Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

বিষয়: কবিতা
শিরোনাম: অভিজ্ঞতা।
কলমে: কল্পনা মজুমদার।
তারিখ:১৯/৬/২০২২

অভিজ্ঞতার সোপান পেরিয়ে পৌঁছেছিলাম এক অজানা দেশে।
মহাকালরবে মহা উৎসবে কেটেছিল কটা দিন অবশেষে।
ভুলেছিলাম পার্থিব জগত ভুলেছিলাম মোর কলম কালির কথা।
মহানন্দে কাটানোর মাঝে পেয়েছি কিছু ছোট ছোট ব্যথা।
ব্যথারা সব খুশিতে ভরিয়ে দিয়েছে প্রাপ্তির ঝুলিতে।
জীবন দেখার অভিজ্ঞতার দিনগুলো পারিবো না ভুলিতে।
বেঁচে থাকার লড়াই টিকে থাকার লড়াই আছে সর্বত্র বাপু।
পিছু ছাড়ে না সুলাক্ষণা কুলক্ষণা এই দুই রিপু।
সুখ প্রাপ্তিগুলি পেতে গিয়েও হতে হয় ক্ষতবিক্ষত।
দুঃখের মরুঝড়ে মোরা এ ধরায় সবাই বিধ্বস্ত।
পৃথিবীর প্রতিটি আনাচে-কানাচে আমরা হোঁচট খাই।
শিরদাঁড়া উঁচু করে আবার উঠেও দাঁড়াই।
প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা সে এক বিষম লড়াই।
মানুষের কাছে সতত মানুষ মোরা বিশ্বাস হারাই।
কে আপন কে পর খুঁজে পাওয়া বড়ই দায় ভার।
আজ যে আপন কাল সে পর মন্দ ভালো সব একাকার।
কেহ নয় সুখী হেথায় সবাই মোরা সুখের কাঙ্গাল।
জগত ভর সবার ঘাড়েই আছে দুঃখের লাঙ্গল জোয়াল।
অভিজ্ঞতার সোপান পেরিয়ে তাই চলতে হবে দৃঢ় পদক্ষেপে।
ভেঙে পড়লে চলবে না এই ধরায় বৃথা আক্ষেপে।

——————————————–

**** স্মৃতির শঙ্খচিল ****
ইব্রাহিম সেখ,রাজারামপুর, মুর্শিদাবাদ (পঃব)
************************************
সবুজের সমারোহে মেঠো আল পথে
যেতে -যেতে হাতে- হাতে আনমনে ছোঁয়া
চোখে – চোখে চাওয়া, আজ বিস্মৃতির
অন্তরলে আলো- ছায়ার লুকোচুরি
মেঘ,বৃষ্টি, ঝড়ে,ভেঙেছে ঘর, আঁধার পুরি!
কত-শত পাখিদের মুখরিত গানে
দোদুল– দোলা তুলেছিল প্রাণে,
শিউলি ফুলের সুবাস, মাঠ ভরা কাশ
সাদা মেঘেদের ফাঁকে সূদুর নীলাকাশ
আজও হাতছানি দিয়ে করে আহ্বান,
বারবার আঁখি ভিজে, কেঁদে উঠে প্রাণ!
শ্রাবণের ঝরঝর বরিষণে, আনমনে–
দিবাস্বপ্নের মাঝে,নানা রূপে নানা সাজে
কতবার এসেছিল হৃদয়ের গোপন ঘরে!
জানিনা– কেমন করে জেগেছিল অনুরাগ!
বলা হয়নি ভালবাসি, ভুলতে পারিনি মৃদু হাসি
আজও চোখের মাঝে ছড়ায় পরাগ।
চেনা জানা মানুষ গুলো চলে যায় দূরে,
পৃথিবীর বুকে কোনকিছু নই স্থিতিশীল,
তবুও বাঁচাতে হয়,শেষ করতে হয় পরমায়ু,
চোখ মেলে চেয়ে দেখা শুধু একা – একা
আকাশে বাতাসে উড়ে যায় স্মৃতির শঙ্খচিল!!

রচনাকাল (৩ রা আষাঢ় ১৪২৯ সাল)

——————————————–

আষাঢ়ের ঢলে ঝরঝর জলে

ডা.শামস রহমান
০৫ আষাঢ়’১৪২৮;১৯/০৬/২২

আষাঢ়ের ঢল ঝরঝর জলে প্রাণের
মাঝে কি হয়
ঘরে বন্দী হয়ে সন্ধি করেছি,কার সাথে
মনের কথা বলা যায়!
বাদর ধারায় মন বলে যাই বৃষ্টি ভেজা
আঙিনায়
ঝরঝর বরষণে মধুর আলাপনে কাটে
দিন অরূপ ভাবনায়!

আজকে না হয় নাইবা গেলে,বলো
মনের দু’টি কথা
কত রূপে দেখেছি ভেজা সিক্ত,বাদলে
সাজবে মাধবীলতা!
আকাশপারে বাদর ঝরঝর,মনে ধরেছি
কাব‍্যকথা
কখনও শান্ত কভু অস্থির আজ,মনের
মাঝে আছে গাঁথা!

কোনদিন কাব‍্যে মালা গেঁথেছি সাধে,
সেদিনের সাঁঝবেলা
কে যেন ডাকে দাঁড়িয়ে বলে,সাঙ্গ কর
সে খেলা!
প্রভু দাও সবকিছু মিটিয়ে দাও,পাপে
ঋদ্ধ অশান্তি ভুবনের
আশার আলো হারালো কোথায়,মনের
মাঝে মর্মরে!

হঠাৎ রোদের ঝলক চোখের পলকে,
কখন চুরি হয়ে যায়
চিরচেনা দেখা আষাঢ়ের প্লাবনে,মন
থেমে থেমে কাঁদায়!
বেশ তাই হোক প্রকৃতি বিরূপ,কত ঋষ্টির
মুখোমুখি
গানগুলো পড়ে আছে হেলায়,কথা সুর
হারিয়েছে সাথী!

সে এসেছে নীরবে দ্বিধা রেখে গেল মুছে
ফেলে সুখস্বপ্ন
তমসাকে ঘিরে যত প্রহেলিকা অন্তরে,
যেন দুঃস্বপ্নে মগ্ন
মনে পড়ে চাঁদ উঠেছিল ভুবনে,চেয়েছিলে
মুগ্ধ নয়নে
ভগ্ন হৃদয়ে দেখি পান্ডুর শশী,ঝড় উঠে
স্মৃতি মন্থনে!

কবিস্বত্ব সংরক্ষিত।

——————————————–

★★ শিরোনামঃ বাবা ★★
মোঃ ইসমাইল হোসেন শান্ত
__________________________

ছিঁড়া জুতা পায়ে তার,
গায়ে তিলক শ্যার্ট।
নিজে না খেয়ে বলে,
সন্তান আমার খাক।

সন্তান আমার বড় হবে,
হবে বড় মানুষ।
তখন আমি পেট ভরে খাবো,
পাবো যে সব সুখ।

সন্তান আমার সব কিছু,
সন্তান আমার জান।
এই কথা বলতে পারে,
একমাত্র যে বাপজান।

বাবার মতো নিঃস্বার্থ শ্রম,
আর কেউ নাহি করে।
তারপরও এই বাবাকেই,
সন্তানেরা অসম্মান করে।

শেষ বয়সে ধরতে চায়,
বাবা তোমার হাত,
তখন তুমি দমক মারো,
কামড়াও তোমার দাঁত।

নিজেকে খুব যোগ্য ভাবো,
বাপকে বলো ক্ষেত,
তোমাকে যোগ্য করতে,
বাবার যে সব শেষ।

আজ সে অসহায়,
পড়ছে ভারে নুয়ে,
তুমি তা দেখেও
অট্রোলিকায় থাকো শুয়ে।

বাবার এই কষ্ট যখন,
তোমাকে কাঁদায় না,
তুমিও টের পাবে বাপু,
এক মাঘে শীত যায় না।

——————————————–

ফেরারী ভালোবাসা
স্বপন কুমার বৈদ্য
******************
কোনো এক বর্ষায় এসেছিলে তুমি
সারাদিন বৃষ্টি ছিলো
সবুজ পাতায় ঝলমলে আলোর বিন্যাস
পাখিদের গানে ভেসেছে কিছু মৌনতা
মহুয়ার ঘ্রাণে কীটপতঙ্গ ও মৌমাছির
পদস্খলন হয়েছে
বাতাস গাছ গাছালির শরীরে মাথা ঠুকেছে ,
সাগরের উত্তাল ফেনিল ঢেউ গাঙচিলের
সাথে খেলেছে লুকোচুরি খেলা
নীল জলে সমাহিত হয়েছে আবছা বিকেল ,
কোনো এক বর্ষায় এসেছিলে তুমি
মেঘাচ্ছন্ন ছিলো সারা আকাশের পলেস্তারা
মনের আকাশের গায় চনমনে রোদ্দুর
আর রঙধনুর সপ্তপর্ণ মায়াবী হাসি
কেঁচোগুলো কিলবিল করছিলো
খড়ের গাদার স্যাঁতসেঁতে সোঁদা গন্ধে ভরা
বেঙের ছাতা গজিয়ে ওঠা মাটির পাঁজরে ,
মনের জানালার কপাট ছিলো খোলা
হি হি করে প্রেমের বাতাস ঢুকেছে
গ্রামের বাড়িতে ডাকাত পড়ার মতো ,
বেলি ফুলের চোখে তন্দ্রা নেমেছে
বৃষ্টির অপূর্ব দোলায়
কদমের ডালে ডালে দূরন্ত ফাগুন
তোমার দু-চোখ জুড়ে ছিলো বিদ্যুৎ চমক
সেই সে চমকের তড়িতাহত আমার মনে
ধিকি ধিকি জ্বলেছে ভালোবাসার আগুন ,
পাখিরা তাকিয়ে দেখেছে দূর হতে
মেঘেরাও ডানায় ভর করে দেখেছে
জানালার ফাঁক দিয়ে ,
এতো বৃষ্টি ঝরেছে তবুও একটু এগিয়ে
এসে আগুন নেভালো না কেউ ,
পড়শির তীক্ষ্ণ নজর ছিলো আমাদের
দু’জনার গতিবিধিতে
তবে এগিয়ে আসেনি কোনো হতচ্ছাড়া ,
তুমি চলে গেলে ফেরারী ভালোবাসা হয়ে
হৃদপিণ্ডের বাল্ব দুটো ক্রমাগত যাচ্ছে ক্ষয়ে ,
নির্বাক হয়ে গেছে স্বপ্নীল বিদগ্ধ রাত
কোলাকুলি করে উল্লাসে মাতে দুঃখের
খাটাস হাত,
কতো বর্ষা আসছে যাচ্ছে বছরের বাঁকে
তোমার স – উদ্যম ঘ্রাণ হানা দেয় না আর
বিষন্ন নাকে ,
তুমি আর ফিরে তাকালে না চোখে চোখে
এসে দেখে গেলে না আর কোনো বর্ষায়
গ্যাস ফিল্ডের মতো জ্বলছি আমি হতাশায় ।
রচনা কাল ঃ ১৯/০৬/২০২২ ইং

——————————————–

শিরোনাম_**বাবা**
কলমে__মন্ডল__সৌরভ

দুটো হাত ছায়া হয়ে
মাথার ওপর থাকে
দুটো হাত তার বুকে
আমাকে আগলে রাখে।

ভরসা দেয় এই বলে
ওরে খোকা, ভয় নেই তোর
দুঃখ ভুলিয়ে সাহস যোগায়
বাড়ায় মনের জোর।

যে মানুষটা মানুষের কথা বলতে শেখায়
যে মানুষটা সঠিক পথে চলতে শেখায়
তিনি তো আমার বাবা
আমার আদর্শ
তিনিই আমার অহংকার
আমার নমস্য।

বাবা ভালোবাসি তোমাকে
পারিনা বলতে গলা জড়িয়ে ধরে
অনেকটা বড় হয়েছি
ইচ্ছে হলেও, পারিনা বোসতে তোমার কোলে।।

——————————————–

Powered by themekiller.com