ষ্টাফ রির্পোটারঃ
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় শ্বতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে ১ নং ওয়ার্ড মোম ফ্যক্টরি ও মধ্যম শ্রীরামদী এলাকার মাঝে মধু সূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলার ফাইনাল খেলায় মোম ফ্যাক্টরি দল বিজয় হলে, মধ্যম শ্রীরামদি এলাকা না মেনে মাঠেই মারামারি শুরু করে, তাৎক্ষনিক পুরানবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ফোর্স দু পক্ষের মারামারি নিয়ন্ত্রণ করে, সন্ধার পরে পুলিশ ফাঁড়িতে বসে সমাধান করার সময় এক পক্ষ তা মানতে রাজি হয়নি, তারা ফাঁড়ি থেকে বের হয়ে পুরোপুরি সংঘর্ষ করার প্রক্রিয়া গ্রহন করে।এমনকি দু পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুলিশ ফাড়ি থেকে বের হয়ে নতুন রাস্তায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়,
এলাকাবাসী ও মোম ফ্যক্টরি বাসিন্দারা জানান, কামাল ও নজু গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নতুন রাস্তার উপরে থাকা দোকান পাট সহ বাসা বাড়িতে হামলা চালায়, তাদের হামলার কারনে দুই পাশের দোকানপাটসহ আনুমানিক ৩০-৪০ দোকান ও ঘর ভাংচুর করেন,
তাদের হামলা প্রতিরোধে মোম ফ্যাক্টরীর নারি পুরুষ এক হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে হামলা কারিদের ধাওয়া করলে দুই পক্ষের মাঝে তুমুল সংর্ঘষে লিপ্ত হয়, উভয় পক্ষের ইট পাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপের ফলে দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়, একই সময় পুরানবাজার পুলিশ ফাড়ির পুলিশ দায়িত্ব পালন অবস্হায় আনুমানিক ৫-৭ জন পুলিশ আহত হয়, অনেকের পায়ে এবং শরিলে ইটের আঘাত পরে বলে দেখা যায়,
এদিকে দীর্ঘ দুই ঘন্টা দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুরানবাজার পুলিশ কঠোর দায়িত্ব পালন করেন, তার পরেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে, পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অবগত করলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ পুলিশ টিম পাঠালে মুহুর্তে পুলিশ একতাবদ্ধ হয়ে, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় -৫ রাউন্ড ফাকা রাবার বুলেট ও ৪-৫ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় বলে পুরান বাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ কামরুজ্জামান আমাদের তাৎক্ষনিক আনুমানিক হিসেব জানান।
এদিকে মামুন নামে একজন রাবার বুলেটে আহত হন বলে জানা যায়। বিপুল পরিমান পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকা ঘাকলেও দফায় দফায় ধাওয়া করার চেষ্টা করে দুই গ্রুপের লোকজন , বর্তমানে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে, এই খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলাকারিরা পালিয়ে রয়েছে। এমনকি যে কোনো মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পুরাণবাজারে সাধারণ সমস্যা নিয়ে প্রায় হামলা মামলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে থাকে, এমনকি গত কয়েক বছর পুর্বে দুজন মৃত্যবরণ করেছে।