Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

||||৹তোমার ছবি৹||||

আজও উদাস একটা আকাশ,
তোমার চোখে বাষ্প হারায়,
আজকে বোশেখ ভরিয়ে দিতে,
ডাক পাঠাল মেঘের পাড়ায়।

কাল সে শ্রাবণ নেবেই কেড়ে
তোমার যত গানের ডালি,
নিজেই কাঁদে বাইশ শ্রাবণ ,
যাওয়ার পথে বৃষ্টি ঢালি।

পুড়ছে যেন বুকের খোয়াই,
হৃদয় তৃষায় দহন বাণী,
পুব বাতাসে ঝরায় বকুল,
শিরীষ শাখার রোদন খানি।

শান্ত কোপাই, জলের বাঁকে,
ঢেউ তুলেছে মেদুর হাওয়া,
শ্রাবণ যারে ছিনিয়ে নিল।
বৈশাখে তার ফিরিয়ে দেওয়া।

তুমিও যে তাই আকাশ জুড়ে,
মেঘের কোলে রোদের হাসি,
রবিন ঠাকুর সুর ছোঁয়ালে
কোন সুদূরের রাখাল বাঁশি।

তোমার ভুবন ছড়িয়ে আছে,
হাজার মুখের ঘাটে ঘাটে,
পথের ধারে, গ্রামের পারে,
এই বাঙালীর প্রাণের হাটে।

সবাই রাজার রাজত্বে আজ,
তুমিও থাক চুপটি করে,
আমার বুকের নক্সী কাঁথায়,
তোমার ছবি উঠুক ভরে।।

ধ্রুবজ্যোতি দত্ত
২৫ শে বৈশাখ ১৪২৯
শান্তিনিকেতন

——————————————–

কবিতা

বিশ্বগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এম:ইলিয়াস ঘরামী

তাং—১০/৫/২০২২

সিরিয়াল নং—১১৪০৭

ঐ দ্যাখো চেয়ে পূর্ব দিগন্তে,
উদিত হয়েছে বৈশাখের রবি,
নীল শুভ্র আকাশে,
সোনালি রবির কিরণ,
ঝিলিক দিয়ে উঠেছে কবি৷

ঐ দ্যাখো চেয়ে পুর্ব দিগন্তে,
উদিত হয়েছে বৈশাখের রবি,
এঁকে যায় হৃদয়ের তুলিতে
কতো মন রাঙানো ছবি৷
দূরে কোন স্যজ্জায়,
এক কোন ছেলে,
বংশীর ধ্বনি শুনে,
দ্যাখে চোখ মেলে,
রচনায় আমার কবি,
এই সেই বৈশাখী রবি৷

ভোরে আকাশে উদয় যেনো
এক আকাশ ধ্রুবো তারা,
হিমলে শিরিরে ঘাসের মাথায়,
যেনো লক্ষ মানিক ঝরা৷

অষ্টদর্শীর বুকে উঠেছে তুফান,
বীণার সুরের ধ্বনির ঝঙ্কারে ,
পায়ের নুপুর বাজে তার,
উতাল যৌবন অহংকারে৷

রাধার প্রেমের বিরহ জ্বালা
বংশীর সুরে গেঁথেছে প্রেমের মালা,
সঙ্গীত সুরে ভেসে যায় কবি,
সেই তো আমার বৈশাখের রবি৷

বাংলার বধূ বুকভরা মধু
হৃদয় খুলিয়া পরশ ঝরে,
দেখেছো কি এমন বধু
সবুজ সোনালি
বিশ্বের ঘরে ঘরে?

মাথায় ঘোমটা টানি
কলস কাঁকে খানি,
সারি দিয়ে যায় বধু
ভ্রমর গুনগুনিয়ে গায় গান
পান করে ফুলের মধু৷

হৃদয়ে তুলেছে ঝড়
ছন্দের বীণা সুরে,
বিশ্ব হয়েছে মহিত
রবির সুরে সুরে৷

সাহিত্য পেয়েছে প্রাণ
মহামনীষীর অনুরাগে,
বুল বুল গেয়ে যায় গান
কুসুমের বাগে বাগে৷

আমি খুঁজে ফিরি বৈশাখের
ধুধু ধুলো উড়া ধুলির বাঁকা বাঁকা পথ,
সবুজ বনোলতা মিশেছে দূর গাঁয়,
কলস কাঁকে গাঁয়ের বধু হায়৷

রবির মাঝে খুঁজি বিনোদিনী,
ছন্দ হারানো ভূবন মোহিনী
পরাণের দুই বিঘা জমি যায়,
আমি খুঁজেছি প্রেম ভরা ভালোবাসা
রবির কিরণের গায়ে হায়৷

কতো প্রেম ভালোবাসা,
কতো বিরহ বিষাদের মালা,
তুমি গলায় পরিয়েছো হায়,
রবির বীণার সুরে সে মালা,
আঁধারে মুর্ছা যায়৷

রবির প্রতাপ অহংকারে পুড়েছে
কতো বেদনার কলঙ্ক,পরিয়েছো প্রেমের চন্দন,
সোনালি পাতায় সাহিত্য রচনা
জাতীয়তার সঙ্গীত বন্ধন৷

জনগণমন অধিনায়ক জয় হে
ভারতভাগ্যবিধাতা
পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা
দ্রাবিড়া উৎকল বঙ্গ
বিন্ধা হিমাচল যমুনা গঙ্গা
উচ্ছলজলধিতরঙ্গ,
তব শুভ নামে জাগে,
তব শুভ আশিষ মাগে
গাহে তব জয়োগাঁথা৷
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে
ভারত ভাগ্যবিধাতা৷
জয় হে জয় হে জয় হে
জয় জয় জয় জয় হে৷

আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি…..
চিরদিন তোমার আকাশ
তোমার বাসাত
ওমা আমার প্রাণে
বাজায় বাঁশি……..
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি….
এই রবির প্রেমে মালা গাঁথা৷

এই তো মহান বৈশাখের সেই রবি
জাতীয়বাদের ছবি,
লৌহগৃহে বন্দি আমার শিষ্য
নজরুল বিদ্রোহী কবি৷

শত বীণার সুর একই সাথে বাঁধা,
প্রেমো বিরহিনী কাঁদে গোকুলে
যমুনার ঘাটে রাধা,
কে বেঁধেছে এমন সুর
বিশ্ব জগতে বিনা সুতোয়
বীণার সুর বাঁধা?

বিষাদের কতো পথ পেরিয়ে,,
সাহিত্যে অঙ্কন আঁকিয়ে,
বিশ্ব জগত ভুলোকে
তুমি নোবেল জয়ী কবি,
তুমি সেই বৈশাখের সোনালি রবি,
চরণে প্রণাম তোমায় ওগো কবি৷

শ্রাবণের বরষণ ধারায়
বন্দি হলে হে কবি
কোন সে অজানা কারায়?
আর কোনো দিন ফিরিবেনা
জানি হে মহাকবি,
অস্তিমিত হলো পশ্চিম প্রান্থে
ভানুমতি নামের সেই বৈশাখের রবি৷

আজ তোমার জন্মদিনে
স্মৃতির জলসায়,প্রীতির বাসায়
আমি গেয়ে গেলাম গান,
ক্ষুদ্র এক তোমার পথের কবি,
তুমি মম হৃদয়ে থেকো চিরদিন
ওগো বৈশাখের রবি৷

——————————————–

কবিতাঃ রবির কলমে
কলমে- সঞ্জয় বৈরাগ্য
০৯-০৫-২২
🙏আজ রবি ঠাকুরের জন্মদিনে, তাঁর লেখা অসংখ্য কাব্য, গল্প ও উপন্যাস শীর্ষকের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্পণ করলাম, এক ভিন্ন আঙ্গিকে —-

আপন খেয়ালে পথ চলেছিল “কাবুলিওয়ালা”,
ইছামতীর তীরে হঠাৎই তাঁর দেখা হয়ে গেল “পূরবী”-র সাথে।
করুণ কন্ঠে সে তাকে বলল, নিয়ে যাবে আমাকে, “বৌ ঠাকুরাণীর হাটে”?’
হয়তঃ সেখানেই খুঁজে পাবো, আমি আমার “রাজর্ষি”-কে।
এক শুভলগ্নে “প্রজাপতির নির্বন্ধে” তাঁর সাথে বিবাহ হবার কথা ছিল আমার।
কিন্তু সে রাতে “নৌকাডুবি”-র ফলে সে “যোগাযোগ” আজ ছিন্ন।
ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে হয়তঃ এখন আমি তাঁর “চোখের বালি”!
সব কিছু ফিরে পেতে “গোরা” আর “হৈমন্তী”-কে নিয়ে,
“ঘরে বাইরে” অনেক খুঁজেছি তাঁকে ! কিন্তু পাইনি কোথাও …!
আজ সংসারের “দেনাপাওনা” সব গেছে মিটে,
“দুইবোন”-এর স্মৃতিও গিয়েছে মুছে।
তাঁর জন্য সাজানো “নৈবেদ্য”– তাও রয়েছে পড়ে।
জীবনের “চার অধ্যায়” পেরিয়ে, আজ
“চতুরঙ্গে” এসে “মালঞ্চে” বসে পড়ছি “শেষের কবিতা”!
“নষ্টনীড়”-এর ঠিকানা, এখনও যে মেলে নি।

——————————————–

কবিতাঃ “বাবা কোথায় মা”
কলমেঃ এম. আর হারুন
০৯/০৫/২০২২
———————————————
জন্মের পর থেকে দেখিনি বাবা,
বলোনা মা, বাবা কোথায়
তার ঔরসে জন্ম নেয়া কি পাপ
নাকি আমাকে পরিচয় দিতে
বাবা আকাশের নক্ষত্র হয়েছে।

মাগো বলোনা,
সবারই বাবা আছে, আমার নেই
বাবার কারনেই আমি টোকাই
আমি নির্লজ্জ বেহায়ার মত
অগোছালো মানুষ বেওয়ারিশ
মাগো, ওরা আমাকে খেলতে নেয়না
দুর দুর করে তাঁড়িয়ে দেয়।

মাগো আমার যদি একটা ঠিকানা থাকতো
স্কুলে পড়তে পারতাম
ওদের মত মাঠে খেলা করতে পারতাম
তোমার একটা সুখের সংসার থাকতো
আমিও বাবার কোলে মাথা রেখে
একটু ঘুমাতে পারতাম।

মাগো বলোনা,
আমার কি বাবা নেই
আমাকে একটু বলো, বাবা কোথায়
বাবা না থাকলে যে পৃথিবী শূন্য,
পরিচয়হীনভাবে রাস্তায় পড়ে থাকতে
আমার আর ইচ্ছে করেনা,
আমি স্কুলে যাবো, বাবার পরিচয়ে বড় হবো
বাবার ভালোবাসায় সব সুখ কেড়ে আনবো
মাগো বলোনা, বাবা কোথায়।

মাগো, তুমি আর কত কাঁদবে
আমাকে জঁড়িয়ে আঁচল তলে
কেঁদোনা মা, আমি বড় হয়ে
তোমার সব দুঃখ মুছে দিবো
আর বলবো না, বাবা কোথায়,
মাগো আর বলবো না, কথা দিলাম।

——————————————–

খুঁজে ফিরি!
০৯/০৫/২০২২
কলমে- রত্না চৌধুরী।

ভুমিকা নেই,
আড়ম্বরতা নেই,
সাদামাটা ক্ষণ
এ ক্ষণেই জানিয়ে দিয়েছিলাম
তোমাকে ভালোবাসি।

তুমি নেই
আমার ভালোবাসার পাত্র
নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে মুছে
আছে কেবল তোমাকে ভালোবেসেছিলাম
ঘটনাটা মনে।

আজ ভালোবাসা নেই
আছে স্মৃতি।
তুমিহীনা কিছু কিছু বর্তমান
এখনো লুপ্ত, অনাবশ্যক, অনাগত,
অর্থহীন।

এ ব্যথা বিসর্জনের কতনা অজানা
আয়োজন করেছিলাম
পেরেছি কি?
কি করবো?
এই বোধ আমাকে
মর্মান্তিক করে তোলে।।

——————————————–

চড়ুইভাতি

রচনা -মাসুদ রানা

খোকা খুকির চড়ুই ভাতি
দেখতে ভারি মজা,
কাদা মাটি দিয়ে বানায়
মিষ্টি মধূর গজা।

লাল মাটিরে গুলিয়ে জলে
মরিচ বাটে তারা,
মিছে চুলায় জ্বালিয়ে আগুন
চোখে জলের ধারা।

ধোঁয়া ধোঁয়া বলে কেমন
মুখটা করে বাঁকা,
গিন্নীপনা দেখতে মজা
কঁচি মুখে আঁকা।

এদিক ওদিক যাসনে সোনা
মায়ের মতো বলে,
একজনকে শুয়ে রেখে
ভাসে চোখের জলে।

ওড়না দিয়ে শাড়ি পড়ে
আঙ্গুলে মাখা চুন,
এক চিমটি বালিতে দেয়
তরকারিতে নুন।

খোকা বাবুর বেজায় মজা
খালি যাবে হাট,
হাট থেকে ফিরে এসে
দেখায় ঠাট ভাট।

ছানা পোনা যাসনে ওরে
বাবুর মেজাজ চড়া,
অ,সকিনা হুক্কা সাজা
নিয়ে যা গড়গড়া।

কোলের উপর পুতুল রেখে
ঘুমের গান গায়,
স্বপ্ন ভরা দুটি চোখ
ভাসে কল্পনায়।

আমরাওত ছোট্ট বেলায়
খেলেছি খেলার ছল,
এসব দেখে আজকে কেন
চোখে আসে জল?

——————————————–

Powered by themekiller.com