অচিন পাখি
মৃণাল কান্তি রায়
১৩/০৫/২০২২ ইং
@@@@@@@@@@
জানো কী তুমি? রয়েছি যে আমি তোমার দেহো পিঞ্জিরায়,
আমার যতন নিবা তবেই ভালো থাকিবা বলিলাম এ কথায়!
খুব সকালে উঠবে কিছু পথ হাঁটবে এ স্বাস্থ্যের এক প্রথা,
মুখ ধৌত সময় মাজিবে দাঁত নিশ্চয় নীতির নিয়ম কথা।
নাকের ছিদ্র পরিষ্কার শ্বাস নেয়ার অধিকার সবার থাকে,
যা কিনা অক্সিজেন আমার থাকার ট্রেন আছি ঠিক বুকে।
হৃৎপিণ্ডের লব-ডাব বেঁচে থাকার ভাব যাকে সচল রাখো,
মুক্ত বায়ু সেবন এ খুবই প্রয়োজন সর্বদা ঠিক মনে রেখো।
পরিমিত আহার একভাগ পানাহার বাকি তিন ভাগ খাদ্য,
ভিটামিনের প্রয়োজন করবে আয়োজন রচিলাম এ পদ্য।
সুষম খাদ্য খাবে তবেই সুস্থ থাকবে আমি ভালো থাকবো,
আমি হলাম সঞ্জিবনী দেহো দুর্গের রক্ষিণী দেহো না ছাড়বো।
আমি ছেড়ে গেলে পরবে দেহো ঢলে নামে অচিন পাখি,
দেহো হবে অসার হবে মাটি-বহ্নির আহার যে দেহে না থাকি।
অচিন পাখি বলো জনম থেকে চলো মৃত্যু দিয়ে শেষ যাত্রা,
যেই বিধি-নিয়ম প্রাণী মাত্র ধরম শেষেতেই যার হয় মাত্রা।
স্বাস্থ্য বিদ্যায় বলা কিভাবে লাগবে চলা এবারে জেনেই নাও,
স্বাস্থ্য ভালো জগৎ ভালো আমি যে দেহের আলো এ বুঝে যাও।
অচিন পাখির নির্দেশনা সুস্থ্য স্বাস্থ্যের সূচনা সবাই ঠিক মানবে,
দেহোটা সচল থাকবে পাখিকে দেহে রাখবে বাঁচার ভরসা দেবে।
কপিরাইটঃসংরক্ষিত
——————————————–
শিরোনাম-তুমি জানো না
কলমে- গৌরী ঘোষ
তারিখ – ১৪/৫/২০২২
*************************
তুমি জানো না,তার মাত্রা,পরিমান,
পরিধি,পবিত্রতার কতখানি দাম,
তুমি জানো না,চিরে দিলে কতটা ঝরে,
তার নোনা বেদনা অবিরাম।
তুমি জানো না,তার অন্ধকারে,
সূর্য ওঠে না কোন দিন,
তুমি জানো না,মুঠো মুঠো তারারা হারিয়ে যায়,
চার দেওয়ালের ধ্বংস স্তুপে একা কাঁদে রাতজাগা সঙ্গীন।
তুমি জানো না হারিয়ে গেলে
তার হৃৎপিন্ড চাপা পড়ে প্রস্তর গিরি তলে
তুমি জানো না কত একা গ্ৰাস করে
তার ভূমধ্য নিশ্চলে।
তুমি জানো না,গলা টিপে ধরলে
কত খানি শ্বাস তার রুদ্ধ হয়,
তুমি জানো না,মৃত্যুর ক্ষরিত রক্তে
কেমনে পোড়ে তার প্রতি মুহূর্তের অবক্ষয়।
——————————————–
★ তুমি আমার নও ★
মোঃ রফিকুল ইসলাম রাজু
নিঝুম রাতের নৈশব্দে তোমার পায়ের নূপুরের শব্দ আমি শুনি
প্রতিদিনের ঘুম ঘোরে।
আমার কানের কাছে তুমি ফিসফিসিয়ে ডাকো,
এই শোনো আমি এসেছি তোমার কাঞ্চা মনে।
কষ্টের একটি দাগ যেখানে লেগে আছে দিনশেষে
সেটুকু আমার শুন্যতা তোমার হৃদে বহমান।
এইতো আজ আমি এসেছি ততবারের জন্য,
যতোবার তুমি আমাকে ভুলে না যাও।
আচমকা জেগে ওঠি আমি,
আমার চোখে বেহায়া কাক ডাকে।
জানালার গ্রীল ছুঁয়ে তোমার অশরীরী ছায়া,
তোমাকে পাওয়ার এক নিদারুণ উত্তেজনায় আমার মন ভাঙে।
আমি হাত বাড়ায় শূন্যতা আর শূন্যতা ,
এক অদ্ভুত রহস্য তুমি আমার নও।
এবং কখনো তুমি আমার হবে না,
জানি;বলেই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
কখনো ঘুম ঘোরে কখনো বা জাগ্রত মন ভরে,
রাত হয়ে তুমি আসো কল্পলোকে।
জামালপুর সদর জামালপুর
১৪/০৫/২০২২ ইং,রাত-১২ঃ২১মিঃ
——————————————–
শিরোনামঃ বিবর্তন
কলমেঃ- মোঃ আলমগীর শরীফ।
তারিখঃ- ১৫/০৫/২০২২ ইং।
ভীষণ পাগল মনটা আমার
হাজার প্রশ্ন মনে
উত্তর খুঁজে ফিরি যে আমি
নিদ, কি বা জাগরণে।
বন্ধু দেখেছি শত্রু দেখেছি
এক আবরণে ঢাকা
সব ঠিকঠাক নাই হেরফের
একই ভাবেতে আঁকা।
তবে কি আমার, বুদ্ধি বিবেক
লোপ পেয়ে গেছে কিছু
অথবা আমার, শক্তিহীনতা
নিয়েছে আমার পিছু?
গভীর ধ্যানেতে নিমগ্ন রহি
মুদিত নয়নে ভাবি
শত্রুমিত্র হয় কি সমান
জানার একক দাবি।
বন্ধুর হাতে বন্ধু হত্যা
স্ত্রীর হাতে স্বামী
সব গোলমাল বেমিল হিসাব
জানে অন্তর্যামী।
সময়ের সাথে নিয়ত বাজিছে
বিবর্তনের সুর
আজ যে বন্ধু কাল সে শত্রু
পথ চলা বন্ধুর।
——————————————–
বৃষ্টি
——
রেজাউল করিম রোমেল
———————————-
গুরুম গুরুম মেঘ ডাকছে
ব্যাঙ ডাকছে জলে,
তাই না দেখে নাচছে খুকি
এই বর্ষাকালে।
ঝর-ঝর-ঝর বৃষ্টি নামে
ঝর-ঝর-ঝর বৃষ্টি,
ঝন-ঝন-ঝন টিনের চালে
সুর ছন্দের সৃষ্টি।
খোকা খুকি মজা করে
এই শব্দ শুনে,
পশু পাখি ঘুমায়নি আজ
ঐ দেখা যায় বনে।
রেজাউল করিম রোমেল
মোবাইল -০১৭৬০-৮১৩৪৮৪
——————————————–
ক বি তা- বে হি সে বী র ক্ত
————————————-
✍️ মৃ ন্ম য় ভা ন্ডা রী
—————————-+
রক্ত আর নাইবা ঝরালে,
এখানে শুধুই কষ্ট,
দুঃখ বিলাস নাইবা করলে
আগামীটা নয় স্পষ্ট।
মনটা আর নাইবা ভাঙলে
জোড়া দেয়াটাই ভার
স্মৃতিকে আর নাইবা টানলে
স্মৃতির ভীষণ ধার।
বিষাদ আর নাইবা ডাকলে
সে শুধু চেনে রক্ত,
পথের ঈশারা নাইবা করলে
পথ যে পরিত্যক্ত।
বৃষ্টিকে আর নাইবা ঝরালে
ধুয়ে ফেলে দাড়ি কমা,
নিয়মের বেড়ী নাইবা পরালে
তার নেই কোনো ক্ষমা।
বিশ্বাস আর নাইবা হারালে
বুদবুদ ওঠে রোজ,
ঠোঁটের আগায় নাইবা আনলে
রাঙা প্রেয়সীর খোঁজ।
রক্তের মাঝে নাইবা খুঁজলে
ভালোবাসা অনুকম্পা,
ভাগ্যের সাথে নাইবা জড়ালে
সুগন্ধকে তুমি চম্পা।
©️ মৃন্ময় ভান্ডারী
——————————————–