Breaking News
Home / Breaking News / চরফ্যাশনের তারুয়া চরের চুরিকৃত গাছ জব্দ 

চরফ্যাশনের তারুয়া চরের চুরিকৃত গাছ জব্দ 

মো কামরুল হোসেন সুমন,ভোলা প্রতিনিধিঃ

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের তাড়ুয়ার সমুদ্র সৈকতের বন বিভাগের চোরাই কেওড়া গাছ ওই উপজেলার কচ্ছপিয়ার একটি স’মিলের পাশ থেকে জব্দ করা হয়েছে। ওই চোরাই গাছ জব্দ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে, কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারির সহায়তায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বন বিভাগের গাছ চুরি করে আসছে। এদিকে কেওড়া গাছ চুরির ঘটনায় বন বিভাগের বিট অফিসারকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। ওই ঘটনা তদন্ত করে চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত শনিবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের সমুদ্র সৈকত তাড়ুয়া বন বিভাগের চোরাই কেওড়া গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরের চক্র। ৫টি ট্রলারে করে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বন বিভাগ ৭৬টি কেওড়া গাছ জব্দ করতে পেরেছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন বিট অফিসার আওলাদ হোসেন জানান, তাড়ুয়ার সৈকতে বন বিভাগের গাছ চুরির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই এলাকার একটি খাল থেকে ৭৬টা কেওড়া গাছ জব্দ করে স্থানীয় সিরাজ পন্ডিতের জিম্মায় রেখে আসি। অথচ স্থানীয়দের অভিযোগ, স’মিল মালিক সিরাজ পন্ডিত দীর্ঘদিন ধরে চোরাই কাঠের ব্যবসা করে আসছে।
এ ব্যপারে সিরাজ পন্ডিতের সঙ্গে আলাপকালে তিনি প্রথমে জানান, তিনি বন বিভাগ থেকে টেন্ডার দিয়ে গাছগুলো কিনে আনেন। পরবর্তীতে বন বিভাগ গাছ জব্দ করলে তিনি ভোল পাল্টে বলেন, স্থানীয়রা গাছগুলো এনেছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগ চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের রেঞ্জ অফিসার আলাউদ্দিন জানান, গাছ চুরির ঘটনায় ঢালচর ইউনিয়ন বিটের বিট অফিসার আওলাদ হোসেনকে দায়িত্বে অবহেলা ও গাছ চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে জানতে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। এবং তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার বলেন, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের সমুদ্র সৈকত তাড়ুয়ার দ্বীপে বন বিভাগের চোরাই কেওড়া গাছ চুরির ঘটনায় ওই এলাকার স’মিলের মালিক সিরাজ পন্ডিতসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়ের করা ও বন বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে কৈফিয়ত তলবের জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Powered by themekiller.com