Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতা ঃ স্বামীর কাব্য !
কলমে ঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
তাং ঃ ১৭.০৬.২০২২

সভ্য সমাজে আমি নারী
স্বামীর সহধর্মিণী, স্ত্রী,
সত্যি করে যদি বলি
আমি ক্রীতদাসী, স্বামীর স্হায়ী ভোগ্য
স্বামীর সংসারে নই আমি কেহ
যতই হই আমি শিক্ষাদীক্ষায় যোগ্য !

আমি রাঁধুনী, আয়া, সেবিকা
আমি হই সংসারে হরহামেশা উৎখাত,
পানের থেকে চুন খসলে উঠে যায় আমার ভাত
হই নিপীড়িত, বিতাড়িত , ধর্ষিত !

আমার অসুস্থ হতে নাই —
স্বামীর সময়মতো খাবার চাই, সেবা চাই,
সন্তানের সুষ্ঠু লালনপালন চাই
পতি পরমেশ্বর, তারও চাই অনেক কিছু
উপোস তার থাকতে নাই !

মাছ কুটি, তরকারি কাটি বা মশল্লা পিষি
যখন তার ইচ্ছে হয় —
হাত ধরে টেনে নেয় বিছানায়,
নারীর ইচ্ছে অনিচ্ছার কোন মূল্য নাই
কার কাছে বলি, কোথায় আমি বিচার চাই ?

প্রতিবাদ করলে আমার শিক্ষার দোষ
হাজার অপবাদ ঘাড়ে চাপে, আমি তখন নন্দ ঘোষ,
শাশুড়ী ননদ দেবর, সব হয় একজোট
আমার বিরুদ্ধে বসে আদালত কোর্ট !

স্বামীর সব নোংরামি করতে হয় সহ্য
আমি স্ত্রী, স্হায়ী সেবিকা, আমার হতে নাই অধৈর্য্য,
ভোমিটিং পিল খেয়ে, নিতে হয় সব মেনে
“তুমি নায়ক পুরুষ” বলতে হয় সব জেনে !

কোন অনুষ্ঠানে গেলে, আমি স্বামীর নায়িকা
শোবিজের পাপেট আমি,
করায় পরিচয় দেখে লোক দামী দামী,
আমার শিক্ষার যোগ্যতা করে বর্ননা
খুবই গর্ব ভরে, মনের মাধুরি মিশিয়ে, আদরে,
এমএসসি,এমএড,এমএস অধ্যাপিকা, ঢাকা সদরে!

তখন আমি মধুবালা, ডঃ নীলিমা
ঘরে ফিরলে সব শেষ, চোখেমুখে কালিমা,
“কেন অমুকের পা ছুয়ে করলে না ছালাম
কেন একটু ইংরেজিতে করলে না বাক্য কালাম,
কেন মেকআপ টা করো নাই গাঢ়ো?
দেখলে মনে হয় চুলগুলো ঝোড়ো ! ”

স্বামী দেবতা, পতি পরমেশ্বর
অধিকার তার সীমা ছাড়া আনন্ত্যা, অর্বুদ,
আমি ক্রীতদাসী আমার প্রতি বৈষম্য অদ্ভুত
সুস্থ অসুস্থ অভুক্ত ‘দাম্পত্য অতৃপ্ত’ জিজ্ঞাসে কোনজন
প্রশ্ন তুললে স্বামী সংসার সমাজে হতে হয় অপমান !

তবু লড়ছি আমরা সমঅধিকার নিয়ে
কে দেবে এনে অধিকার, প্রতি বাসায় বাসায় যেয়ে
প্রতি ঘরে ঘরে উঁকি দিয়ে ?
হোক স্বামী ব্যবসায়ী, সরকারি অফিসার, চন্দ্রা শশী
সুযোগ পেলেই মেয়ে মানুষের গতর বেড়ায় চষি,
কেউ অফিস কক্ষে হয় যৌনসম্ভোগে লিপ্ত
কেউ সিঙ্গাপুর নেপাল ব্যাঙ্কক যেয়ে শিশ্ন করে সিক্ত!

শেষ।

——————————————–
কবিতা
কানাকানি
শংকর ব্রহ্ম
১৮/০৬/২০২২.
———————————-

অনন্ত রাত্রির শেষে, যেন তুমি মায়াবী সকাল
স্বপ্নে তোমায় দেখেছি আমি কাল,
ব্যস্ত ছিলে খুব সন্ধ্যার আয়োজনে
তবুও ভাবছো তুমি আমাকেই মনে মনে।

হঠাৎ সকালবেলা ভেঙে গেলে ঘুম,
বুক জুড়ে পড়ে থাক তুমি যে নিঝুম,
আঠার মতোন চোখে লেগে থাকে ঘুম
মধুর স্বপ্নটুকু হয়ে যায় গুম।

বিছানা ছেড়ে আর উঠতে চায় না মন
বলো আমি কি করি এখন?
জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা ভাল নয় জানি
ভোরের পাখিরাও এই নিয়ে করে কানাকানি।

whispering
—————————-

At the end of the eternal night, as if you were a magical morning
I saw you in a dream yesterday,
Was very busy organizing the evening
You’re still thinking of me.

When you wake up in the morning,
You lie on my chest silently
Sticky sleep sticks to the eyes
Lost sweet dreams.

The mind does not want to get out of bed
Tell me what to do now?
I know waking up and dreaming is not good
Morning birds also whisper at this .

——————————————–

শিরোনামঃ পাকা জাম
কলমেঃ মিলাদ হোসেন
তারিখঃ ১৮/০৬/২০২২

পাকলে সে কালো হয়
কি যেন নাম
রক্তে রাঙা রসে ভরা
নাম কালো জাম।

অতি ভালো জাম ফল
খেতে মন চায়
যদিও বা কালো বর্ণের
তাকে দেখা যায়।

রসে ভরা কালো জাম
খেতে ভারি মজা
পাকা জামের রস খেলে
মন হয় তাজা।

——————————————–
প্রেম কাহিনী
কলমে–স্বপন বারুই
তারিখ– ১৮/৬/২২

ধৈর্য ধরে পড়ে দেখুন আশাকরি ভালো লাগবে।
১.ভালোলাগা

প্রতিদিন সকালে ওই পথ
দিয়ে আমি অফিস যাই।
তুমি বাইক নিয়ে বাজার করতে
যাও,দেখতে আমি পাই।

দেখতে তুমি বেশ ভালো
তোমায় ভালো লাগে।
তোমার মতো এত সুন্দর
মানুষ দেখতে পাইনি কেন আগে!

২.❤️ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিনত❤️

বলতে পারিনি ওগো তোমায়
আমি আকাশসম ভালোবাসি।
বলতে গিয়ে ও লজ্জায়
বারে বারে ফিরে আসি।

করতে দেবোনা তোমায় কাজ
অপর কারোর দোকানে।
লোক পাঠিয়ে তাই আনালাম
তোমাকে আমার বাড়িতে।

অফিস শেষে বাড়িতে এসে
দেখবো তোমার মুখ।
সব কষ্ট উধাও হবে
পাবো পরম তৃপ্তি সুখ।

৩.কষ্টের ভাগ ও পরীক্ষা

কাজের জন্য এনেছি তোমায় জানলে পরে,
জানি ভাববে তুমি আমি জঘন্য।
এসব কিছু করছি শুধু তোমাকে নিজের
আপন করে পাওয়ার জন্য।

এসব কথা ভাবছি আমি
আমার মনে মনে।
ওর মনে কি ফিলিংস আছে
তা জানবো কেমনে।

জানতে হলে করতে হবে পরিক্ষা
আমার প্রতি কি ফিলিংস আছে তোমার।
তাতে একটু কষ্ট হবে
জানি তো আমার।

অফিস থেকে ফেরার পথে
বান্ধবীর বরকে সঙ্গে নিয়ে।
বাড়িতে ঢোকার সময় ঢুকলাম
তাঁর কাঁধে হাত দিয়ে।

বাড়িতে ঢুকেই অর্ডার করলাম
এই যে কোথায় গেলে গো তুমি কি যেন নাম তোমার?
তবা তবা ভগবান পাপ দেবে,তাই মুখে নাম নিতে নেই স্বামী দেবতার।

কইগো কোথায় গেলে এই যে
ঠান্ডা জল এনে দাও।
এতদিন পরে আমার বয়ফ্রেন্ড
এলো বাড়িতে ওকে মিষ্টি মুখ করাও।

দেখলাম,পরপুরুষকে এক সঙ্গে দেখে
কিছুটা যেন অবাক হয়ে যায়।
ঠান্ডা জল আর মিষ্টি দিয়ে
আবার রান্না ঘরে চলে যায়।

দাদাভাই কে ওকে দেখিয়ে বললাম
কি দাভাই আমার হবুকে দেখতে কেমন?
দেখতে খুবই সুন্দর তুমি
আমাকে ঠিক বলেছ যেমন।

দাদাভাই যাওয়ার সময় আমায় বললো
ডার্লিং আজ উঠছি তবে,
আগামীকাল সকাল বেলায় আবার
অফিসে দেখা হবে।

৪.মনের সঙ্গে মনের মিলন

চলে যাওয়ার পরে
ও এলো আমার ঘরে।
এসব তোমায় মানায় না
তুমি ওকে দাও ছেড়ে।

একবারে আপনি থেকে তুমি
তোমার সাহস তো কম নয়।
সরি, বলতে পারি একটি কথা
যদি দাও আমায় অভয়।

এতো বড়ো তোমার স্পর্ধা
আবার বলো আছে কথা!
তাড়াতাড়ি বলে ফেলো তুমি
টিভিতে ভালো প্রোগ্রাম হবে দেখবো আমি।

যোগ্যতা আমার নেই তবুও
বলছি,তোমায় বেসেছি ভালো,
তুমি কি তোমার হৃদয়ের এককোণে
জায়গা দেবো গো আলো।

ওগো আমার পাগল প্রেমিক প্রাণনাথ
এই কথাটি শোনার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম,
কোটি কোটি ধন্যবাদ তোমায় অন্তর্যামী
তোমারই কারণে মনের মানুষ পেলাম।।

——————————————–

বেঁচে থাকার আর্তনাদ
সানোয়ার হোসেন

বাইশ বছর ধরে আগলে রেখেছিলাম
বাপের ভিটা বাড়ি খানি।
এক নিমিষেই নিশ্চিহ্ন করে গেলো
সুরমা নদীর পানি।

কবর ছিলো মা বাবার,
আরো কত স্বজন প্রীতির।
কোথায় যেনো নিল সব
নিষ্ঠুর স্রোত, সুরমা নদীর।

হাওরের বুকে মিশে গেলো
ছোট্ট ভাইয়ের দেহ।
স্রোতের টানে আমিও যাই ভেসে,
শুনছো কি কেহ?

কোন পাপে যেনো আজ
হলো এমন পরিহাস।
নিষ্পাপ মেয়েটি আমার
এই স্রোতে হারালো নিঃশ্বাস।

আদর স্নেহের প্রিয়জনের
বিশ্বাস ভরা মায়ার মুখ?
বিলিন হলো জলের নিষ্ঠুরতায়
হায় রে.. খোদার সুখ!

যেথা সেথা ভাসমান লাশ,
আর বেঁচে থাকার জন্য আর্তনাদ।
তাই শুনে পৃথিবী কাঁদে,
প্রভু, একটুও কাঁদছেনা কি
বুকটা তোমার?

——————————————–

*হাজার*বাতি*
কলমে দীপঙ্কর বর্মন
১৮/০৬/২০২২

হাজার বাতির আলোয় আমি
খুঁজে ফিরি পান্না চুনি,
বিরহে আর মনের ব্যথায়
ভুলে গেলাম স্বর্ণ গিনি;
গোলকধাঁধার মনভোলানো
আজব সব‌ই আজ জানি।

ব্যথার পাহাড় অভ্রভেদী
আমায় দিলো হিমশীতল।
আলোর পরশ সোনায় সোহাগ
খুঁজে শেষে পাই অতল;
নিরুদ্দেশের ঠায়-ঠিকানা
আজো খুঁজে হয়রানি।

আকাশভরা সূর্য-তারা
মনের আশা ছুঁই সকল,
নিত্যদিনের গঞ্জনা সই
কখনো বা হই সফল;
স্মৃতির পটেই ধ্যানধারণা
রেখেই যাব স্তোক বাণী।

——————————————–

Powered by themekiller.com