Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

ভাইয়ার মেজাজ
অরুণ দাশ
২৮/০৬/২২ ইং
আমেরিকা থেকে
********************

লাল শালিকের ঝাকটা নামে
স্বর্ণা নদীর চরে
গ্রামের সেই পশ্চিম পাশেই
চাঁদনী যখন ঝরে।

আমার সাথেই ছিল ভাইয়া
মেজাজ তার চড়া
কাজের বেলায় ফাক পেলেই
ঝাপটে ধরে ধড়া।

শালিক গুলো গাইছিল গান
তাধিন ধিন ধিনা
ভাইয়া সুধায় একটু থামো
সুরটা ভারি চিনা।

ক্ষণিক পরে চেচিয়ে জানায়
সুর করেছে ভুল
কাছে পেলে দিতাম ওদের
ছিড়ে মাথার চুল।

বললাম ভাইয়া ভুলটা কই
আমায় শুধু বলো
নাদান তুমি সুরের মেলায়
বুঝবে কালোধলো?

বুঝিয়ে দিলে বুঝবো ঠিকই
থাক এসব পরে
বুঝার সময় বুঝলে না যা
জানবে চিতা চরে।

শালিক হঠাত পালিয়ে গেল
হয়নি কারণ জানা
ভাইয়া জানায় এমন ধারা
আর দেবেনা হানা।

——————————————–

কবিতাঃ সবুজ বাংলার শোভা
কবিঃ সেলিম রেজা
তারিখঃ ২৯-০৬-২০২২

চির সবুজের দেশটি আমার সোনার বাংলাদেশ,
শ্যামল ছাঁয়ায় প্রেমের মায়ায় ভূলে যাই সব ক্লেশ।
মাটির বুকে মনের সুখে জন্মায় কতো ঘাস,
জুঁই চামেলি গন্ধরাজে ছড়ায় মুগ্ধ সুবাস।

দোআঁশ এটেল পলি কাদায় নরম ঊর্বর মাটি,
নাড়ীর টানে প্রাণের ভূমি সোনার চেয়ে ও খাঁটি।
শীতের রাতের সুপ্রভাতে খেজুর গাছের ডালে,
মিষ্টি রসে মধুর স্বাদে প্রশান্তি পায় প্রাণে।

শিশির ভেজা দুর্বা ঘাসে স্বচ্ছ জল কণা,
মিষ্টি রোদে দেখতে ভীষণ মুক্তো ঝরা দানা।
দিঘির জলে শাপলা ফোঁটে,ভাসছে বুনো হাঁস,
নদীর তটে মুক্ত হাওয়া মন করে উদাস।

রাখাল বাজায় বাঁশের বাঁশি ভাটিয়ালীর সুর,
বিরহ ব্যাথার মর্মবাণী বেদনা বিধুর।
নিবিড় অরণ্যে ঘন শালবনে নয়নাভিরাম দৃশ্য,
পাখ পাখালির গানে গুঞ্জনে হৃদয় চিত্তাকর্ষক।

বর্ষায় ধুয়ে মুঁছে যায়,আসে শরতের নীল আকাশ,
হেমন্তের পাকা ধান,মাঘের শেষে বসন্ত ঋতুরাজ।
দোয়েল শ্যামা ময়না টিয়া নানান জাতের পাখি,
তালের শাখায় বাবুই পাখি মেলছে দু’টি আঁখি।

পদ্মা মেঘনা যমুনা আর ব্রহ্মপুত্রের চর,
নীলে জলে মিশে বেঁধেছে এক সখ্য প্রেমের ঘর।
পাহাড় ঝর্ণা বনলতায় ঘেরা সবুজ বাংলার স্মৃতি,
যতই দেখি বড় সাধ জাগে, মনে জাগে আরো প্রীতি।

এমন সুন্দর বাংলার প্রেমে হয়েছে যার জন্ম,
ভোরের প্রভায় পুষ্প কাননে সৌভাগ্য সে ধন্য।।

——————————————-
কবিতাঃ শান্তির বার্তা
কলমেঃ সুরেশ দাস
তাং ২৯-০৬-২০২২ ইং

অশান্তির পৃথিবীতে বাঁচিতে
চাহিনা, শান্তির পৃথিবী চাই,
শান্তির সুধা ঢালো হে মানব,
অশান্তির মতো কষ্ট যে নাই।
ভুলে যাও বিভেদ, ভুলে যাও
দ্বেষ, বিলাও শান্তির বাণী,
জাগরিত কর মানব সত্বা,
ভুলে গিয়ে সকল হানাহানি।

স্রষ্টার সৃষ্টি অতি সুমধুর,
রূপ বৈচিত্র দিয়ে ঘেরা,
অগুনিত প্রানি বিশেষর
মধ্যে, মানুষকে করেছেন সেরা।
বুদ্ধি দিয়ে বিবেক দিয়ে,
মানুষকে করেছেন গুণো নিধি,
এই বিশ্ব চরাচরে মানুষের
কারণেই, হয়েছে নানান বিধি।

পৃথিবীতে যত অন্যায় অবিচার,
যত আছে ব্যভিচারী,
মানুষোই তার হর্তাকর্তা,
মানুষের ভারেই ভারি।
হিংস্রতার মাঝে দুর্বিষহ জ্বালায়,
মেদিনী কাঁপাতে পারে,
সেই মানুষ আবার সরলতায়
ঘেরা, সুশৃঙ্খল সমাহারে।

শান্তির পারাবত উড়িয়ে দাও,
মুক্ত দিগন্তের মাঝে,
অমানিশার কালো ঘুচিয়ে
দাও, সকাল দুপুর সাঁঝে।
পৃথিবীতে যত নগরাদি গ্রাম,
করে আছে অধিষ্ঠান,
শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়ে,
রাখো জগতের সম্মান।

——————————————–

কবিতার শিরোনাম-ঈশ্বর কোথায় থাকেন?
কবি-রঞ্জন রায়
রচনার তারিখ-২৯.০৬.২০২২
************************

বনচারী বিজ্ঞ ঋষির কাছে প্রশ্ন করি, “দেখেছো ঈশ্বর?”
বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আমার দিকে উত্তর এলো, “না, তবে শুনেছি আছেন তিনি, আমার বিশ্বাস।”
বড় আশা বুকে নিয়ে নির্জন গুহার কন্দরে
ধ্যানরত কোন এক আস্তিকের কাছে প্রশ্ন করি,”ঈশ্বর দেখেছো তুমি?”
মেলেনি উত্তর।
বৃক্ষতলে সমাসীন
প্রজ্ঞাবান কোন এক তাপসের কাছে প্রশ্ন করি,
“দেখেছো কখনো তুমি ঈশ্বরের রূপ?”
মাথা নেড়ে নাবোধক জবাব এলো ফিরে।
ম্লান মুখে ছুটে গিয়ে গির্জার পাদ্রির কাছে প্রশ্ন করি, “সৃষ্টিকর্তা দেখতে কেমন?”
এক গাল হাসির ঝলকে
উত্তর এলো ফিরে প্রশ্ন হয়ে,
“কবে থেকে পাগল হয়েছ তুমি?”
সুপ্ত ক্ষোভ বুকে নিয়ে প্যাগোডার দ্বারে গিয়ে প্রশ্ন করি,” হে তাপস, বিধাতার স্বরূপ কেমন?”
উত্তর এলো ফিরে “যুগ যুগ ধরে এ প্রশ্নের জবাব খুঁজি, পাইনি উত্তর বলে নিরীশ্বরবাদী। ”
ব্রহ্মবাদী ব্রাহ্মণের কাছে প্রশ্ন করি,”ব্রহ্মের স্বরূপ জেনেছো কি?”
উত্তর এলো ফিরে, ” ব্রহ্মের আকার নেই, নিরাকার তিনি।”
নিরীশ্বর নাস্তিকের কাছে প্রশ্ন করি,
“ঈশ্বর নেই প্রমাণ করতে পারো?”
নাস্তিকের উত্তর এলো ফিরে,
“ঈশ্বরের অস্তিত্ব কাল্পনিক কল্পকথায়,
বিশ্বাসের গল্পগাঁথায়, যুক্তিহীন সাহিত্য সংলাপে।”
অন্তরে বেদনা নিয়ে ফিরে আসি পুনরায় আপন আলয়ে, প্রশ্ন করি স্নেহময়ী মাকে, ” ঈশ্বর কোথায় থাকেন?”
“তোমার আমার মাঝে বিধাতা বিরাজ করে।
স্রষ্টাকে দেখতে চাও তুমি?
চলো তবে প্রকৃতির মাঝে, অনন্ত নীলিমাতলে জ্যোতিষ্কের জ্যোতির ধারায়,
অগম্য পর্বতের চূড়ায়, নিঃসীম সাগরজলে, সুনির্মল ঝর্ণাধারায়।
ঈশ্বর দেখতে চাও?
চলো তবে গহন বনের মাঝে অসংখ্য প্রাণিকুল সৃষ্টিলীলায়,
চলো তবে মানুষের প্রাণে প্রাণে সেবা দিতে, প্রাণের মেলায়।
চলো তবে গরিবের কুড়েঘরে,
অস্পৃশ্যের আলয়ে আলয়ে, পতিতের প্রীতির পরশে।
মানুষের ধর্ম সদাচারে, জীবন ও জগতের হিতে।
মানুষের ধর্ম মানবতা,
সত্য প্রেম আর পবিত্রতা,
জগতের সুকল্যাণে মানব সেবাই হলো ঈশ্বরের মর্মকথা।
মানুষের সেবা করো, ঈশ্বর পাবে।”

——————————————-

কসমোগ্রাফি-
মুকুল ম্রিয়মান

বক্ষভাঁজে নাঙ্গা
শব্দ,
কসমোগ্রাফি।শর্তভূক
আনন্দের
সঙ্গলাভে
মেরুদণ্ডের ফসিলে বেজে ওঠে শরীর ও ভঙ্গিমা।
ব্যাকগ্রাউন্ডে কৃষ্ণচূড়ার রাঙা পসরা।
খরগোশ মোলায়েম একটা
আঙুলের
জন্য
অপেক্ষা,

অপেক্ষাকৃত সব প্রজাপতি,মোহিত বনসাই,ছুঁতে চায় পলক।

ইয়োলো-ব্ল্যাক আল্পনা,
বাঁকেবাঁকে জেগে ওঠে তীব্র রসালো
চুম্বন,
চৌরঙ্গীর রাস্তা পার হলেই
তবে চিচিং এর দেশ।

২৯/০৬/২০২২.

——————————————–
কবিতা : ভালোবাসার জয়
কলমে : তাযকিয়া বেগম
২৯-০৬-২০২২

ভালোবাসা হলো মনের প্রতি টান,
ভালোবেসে কবি লিখে কবিতা – গান।
ভালোবাসা কতো রঙের ছবি আঁকে,
ভালোবাসা হৃদয় মাঝেই থাকে।।

ভালোবাসা হয় যদি গো খাঁটি,
মাটির ধরায় স্বর্গ-সুখে জীবন পরিপাটি।
ভালোবাসা চোখে সুখের স্বপ্ন বুনে,
ভালোবাসা ফাগুনের দিন গুণে।

ভালোবাসা সাহস জোগায় প্রাণে,
ভালোবাসা বোঝায় বেঁচে থাকার মানে।
ভালোবাস হলো প্রভুর শ্রেষ্ঠ দান,
ভালোবেসে ভালোবাসাকে করি তাই সম্মান।

ভালোবাসা হলো হাতে হাত রেখে চলা,
ভালোবাসা হলো মনের সাথে মনের কথা বলা।
ভালোবাসা হলো বিশ্বাসের এক ঘুম,
ভালোবাসা হলো আগুন আর খাঁটি মোম।

ভালোবাসা হলো অপর জনকে নিজের মনে করা,
ভালোবাসা হলো পর মানুষকে মনের মতো গড়া।
ভালোবাসা হলো বেঁচে থেকেও মরে যাওয়ার মতো,
ভালোবাসা হৃদয় পুড়ে করে ক্ষতবিক্ষত!

ভালোবাসা হলো চৈত্রের খরায় বৃষ্টি,
ভালোবাসা এনে দেয়, অন্ধের চোখে দৃষ্টি।
ভালোবাসা যেনো নদীর বুকে ঢেউ,
বোঝে না সে ভালোবাসার মানে,যারে ভালোবাসেনি কেউ।

ভালোবাসা হলো চোখের নোনাজল,_
ভালোবেসে ক”জনই বা তার
পেয়েছে সুফল!?
ভালোবাসা হলো স্বপ্ন দেখার সুখ,
ভালোবেসে অশ্রুজলে ভাসে কারো বুক!

ভালোবাসা কেবল চাওয়া পাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,
ভোগের চেয়ে ত্যাগের মহিমায় ভালোবাসার জয়।

——————————————

Powered by themekiller.com