুতেই মানতে চাইছে না আমার এ মন।
এলোমেলো লাগছে নিজেকে,
ভালো লাগছে না কিছুই,
মন লাগাতে পারছিনা কোনো কাজে।

আমার ভালো থাকার কারণ তুই
আবার খারাপ থাকার কারণও তুই
আমার প্রতিটি অনুভবে শুধু তুই আর তুই।
কি এমন হলো তোর বল?
নিজেকে আড়াল রেখে, করছিস কেন ছল!

হঠাৎ করে তোর আত্মগোপন,
আমার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা
কিছুতেই হিসেব মিলাতে পারছিনা,
খুঁজে পাচ্ছিনা কোনো কারণ।

ভাবটা এমন, আমার কেনো কিছুতেই
নেই তোর দায় এখন।
আমায় বুঝি দিয়েছিস তুই বিসর্জন।
হঠাৎ তোর এই পরিবর্তন, ভাবাচ্ছে আমায় প্রতিক্ষণ।

জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে এ মন
ভীষণ কষ্টে কাটছে আমার দিন
দুচোখে শুধু হাহাকার আর হৃদয়ে বাজছে শূণ্যতার বীণ।

তোর কাছে, আমি কি তবে
ক্ষণিক ভালোলাগায় ছিলাম বন্দি?
তাহলে কেন, কেন করলি তুই
আমার মনের সাথে সন্ধি!

Powered by themekiller.com