Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

শিরোনামঃ
শুভ মৈত্রী পূর্ণিমার চেতনা
কলমেঃবিটন বড়ুয়া
তারিখঃ১৫/০৫/২০২২

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমায় মৈত্রী শুভ কামনা
সমগ্র মহাবিশ্ব বৌদ্ধ জাতির মনোবাসনা,
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এসো করি প্রার্থনা
বুদ্ধের বাণীতে চলো করি ত্যাগের সাধনা।

আলোকিত হোক বিশ্ব মানব ধরা
নিপাত যাক বিশ্ব মানবতার খরা,
মুছে যাক গ্লানি যত বিশ্বপাড়া
মৈত্রীতে জাগুক মানবতায় সম্প্রীতিতে ধরা।

মহা জ্ঞানী জন্মেছিল ধরিত্রীতে
ত্রিশরিত জ্ঞান আলোক অর্জনে,
পূর্ণিমা তিথিতেই জন্ম ও বুদ্ধত্বলাভ
পূর্ণিমার শুভক্ষনেই তৃষ্ণার ক্ষয় পরিনির্বাণে।

জয় হোক ধ্যানের,জয় হোক জ্ঞানের
জন্মিলে মরিতে হবে সাধিত হোক কুশল কর্মের।

চট্টগ্রাম বিটন বড়ুয়া

——————————————–
প্রবীণের সঙ্গ সুখ
মোঃ আবু বকর সিদ্দীক
( সিদ্দীক সাধু)
১৫.০৫.২০২২.

বয়স হয়েছে মাত্র আশি
খুক খুক শুধুই কাশি,
ঘরের কোনে মোহন বাঁশি
পাশেই আছে পুস্তক পুথি,
তোমার দাদুর লাল শাড়ি
অম্ল মধুর কিছু স্মৃতি।

ডাকলে তবে আসতো কতো,
বসলে পাশে হতো ধন্য,
জীবন দিবে আমার তরে,
লাজ লজ্জা পদ দলে,
মধুর কথায় মন ভুলাতো
কোজাগরী জ্যোৎস্না রাতে
দেখতো তারা স্বপ্নে বটে,
নয়ন জলে ভাসতো শেষে।

ছেলেরা সব থাকে দূরে,
নাতিরা সব গেছে ভুলে,
ইংরেজিতে কথা বলে,
মোবাইল ফোনে ঈদের দিনে,
মেয়ে আমায় সাবধান করে,
খাবে কিন্তু হিসেব করে,
ডাক্তার দেখাবে নিয়ম মেনে,
ডলার কিছু দেব তবে।

ছেলে বলে আস কাছে,
দেশের জমিজমায় কি হবে,
বেঁচে দাও সস্তা দামে,
মায়া কর কোন দূঃখে,
চেয়ে থাকি বাঁশ ঝাড়ে,
মা বাবা আমার আছে শুয়ে।

মমিন থাকে পাশের বাড়ি,
হাতে নেই তার টাকা কড়ি,
নিয়ম করে আসে কাছে,
যত্ন করে হৃদয় দিয়ে,
করে না কিছু স্বার্থের লোভে,
হৃদয় দিয়ে খুব ভালোবাসে,
কেমন করে যাব ছেড়ে।

পুত্র সুখ দিয়েছে মমিন,
উপদেশ দেয় নি কভু,
সঙ্গ সুখ দিয়েছে শুধু,
প্রবীণের কি লাগে কিছু!!

——————————————–
বিধির বিধান
স্বপন কুমার চৌধুরী
তারিখঃ ১৫/০৫?২০২২খ্রিঃ

বিধির বিধান ভাংগতে গিয়ে
সাগরজলে দিচ্ছো ঝাঁপ,
সেই হিসাব কি রাখছো ওরে
বাড়ছে তোমার নিজের পাপ।

লোভের বশে অন্ধ হয়ে
সুখকে খুঁজে করছো ভুল,
শেষ জীবনে জমার খাতায়
দেখবে শুধু বিষের হুল।

যে ফুলে যে কর্তাব্যক্তি
তুষ্ট হয়ে দিচ্ছে বর,
ভুল করে সে ফুল না দিলে
তারাই তোমায় করবে পর।

যা করো ভাই সামনে চলো
সত্য ন্যায়ে রাখবে তাল,
ভালো কাজে মন্দ হবে
তুললে হঠাৎ মাথায় ঝাল।

ধীর ও স্থিরে ধৈর্য্য ধরে
করলে কাজের বাড়বে গুণ,
রাগ করো না দেখলে কোথাও
পান থেকে ভাই খসলে চুন।

বিধির বিধান মানলে ভবে
ভাগ্যে সবার আসবে সুখ,
সত্য পথে থাকলে অটুট
জানবে সবাই রুখবে দুখ।

——————————————–

ভদ্রা নদীর পাড়ে একদিন
এম. এন. এস তুর্কী

আবার যদি আসি ফিরে,তোমার ললাটে দিবো আমি; বৃক্ষ চন্দনের দূর্লভ তিলক।
ডিঙায় ভেসে তোমার বুকে করবো আমি বেদনার করুন চিৎকার,যতটা পারি ততটা প্রসস্থ করবো আমার কণ্ঠস্বর!
বেদনার চরের মৃত্তিকা মেখে শান্ত করবো আমার খন্ডিত পাঁজরের আহত গান।
তোমার হারিয়ে যাওয়া অস্তিত্বে সংযোজন করবো আমার কষ্টের পরিধি,যতটা পারি বৃত্তের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে প্রসারিত করবো লুক্কায়িত কষ্টের ব্যাসার্ধ।

তোমার কষ্টে যেমন জড়িয়ে আছে জোয়ার-ভাটার স্বল্পতার গতিবেগ ছাড়াও ভূমিদস্যুদের করাল থাবার গ্রাস,তেমনি আমিও অমানুষদের দ্বারা আজ বিধ্বস্ত!
তাই তুমি হারাও প্রকৃতির অংশ হিসাবে আর আমি হারায় অনুভূতির ব্যাসের কেন্দ্রের মাঝে।
সুতরাং তোমার আমার বিপন্নের ধারা একই,শুধু পথ দু’রকমের।
যদি আবার ফিরে আসি আমি কোন এক চন্দ্রিমা রাতে, তবে বিলিন হবো আমরা দু’জন দু’জনার মাঝে।।

তাংঃ ১৩/০৫/২০২২ খৃষ্টাব্দ
বারঃ শুক্রবার
সময়ঃ ১১.৪৫ সকাল
স্থানঃ শংকরপুর,যশোর।

——————————————–

তুমি নও-উহা এক দল ছুট গরু!
জাফর ইদ্রিস

বাজে গভীর নিশিথে -শুকনো পাতা মারানো
মড়মড় ধ্বনি-
বিচলিত হয় মন, ভাবি –এই-তুমি এলে বুঝি!
কান পেতে শুনি।
ঘুটঘুটে আঁধারে করি -তালাস,
লুকায়ে আড়ালে প্রেম-
এ তোমার কেমন বিলাস!

গৃহ ঘেঁষে আন্তঃজেলা মহা-সড়কটি-
চলে গেছে দূর-এক ভিন পাড়া-
ঘুটঘুটে আঁধারে—
ডাকি তোমায়,শুকনো পাতার মড়মড় –
ধ্বনি শুনি, তবে-না পাই
তোমার কোন সাড়া।

বেড়িয়ে চেরাগ হাতে –দেখলাম ক্ষীণ-
আলোয়-যাচ্ছে ঘঁষে গাল-
জানলার রেলিংয়ে-প্রতিবেশীর—
দল ছুট এক গরু!

জাফর ইদ্রিস
ঢাকা- বাংলাদেশ

——————————————–

ছন্দ কবিতা
শিরোনাম :- ” পিছুটান ”
কবি :- শ্রী অমিতাভ কর
তাং :- 15/5/2022
*******************

চলে যেতে যেতে থমকে দাঁড়িয়ে, ভাবি –
কাউকে তো দিয়ে আসিনি ঘরের চাবি!

দরকারে কেউ আসে যদি নিতে খোঁজ ,
চলে গিয়ে ফিরে আসবে কি রোজ রোজ !

কিন্তু চাবিটা দিয়ে আসবো বা কাকে ?
রাখবে কি সে , মনে করে তুলে তাকে !

তার চেয়ে ভালো খুলে দিয়ে আসি তালা ,
থাক – অবারিত দ্বার , ঘরখানি এক চালা ।

পিছন পানেতে আবার হাঁটতে থাকি ,
মনে প্রত্যয় , কাউকে দেবোনা ফাঁকি ।

এসে দেখে যাক্ , কি আছে সঞ্চয় ,
কটা ছেঁড়া খাতা বৈ – আর কিছুই তো নয় !

ফিরে এসে দেখি দ্বারে সাঁটা চিরকূট ,
“পিছুটান রেখে – কেন দিতে গেলে ছুট?”

********

——————————————–

Powered by themekiller.com