জোনাক পোকা
-আব্দুল কুদ্দুস রবি
মিটিমিটি জ্বেলে
লুকোচুরি খেলে,
রোজ রোজ রাতে
খোকনের সাথে।
জানালার পাশে
চুপিচুপি আসে,
বেজায় উচ্ছ্বাসে
রোজ খোকা হাসে!
তুলে নিলো মায়
খোকা,বুকে আয়!
জননীর চুমে
খোকা বাবু ঘুমে।
জোনাকির আলো,
কোথায় লুকালো?
খোকা যে’ই ঘুম
জোনাকিরা গুম।।
[রচনাকালঃ-১৯/০৬/২০২২ইং]
—_—————————————-
একাকিত্বের স্বরলিপি
মানসী রায় চন্দ
22:6:2022
গভীর রাতের নিস্তব্ধতায় কেটে যায় অজস্র রাত
ডাহুকের আর্তনাদে ভেসে আসে প্রিয়হারা কান্নার সুর।
ঠিক যেনো,
একাকিত্বের সাথে সন্ধি করা মানুষ গুলোর নিরব ব্যথার ধ্বনি।
দিন যায়, রাত আসে।
তবুও বদলায়না নিরব যন্ত্রণার অদৃশ্য কষ্ট।
শুকায়না বেদনায় ক্ষয়ে যাওয়া হৃদয়ে অদৃশ্য ক্ষত।
তীব্র ব্যথায় ছটফট করলেও, কেউ বুলায়না সহানুভূতির স্নিগ্ধ শীতল হাতের পরশ।
কোজাগরী আকাশ যেন, একাকিত্বের সাক্ষী হয়ে,
বুক পেতে দেয় অদৃশ্য আলিঙ্গনে,
তার বিস্তৃর্ণ বুকে মাথা রাখতে।
চারিদিকে ঝলমলে আলোর রোশনাই,
আর অজস্র মানুষের ভীড়েও, যারা একাকিত্বের সঙ্গী হয়ে- পার করে জীবনের এক একটি দিন!
এক একটি মুহুর্ত!
সেই মানুষ গুলোই জানে শুধু একাকিত্বের সংঙ্গা।
আকাশের লক্ষ কোটি তারা থেকে খসেপড়া এক একটি তারার মতো পদস্খলন হয় নিয়ত।
তবুও অদৃশ্য মায়ার বন্ধনে সে আবদ্ধ হয়ে থাকে,
সংসার সমুদ্রের কিছু প্রিয় মুখের টানে।
মমতার শিকল যে,
বড় শক্ত বাঁধনে বেঁধে রাখে!
মুক্তি চাইলেও মুক্তি মেলেনা- সহজে!
এ বড় বিচিত্র জীবন ধারা।
সংসার যাকে চায়না,
সে চাইলেও সংসার ছাড়তে পারেনা।
কৃষ্ণচূড়ার এলিয়ে পড়া পাপড়ির বন্যায় ঢেকে যাওয়া পথের ধুলোর মতো,
একাকিত্বের জীবন ডুবে যায় গভীর অন্ধকারের অতল তলে।
ঠিক যেন,
দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া,
পথভ্রষ্ট বুনো রাজহংসের সঙ্গী বিহীন জীবনের মতো।
——————————————–
ফিরে না দেখা
কলমে : সম্পা চৌধুরী
তারিখ : ২২/০৬/২০২২
হয়তো আর কখনো দেখা হবে না
বলা হবে না কথা,
নির্ঘুম বিনিদ্র রজনী
পার হবে সহস্র প্রহরে,
রক্তিম পলাশ ফুলের নীচে
হাতে হাত রেখে শোনা হবে না আর,
বেলা শেষে জমে থাকা দুজনের
অসংখ্য কথার ফুলঝুরি।
অপলক চোখে মুগ্ধ নয়নে
আমার আবীর রাঙা মুখের মুচকি হাসিতে,
কত না বলা কথার স্ফুলিঙ্গ উড়িয়ে
জানা হবে না আর,
কতটা ভালোবাসো আমায়!
কোন এক দমকা হাওয়ায়
সমস্ত বাঁধন ছিন্ন করে তুমি হারিয়ে গেলে!!
নিঃশব্দে বিদায় নিলে
তুমি সেদিন মধ্যরাতে।
জোনাকি পোকার আলোর স্ফুলিঙ্গ
নিভে গিয়েছিল সেদিন,
তারার আলো ম্লান হয়েছিল,
বাতাসের শব্দহীন গতিময়তাও
সেদিন থমকে গিয়েছিল !!
চির চেনা পথ-ঘাট, আকাশ, নদী, উদ্যান
সব স্থবির হয়ে গিয়েছিল সেদিন।
তুমি অকপটে আমার হাত ছেড়ে
চলে গেলে নিঃশব্দে নীরবে…।
সেদিনই বুঝেছিলাম, তুমি আর
ফিরবেনা কোনদিন…!!!
নক্ষত্রের রূপোলী আভায়
কোনদিন আর তোমাকে পাবোনা ।
সোনাঝরা রৌদ্রস্নাত বিকেলে
সহস্র স্বপ্ন বুননের সাক্ষী
ঐ পলাশ বৃক্ষের তলে,
আর কখনও বসা হবে না
তোমার হাতটি ধরে।
তোমাকে হারানোর ব্যথা
দিকভ্রান্ত মিছে সন্তরণ….!!
পূর্ণ আমায় রিক্ত করে
চলে গেলে তুমি,
শূন্য ঘর, শূন্য হৃদয়
বসে আছি শূন্য একা আমি….!!
——————————————–
#গীতিকবিতা
#শিরোনাম: বন্ধুতা
__________________
ব্যস্ত ঘড়ির কাটা
ব্যস্ত শহরের রাস্তা
আমার ব্যস্ততা তোমাতে
তুমি ভাবছো সস্তা।
আমার আছে অপেক্ষা
কবে ফুরাবে ব্যস্ততা?
এক মুঠো সময়
দিবে কি বন্ধুতা?
ব্যস্ত মেঘের দল
নদীতে স্রোতের ব্যস্ততা,
আমি তোমাতেই আবদ্ধ
শুধুই অলস শূন্যতা।
আমার রোদেলা দুপুরে
হও বৃষ্টি ফোঁটা,
এক মুঠো সময়
দিবে কি বন্ধুতা?
ব্যস্ত প্রজাপতি
ব্যস্ত জোছনার শুদ্ধতা,
আমি তোমাতেই মুগ্ধ
ভাবছো শুধুই শত্রুতা।
আমার আধার রাতে
হও জোনাকি পোকা,
এক মুঠো সময়
দিবে কি বুন্ধুতা।
_______________
#সমাপ্ত
© ডি এম কামরুজ্জামান স্বাধীন
——————————————–
শিরোনাম – পথশিশু
কলমে – রিনি মান্না কীর্ওনীয়া
তারিখ – ২২/০৬/২০২২
পথের ধারে অতিষ্ট অত্যাচারে,
ক্ষুধার্ত শিশু অনাহারে মরে।
নিষ্পাপ শিশুমন ঘুরছে সারাক্ষণ,
একমুঠো অন্নের তরে অশ্রুভরা দুনয়ন।।
মাথার ওপর নেই কোনো ছত্রছায়া,
মুখটিতে এক মলিনতার মায়া।
জীর্ণ পোশাক ,শীর্ণ তার দেহ,
উচ্ছিষ্টের মত ঘুরে ফেরে গৃহ গৃহ।।
নেই কোনো সম্বোধন আর স্নেহ – মমতা,
এ তোমার কেমন বিচার বলো ভাগ্যবিধাতা।
সমাজ যে এক নিষ্ঠুর নিয়মে বাঁধা,
শিক্ষালয় তোমার জন্য উচ্চ প্রাচীরে গাঁথা।।
বিত্তবান মানুষ সব বলে অস্পৃশ্য,
কর্দমাক্ত জলে ফেলাই তাদের উদ্দ্যেশ্য।
দিনের শেষ অচেনা পথে ঠাঁই খোঁজে তারা,
কালের নিয়মে নবজাত শিশু হয়েছে মাতৃহারা।।
পুতুল খেলার বয়সটিতে ভিক্ষা করে খায়,
অবহেলিত ফুলের মতো তুমি নিরুপায়।
সমাজের বেড়াজালে আঘাত হেনে,
আসুন না,কমল মুখগুলোকে নিই কাছে টেনে।।
——————————————–
কবিতাঃ দূর থেকে দূরে
“”””” মোঃ ফরহাদ হোসেন”””””
তারিখঃ ২২/০৬/২০২২ ইং
##
বরাবরই ভালোটাই দেখি
মুখেও বলি ভালো ।
আজ সাথী নামের মেয়েটিকে দেখলাম
একটি ফুটফুটে বাচ্চা কোলে
আমি জিজ্ঞেস করলাম
শিশুটি কে ?
সাথী হাসলো ।
কৌতুহলটা বাড়লো বলে
আরো কাছাকাছি হই
ওর মুখ থেকে পাই কাঁচা দুধের গন্ধ
এ কী ! ফুলের পাপড়িতে ফুল !
শিশু থেকেই যেন শিশু
শিশু হতে পারেনি মানুষ
মানুষ হতে পারেনি শিশু ।
এমনি চলমান শিশুর রাজ্যে
কি ভালো আর কি মন্দ
কি সভ্যতা আর কি বা অসভ্যতা ?
আলোর ভোর আসে না কাছে
কী অপরাধে সরে যায় দূর থেকে দূরে।
মেলান্দহ, জামালপুর, ময়মনসিংহ।