Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতা ঃ না বলা ইতিহাস!
কলমে ঃ শাদীদা মাইশা।
তাং ঃ ১৮.০৫.২০২২

এ গ্রামে একটা মেয়ে ছিলো–
ছিলো তারা ধার্মিক পরিবার,
যৌবন উসলায় পড়তো মেয়েটার গায়–
ইচ্ছে ছিলো তার ডাক্তার হবার !

তার চোখে ছিলো নীল আকাশ —
বুকে ছিলো ঝর্ণার কলকল ধারা,
নিবিড় অরণ্য ছিলো তার কেশ গুচ্ছ —
কত যুবক তাকে দেখে হতো মনহারা!

আমাকে কখনও চেষ্টা করতো কিছু বলতে –
সামনে দাড়ালে মনে হতো সন্ধ্যার আভা,
চুপচাপ দাড়িয়ে থাকা ” ওকে ” কি বলি —
কথা হতো শুরু, ” মম ” তুমি কোথা যাবা?

১৯৭১ সালে আকস্মিক এক মরুদস্যু —
অশ্ব পৃষ্ঠে তাকে নিয়ে গেলো তুলে,
যুদ্ধ করে এসে দেখলাম না সে বেনীমুক্ত চুল —
স্বাধীনতা নিয়ে এসেও ডুবে গেলাম এক বিষন্ন ভুলে!

উলঙ্গ ক্ষতবিক্ষত একটা নারীর লাশ —
মিলে ছিলো মধুমতির চরে,
মুখে তার ছিলো দন্ত নখরের শত ক্ষত–
বেয়নেটের আঘাত ছিলো উরু নিতম্ব ভগের পরে!!

——————————————-

তারিখ-১৮.৫.২২
কলমে সঙ্গীতা ঘোষ (ভড়)
শিরোনামঃ এক অজানা পথচলা
ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া শব্দরা নিশুতি খোঁজে,
ধীরে ধীরে শুরু হয় তাদের গমন,
অবচেতন মনে আগমন হয় তাদের,
তারপর—
সারারাত ধরে মস্তিষ্কে জ্বলন ধরে ,
ধ্বস আসে স্নায়ুগহ্বরে,
বন্যা আসে উপশিরায়,
রাত্রি ভোর হয়,
দুর্দমনীয় সূর্যের আলোয়
আবার ঘুমিয়ে পড়ে তারা,
একটি নিশুতি রাতের প্রতীক্ষায়।

——————————————–

ভাবের তরঙ্গ
সুমন রঞ্জন সেন
18/05/2022

নব আশা বুকে গাঁথা
এমন কেহ আসবে বলে
দিবানিশি যুক্ত মুক্ত চিত্ত
মিলেমিশে অগ্র হবে নতুন জীবন।

সর্বকালে সুখে-দুঃখে ভাসন্ত জীবন তরী
প্রেমময়,হাস্যময় যুগ্ম মর্ম
সৃষ্টি হবে কত শত ভাবের তরঙ্গ
নতুন ধারায় সেজে উঠবে যুগ্ম অঙ্গ।

——————————————–

জানলা খোলা

কলমে : সৌম্য সরকার
তাং: ইং- ১৮.০৫.২২
—————————————————–
দূর থেকে তার পানে অপলক
চেয়ে থাকতাম ,
দেখে- দেখে বার-বার দেখেও
শুধু দেখতে ইচ্ছে হোত !
দেখেই যেন পৃথিবী পেয়ে যেতাম ।
আর সেও সকলের দৃষ্টি এড়িয়ে
এক পলক দেখে মুচকি হাসির
শিউলি ছড়িয়ে দিতো !
ছিলো সুমেরু – কুমেরু’র ভালোবাসা ।

ছুটির দিনে তার দেখা পাওয়া ছিলো ভার ,
অযথা বাড়ির সামনে-পিছনে
ঘোরাঘুরি হোত সার !
আঁধার রাতে পড়লে মনে তার কথা ,
যেতাম বাড়ির সামনে দিয়ে ,
তাকে দেখতে না পেলেও —-
ঐ ক্ষীণ আলোটুকু দেখতাম
থাকতো যদি তার জানলা খোলা …..

——–০০০০——-

——————————————–

বিদায়ের রথ
মাহবুব খান

তখন আকাশে তুসার ঝড়ের আদলে ঝরে পড়া পূর্ণচন্দ্রের খেলা
জোছনার শ্বেতকপোত মেলেছিল সাদা তার ডানা
নাগিনী রোসে ছোবল হেনেছিল করোনা।
তোমার পাতলা ঠোঁট ম্লান গোলাপি
দু’চোখ জুড়ে দুঃখের রাগ- ভৈরবী।

সেই ক্ষনে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছিলে
শেষ যামিনীর ট্রেন ধরে চূড়ান্ত গন্তব্যে চলে যাবে বলে।
ছল ছল দু’চোখ নূব্জ্য পঁচিশের বেদনার ভারে
শেষ বিদায়ের অপ্রতিরোধ্য রথ কিছু আগে ডাক দিয়ে গেছে।
আশ্বমেধের ঘোড়া সাজানো গোছানো
লাগাম মুক্ত হলে ছুট দেবে
ফিরে আর আসবে না কোনো দিন
সুনীল আকাশ আর হাওড়ের পাড়ে।

“দুখিনী মাকে আমি খুব ভালোবাসি
লাশটানা ফ্রিজিংভ্যানে আমাকে জননীর কাছে পাঠিয়ে দিও
শেষ যাত্রার এই দুঃখময় পথটুকু কাছে কাছে থেকো”।
“সময় করে কবরে ফুল দিও
দেখা করে যেও।
মনে রেখো- তোমাদের বাতায়ন পাশে একদিন
বুলবুলি এক গান গেয়ে ছিলো”।

সেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় সময় বিচলিত করেনি আমাকে
তোমার মিষ্টি দু’চোখ
দারুচিনি ঘ্রাণময় গোলাপ অধোর
তখনও উন্মাতাল করেছিল ফরাসি সৌরভে।
ঝাঁকড়া চুলের কুসুম খুশবু নাকে এসে বলেছিল-
কালোকেশী, মায়াবতী- চোখ যার এক মহাসাগর মোহমায়া নেশা
অসময়ে সে চলে যেতেই পারে না!

——————————————–

♦দু’চোখ♦
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
**********************
কোন একদিন তোমার চোখের মাঝে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো দিনের নিরমেঘ রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ দেখেছিলাম।
আহা, কাকে বলবো সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা- সেই লাল সূর্যের অপার আকাশ, সোনালী ডানার নিষ্পাপ এক ঝাক সুখী গাংচিল, রঙবেরঙের অগণিত ঘুড়ি! যদি ভুল করি, তবে শুধরে দিয়ো আমাকে- বিরাট এক সুনিবিড় অরণ্য ধারণ করেছিলে তুমি চোখে।
পৃথিবীর একমাত্র পাপ মুক্ত অরণ্য,
যেখানে কোন দিন কোন রক্তপাত হয়নি।
মানুষ পশুপাখি ও যাবতীয় পোকামাকড় একত্রে মিলেমিশে করে বাস।
আমি কী করে ভুলবো সেই লাল সূর্যের ঝলমলে আকাশ; তোমার চোখের মাঝে একদিন দেখেছিলাম।
পৃথিবীর বিগত কোনও অস্তমিত অপরাহ্নে!
উহু, আমাকে ব’লো না প্রেম ভালবাসি তোমাকে।
তোমার দু’চোখ ঢের কথা জানে।

লেখার ধরণঃ গদ্য কবিতা
পোস্টের তারিখঃ ১৯-০৫-২০২২

——————————————–

Powered by themekiller.com