~ চতুর্দশপদী ~
মা
15.05.22
সকলেই ধরে ফেলে স্বার্থের তিমির,
তুমি অবিনাশী মায়া আঁচলের ছায়া,
বিপরীত স্রোতেও দুর্দমনীয় কায়া,
জীবনের প্রতি পরতে স্নেহ-শিশির।
রোদ বৃষ্টি ঝড় পর্বত প্রমান বাঁধা,
অদ্ভুত অটুট দৃঢ় মায়ার বন্ধন,
ক্রোশ ক্রোশ দূরে থেকেও শোনো ক্রন্দন,
সূর্য উঠা ভোর তমসায় অনুরাধা।
দুর্ভেদ্য অজেয় তোমার লৌহ দেয়াল,
পরাভব মানে লক্ষিন্দরের গোলক,
অবিনাশী সুরে বাজে রাগিনি খেয়াল।
যাপিত তাপিত জীবনের মহামায়া,
তুমিই স্বর্গীয় সুধা তুমিই ভূ-লোক,
মিষ্টি ঘ্রাণের হিমেল চাদরের ছায়া।
*পৃথিবীর সকল ~মা~কে*
মহিউদ্দিন আহমেদ
নারায়ণগঞ্জ,বাংলাদেশ
© স্বপ্ন
——————————————-
দু’চোখের আগুন
কৃষ্ণা রায়
১৫/০৫/২০২২
তোমার দু চোখে এক আগুন আছে
জ্বলতে দাও তারে দাউ দাউ করে।
দমকা হাওয়ায় তোমার শিখা,
উঠুক জ্বলে একা একা,
নেভাতে যদি কেউ তোমাকে চায়
দিও তারে ছারখার করে।
তোমার পথে তুমি চলো,
বাধা যত দু’পায় দলো।
হৃদয় মাঝে যত স্বপ্ন সাজে,
গুছিয়ে রাখো লাগবে কাজে।
হয়তো কোন ঝড় রাতে,
ভাঙবে কিছু কঠোর আঘাতে,
তবুও পথ দিও না ছেড়ে।
তোমার দুচোখে এক আগুন আছে,
জ্বলতে দাও তারে দাউ দাউ করে।
তোমার ওই আগুন তেজে,
পুড়বে কলঙ্ক ওঠো জেগে,
হঠাৎ যদি বাদল নামে,
হবে শুষ্ক তোমার উত্তাপে,
তবুও যদি ভিজে যাও,
তীব্র স্রোতে এই পথ হারাও,
মন দিও না অন্য ঘরে।
তোমার দু’চোখে এক আগুন আছে,
জ্বলতে দাও তারে দাউ দাউ করে।
——————————————–
জাগ্রত মৃত্যু
মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ
১৬.৫.২০২২
হঠাৎ আজ আমরা চমকে যাই
ভিন্নতার গল্প অন্ধত্ব ঘর,
দুনিয়াবি রঙিন খেলায় মাতিয়ে যাই
সবটি করে দিয়ে পর।
আজ এতোটাই বিষন্নতা কিছু মনে
স্বপ্নের শেষবিন্দু হয় ছারখার,
সবাই তো বলতে থাকি হাসি মুখে
বেঁচে থাকার ইচ্ছে কার।
কিছু মৃত্যু আজ কষ্ট দেয়
পরিবারে নেমে যায় শূন্যতা,
কিছু মানুষ ভিন্নতায় নেশায় ব্যস্ত
গড়ে উঠতে পারে না পূন্যতা।
কেউ অনায়াসে হারিয়ে যায় অন্যথায়
তৈরি নতুন গল্প শুনে,
রাস্তায় অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা হাহাকার শব্দে
কি ভাবেই মানুষ স্বপ্ন বুনে।
দুনিয়ায় আনন্দটা আজ বড়ই রঙিন
শেষটা ঘটেছে মৃত্যুর তরে,
অন্যায় কারির পর্যায়টা প্রকাশ পেয়েছে
প্রমানটা আজ সবার ঘরে -ঘরে।
——————————————–
কবিতা- মধু মাস
ছন্দ – স্বরবৃত্ত
মাত্রা বিন্যাস- ৪+৪/৪+২
শব্দ চয়নে – সেগুফতা আনসারী
রচনা কাল – ১লা জৈষ্ঠ্য ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আম কাঁঠালের গন্ধ ভরা
জৈষ্ঠ্য মধু মাসে,
ফল পিয়াসী বাঙালীর মন
ফলের রসে ভাসে।
গ্রীষ্মকালে খরতাপে
কত ফল যে পাকে,
ফলের গন্ধে পাকপাখালী
আসে ঝাঁকে ঝাঁকে।
হরষে মন আপনি দোলে
পাকা ফলের রসে,
মধুর সুরে গাহে পাখি
তরু ছায়ার বসে।
ঝিরিঝিরি ঐ বাতাসে
হয় যেন মন মাতাল,
মন মাধুরী খোঁজে বেড়ায়
সুবাসিনী কাঠাঁল।
সুনীল আকাশ মাতাল বাতাস
ভ্রমর দিশে’হারা,
গুণঞ্জরীয়া গাহে আলি
হয়ে মাতো’য়ারা।
আম কাঁঠালের বনের ধারে
সুবাস বিলোয় কত,
হরেক ফলের রসের ধারা
ঝরে অবি’রত।
দমকা হাওয়া মাতাল করে
মিষ্টি ফলের ঘ্রাণে,
গন্ধ সুধায় খুশির জোয়ার
লাগে সবার প্রাণে।
——————————————–
শিরোনামঃ ফিরে দেখি
কলমেঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন
তারিখঃ ১৬ মে ২০২২
এলোমেলো চুল গুলো উড়ছে
হাওয়ায় হাওয়ায় সমুদ্র তীরে
দাড়িয়ে থাকা তরুণীর মাথার
এলোমেলো চুল গুলো উড়ছে,
জানিনা কি ভাবনারে ভাবছে।
তরঙ্গায়িত জলরাশি তাঁর হৃদয়ে
কি গান তৈরি করছে, যৌবনের
উত্তাল তরঙ্গ উথাল-পাতাল করছে?
বসি সমুদ্র কিনারে উচ্ছ্বসিত প্রাণে,
দেখি নয়ন ভরে যৌবনের ফেলে
আসা দিনেরে মনের গহীনে।
——————————————–
তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে
হাসান ফরিদ
১৬/০৫/২২
তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে
ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে
তুমি অপ্সরা নাকি মানবকুলের মানবী
তুমি সাগরবিধৌত জলের কারুকাজের
মখমল ভাঁজে, প্রেমের শুকতিভরা প্রজ্জ্বলিত
এক অনবদ্য সেঁজুতি
স্বপ্নীল স্বপ্নের পৃথিবী।
তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে
ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে
যেভাবে ক্লান্ত নাবিক বহুদিন পরে
বাড়ি ফেরার পথে, নিজ হাতে ছুঁয়ে দেয়
মহানন্দার কালো জল
ঠিক সেভাবেই ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে
তোমার বৃষ্টিভেজা ডাবের পানির ঠাণ্ডা ডাগর চোখ
বাসমতী সুঘ্রাণ ধানের মিচমিচে গহিন অন্ধকার
অরণ্যনী চুল।
ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে
তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে
ঘুমাতে ইচ্ছে করে
যুগল নীলগিরি পাহাড়ে উঠে
পর্বতারোহী মুহিত-নিশাতের মতো
নিরাপদ আশ্রয়ে
দুধ-সাদা তাঁবু খাটিয়ে
তোমার উষ্ণ আগুন
পাহাড়ি জোঁকের ঠোঁটে
আমার বরফি ঠোঁট ছাটিয়ে
জিংসেক কিংশুক নির্যাস
শুষে নিতে ইচ্ছে করে
এক নিমিষে…
তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে
ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে..…
——————————————–