Breaking News
Home / Breaking News / ফরিদগন্জে কিশোরী হত্যা মামলার ১ জন আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত

ফরিদগন্জে কিশোরী হত্যা মামলার ১ জন আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
পাপ কখনো বাপেরে ছাড়েনা এমন প্রবাদ সচরাচর আমরা শুনে আসছি। সে সুবাদে চাঁপুরের আদালত সকল স্বাক্ষী প্রমানের উপর ভিত্তি করে জেসমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করেন। তবে এ রায়কে চাঁদপুরবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।তবে ফাঁসি কার্যকর হলে নিহতের পরিবারের মধ্যে ন্যায় বিচার হবে বলে জানা যায়। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোচিত কিশোরী জেসমিন হত্যা মামলায় আসামি সাইফুল ইসলামকে বাবুকে মৃত্যুদন্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে। অপর দুই আসামি মোঃ মিরাজ বেপারী ও নুর ইসলাম ওরফে লেদাকে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মৃতুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম ও মিরাজ পলাতক রয়েছে। মামলার ৩নং আসামি নুর ইসলাম ওরফে লেদার উপস্থিতিতে মামলার রায় শোনানো হয়।
বুধবার চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন। হত্যার শিকার জেসমিন আক্তার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিণা গ্রামের চুন্নু মিয়ার মেয়ে।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাইফুল চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামের অলিউল্যা শেখের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত মিরাজ একই উপজেলার সোবহানপুর গ্রামের চুন্নু মেম্বারের ছেলে এবং নুর ইসলাম ওরফে লেদা একই উপজেলার পূর্ব গুলিশা গ্রামের মুসলিম রাঢ়ীর ছেলে।
মামলার বিরবরণ থেকে জানাযায়, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে কোন এক সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাইফুল ইসলাম তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে সকল আসামিরা জেসমিনকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে ফসলি জমিতে রেখে চলে যায়। পরদিন ২৬ জানুয়ারি ভোরে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের এসআই রহমত আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের এসআই নিজাম উদ্দিন তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ মে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডঃ মোঃ আমান উল্যা জানান, মামলটি প্রায় ৪ বছর আদালতে চলমান অবস্থায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আদালত এই রায় দেন। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন অ্যাডঃ মোক্তার আহমেদ অভি।

Powered by themekiller.com