Breaking News
Home / Breaking News / মনপুরায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করছে নির্বাহী অফিসার

মনপুরায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করছে নির্বাহী অফিসার

মো কামরুল হোসেন সুমন, ভোলা প্রতিনিধিঃ
মনপুরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে প্রকৃত ভুমিহীন গৃহহীনদের মাঝে ভুমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও এবং ভুমিবন্দোবস্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ১ ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সেই লক্ষে কাজ করছেন ভুমি ব্যাবস্থাপনা কমিটি ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সরারাত জেগে সুর্যোদয়ের পুর্ব পর্যন্ত ভুমি অফিসে কাজ করছেন সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে একটি পরিবারও ভুমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা মর্মে যে ঘোষনা দিয়েছেন তা বাস্তবয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার । প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে । দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ন করার  জন্য কৃষি জমিতে আবাদ বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনপুরা উপজেলায় ছোট বড় ১০/১২টি চর রয়েছে। যেখানে ১০/১২ হাজার একর কৃষি খাস জমি রয়েছে। সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত এই সব চরের জমি বন্দোবস্ত না দেওয়ার কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ কিছু প্রভাবশলী মহল জবর দখল করে অকৃষি কাজে ব্যবহার করছে।
এইসব চরগুলো কোন ভুমি ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রভাবশালীরা দখলিস্বত্ব বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কৃষি কাজে উৎপাদন ব্যহত  হচ্ছে এবং চর দখল নিয়ে বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া প্রকৃত ভুমিহীন পরিবারগুলো ভুমি পাওয়ার অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে একটি পরিবারও ভুমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা মর্মে যে ঘোষনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে যদি চরগুলোর কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।

২০১৮ সালে মনপুরায় এসে তৎতালীন ভুমি প্রতিমন্ত্রী বর্তমান ভুমি মন্ত্রী  সাইফুজ্জামান জাবেদ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি জনসভায় ঘোষনা করেছিলেন মনপুরায় ১ হাজার মানুষকে ভুমি বন্দোবস্ত দিবেন। এর ফলে দীর্ঘদিন পর জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় নানাবিধ প্যতিকুলতার মধ্যেও ভুমি বন্দোবস্ত  প্রক্রিয়া চালু আছে। প্রতিদিন শতশত অসহায় গরীব ভুমিহীন পরিবারগুলো ভুমি অফিসে আশে পাশে ঘুরাঘুরি ও দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।  উপজেলা ভুমি অফিসে ভুমিহীন অসহায় পরিবারগুলো ভুমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন ফরম জমা দেয়। উপজেলা ভুমি অফিস এই আবেদন যাছাই-বাছাই করে বন্দোবস্ত  প্রস্তাবগুলো জেলা কালেক্টর বরাবর অনুমোদনের জন্য প্রেরন করেন বলে ভুমি অফিস সূত্রে জানাযায়।
সম্প্রতি কিছু অসাধু ও জবরদখলকারী ভুমিদস্যু তাদের জবরদখলকৃত ভুমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভুমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য পায়তারা করছে। অসহায় ভুমিহীন পরিবারগুলোর মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানাযায়, দীর্ঘ ২৪ বছর পুর্বে ১৯৯৪ সালে দিয়রা জরিপ হলেও রেকর্ড প্রকাশ পায় ২০১৮ সালে। চুড়ান্ত রেকর্ড পাওয়ার পর অনেক বৈধ মালিকের জমি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানে চলে যায়। এতে প্রকৃত জমির মালিকরা বিপাকে পড়েন। জরিপের পর যাহারা বন্দোবস্ত পেয়েছেন তাদের জমিগুলো স্বাভাবিকভাবে ১নং খতিয়ানে খাস হিসোবে দেখা”েছ। এতে সরকারের ভুমিউন্নয়ন কর আদায় কমে গেছে। খাসজমিগুলো কৃষি কাজ করা বন্দো থাকায় কৃষিপন্য উৎপাদন হ্রাস পা”েছ।
এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ভুমিহীন পরিবারগুলো তাদের ভুমিতে তাদের দখল বুঝিয়ে না দেওয়ায় ফসল উৎপাদন করতে পারছেনা। জমিতে ফসল উৎপাদন করার চেষ্ঠা করলেও ভুমি দস্যুদের বাধাঁর সম্মুখিন হচ্ছেন। কাজীরচর, চরকলাতলী, চর নজরুল বন্দোবস্ত পাওয়া পরিবারগুলো এখনও জমির দখল নিতে পারছেনা বিধায় মানবেতর জীবন যাপন করছে হাজারো পরিবার।

এব্যাপারে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রকৃত ভুমিহীন পরিবার যাতে ভুমি বন্দোবস্ত পায় তার জন্য ভুমিবন্দোবস্ত কমিটির সাথে কাজ করে যা”েছন। বিভিন্ন চরে বন্দোবস্ত  পাওয়া ভুমিহীন পরিবারগুলোর জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ইতি মধ্যে ব্যাবস্থা গ্রহন করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা আলীগ সাধারন সম্পাদক ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা ভুমি বন্দোবস্ত কমিটি আন্তরীকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছি। মুজিব শতবর্ষে প্রকৃত ভুমিহীনদের মাঝে ভুমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা বলেন, মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে । মুজিব শতবর্ষে একটি পরিবারও ভুমিহীন ও গৃহহীন থাকবেনা মর্মে ঘোষনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষনা বাস্তবায়নে উপজেলা ভুমি বন্দোবস্ত কমিটি আন্তরিকতার সহিত  কাজ  করে যাচ্ছেন। আমি ভুমি বন্দোবস্ত কমিটির সাথে সমন্বয় করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

Powered by themekiller.com