Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

মন্ডলবাড়ি
চিরঞ্জীব হালদার

যে সাতমহলা বাড়ির গোধুলী সন্ধ্যা ভরে থাকতো
বেহালার ধুন
সমস্ত আমলকী গাছেরা অভিবাদন জানতো
ছোটমেয়ের লক্ষীমন্ত উদাসীন অপেক্ষাকে
যে সেগুনমঞ্জরী থেকে নেমে আসতো পেঁচাদের প্রথম প্রহরের কলরব
আমার সমস্ত পথ সেই অলিখিত উত্তর পত্রে নত হয়ে আছে

আজকাল এক পাগল আমাকে অনুসরণ করে
আজকাল স্বপ্নাকাকিমার মুখ ভেসে ওঠে লবনহ্রদের
মজে যাওয়া সামাজিক জনপদে
সুদীপ্ত কি এখনো ডাক্তারে চেম্বারে অনির্ণেয় অনাগতের জন্য অপেক্ষায় ঘুমিয়ে আছে

আমার ফুটো গৃহকোণ থেকে এক স্বপ্নাদ্য তাবিজ
হেসে ওঠে
বৃষ্টি নামার প্রাককালে বাস্তুময়ূর নাম ধরে ডাকে
আমার বিবাহ বাসরে যে পাগল গান গেয়েছিল
তার নাম ভুলে যাবো এটা তো নেক্স টু পসিবাল

সেই মন্ডলবাড়িতে আজ আমার অন্নপ্রাশন
সবাই গান গাইতে এসো কিন্তু

——————————————–

চৌপদী কবিতা
শিরোনাম – প্রেম ও প্রিয়া
স্বপন কুমার রুইদাস ৪/৫/২২

কাজ শেষ ভোর থেকে হাঁটি মাঠে মাঠে ,
স্মৃতি আর শব্দ ছুঁয়ে বেলা যায় কেটে ।
সুখ ভাগ করে নেব এক বেলা করে,
সেই কথা ভেবে ভেবে লাজে যাই মরে!
এও জানি তার কাছে যেতে দেরী হলে,
চিন্তা করে মরে যায় প্রিয়া প্রতি পলে ।
ছিঁড়ে ফেলে ফুল খোঁপা থেকে ছিঁড়ে মালা,
রাগে মুখ ভার করে মুখে দেয় তালা ।
ছায়া ছুঁতে দেরী হলে প্রেম কমে যায়;
এক ঘরে থাকি তবু আড়ি, ভাব নাই !
সব ক্লান্তি দূরে যায় দেখে চাঁদ মুখ,
চোখ চেয়ে ভরে উঠে এক নদী সুখ ।
সব নারী এক নদী হিম স্রোত বয় ,
রাগী হোক তবু বুক তার প্রেম ময়।

——————————————–

অপেক্ষা।।
কাজী রাশেদের কবিতা।।

কখনো কখনো অপেক্ষা একদিনের,
কখনো বা অপেক্ষা দিনের পর দিন,
কখনো আবার বছরের পর বছর,
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘকাল ব্যাপী,
অপেক্ষা ভালোবাসার জন্য,
ভালোবাসার মানুষের ফেরার জন্য।

ভালোবাসার অপেক্ষায় অবসাদ আসে,
আসে রঙের ধুসরতা,
আসে মন খারাপ,
আসে হতাশার কালো মেঘ।
মন খারাপের মেঘগুলো জড়ো হয়
মনের গভীরে, চোখে আনে জল
বুকের ভিতরে তুলে ঝড়ের তোলপাড় ।

সেই ভালোবাসা রঙ জানে না,
জাত পাতের নিয়ম মানে না,
মানে না বয়সের সীমারেখা,
এই ভালোবাসায় বাধে যুদ্ধ,
আসতে পারে যতো আপদ বিপদ।

তবুও মন থাকে অপেক্ষায়,
কবিগুরুর ভাষায় –
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী
দীর্ঘ বরস মাস।

ভালোবাসার আকুতি রয়ে যায় অবিরল,
বল্গাহীন স্রোতের মতো ছুটে চলে,
ভেংগে ফেলে এপার ওপার
তবু মন যাকে ভালোবাসে
তার অপেক্ষায় থেকে যায় অবিচল।

——————————————-

ভালোবাসার চাঁদ জোসনা

সাগর আহমেদ

চক্রবতী রাত নামে দুরের আকাশে
মধুপের গুঞ্জনে নিভে যায় সন্ধ্যা প্রদীপ,
দ্বিপদী পলিনোমিয়াল সমীকরণের
নীল জোছনার পেয়ালা উল্টে
তুমি খুলে দাও মশারীর নিরুদ্ধ দ্বার ।

আমি হাত বাড়াতেই
তুমি খিলখিল হাসো,
আমি সাগর থেকে ডেকে আনি দানবীয়
ভাইপার ফিস
বিস্ফোরন ঘটে যৌথ চেতনার ।

তুমি নেইল পলিশ চর্চিত নখ দিয়ে দেয়াল আচড়াও
তা না না না রাত্রিতে আমি কিংসুকে মেতে উঠি
তুমি ও মাতো কি?
উড়ে যায় মাছরাঙা
পেলব মৌনতা নিয়ে দক্ষিণ সাগরে,
আমি সূতা টানি
এক সময় হাত থেকে ঘুড়িটার নাটাই ছেড়ে দেই
লেজকাটা ঘুড়িটা ক্রমে পেরোয় অতল তমিস্রা
তুমি গুঙ্গিয়ে ওঠো মুগ্ধ চন্দ্রমায় ।

আমি গাংচিল
শ্যেন দৃষ্টি
তুমি নির্দ্বিধায় মুখ উঁচু করে তাকাও সেদিকে
নেমে আসে নিষ্ঠুর চুম্বন ঠোঁটে ঠোঁটে
দুরে বাজে এস্রাজ জল পেয়ালায়,
তুমি আঁচল ভরে নিয়ে আসো পুরোটাই মধুজল
আমি শুষে নেই জমাট নৈঃশব্দে ।

এদিকে মরুভূমে ক্যাকটাসে ফোটে
কয়েকটি বুনো ফুল তৃপ্ত জল পিয়ে,
আর তুমি লাজনত মুখ তোলো
উন্মেলিত মুখ
উড়ে যাও ঝাউ বনের পথ ধরে
উৎসাহিত অকপট চাঁদ জোসনায় ।।

——————————————–

কবিতা : সীমারেখা
কলমে : প্রকৃতি

ভালোবাসো! নিজে ভেসে যেও না
ভেসে গেলে কেউ আঁকড়ে ধরবে না

কাছে যাও! নিজে মিশে যেও না
মিশে গেলে নিজেকে খুঁজে পাবে না

বিশ্বাস করো! অন্ধ হয়ে যেও না
অন্ধবিশ্বাস শূন্যতা ছাড়া কিছুই দেয় না

সম্পর্ক করো! সঙ্গে থাকার অভ্যাস করো না
সময়ের কোনো ভরসা নেই

ভেবে, হিসাব করে কিছু হয় না
ভেঙে গেলে ভাঙা মন জোড়া লাগে না….!

——————————————–

কবি

মাহফুজা জান্নাত

কবি শোনো, আমার হৃদয়ের অন্তঃপুরের কিছু কথা;
সবকিছুই একেবারে অন্তঃস্থলের ফল্গুধারা, বলছি না অযথা।
দেহমন আজ খেলা করে কেবল তোমারই মনের আঙিনায়;
ইচ্ছে করে ছুটে যাই তড়িতে তোমার হৃদয় আস্তানায়!

কবি তুমি কি জানো, তোমার কবিতা তোমার প্রতি কতটা দুর্বল?
তোমার চরম অনুরাগেই তার অন্তরে গজিয়ে উঠেছে এক পৃথিবী সবুজ শ্যামল!
তোমার অনুরাগের সুরটিও বড্ড প্রখর,বাজে দিনরাত;
তোমার কবিতার মধ্যে হারিয়েই তো করো তোমার কালপাত?

তোমার নির্মল ভালোবাসায় কবিতা আজ গভীর সাগরে নিমজ্জিত,
সন্তরণে পটু না হলেও,হাত পা চালিয়ে কূল খুঁজে মরে অবিরত!

কবিতার মনের দেশে এখন প্রবাহে এক উষ্ণ শীতল প্রেমধারা;
কবির অবগাহন অপেক্ষায় সে চঞ্চল, অস্থির পাগলপারা!
তোমার আবেশেই কবিতা তোমার হারিয়েছে আপন সুর;
তোমার স্বর্গীয় সুরের মূর্ছনায় ভেসে যায় সে বহুদুর।

হতে চায় সে শিরীন শারমিন, হারাতে চায় ফারহাদের বক্ষদেশে;
প্রকৃতির লীলায় মাততে চায় সে আজ, নতুন বৈরাগিনী বেশে।

০৪.০৫.২০২২

——————————————–

Powered by themekiller.com